![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক এবং মুক্তচিন্তার অধিকারী
কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে খুব সচেতনভাবেই নারীর পোশাককে ধর্ষণের কারণ হিসাবে উপস্থাপনা করা হয়, বরং একইসাথে তার আচার আচরণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্টের ভিত্তিতে যৌন আক্রমণের ভুক্তভোগীদের আদালতের মধ্যেও আইনিভাবে দোষারোপ করা হয়। প্রায়শই আসামীগণের বিরুদ্ধে যৌন আক্রমণের ভুক্তভোগীদের মামলাকে এসব বিবেচনা করে বাতিল করে দেওয়া হয়। অবশ্য, পুরুষদের পোশাক কখনো আলোচনার বিষয় হয়ই না, এবং “পোশাক ধর্ষণের কারণ” বিবৃতিটি নারীদের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র প্রয়োগ করা হয়। যার ফলে নারীরা তাদের বাস্তব জীবনে সমাজ এবং আইনি স্তরে বাধাগ্রস্ত হয়। একইসাথে, এই বিবৃতির ভিত্তিতে নারীদের মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়; যথা- স্বাধীনভাবে পোশাক পরার বা নিজেকে প্রকাশের মানবাধিকার।
প্রায়শই এই বিষয়ে সমাজের কিছু মানুষকে বিজ্ঞ মতামত দিতে খুব উৎসাহী হতে দেখা যায়। সাধারণত এইসব বিজ্ঞ মতামতের মধ্যে যা থাকে তা হচ্ছে, “ঐ ছেড়িরও দোষ আছে। ছেড়ির চলাফেরা ভাল না। রাইত বিড়াতে বাইরে যায়। পোলাগো লগে ঘুরে।” অর্থাৎ, সেই মেয়ের যেহেতু চরিত্র ভাল না, তাই তাকে ধর্ষণ করা যেতেই পারে! যেহেতু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কঠিনভাবে পুরুষতান্ত্রিক, তাই এসব কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাধারণ বুদ্ধিমত্তার মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়। কারণ আমাদের সমাজে মেয়েদের চলাফেরা, পোশাক আশাক থেকে শুরু করে সবকিছুই নিয়ন্ত্রন করা অপেক্ষাকৃত সহজ, এবং সব সাধারণ মানুষই এতে বেশ দক্ষ। এরা অবলীলায় ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ধর্ষিতা উভয়ই দোষী বানিয়ে ছেড়ে দেয়। এরা বলে, “ধর্ষিতাই বা কেন উত্তেজক জামা পড়ে ধর্ষকের যৌনানুভূতিতে আঘাত দিল? ধর্ষণ তো হবেই!” সেই সাথে এই বিষয়টি উল্লেখ করে নারীর লেখাপড়া, চাকরিবাকরি, ব্যবসাবাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাধানিষেধ আরোপ করা সম্ভব হয়, ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে তাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ইচ্ছাকে নিরুৎসাহিত করা হয়।
“পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে” বাক্যটি মৌলিকভাবে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করে। কেননা, “সূর্যে শুকাইতে দেয়া রশিতে ঝুলানো পোশাক-কে ধইরা কেউ চুম্মা-চাট্টি করলেও”- তা আমরা ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করি না। অতএব, যখন বলা হয় যে “পোশাক ধর্ষণের কারণ” তখন ভুক্তভোগীর পোশাক পরিধান করা, অর্থাৎ, ভুক্তভোগীর নিজের সচেতন সিদ্ধান্তকে (অর্থাৎ পোশাক পরিধান করার সিদ্ধান্তকে) ধর্ষণের কারণ হিসাবে উপস্থাপনা করা হয়।
নারীবাদী বুদ্ধিবৃত্তিক সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ ধর্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন উপকথা, বা “rape myth”-কে খণ্ডন করেছে, এবং দেখিয়েছে যে এই ধরণের উপকথা প্রমাণিকভাবে ভুল হওয়ার পাশাপাশি, শুধুমাত্র ভুক্তভোগী দোষারোপের একটি পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে ন্যায্যতা দেয়, এবং ধর্ষণকারীর অপরাধকে কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষণ সম্পর্কে উপকথার মধ্যে সব চেয়ে প্রচলিত হলো এই ধারণা যে পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে। মুমিনরা যেভাবে করে “আল্লাহ মহাবিশ্বের সৃষ্টির কারণ হতে পারে” বলে দাবি করে, “পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে” দাবিটি একইভাবে প্রমান দ্বারা সমর্থিত নয়। তবে একজন মুমিন “আল্লাহ মহাবিশ্বের সৃষ্টির কারণ হতে পারে” কথাটা অন্য কাউকে আঘাত না করে, আন্তরিকভাবে বিশ্বাস এবং পোষণ করতে পারে। তবে “পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে” বাক্যটি মৌলিকভাবে ক্ষতিকর এবং এবং এই মিথ্যা ধারণার বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়োগ সর্বদা ভুক্তভোগী দোষারোপে অবদান রাখে। নারীবাদী সাহিত্য থেকে আমরা জানতে পারি যে প্রকাশ্য পোশাক এবং ধর্ষণ বা যৌন আক্রমণের সাথে কোনো “causal” বা এমনকি “correlation”-এর কোনো সম্পর্ক নেই।
একইসাথে, “পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে” এই মিথ্যা ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করে যে ধর্ষণের ভুক্তভোগী তার কর্মের মাধ্যমে (অর্থাৎ তার পোশাক পরার মাধ্যমে) ধর্ষণটি ঘটিয়েছে। এটি সাধারণত আরেকটি মিথ্যা ধারণার উপরে ভিত্তি করা যে নারীরা পুরুষদেরকে সিডিউস করার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য পোশাক পরিধান করে। নারীবাদী স্কলাররা গবেষণার মাধ্যমে প্রমান করেছে যে বেশিরভাগ নারীদের ক্ষেত্রে তাদের প্রকাশ্য পোশাক পরার সিদ্ধান্তের সাথে কোনোভাবেই তাদের যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার, যৌন আগ্রহ যোগাযোগ করার বা পুরুষদেরকে সিডিউস করার কোনোই উদ্দেশ্য থাকে না। এমনকি, নারীবাদী স্কলাররা আরো দেখিয়েছে যে আদালতের মধ্যে ভুক্তভোগীর মনস্তাত্ত্বিক উদ্দেশ্য যাচাই করার ক্ষেত্রে সেই ভুক্তভোগীর পোশাক কোনোভাবেই probative/গ্রহণযোগ্য প্রমান হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।
নারীদের প্রকাশ্য পোশাক যে পুরুষদের মধ্যে এমন শক্তিশালী যৌন লালসার উদ্ভব ঘটায় যে পুরুষরা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না- এই দাবিকেও খণ্ডন করে নারীবাদী স্কলাররা দেখিয়েছে যে ধর্ষণকারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানসিকভাবে স্বাভাবিক হয়ে থাকে। তবে, নারীবাদী স্কলাররা বেশ পরিষ্কার ভাবে দেখিয়েছে যে ধর্ষণকারী পুরুষরা যে নিজেদের যৌন লালসা সামলাইতে পারে না- এটি একটি Rape Myth/উপকতা যা প্রমাণিকভাবে এবং ধারণাগতভাবে অসমর্থিত (conceptually and empirically unsupported)। এমনকি, মনোবিজ্ঞানীরা ধর্ষণকারীদের মধ্যে মানসিক বিকৃতির লক্ষণ খুঁজে বের করার অসংখ্য চেষ্টা করার সত্ত্বেও ব্যর্থ হয়েছে। এই তথ্যটি পরামর্শ দেয় যে ধর্ষণকারীদের অপরাধকে “মানসিক বিকৃতি” বা “কম সংখ্যার অপরাধ” হিসাবে কোনোভাবেই শ্রেণীবদ্ধ করা যায় না, কেননা ধর্ষণ সামাজিকভাবে ব্যতিক্রমী হওয়ার পরিবর্তে, ধর্ষণ সাংস্কৃতিকভাবে নির্দেশিত, যেখানে ধর্ষণের মনোভবকে পোষণ করা হয়, এবং অতএব, ধর্ষণকে অপরাধের পরিবর্তে “স্বাভাবিক” হিসাবে দেখা হয়।
প্রকাশ্য পোশাক পরিধানের বিপদের অজুহাতে “পোশাক ধর্ষণের কারণ” ধারণাটির প্রচলন ঘটে, যার ভিত্তিতে নারীদের স্বাধীন প্রকাশের অধিকার unfair ভাবে সীমাবদ্ধ হয়। একইসাথে, যেসব নারীরা একটি sexualized appearance গ্রহণ করে, তাদেরকে “বেপরোয়া” হওয়ার জন্যে সমালোচনা করা হয়, যেন sexualized appearance গ্রহণ করা একটা অপরাধ। তবে, নারীবাদী সাহিত্যে, এটি পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত যে শুধুমাত্র অন্যদের দ্বারা Objectification-এর কারণে, একটি নারী যিনি একটি sexualized appearance গ্রহণ করেছে, তিনি যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হতে পারে। এই তথ্য পরামর্শ দেয় যে নারীদেরকে তাদের sexualized appearance-এর জন্যে সমালোচনা করা, এবং দোষারোপ করা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক।বা কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে খুব সচেতনভাবেই নারীর পোশাককে ধর্ষণের কারণ হিসাবে উপস্থাপনা করা হয়, বরং একইসাথে তার আচার আচরণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্টের ভিত্তিতে যৌন আক্রমণের ভুক্তভোগীদের আদালতের মধ্যেও আইনিভাবে দোষারোপ করা হয়। প্রায়শই আসামীগণের বিরুদ্ধে যৌন আক্রমণের ভুক্তভোগীদের মামলাকে এসব বিবেচনা করে বাতিল করে দেওয়া হয়। অবশ্য, পুরুষদের পোশাক কখনো আলোচনার বিষয় হয়ই না, এবং “পোশাক ধর্ষণের কারণ” বিবৃতিটি নারীদের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র প্রয়োগ করা হয়। যার ফলে নারীরা তাদের বাস্তব জীবনে সমাজ এবং আইনি স্তরে বাধাগ্রস্ত হয়। একইসাথে, এই বিবৃতির ভিত্তিতে নারীদের মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়; যথা- স্বাধীনভাবে পোশাক পরার বা নিজেকে প্রকাশের মানবাধিকার।
প্রায়শই এই বিষয়ে সমাজের কিছু মানুষকে বিজ্ঞ মতামত দিতে খুব উৎসাহী হতে দেখা যায়। সাধারণত এইসব বিজ্ঞ মতামতের মধ্যে যা থাকে তা হচ্ছে, “ঐ ছেড়িরও দোষ আছে। ছেড়ির চলাফেরা ভাল না। রাইত বিড়াতে বাইরে যায়। পোলাগো লগে ঘুরে।” অর্থাৎ, সেই মেয়ের যেহেতু চরিত্র ভাল না, তাই তাকে ধর্ষণ করা যেতেই পারে! যেহেতু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কঠিনভাবে পুরুষতান্ত্রিক, তাই এসব কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাধারণ বুদ্ধিমত্তার মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়। কারণ আমাদের সমাজে মেয়েদের চলাফেরা, পোশাক আশাক থেকে শুরু করে সবকিছুই নিয়ন্ত্রন করা অপেক্ষাকৃত সহজ, এবং সব সাধারণ মানুষই এতে বেশ দক্ষ। এরা অবলীলায় ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ধর্ষিতা উভয়ই দোষী বানিয়ে ছেড়ে দেয়। এরা বলে, “ধর্ষিতাই বা কেন উত্তেজক জামা পড়ে ধর্ষকের যৌনানুভূতিতে আঘাত দিল? ধর্ষণ তো হবেই!” সেই সাথে এই বিষয়টি উল্লেখ করে নারীর লেখাপড়া, চাকরিবাকরি, ব্যবসাবাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাধানিষেধ আরোপ করা সম্ভব হয়, ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে তাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ইচ্ছাকে নিরুৎসাহিত করা হয়।
“পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে” বাক্যটি মৌলিকভাবে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করে। কেননা, “সূর্যে শুকাইতে দেয়া রশিতে ঝুলানো পোশাক-কে ধইরা কেউ চুম্মা-চাট্টি করলেও”- তা আমরা ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করি না। অতএব, যখন বলা হয় যে “পোশাক ধর্ষণের কারণ” তখন ভুক্তভোগীর পোশাক পরিধান করা, অর্থাৎ, ভুক্তভোগীর নিজের সচেতন সিদ্ধান্তকে (অর্থাৎ পোশাক পরিধান করার সিদ্ধান্তকে) ধর্ষণের কারণ হিসাবে উপস্থাপনা করা হয়।
নারীবাদী বুদ্ধিবৃত্তিক সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ ধর্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন উপকথা, বা “rape myth”-কে খণ্ডন করেছে, এবং দেখিয়েছে যে এই ধরণের উপকথা প্রমাণিকভাবে ভুল হওয়ার পাশাপাশি, শুধুমাত্র ভুক্তভোগী দোষারোপের একটি পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে ন্যায্যতা দেয়, এবং ধর্ষণকারীর অপরাধকে কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষণ সম্পর্কে উপকথার মধ্যে সব চেয়ে প্রচলিত হলো এই ধারণা যে পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে। মুমিনরা যেভাবে করে “আল্লাহ মহাবিশ্বের সৃষ্টির কারণ হতে পারে” বলে দাবি করে, “পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে” দাবিটি একইভাবে প্রমান দ্বারা সমর্থিত নয়। তবে একজন মুমিন “আল্লাহ মহাবিশ্বের সৃষ্টির কারণ হতে পারে” কথাটা অন্য কাউকে আঘাত না করে, আন্তরিকভাবে বিশ্বাস এবং পোষণ করতে পারে। তবে “পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে” বাক্যটি মৌলিকভাবে ক্ষতিকর এবং এবং এই মিথ্যা ধারণার বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়োগ সর্বদা ভুক্তভোগী দোষারোপে অবদান রাখে। নারীবাদী সাহিত্য থেকে আমরা জানতে পারি যে প্রকাশ্য পোশাক এবং ধর্ষণ বা যৌন আক্রমণের সাথে কোনো “causal” বা এমনকি “correlation”-এর কোনো সম্পর্ক নেই।
একইসাথে, “পোশাক ধর্ষণের কারণ হতে পারে” এই মিথ্যা ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করে যে ধর্ষণের ভুক্তভোগী তার কর্মের মাধ্যমে (অর্থাৎ তার পোশাক পরার মাধ্যমে) ধর্ষণটি ঘটিয়েছে। এটি সাধারণত আরেকটি মিথ্যা ধারণার উপরে ভিত্তি করা যে নারীরা পুরুষদেরকে সিডিউস করার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য পোশাক পরিধান করে। নারীবাদী স্কলাররা গবেষণার মাধ্যমে প্রমান করেছে যে বেশিরভাগ নারীদের ক্ষেত্রে তাদের প্রকাশ্য পোশাক পরার সিদ্ধান্তের সাথে কোনোভাবেই তাদের যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার, যৌন আগ্রহ যোগাযোগ করার বা পুরুষদেরকে সিডিউস করার কোনোই উদ্দেশ্য থাকে না। এমনকি, নারীবাদী স্কলাররা আরো দেখিয়েছে যে আদালতের মধ্যে ভুক্তভোগীর মনস্তাত্ত্বিক উদ্দেশ্য যাচাই করার ক্ষেত্রে সেই ভুক্তভোগীর পোশাক কোনোভাবেই probative/গ্রহণযোগ্য প্রমান হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।
নারীদের প্রকাশ্য পোশাক যে পুরুষদের মধ্যে এমন শক্তিশালী যৌন লালসার উদ্ভব ঘটায় যে পুরুষরা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না- এই দাবিকেও খণ্ডন করে নারীবাদী স্কলাররা দেখিয়েছে যে ধর্ষণকারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানসিকভাবে স্বাভাবিক হয়ে থাকে। তবে, নারীবাদী স্কলাররা বেশ পরিষ্কার ভাবে দেখিয়েছে যে ধর্ষণকারী পুরুষরা যে নিজেদের যৌন লালসা সামলাইতে পারে না- এটি একটি Rape Myth/উপকতা যা প্রমাণিকভাবে এবং ধারণাগতভাবে অসমর্থিত (conceptually and empirically unsupported)। এমনকি, মনোবিজ্ঞানীরা ধর্ষণকারীদের মধ্যে মানসিক বিকৃতির লক্ষণ খুঁজে বের করার অসংখ্য চেষ্টা করার সত্ত্বেও ব্যর্থ হয়েছে। এই তথ্যটি পরামর্শ দেয় যে ধর্ষণকারীদের অপরাধকে “মানসিক বিকৃতি” বা “কম সংখ্যার অপরাধ” হিসাবে কোনোভাবেই শ্রেণীবদ্ধ করা যায় না, কেননা ধর্ষণ সামাজিকভাবে ব্যতিক্রমী হওয়ার পরিবর্তে, ধর্ষণ সাংস্কৃতিকভাবে নির্দেশিত, যেখানে ধর্ষণের মনোভবকে পোষণ করা হয়, এবং অতএব, ধর্ষণকে অপরাধের পরিবর্তে “স্বাভাবিক” হিসাবে দেখা হয়।
প্রকাশ্য পোশাক পরিধানের বিপদের অজুহাতে “পোশাক ধর্ষণের কারণ” ধারণাটির প্রচলন ঘটে, যার ভিত্তিতে নারীদের স্বাধীন প্রকাশের অধিকার unfair ভাবে সীমাবদ্ধ হয়। একইসাথে, যেসব নারীরা একটি sexualized appearance গ্রহণ করে, তাদেরকে “বেপরোয়া” হওয়ার জন্যে সমালোচনা করা হয়, যেন sexualized appearance গ্রহণ করা একটা অপরাধ। তবে, নারীবাদী সাহিত্যে, এটি পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত যে শুধুমাত্র অন্যদের দ্বারা Objectification-এর কারণে, একটি নারী যিনি একটি sexualized appearance গ্রহণ করেছে, তিনি যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হতে পারে। এই তথ্য পরামর্শ দেয় যে নারীদেরকে তাদের sexualized appearance-এর জন্যে সমালোচনা করা, এবং দোষারোপ করা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক।
©somewhere in net ltd.