![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রগতিশীল বিজ্ঞানমনস্ক এবং মুক্তচিন্তার অধিকারী
রকমারির সোহাগ মেয়েদের নিয়ে মেয়েদের সামনে বসে একটা বিশ্রী মিসোজিনিস্ট মন্তব্য করেছেন, তিনি বলেছেন- শেয়াল সবসময় মুরগীর স্বাধীনতা চায়। বলাই বাহুল্য তিনি মেয়েদের স্বাধীনতাকে মুরগীর সাথে তুলনা করেছেন, কিন্তু পুরুষদের তুলনা করেছেন শিয়ালের সাথে। রকমারির সোহাগের জেনে রাখা উচিত পুরুষরা সবাই উনার কথা মতো শেয়াল না।
আশ্চর্যের কথা হলো দুশো বছর আগে ঠিক আজকের এই দিনেই অন্য একজন পুরুষ ভারতবর্ষে সতীদাহপ্রথা বিলুপ্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি রাজা রামমোহন রায়। রামমোহন রায়ের বিরুদ্ধে কেস করেছিলেন তার জন্মদাত্রী জননী, তিনি বলেছিলেন- ছেলে ধর্মীয় অনুশাসনকে অবজ্ঞা করছে। ব্রিটিশ ভারতের সময়কালে এই কেসে বলাই বাহুল্য মা হেরেছিলেন, রামমোহনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- আপনি কি মায়ের শাস্তি চান?
রামমোহন বলেছিলেন- তার আন্দোলন মায়ের বিরুদ্ধে না, কুসংস্কার আর কুপ্রথার বিরুদ্ধে। চিন্তা করেন, দুইশো বছর আগে একজন মহান পুরুষ মানুষ হিসেবে মেয়েদের পাশে দাঁড়ালেন আর আজকে আমরা কি পেলাম?
রকমারির সোহাগ, দুইশো বছর আগে আমাদের ছিলো রামমোহন রায় আর এখন পেয়েছি আপনাকে।
আপনি বরং মেয়েদের মানুষ ভাবতে শেখেন। বুঝতে শিখুন মেয়েরা কি পরবে, কতটুকু পরবে, কি খাবে, কোন রাস্তায় যাবে- সেটা মেয়েরা ঠিক করবে। আপনি না। আপনি নিজের মস্তিষ্কটা ধুয়েমুছে পরিস্কার করুন।
বুঝতে শিখুন- সব পুরুষ আপনার মতো শেয়াল না।
সোহাগ,মেয়েদের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের দিকে তাকান। একসময় আপনারা মেয়েদের স্কুলে যেতে দিতেন না, বিজ্ঞানে পড়তে দিতেন না, ছবি আঁকলে 'নিম্নমানের' বলে খারিজ করতেন। তবুও আজকের দিনে মানুষ গ্রহ-নক্ষত্র জয় করছে, মেরী কুরী কিংবা এবারের নোবেলজয়ী নারীরা বিজ্ঞান, শান্তি আর সাহিত্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, আর আপনি মেয়েদের স্বাধীনতার দৈর্ঘ্য প্রস্থ মাপছেন- এত রুখেও যে আটকাতে পারলেন না, এতে লজ্জা লাগছেনা কেন আপনার?
©somewhere in net ltd.