![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের কাজ কম, প্রদর্শণ বেশী। ওদের কাজ বেশী প্রদর্শণ কম।
সেইজন্য গুগল, মাইক্রোসফট,ইন্টারনেট, ফেসবুক সব ওদের।
ওদের সন্তানেরা মঙ্গলে পাথ ফাইণ্ডারের গতিপথ দেখে নাসায় বসে।
আর আমাদের সন্তানেরা ম্যানহোলে আটকা পড়ে নর্দমার জলে ভাসে।
কেন ভাসে জানেনঃ
কারন ওদের মন্ত্রী পারায় গেলে ব্রিফকেইসে কিছু নিতে হয় না ।
মন্ত্রী,এমপি,উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার জন্য হাজার তোরন কিংবা বিশাল প্যান্ডেল বানাতে হয় না ।
ওদের অফিসের বসকে কাজের চেয়ে বেশী তোষামোদ করতে হয় না ।
ওদের অফিসের সুন্দর নিয়ম আছে ,আমাদের মত কাজ হউক বা না হউক
কিন্তু অফিসে একটা চকচকে বড় টেবিল,বিশাল এসি,
আর মুভিং চেয়ার সাথে একটা ভাল ব্রান্ডের তোয়ালে থাকতেই হবে,
ওদের জন প্রতিনিধি জনতার উপর নির্বিচারে শখের বশে গুলি চালায় না।
ওদের মায়ের পেটের সদ্য শিশুটি পিস্তলের গুলিতে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে খবরের শিরোনাম হয়না ।
ওদের শিক্ষামন্ত্রীর জন্য স্কুল বন্ধ করে সব ছাত্রকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতে হয় না ।
ওদের স্যার কিংবা বসেরা আসেন। কোনো পোস্টার নাই, কেম্পেইন নাই।
গাড়ীর বহর নাই, রাস্তাঘাট বন্ধ নাই। পঞ্চাশ পদের খাবারের আয়োজন নাই।
যখন প্রয়োজন চুপচাপ হাসি মুখে আসেন, এসেই ঠিক সময় টু দ্যপয়েন্ট আলোচনা করেন।
আর টমেটো আর লেটুস পাতার সালাদ খেয়ে চলে যান।
তো তাদের ভাগ্য বদলাবে না কি আমাদের বদলাবে ?
ওরা ভাল স্কুলে ভর্তি হতে লাইন ধরে ওয়েটিং লিষ্টের আফসোস করতে হয় না ।
ওদের চাকরীর জন্য বিশেষ আবদার কিংবা কালো টাকার ব্যগ লাগেনা ।
কারনে অকারনে ওদের হয়রানী কিংবা প্রশাসনের নজরদারিতে পড়তে হয় না ।
স্কুল কিংবা কলেজের ১ নাম্বার ছাত্রকে টাকার অভাবে থমকে যেতে হয় না।
ওদেরকে পরিক্ষার ফি কিংবা ক্লাস ফি না দিতে পারার জন্য শিক্ষকের বাঝে কথা শোনতে হয় ন
ওদেরকে সবাই উৎসাহ দেয় এগিয়ে যাও,জয় করো বিশ্ব,ওরা তাই হাসি মুখে জয়ের গান গায় ।
ওরা যা খায় সব উৎপাদন করা নিজেদের জন্য আসল প্রোটিন যুক্ত জিনিসটাই খায় ।
কারন,ওদের অভিভাক জানে ওরাই আগামীর ভবিষ্যৎ ।
তাই ওদের সন্তানেরাও অভিভাভকে জানিয়ে দেয় তারায় গড়বে আগামীর জন্য সুন্দর জীবন,স্বনির্ভর দেশ আর সুন্দর আগামীর পথ ।
নিচের ছবি গুলি দেখুনঃ-
০১। তিনি উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রাপ্ত বেতনের ৯০ ভাগই তিনি গরিবদের সহায়তা এবং ছোট বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে দেশের সামাজিক সেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে দান করার কারণে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে গরিব রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
তিনি বলেন, 'আমার কাছে গরীব হচ্ছে তারাই যারা খুবই বেশি বেশি চায়। কারণ যাদের চাওয়া অনেক বেশি, তারা কখনোই তৃপ্ত হয় না।
০২। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনাজ, যিনি নিজস্ব কোন বাসা তৈরি করেননি তবে পৈত্রিকসুত্রে ৪০ বছর আগে যে বাসা পেয়েছেন সেটাতেই তিনি বসবাস করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে সেখানেই বসবাস করতে চেয়েছিলেন কিন্তু নিরাপত্তার কারনে সরকারের কর্মকর্তাগণের অনুরোধে তিনি প্রেসিডেন্ট ভবনেই বসবাস করতেছেন।
মেয়র থাকা অবষ্থায় তিনি পরিচ্ছিন্নকর্মীদের সাথে রাস্তা ঝাড়ু দিতেন।
তিনি সবসময় ফ্লরে কার্পেটের উপর ঘুমাতে পছন্দ করেন এবং নিয়মিত কার্পেটেই ঘুমান।তিনি কার্পেটেই বসে থেতে পছন্দ করেন কিন্তু কোন ডাইনিং টেবিলে নয়।
স্বল্প আয়ের লোকজনের জন্য বাড়ি নির্মাণে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ৩৪ বছরের পুরোনো ওই গাড়িটি নিলামে বিক্রি করা হয়। তার ব্যাংক অ্যকাউন্টে বেতনের কিছু অংশ ছাড়া আার অন্য কোন টাকা নেই ।
প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তার ছেলে মাহাদির বিয়েতে মাত্র ৪৫ জন অতিথিকে(২৫ জন নারী এবং ২০ জন পুরুষ)নিমন্ত্রন করেন। তাকে যখন NBC নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক এর কারন জিজ্ঞাসা করেন তখন তিনি অত্যন্ত হাসিমুখে বিনয়ের সাথে বলেন, এর চাইতে বেশি মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই।
তিনি প্রতিদিন নিজ স্ত্রীর রান্না অফিসে নিয়ে যেয়ে কার্পেটে বসে খান।
তিনি কখনো নামাজ বাদ দেন না । এমনকি নামাজের সময় হলে তিনি রাস্তায় নামাজ আদায় করেছেন এরকম নজিরও আছে।মসজিদে কখনো তিনি সামনের কাতারে যাওয়ার জন্য প্রতিযোগীতা করেন না। তিনি সাধারন মানুষের সাথে নামাজ আদায় করতে পছন্দ করেন।
০৩। তিনি নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রোট নিজেই
বাইসাইকেল চালিয়ে কাজে রওয়ানা দিয়েছেন।
০৪। আর পাশের ছবিটি দেখেন- কেনিয়ার
প্রেসিডেন্ট উহুরুর শখ হয়েছে সেলুনে গিয়ে চুল
কাটবেন।সেইজন্য রাস্টাঘাট বন্ধ করে গাড়ীর বহর
নিয়ে রওয়ানা দিয়েছেন ।
০৫। বাংলাদেশের নেতা আসবে তাই সবাই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাচ্ছে ।
[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/RBMTutul/RBMTutul-1451296327-
তো তাদের ভাগ্য বদলাবে না কি আমাদের বদলাবে ?
এই হচ্ছি আমরা আর ওরা ।পার্থক্য আপনিই যাচাই করুন,আর শিক্ষা আপনি নিজে নিজেই নিন ।
অন্যর আশা না করে । নিজের পথ নিজেই তৈরি করুন ।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
আর বি এম টুটুল বলেছেন: ধন্যবাদ @ ভাই তুর্য
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
আরেফীন তূর্য বলেছেন: এই পোস্ট প্রিয়তে না নিলে 'প্রিয়' বিশেষণটাকেই অসম্মান করা হত