![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ মিনিট প্লিজ,চোখ রাখুন>>>
সুন্দর এ পৃথিবী আবাদে পারিবারিক জীবনপদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বের দাবি রাখে। পারিবারিক ভিত্তির ওপরই গড়ে ওঠে সামাজিক শৃঙ্খলা। আর এই পরিবার প্রতিষ্ঠিত হয় একজন নারী ও পুরুষ উভয়ের ওপর ভর করে। এটা আল্লাহর সৃষ্টির এক মহান হিকমত যে, তিনি নারী-পুরুষের মাধ্যমে পরিবার স’াপন করে এ পৃথিবী আবাদ করছেন। পরিবারই হচ্ছে সমাজের মূল, এটাকে অধঃপতন ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ অসম্ভব। বাবা-মাকে কেন্দ্র করে পরিবার সৃষ্টি হলেও সে পরিবারের সদস্য থাকে অনেকেই। বাবা-মা, ভাইবোন, দাদা-দাদী ও অন্যরা। পরিবারের প্রতিটি সদস্য নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সে পরিবার হয় সমাজে উত্তম আদর্শ পরিবার। আর সে পরিবারে বইতে থাকে শান্তির ফল্গুধারা। পরিবারের প্রতিটি সদস্য আনন্দে উল্লাসে বিচরণ করে এ সুন্দর ভুবনে। এ সুন্দর পরিবার গঠন তখনই সম্ভব, যখন পরিবারের সদস্যরা অপরিহার্যভাবে আল্লাহর দেয়া দায়িত্বানুভূতি সম্পর্কে সজাগ থাকবে। একটি পরিবারের স্ত্রী যখন তার অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে লাভ করবে, স্বামী যখন তার অধিকার পাবে, সন্তান যখন বাবা-মায়ের সাহচর্য ও তাদের অধিকার পরিবারে লাভ করবে, তখন কোনো স্ত্রী আর তার অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করতে রাস্তায় বের হবে না, স্বামী তার অধিকার ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অন্য নারীর প্রতি লালায়িত হবে না, আর সন্তানেরা বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করবে না। আজকাল লক্ষ করা যায়, অনেক স্ত্রী তার স্বামী-সন্তানের অধিকারকে অবজ্ঞা করে নিজ ইচ্ছানুযায়ী জীবন যাপন করে, ফলে স্বামী ও সন্তানেরা পারিবারিক জীবনে সুখ-শান্তি খুঁজে না পেয়ে অশান্তিতে দিনাতিপাত করে। আবার অনেক স্বামীকে দেখা যায়, নিজ স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ না রেখে অন্যের স্ত্রীর পেছনে ঘোরাফেরা করে। যার ফলে পরিবারের শান্তি বিলীন হয়ে যায়। অনেক সন্তানকে দেখা যায় বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে দিন যাপন করে। এটাও পরিবারে শান্তির ব্যাঘাত ঘটায়। অর্থাৎ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যদি কোনো একজন সদস্য তার দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা বা ত্রুটি করে, তাহলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে পুরো পরিবারের ওপর। একজন সদস্যের অসামাজিক চালচলন পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সমাজে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে। সমাজে মানসম্মান, ইজ্জত-আব্রু নিয়ে বাঁচতে চাইলে তাই পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে সৎ, আদর্শবান ও নীতিনিষ্ঠ। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস’া। আল্লাহর বাণী,
اليوم اكملت لكم دينكم واتممت عليكم نعمتى ورضيت لكم الإسلام دينا.‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সূরা মায়িদা-৩)। ইসলাম হচ্ছে সুউচ্চ পর্বতের মতো। প্রবল বাতাস ইসলামকে হেলাতে পারে না। এর সুনাম ক্ষুণ্ন এবং বৈরী আচরণের যত প্রচেষ্টাই চালানো হোক তা পরিশেষে অবশ্যই চরম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। যুগপৎভাবে তার শক্তি ও দৃঢ়তাই কেবল বৃদ্ধি পাবে এবং ইসলাম আরো সুন্দর, আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আল্লাহর বান্দাদের কাছে। আল্লাহতায়ালা বলেন,
يريدون ليطفؤانورالله بافواههم .والله متم نوره ولوكره الكافرون،الصف8 ‘মুখের ফুৎকার দিয়ে তারা আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে চায় এবং আল্লাহ তাঁর আলোকে পরিপূর্ণ করবেন, যদিও কাফেররা তা পছন্দ না করুক।’ (সূরা ছপ 8 )। ইসলামবিরোধীদের ষড়যন্ত্র তারপরও থেমে নেই, তারা মুসলিম নারীদের নারী স্বাধীনতার স্লোগান দিয়ে ঘৃণ্য উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে সমসাময়িক অবস’ার সাথে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িয়ে তাদের দ্বারা নৈতিকতাবর্জিত ও অসৎ চিন্তার প্রচার করছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, মহিলাদের স্বামীর ঘর থেকে বের করে কোনো প্রকার রীতিনীতি ছাড়াই অপর পুরুষের সাথে মেলামেশার ব্যবস’া করা, তাদের স্বামীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তুলে মুসলিম পরিবার ব্যবস’াকে ভেঙে দেয়া। আজ অমুসলিম সমাজ বিশেষ করে পশ্চিমা সভ্যতার দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায়, সেখানে পারিবারিক ব্যবস’া ও সামাজিক মূল্যবোধের কী পরিমাণ অবক্ষয় ও অধঃপতন ঘটেছে। এবং নানাবিধ অপরাধ ও মানসিক রোগ বিস্তারের সাথে সাথে এমন কিছু আশ্চর্য রকমের বিকৃত অভ্যাস ও মানসিকতা ছড়িয়ে পড়েছে, যা সেখানকার সমাজে কখনো পরিচিত ছিল না। এর ফলে তাদের সেসব নির্মিত সভ্যতাকে ধ্বংস করে তাদেরকে অতল গহ্বরে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে সেখানে এইডস রোগের প্রাদুর্ভাব, ব্যক্তি ও সমষ্টির আত্মহত্যা বৃদ্ধি, হত্যা, ব্যভিচার, যৌন বিকৃতি, মাদকাসক্তি, কর্ম ও বিবাহবিমুখতা, মানসিক ও আধ্যাত্মিকতা শূন্যতার প্রবল হাওয়া বইছে। এ ছাড়াও সন্তানের সাথে থাকছে না বাবা-মায়ের সুসম্পর্ক, বিয়েশাদি না করে লিভটুগেদার ব্যবস’ার প্রচলন ঘটছে। আর বৃদ্ধ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে তাদেরকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এসব রোগের অন্যতম কারণ হলো- তাদের ভঙ্গুর পরিবার ব্যবস’া। পারিবারিক ব্যবস’া সুসংগঠিত না হলে এসব রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়বে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর একটি সুন্দর আদর্শ পরিবার গড়তে প্রয়োজন আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশনা মেনে চলা। আল্লাহতায়ালা একজন বাবাকে লক্ষ করে বলেন, ‘সন্তানের বাবাকে ন্যায়সঙ্গতভাবে মায়েদের ভরণপোষণ করতে হবে।’ (সূরা আল বাকারা-২৩৩)। স্ত্রীর ওপর স্বামীর হক-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন,
الرجال قوامون على النساءبما فضل الله بعضهم على بعض وبما انفقوا من اموالهم فالصالحات قانتات حافظات للغيب بما حفظ الله. النساى 134‘পুরুষেরা মেয়েদের পরিচালক- এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের মধ্যে একদলকে অপর দলের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং আরো এ জন্য যে, পুরুষেরা তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে। অতএব সতী নারীরা আনুগত্যপরায়ণ হয়ে থাকে এবং পুরুষদের অনুপসি’তিতে আল্লাহর তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণের অধীনে তাদের অধিকার রক্ষা করে।’ (আন নিসা-৩৪)। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামের মর্মবাণী অত্যন্ত গুরুত্বের দাবি রাখে। নবী করিম সা: বলেন, ‘আয়েশা রা:! হজরত জিব্রাইল আ: আমাকে নারীদের সম্পর্কে অছিয়ত করেছেন, যদ্দরুন মনে হলো, তাদেরকে তালাক দেয়া হারাম। এরপর বলেন, যে পুরুষ তার পরিবার-পরিজনের হক বিনষ্ট করে, আল্লাহ তাকে কিয়ামত দিবসে জান্নাতের ন্যায়-নিয়ামত থেকে বঞ্চিত রাখবেন।’ বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব সম্পর্কে আল্লাহর ঘোষণা, وقضى ربك الا تعبدوا الا اياه وبالوالدين احسانا .اما يبلغن عندك الكبر احدهما اوكلاهما فلا تقل لهما اف ولا تنهرهما وقل لهما قولا كريما .واخفض لهما جناح الذول من الرحمة وقل رب ارحمهما كما ربيانى ضغيرا.بنى اسرائيل 23-24‘তোমাদের প্রতিপালক ফয়সালা করে দিয়েছেন, তোমরা কারো ইবাদত করবে না- কেবল তারই ইবাদত করবে। বাবা-মায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করবে। তোমাদের কাছে যদি তাদের কোনো একজন কিংবা উভয়ই বৃদ্ধাবস’ায় থাকে, তবে তুমি তাদেরকে ‘উহ্’! পর্যন্ত বলবে না। তাদেরকে ভর্ৎসনা করবে না, বরং তাদের সাথে বিশেষ মর্যাদা সহকারে কথা বলবে। বিনয় ও নম্রতা সহকারে তাদের সামনে নত হয়ে থাকবে। আর এই দোয়া করতে থাকবে : হে আল্লাহ! তাদের প্রতি রহম করো, যেমন করে তারা স্নেহ-মায়া দিয়ে ছোটবেলা আমাকে লালন-পালন করেছেন।’ (বনি ইসরাইল-২৩ ও ২৪)। কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ করে, তার ব্যাপারে রাসূলের ভাষা হলো, ‘আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা: ইরশাদ করেন, একটি দিনার তুমি আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছ, একটি দিনার ক্রীতদাস মুক্ত করার জন্য ব্যয় করেছ, একটি দিনার মিসকিনকে দান করেছ, আর একটি দিনার পরিবারের লোকদের জন্য ব্যয় করেছ। এ দিনারগুলোর মধ্যে যেটি তুমি নিজ পরিবারের লোকদের জন্য খরচ করেছ প্রতিদান লাভের দিক দিয়ে সেটিই সর্বোত্তম।’ (মুসলিম)।
উপরিউক্ত কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা একটি সুন্দর পরিবার গঠন করতে উদ্বুদ্ধ করে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুম মেনে পরিবার গঠন করলে সুন্দর ও আদর্শিক পরিবার গঠিত হবে- এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আর একটি আদর্শ পরিবারই সুন্দর সমাজ ও শান্তিময় পৃথিবী গড়তে সহায়তা করতে পারে। তাই সমাজ ও বিশ্ব পরিবর্তনের আগে একটি আদর্শ পরিবার গঠনই সময়ের দাবি। ==
https://www.facebook.com/à¦à¦¾à¦¨à§à¦¨à¦¾à¦¤à§à¦°-সিà¦à§à¦¿-à¦-বাà¦à¦²à¦¾-à¦
রà§à¦¥à¦¸à¦¹-à¦à§à¦°à¦à¦¨-শরà§à¦«-1620982624784127/?fref=nf
©somewhere in net ltd.