নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ মানুষ,সহজ মন,সহজ কথা,সহজ সত্য আমার মতামত । প্রচার করুন যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়....লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ । ৫ ওয়াক্ত নামাজ মানুষের জীবনকে বদলে দেয় ইসলামিক বিধান মেনে একটি সুন্দর জীবন চায়।আল্লাহ্‌ আপনি সব কিছুর মালিক ।

আর বি এম টুটুল

সহজ মানুষ,সহজ মন,সহজ কথা

আর বি এম টুটুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু ঘটনায় কিছু মৃত্যু এবং আমাদের ভাবনায় আমাদের ভবিষ্যৎ

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

১ মিনিট সময় হলে পড়ে নিবেন !
অহংকারই জন্ম দেয় অসুস্থ মানসিকতার।
আর অসুস্থ মানসিকতা জন্ম দেয় অসুস্থ সমাজ।।

♦ গরিবের সন্তান,হবে দিন মুজুর নতুবা কুলি!
ধনীর শখে কিংবা ক্ষমতা জোরে চালিয়ে যাবে গুলি!

♦ ঘটনা ০১ #
এমপির কিংবা তার স্বজনের পিস্তলের গুলিতে নিহত রাস্তার কেটে খাওয়া মানুষ
কিংবা আহত হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় বাচার খেলায় গরিব শিশু!
এটার সত্যি কি খুব দরকার ছিল! কোথায় এমপি আর কোথায় গরিবের এক শিশু,
সে যতই অপরাধ করুক না কেন তাই বলে গুলি করতে হবে!

♦ ঘটনা ০২#
একটি ২ বছরের শিশুর জেলখানায় খয়েদির ছবিই বলে দেয় আমরা
কতটুকু অগন্তান্ত্রিক আর অমানবিক সব লিখে বলে
বুঝাতে হয়না! মানুষ কতটা নিষ্ঠুর! কতটা
বিবেক,বিচার ও বুদ্ধিহীন।!!

♦ ঘটনা ৩ #
আমরা আজ এতটাই পশুত্ব লাভ
করেছি,যেখানে বনের পশুও এ মানুষ দেখলে
নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে এই কি সভ্যতার
আওয়াজ তোলা মঞ্চস্থ অভিনয়ককারী মানুষ।
যার অসভ্য কাম লালসার কাছে অবুঝ প্রতিবন্ধী
শিশু আজ ধর্ষনের স্বীকার হয়ে লজ্জায় ক্ষোভে
তার চোখের আওয়াজে বুঝিয়ে দেয়, হে মানুষ
আমি তোকে ঘৃনা করি।
♦ ঘটনা ৪#
সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণ, প্রতিবাদ
করতে গিয়ে গুলিতে মরে পরে আছে মানুষ! তবু
এমন অপমান সহ্য করে এমন নির্বাক
প্রতিরোধহীন দর্শক হয়ে থাকেনি, রাস্তায়
নেমেছে, থানা ঘেরাও করতে নেমেছে, আল-
আমিন আর তার মাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছিল
চেয়ারম্যানের লোকেরা। আল আমিন আর তার
মাকে বিবস্ত্র করে মেরে আলামিনের সামনে
তার মাকে ধর্ষণ করেছে...এমন বরবর ঘটনায় চুপ
হয়ে না থেকে এর প্রতিবাদে
নেমেছিল গরিব কেটে খাওয়া মানুষেরা।
গনত্রন্ত্র রক্ষারর নামে নির্লজ্জ মানুষ গুলি
বলেছে শুধু বিবস্ত্র করে মারা
হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি! যেন বিবস্ত্র করে
মারাটা আর এমন কী! ছোটলোকের আবার বস্ত্র-
বিবস্ত্র কী! তাই ছোটলোকের সম্ভ্রমহানির
প্রতিবাদে ছোটলোকেরাই নেমেছে রাস্তায়...
মরে পড়ে আছে রবি সুতারের ছেলে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ছেলের সামনে
মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ
এবং তারপর গ্রামবাসীর প্রতিবাদ মিছিলে
গুলিতে দুইজন মেরে ফেলা হয়েছে। হায়
মানবতা! হায় গনত্রন্ত্র!
'রক্ত মাটিকে পবিত্র করে। ঘুম ভাঙায়। গনত্রন্ত্র
খুনি, ধর্ষক হলে, সেই গনতন্ত্রের মানুষেরা হয়
প্রতিবাদি,
অমানুষেরা চুপ থাকে।সবচেয়ে ঘৃণিত বিষয় এটা
যে
অভিযোগপত্রে 'ধর্ষণ' লিখল না। লিখল
'শ্লীলতাহানী'!'
আজ অবাক 'এই দেশ প্রেমিক আর গনত্রন্ত্র
লেভেসদারী মানুষ গুলি কোন 'প্রতিবাদ' সহ্য
করতে পারে না কেনো? কেন মানুষের জটলা
দেখে কে দমাতে চায়!!'এই কি গনত্রন্ত্র! এভাবে
পিটিয়ে,গুলি করে কি সব প্রতিবাদ দমানো
সম্ভব! তবে আর কতদিন? তবে'এখন মানুষই
মানুষের রক্ষাকবচ, মানুষই মানুষের ঢাল।।'
♦ ঘটনা ৫ #
দলীয় স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মায়ের গর্ভে সন্তান গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে চিতকার দিয়ে জানিয়ে দেয়
আমরা কতটা অধম আর হিংস্র।
আজ কি হচ্ছে এসব,কি চলছে চোখের সামনে।
যেখানে সন্তান থাকার কথা সবচেয়ে নিরাপদে
সেখানেও আজ হায়েনাদের থাবা। ছি: ছি:
মানবতা! ছি: ছি: আমার বাকহীন গনত্রন্ত্র!
এক অমানুষ গুলি করে,আর এক মানুষ চিকিৎসা করে,
তারপর বলে এটা অলৌকিক। এক মানুষ বলে এটা
অমানবিক। এই মানুষ কি জানে কোনটা
স্বাভাবিক। হায়রে মানুষ!
♦ ঘটনা ৬ #
রাজন আর রাকিব নিয়ে কি বলবো, তাদের
মৃত্যু, লাঠির আঘাত আর কম্প্রেসারের যন্ত্রণা হার মানিয়েছে,সব অমানবিক আর নিষ্ঠুর
মৃত্যুর টর্চার সেল্কে।
এতো নিষ্ঠুর, এতো অমানবিক, এতো বরবর
যে মানুষ নামের অমানুষ গুলি, সেই অমানুষ
গুলিকে রক্ষা করতে আবার এগিয়ে যাই আমরা
কিছু গনত্রন্ত্রমনা ও মানবতা রক্ষার নামের সভ্য
মানুষ।

♦ ঘটনা ০৭.
প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ করার ঘটনায় বলে দেয় আমরা কতটা গনত্রন্ত্রমনা জাতি!
জানি এই দেশে মানুষ মারা এখন কোন ব্যাপারই না। তাই বলে শিশুদের সংগে ক্ষমতা!
ছি: ছি: আবার বলে গনত্রন্ত্র! এই বিবেকহীন, নির্লজ্জ মানুষ ,গনতন্ত্র কাকে বলে ছিনিস??
আগে জেনে বুঝে তারপর গনত্রন্ত্র নিয়ে ভুলি গাইতে আসিস।
সাদা পাঞ্জাবি আর কালার শাড়িতে মঞ্চে সুন্দর জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিলেই গনত্রন্ত্র রক্ষা হয়না।
এসব মানুষ কে আমরা ভোট দেই,নিজ হাতে তুলে দেই আমাদের মত গরিব মানুষদের নিরাপত্তার দায়িত্ব,
এই হচ্ছে আমাদের সত্যিকারের নিরাপত্তা।এই হচ্ছে আমাদের প্রিয় গনত্রন্ত্র!! কি বলার আছে!
এসব ঘটনায় বাকরুদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কি বা করার আছে!
গরিব মানুষ গুলি শুধু আল্লাহর কাছে দু হাত উঠিয়ে বিচার চাইতে পারে,
কেদে কেদে নিজেকে সান্তনা দিতে পারে!
কিন্তু এই ক্ষমতাবান মানুষদদের সংগে পেরে উঠেনা,
এমন কি পারেনা একটু প্রতিবাদ করতে, কারন ওরা গরিব!
গরিবের সন্তান,হবে দিন মুজুর নতুবা কুলি!
ধনীর শখ কিংবা ক্ষমতা জোরে চালিয়ে যাবো গুলি!
গরিব তো গরিবেই তাদের কিসের আবার অধিকার!
ধনীর নির্যাতন আর নিপড়িনে করবে শুধুই হাহাকার!
পৃথিবীতে অসহায় আর অবহেলিতদের হাসি মুখে বাচার নেই কোন অধিকার!
প্রশ্ন ছিল আমার ও বিধাতা, এতো কষ্টের মাঝে কি ছিল দরকার আমায় জন্মাবার।

♦ ঘটনা ০৮ # এই মানুষ গুলি এক টুকরো মাংসই তো চেয়েছিল নাকি?
সকাল থেকে এক টুকরো মাংসের জন্যই তো দাড়িয়ে ছিল!
তাই বলে এতোটাই বিবেকহীন হতে হবে
আমাদের! দিনকে দিন কোথায় চলে যাচ্ছে
মানুষের মনুষত্ববোধ!?
মানুষ প্রতিদিনই এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে
স্তম্ভিত হওয়া ছাড়া আর কি করার আছে?
ভাবছি কি বলবো! এভাবে কোরাবানী মাংস
বিতরন কতটুকু ইসলাম সম্মত তা জানিনা,কিন্তু
আমার কাছে এতোটাই রুচিহীন,লজ্জাহীন,আর
বিবেকহীন লাগছে যে বলে বুঝাতে পারবনা,।
আমরা জানি চিড়িয়াখানাতে পশু পাখী কে
শিকলে খাচায় বন্ধি করে খাবার দেওয়া হয়, আজ
কি আমরা সেটাকেও হার মানিয়ে দিলাম। হে
মানুষ এই গরিব অবহেলিত মানুষ গুলিতো একটুকরো
মাংসের জন্যই এভাবে হাত পেতে সারাদিন
দাড়িয়ে ছিল,তাই বলে কি এভাবেই এই মানুষ
গুলিকে গেইটের বাহিরে রেখে দিতে হবে? আজ
কি আমরা এতোটাই নিষ্ঠুর হয়ে গেছি। আমাদের
বিবেক কে দিন দিন এতোটাই বিবেকহীন করে
দিচ্ছি! কেন আমরা কি পারনা এই অসহায় গরিব
মানুষদের পাশে দাড়াতে, আপনার লক্ষ টাকার
গরু থেকে সামান্য ভাগ খুশী মনে গরিব মানুষদের
দিতে? নতুন না হউক আপনার বাসার পুরোনো
জামা কাপড় ঘর মুচার জন্য না রেখে এসব গরিব
মানুষদের দয়ে দিতে? বাসার বাড়তি খাবারটা
ডাস্টবিনে না ফেলে এই গরিব মানুষদের দিয়ে
দিতে।
আপনি আমি কি পারিনা প্রতিদিন এক বা দুইজন
গরিব মানুষ কে খাওয়াতে।
আমরা পারি অনেক কিছুই পারি,শুধু পারিনা এমন
গরিব,দুস্ত বা অবহেলিত মানুষদদের পাশে
দাড়াতে! কারন ওরা গরিব আর আমরা ধনী,
ধনীরা টাটকা গরুর মাংস খায় আর গরিবরা
ডাস্টবিন বা ময়লার ড্রেন থেকে খাবার খায়।
ধনী বিবেকবান মানুষ হয়েও আমরা দেখেও না
দেখার ভান করে চুপিচুপি চলে যায়। যদি সজাক
দৃস্টিতে থাকায় হয়তো
বড্ড লস হবে,তাই অন্ধই রয়ে যায়! এই হলাম আমরা
মানুষ!
আর এ মানুষ গুলি এ পৃথিবীতে সব সময় অপমানিত
আর নিগৃহীত হয়ে থাকে।
আর এটাই এদের ভাগ্যের নিয়তি।।
সব পরিস্থিতিই ওদেরকে মানিয়ে,মেনে নিতে
হয়।
আর এই নির্যাতন নিপিড়নের মাঝে খুজে নিতে হয় ওদের একটু স্বাদের স্বাধীনতা।
তবে কি আর বলবো! ধিক আর ছি: ছি: ছাড়া।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

বিপরীত বাক বলেছেন: সলতেয় আগুন দেয়ার প্রচেষ্টা।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: ধিক আর ছি: ছি: বলা ছাড়া কি-ই বা আর করার আছে :(

অহংকারই জন্ম দেয় অসুস্থ মানসিকতার। আর অসুস্থ মানসিকতা জন্ম দেয় অসুস্থ সমাজ।
ঠিক বলেছেন।

১ নং আর ২ নং আমার বিশ্বাস হয় না।

যেমন ১ নং- কোন ভয়ংকর, বদ্ধ, উন্মাদ, পাগল ছাড়া কেউ ইচ্ছে করে কোন শিশুকে গুলি করতে পারে না। আমার মনে হয় অন্য কাউকে গুলি করতে গিয়ে হয়ত অসতর্কতার বসত শিশুর গায়ে গুলি লেগেছে। শিশুকে গুলি করবে কোন দুঃখে ??

২ নং - একটি ২ বছরের শিশু জেলখানায় কয়েদি থাকে কি করে?? এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য ?? এখন কি মগের মুল্লুকের যুগ ? মিডায়াতে প্রচার হলেই কি, সব বেদ বানীর মত সত্য বলে মেনে নিতে হবে? আমাদের দেশের মিডিয়া একটি বড় গুজবের কারখানা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এরা তিলকে তাল করে, আর পাবলিক সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করে, আর তা যে কারণেই হোক দেশের সব মিডিয়াই কমবেশি তা তা করে। প্রকৃত অনুসন্ধান চালালে দেখা যায় অন্য কিছু।

আমার ধারণা উক্ত শিশুকে কয়েদি হিসেবে জেলে রাখা হয় নি এর পিছনে অবশ্যই অন্য কোন কারণ আছে। যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেখানে হিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুন প্রকৃত সত্য পেয়ে যাবেন।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

আর বি এম টুটুল বলেছেন: আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ, যা সত্য বলেছি, সলতে আগুন দেওয়ার কোন উদ্দ্যেশ্য নেই,কিন্তু এদেশের নাগরিক হিসাবে আমরা এমনি কিছু বলতে বা লিখতে গেলেই এটাই পিছনে কোন কিছু আছে,কিংবা তাকে বাশ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে, ধন্যবাদ সম্মানিত ভাই সাহেব আমার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.