![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- ১ মিনিট সময় নিয়ে পড়েই দেখুন ।
রিযিক নির্ধারিত হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে :
আমরা জানি ,জন্ম,মৃত্যু,রিযিক,ভাগ্য,আর বিয়ে এগুলি আল্লাহর হাতে।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলআমিন,কাকে কখন কি রহম করেন তা কেউ জানেন না ।
একমাত্র আল্লাহই সব কিছুর নিয়ন্ত্রণকারী ।
রিযিক অর্থাৎ পার্থিব সহায় সম্বল ও সচ্ছলতা এ জগতের এক অপরিহার্য বস্তু ও বিষয়।
এ রিযিক ব্যতীত পার্থিব জীবন অচল, অস্পূর্ণ বরং অসম্ভব। কম বেশী সবারই রিযক প্রয়োজন।
সবাই এ রিযক অন্বেষণ করে। কেউ বৈধ পন্থায় কেউ বৈধ-অবৈধ উভয় পন্থায়ই রিযিকের পিছনে দৌড়ে।
জীবনের জন্যই রিযক, কিন্তু এই রিযকের জন্য অনেকের জীবন পর্যন্ত চলে যায়।
সবার রিযক সমান নয়, সবাই সমান রিযক উপার্জন করতে পারে না।
আল্লাহর হিকমতের দাবিও তাই, কারণ সবার রিযক যদি সমান হয়,
সবাই যদি সমান অর্থ-সম্পদের মালিক হয়, তাহলে দুনিয়ার আবাদ ও বিশ্ব পরিচালনা ব্যাহত বরং ভঙ্গুর ও স্থবির হয়ে পড়বে।
তাই এর বণ্টন আল্লাহ নিজ দায়িত্বে রেখেছেন, তিনি নিজ হিকমত ও প্রজ্ঞানুযায়ী সবার মাঝে তা বণ্টন করেন।
এটা কোন সম্মান বা মর্যাদার মাপকাঠি নয়, আবার হতভাগা বা অশুভ লক্ষণের আলামতও নয়।
কী অনুগত কী অবাধ্য, কী মুমিন কী কাফের সকলকেই জোয়ার-ভাঁটার ন্যায় প্রাচুর্য ও অভাব, সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা স্পর্শ করে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ অবাধ্য ও কাফেরকে অবকাশ দেন, অনুগত ও মুমিনের পরীক্ষা নেন। প্রাচুর্য ও সচ্ছলতার সময় একজন মুমিন যাকাত-সাদকা প্রদান করে আল্লাহ শোকর আদায় করবে, অভাব ও অসচ্ছলতার সময় ঈমান ও ধৈর্যের পরিচয় দেবে।
অভাব বা প্রাচুর্য উভয় মুমিনের জন্য কল্যাণ ও মঙ্গলজনক।
৬৫৯৪. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সত্যবাদী ও সত্যবাদী স্বীকৃত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই আপন আপন মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত (শুক্র হিসেবে) জমা থাকে।
তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন রক্তপিন্ড, তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন গোশত পিন্ডাকারে থাকে।
তারপর আল্লাহ্ একজন ফেরেশতা পাঠান তার জন্য চারটি বিষয় নির্ধারিত করে দেওয়ার জন্য
০১। তার রিযিক কি হবে ,
০২। তার মৃত্যু কবে হবে,
০৩। সে কি দুর্ভাগ্য না সৌভাগ্যবান হবে-
এ চারটি বিষয় লিখার জন্য আদেশ দেয়া হয়।
আমরা অনেকেই আছি যে কথায় কথায় বলি,পরিশ্রম করলেই সাফল্য আসবে,পরিশ্রম করলেই ধন সম্পদ হবে,
আদো কি এই কথাটা ঠিক !
মধ্যভিত্ত আমাদের দেশে কত জন মানুষ পরিশ্রম না করে আছেন,
কত জন মানুষ নিজেকে বদলানোর চেষ্টা না করেন । তবে হার কাটুনে পরিশ্রম করে সে কি তার ভাগ্যে বদলাতে পারে।
একজন,কুলি,একজন দিন মজুর,একজন,রিক্সা চালক সারাদিন যে পরিশ্রম টুকু করে থাকে একজন ভিত্তশালী কখনো করেন ?
তাহলে কেন পরিশ্রমকারী সেই ব্যক্তি রিক্সাচালক আর যে পরিশ্রম করেনা,সে শিল্পপতি । আমরা সব কিছুতেই যুক্তি খুজি কিন্তু সত্যিটা মানিনা,বুঝতেও চাই না। হয়তো বলবেন তার মানে কি ঘরে বসে থাকবো তাহলেই আল্লাহ দিয়ে দিবেন ,অবশ্যই না,ঘরে বসে থাকবেন কেন,ঘরে বসে থাকলে তো আর আল্লাহ আপনার খাবার মুখে উঠিয়ে দিবেন না, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে যে অর্ডার দিয়েছেন,আল্লাহ তায়ালা যে বিধান দিয়েছেন সে বিধান মতে চলেন, ইনশা আল্লাহ আপনার রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ তায়ালাই করবেন, সেটা যে কোন উচিলাই হউক । আর এটা তো মানেন ভাগ্যে সুপ্রসন্ন হলে কর্মের পথ খুজে পেতে কোন সমস্যাই হবে না ।
ছোট্ট এই উদাহারনটা ভেবে দেখবেনঃ-
আপনি একা ছিলেন, আপনার ইনকামের পথ একটা ছিল,তারপর বিয়ে করলেন,হলেন ২ জন ইনকামের পথ একটাই,তারপর সন্তান আসলো,তবু ইনকামের পথ একটাই,তাহলে এই একটা ইনকাম থেকে যেখানে ১ জনের ভরনপুষন চলতো সেই ইনকাম থেকে কিভাবে ৩ জনের চলছে,এবং সেটা আগের থেকে ভাল ভাবেই চলছে । সেটা কিভাবে সম্ভব ? হা সম্ভব শুধু আল্লাহর দেয়া রিযিকে আল্লাহর রহমত বাড়িয়ে দেওয়ার কারনেই । তারপরও কি বলবেন ভাগ্য আল্লাহ হাতে না ।
ভাগ্য নিজের পরিশ্রম দিয়ে গড়ে নিতে হয় ।
হুম এটা যুক্তিযুক্ত যে আপনাকে ঘরে বসে না থেকে খুজতে হবে,
পবিত্র কোরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
তোমরা ভাগ্যে অন্বেষনের জন্য বেড়িয়ে পড় ।
রিযিকের ব্যপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“عَجَبًا لِأَمْرِ الْمُؤْمِنِ، إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ، وَلَيْسَ ذَاكَ لِأَحَدٍ إِلَّا لِلْمُؤْمِنِ إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ، فَكَانَ خَيْرًا لَهُ، وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ، فَكَانَ خَيْرًا لَهُ”
‘মুমিনের বিষয়টি আশ্চর্য জনক, তার প্রত্যেকটি বিষয় কল্যাণকর, এটা মুমিন ব্যতীত অন্য কারো ভাগ্যে নেই, যদি তাকে কল্যাণ স্পর্শ করে, আল্লাহর শোকর আদায় করে, এটা তার জন্য কল্যাণকর, আর যদি তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, ধৈর্য ধারণ করে, এটাও তার জন্য কল্যাণকর।’
মুসলিম : (৫৩২২)
অতএব একজন মুমিনের উচিত অভাব-অসচ্ছলতার সময় আল্লাহর ফয়সালাকে মেনে নেয়া, তার উপর তাওয়াক্কুল করা এবং সর্বাবস্থায় তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা। দোয়া ও আনুগত্যসহ তার দিকেই মনোনিবেশ করা। বৈধ ও হালাল পন্থায় রিযক অন্বেষণের আসবাব গ্রহণ করা এবং আল্লাহর উপর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস পোষণ করা। কারণ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে তার নিআমত ভোগ করা সম্ভব নয়। অভাবের সময় অনেকে অধৈর্য ও ভেঙ্গে পড়ে, নানা অভিযোগ উত্থাপন করে, কখনো আল্লাহ সম্পর্কে আবার কখনো নিজের সম্পর্কে অযাচিত কথা মুখ থেকে বের করে, তার উপর আল্লাহর অন্যান্য নিয়ামত ভুলে যায়, যা আদৌ কোন মুমিনের জন্য উচিত নয়। অত্র নিবন্ধে আমি বৈধ পন্থায় রিযক উপার্জনে উদ্বুদ্ধ, আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল ও অভাবের সময় ধৈর্য ধারণের উপায় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়াস পাব।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের মাঝে যে কেউ অথবা বলেছেন, কোন ব্যক্তি জাহান্নামীদের ‘আমাল করতে থাকে। এমনকি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত বা এক গজের তফাৎ থাকে। এমন সময় তাক্দীর তার ওপর প্রাধান্য লাভ করে আর তখন সে জান্নাতীদের ‘আমাল করা শুরু করে দেয়। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যক্তি জান্নাতীদের ‘আমাল করতে থাকে। এমন কি তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত বা দু’হাত তফাৎ থাকে। এমন সময় তাক্দীর তার উপর প্রাধান্য লাভ করে আর অমনি সে জাহান্নামীদের ‘আমাল শুরু করে দেয়। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে।
আল্লাহ তায়ালা রিযকের ব্যপারে পবিত্র কোরআন শরীফে কি বলেছেন:
রিযিকের বৃদ্ধি-হ্রাস আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। প্রত্যেকের রিযক আল্লাহর কুদরত ও ফয়সালা দ্বারাই নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত।
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :
‘আর প্রতিটি বস্তুরই ভাণ্ডারসমূহ রয়েছে আমার কাছে এবং আমি তা অবতীর্ণ করি কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণে।’ সূরা হিজর : (২১)
তিনি আরো বলেন :
‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা করেন রিযিক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা সীমিত করে দেন। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ে সম্যক অবগত।
সূরা আনকাবুত : (৬২)
তিনি আরো বলেন :
তারা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন রিযিক প্রশস্ত করে দেন আর সঙ্কুচিত করে দেন? নিশ্চয় এতে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।
সূরা যুমার : (৫২)
আল্লাহ সবাইকে রহম করুন। সুন্দর ও সঠিক পথে পরিচালনা করুন ।
সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন । নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ মানুষের জীবনকে বদলে দেয় ।
নিয়মিত জেনে বুঝে কোরআন শরীফ তেলওয়াত করুন ।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
আর বি এম টুটুল বলেছেন: আপনাকে শুভেচ্ছা সতত
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মাকড়সাঁ বলেছেন: তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
শুভেচ্ছা। ভাল লাগা রইল।