নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ মানুষ,সহজ মন,সহজ কথা,সহজ সত্য আমার মতামত । প্রচার করুন যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়....লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ । ৫ ওয়াক্ত নামাজ মানুষের জীবনকে বদলে দেয় ইসলামিক বিধান মেনে একটি সুন্দর জীবন চায়।আল্লাহ্‌ আপনি সব কিছুর মালিক ।

আর বি এম টুটুল

সহজ মানুষ,সহজ মন,সহজ কথা

আর বি এম টুটুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

♦ সুদ : হারাম ও সবচেয়ে নিকৃষ্ট পাপ ♦

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

আপন মায়ের সাথে যিনা করা'র মতো নিকৃষ্ট
পাপ "সুদ" -কে "ইন্টারেস্ট"' হিসেবে
বিবেচনা করতে আনন্দ হয় আমাদের।
প্রতিনিয়ত "সুদ এবং ইন্টারেস্ট এর পার্থক্য" এবং ইন্টারেস্ট গ্রহণের যৌক্তিকতা খুঁজে বেড়াই আমরা।

♦ সুদখোর অনেকেই বলে এটা ব্যবসা,আমরাতো আর কাউকে জুলুম করি না।
আমরা ব্যাংকের চেয়েও কম সুদ খাই। অনেকেই বলে আমিতো বিপদে পরা মানুষজনের সেবা করি।
মানুষ কে বুঝাতে পারলেও এসব কথায় কি আল্লাহর কাছ থেকে ছাড় পাওয়া যাবে?
অবশ্যই যাবে না।

♦ মহান আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল ও সুদকে
হারাম করেছেন । আমি একটা জিনিষ ভেবে
দেখেছি যে,সুদের মত এত্ত বড় জঘন্য,নিকৃষ্ট পাপ
পৃথীবির ইতিহাসে আর নেই । সুদ খাওয়া মানে
আল্লাহ ও মহানবী(সঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা
করা(নাউজুবিল্লাহ)। সুদ খাওয়া,আপন মায়ের
সাথে যেনা করার সমতুল্য(নাউজুবিল্লাহ) । এই
কথাটা আমার মুখে আনতে অনেক কষ্ট ও ঘৃনা
লাগছে । এটা লিখতে আমার আরও বেশী ঘৃনা
লাগছে । সুদের কুফল সম্পর্কে কী আমার আর কিছু
বলতে হবে?আপনার(সুদখোরের) মত এত বড়
নিকৃষ্ট,জঘন্য পাপী কী পৃথীবিতে আর কেউ
আছে?আপনার এত বড় সাহস আপনি মহান আল্লাহ ও মহানবীর সাথে যুদ্ধ করতে চান ।
সুদ ছাড়া কী ধনী হওয়া যায় না?
সুদযুক্ত ব্যংকে টাকা না রেখে কী জীবন যাপন করা যায় না?
নিঃসন্দেহে আপনারা জাহান্নামের দিকে বিদ্যুৎ গতিতে
ধাবিত হচ্ছেন?বন্ধ করুন আল্লাহ ও রাসুলের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ । আপনারা কী মানুষ?আপনারা তো
দাজ্জালের চেয়ে ও ভয়াবহ জঘন্য ও নিকৃষ্ট।
আপনাদের মৃতু হতে আর কত দেরি?যত আর দেরি
হোক না কেন,মৃতু তো আসবেই। আপনারা কি মনে
করেন আপনাদের কী মৃতু হবে না?দিন যত যায় মৃতু
ততো সন্নিকটে আসে । আমার মতে সুদ হত্যার
চেয়ে ও জঘন্য। তবুও কি সুদ খাবেন?
♦ সুদ হারাম, সুদি কারবার হারাম, এতে লিপ্ত
ব্যক্তি নিজের উপর অভিসম্পাতের দ্বার উম্মুক্ত
করল। অচিরে নিঃশেষ করে দেয়া হবে তার সুদের
প্রবৃদ্ধি ও বরকত । সে আল্লাহর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা
করেছে, তার উপর আল্লাহর লানত, তার জন্য
দুনিয়া আখেরাত উভয় জগতে শাস্তি অবধারিত।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদাকাকে
বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ কোন অতি কুফরকারী
পাপীকে ভালবাসেন না। নিশ্চয় যারা ঈমান
আনে ও নেক আমল করে এবং সালাত কায়েম করে,
আর যাকাত প্রদান করে, তাদের জন্য রয়েছে
তাদের রবের নিকট প্রতিদান। আর তাদের কোন
ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।হে
মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা
অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা
মুমিন হও। কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তাহলে
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প থেকে যুদ্ধের ঘোষণা
নাও, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে
তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা
যুলম করবে না এবং তোমাদের যুলম করা হবে না।
সূরা বাকারা : (২৭৬-২৭৯)
মুসনাদে আহমদে রয়েছে, আব্দুল্লাহ বিন
হানজালা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন :
ﺩﺭﻫﻢ ﺭﺑﺎ ﻳﺄﻛﻠﻪ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻭﻫﻮ ﻳﻌﻠﻢ ﺃﺷﺪ ﻣﻦ ﺳﺖ ﻭﺛﻼﺛﻴﻦ ﺯﻧﻴﺔ
জেনে-শোনে কোন ব্যক্তির এক দিরহাম সুদ ভক্ষণ
করা, ছত্রিশ বার যেনার চেয়েও ভয়াবহ।
হায়সামি ‘মাজমা’তে বলেছেন : এ হাদিসের
বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন :
ﺍﻟﺮﺑﺎ ﺛﻼﺛﺔ ﻭﺳﺒﻌﻮﻥ ﺑﺎﺑﺎ ﺃﻳﺴﺮﻫﺎ ﻣﺜﻞ ﺃﻥ ﻳﻨﻜﺢ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺃﻣﻪ .
যেনার তেয়াত্তুরটি শাখা রয়েছে, তার মধ্যে
সবচেয়ে নিম্নের শাখা হচ্ছে ব্যক্তির তার
মায়ের সাথে যেনা করা। হাকেম এ হাদিসটি
বর্ণনা করে সহিহ বলেছেন, আর যাহাজাবি তার
সমর্থন করেছেন।
বুখারি রাহিমাহুল্লাহ সামুরা বিন জুনদুব থেকে
একটি লম্বা হাদিস বর্ণনা করেন, তাতে রয়েছে :
ﺃﻧﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻣﺮ ﻋﻠﻰ ﺃﻗﻮﺍﻡ ﻳﻌﺬﺑﻮﻥ ﺃﻟﻮﺍﻧﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻌﺬﺍﺏ، ﻭﻣﻨﻬﻢ:
ﺭﺟﻞ ﻳﺴﺒﺢ ﻓﻲ ﺑﺤﺮ ﻣﻦ ﺩﻡ، ﻭﻋﻠﻰ ﺣﺎﻓﺔ ﺍ ﻟﻨﻬﺮ ﺭﺟﻞ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺠﺎﺭﺓ،
ﻭﻛﻠﻤﺎ ﺍﻗﺘﺮﺏ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻣﻦ ﺣﺎﻓﺔ ﺍﻟﻨﻬﺮ ﻓﻐﺮ ﻓﺎﻩ ﻓﺄﻟﻘﻤﻪ ﺫﺍﻙ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺣﺠﺮﺍ
ﻓﻴﺮﺟﻊ، ﻓﺈﺫﺍ ﺍﻗﺘﺮﺏ ﻣﻦ ﺣﺎﻓﺔ ﺍﻟﻨﻬﺮ ﺃﻟﻘﻤﻪ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺣﺠﺮﺍ ﺁﺧﺮ، ﻭﻫﻜﺬﺍ …
ﻭﻧﺴﺄﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﺎﻓﻴﺔ، ﻓﻠﻤﺎ ﺳﺄﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺫﻟﻚ،
ﻗﻴﻞ ﻟﻪ: ﻫﺬﺍ ﺁﻛﻞ ﺍﻟﺮﺑﺎ .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন, যাদেরকে
বিভিন্ন ধরণের শাস্তি দেয়া হচ্ছিল, তন্মধ্যে :
এক ব্যক্তি রক্তের সমুদ্রে সাতার কাটছিল, আর
অপর ব্যক্তি তীরে দাঁড়িয়ে ছিল, তার সামনে
রাখা ছিল পাথর, যখনই সাতারু ব্যক্তি তীরের
নিকবর্তী এসে হাঁ করে, তীরে দণ্ডায়মান ব্যক্তি
তার দিকে পাথর নিক্ষেপ করে, ফলে সে আবার
নহরের মাঝখানে ফিরে যায়। পুনারায় যখন
নহরের নিকটবর্তী হয়, লোকটি আরেকটি পাথর
নিক্ষেপ করে, অনুরূপ করতে ছিল … আল্লাহর নিকট
আমরা আশ্রয় প্রার্থনা করছি। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা
করেন এ ব্যক্তিকে ? তাকে বলা হয় : এ হচ্ছে সুদ
খোর।
মুসলিম রহ. জাবের রা. থেকে বর্ণনা করেন :
ﻟﻌﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺁﻛﻞ ﺍﻟﺮﺑﺎ ﻭﻣﻮﻛﻠﻪ ﻭﻛﺎﺗﺒﻪ
ﻭﺷﺎﻫﺪﻳﻪ، ﻭﻗﺎﻝ : ﻫﻢ ﺳﻮﺍﺀ ﻳﻌﻨﻲ ﻓﻲ ﺍﻹﺛﻢ .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সুদ খোর, সুদের কাজে নিয়োজিত, সুদের লেখক ও
সাক্ষীদ্বয়ের উপর লানত করেছেন। তিনি আরো
বলেছেন : এরা সবাই সমান, অর্থাৎ পাপে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.