নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ মানুষ,সহজ মন,সহজ কথা,সহজ সত্য আমার মতামত । প্রচার করুন যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়....লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ । ৫ ওয়াক্ত নামাজ মানুষের জীবনকে বদলে দেয় ইসলামিক বিধান মেনে একটি সুন্দর জীবন চায়।আল্লাহ্‌ আপনি সব কিছুর মালিক ।

আর বি এম টুটুল

সহজ মানুষ,সহজ মন,সহজ কথা

আর বি এম টুটুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

[ আল্লাহর কাছে তাওবা করা এবং পাপ মোচন বা প্রায়শ্চিত্ত করার উপায় ও জানা জরুরী ]

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

আমরা কারনে অকারনে প্রতি দিনেই নানা পাপে বোঝায় করছি আমাদের ভান্ডার । হেলায় কিংবা খেলার চলে নিজের অজান্তেই অনেক খারাপ বা পাপ কাজ করে যাচ্ছি । মিথ্যা বলা থেকে শুরু করে,অন্যের ক্ষতি করা এবং কবীরা,সগীরা গুনাহের মত অমার্জনীয় গুনাহ করে যাচ্ছি অবলীলায়।
যার পরিনাম আমাদের হয়তো জানা নেই ।
আমাদের প্রতিটি গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহ আমাদের অনেক বেশী সুযোগ দিয়েছেন,কিন্তু আমাওরা তা করিনা।
আল্লাহ আমাদের গুনাহ মাফের জন্য তওবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন,নিজেকে বিশুদ্ধ করার রাস্তা দিয়েছেন,কিন্তু আমরা সে রাস্তায় চলি না। আমরা শুধু দুনিয়ার ভোগে,আর সুখেই মত্ত আছি ।
পার্থিব ধন-দৌলত আল্লাহর এক মহান নিয়ামত, এ নিয়ামত নাফরমানি করে অর্জন করা যায় না। কুরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত পাপ সকল অনিষ্টের মূল। এ কারণেই মানুষ নানা ধরণের মুসিবতে পতিত হয়, যদি সে তাওবা না করে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
আর তোমাদের প্রতি যে মুসীবত আপতিত হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। আর অনেক কিছুই তিনি মা করে দেন। সূরা শুরা : (৩০)
অন্যত্র তিনি বলেন :
আর অবশ্যই আমি তাদেরকে গুরুতর আযাবের পূর্বে লঘু আযাব আস্বাদন করাব, যাতে তারা ফিরে আসে। সূরা সাজদাহ : (২১)
মানুষ মাত্রই পাপ করেন। তবে এই পাপের ওপর অটল থাকা মুমিনের আলামত নয়। মুমিন গোনাহ করবে, আবার সেই গোনাহ থেকে ফিরে আসবে। এই ফিরে আসাই হলো তওবা। এর দ্বারা আল্লাহ মুমিন বান্দাদের পূত-পবিত্র করে দেন।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো, বিশুদ্ধ তওবা, সম্ভবত তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কাজগুলো মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে; যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত।’ (সূরা তাহরিম, আয়াত: ৮) ‘বিশুদ্ধ তওবা’ হলো ১. কৃত গুনাহর জন্য অনুশোচনা করা ২. সেই গোনাহর জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ৩. ভবিষ্যতে এই গোনাহ না করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়া।

অপরাধ করার পর যত শিগগির পারা যায় তওবা করা সমীচীন। গোনাহ থেকে তওবা করা ওয়াজিব। যদি পাপ আল্লাহ ও বান্দাসংশ্লিষ্ট হয় তখন আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চেয়ে তওবা করা উচিত। গোনাহর কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার তাগিদ দিয়ে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি পাপকাজে নিয়োজিত হয়, তখন তার কলবে পাপের একটি কালো চিহ্ন অঙ্কিত হয়। যদি সে পবিত্র চিত্তে তাওবা করে (অর্থাৎ এ কাজ আর করবে না বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়) এবং কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করে, তবে ওই কালো চিহ্ন ধৌত হয়ে যায়। আর যদি তওবা না করে আরও গুনাহ করে তাহলে কালো দাগ বিস্তার লাভ করতে থাকে। এভাবে কলব একেবারে কালো হয়ে যায়।’ (তিরমিজি)

হজরত মুআজ (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন অসিয়ত করে বলেন, ‘সাবধান! নিজকে গোনাহ থেকে বিরত রেখো! কারণ গুনাহ করলে আল্লাহর গজব নাজিল হয়।’ (মুসনাদে আহমাদ) তিনি আরও বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে আসল রোগ এবং খাঁটি ওষুধের কথা বাতলে দিচ্ছি। তোমাদের আসল রোগ হলো ‘গোনাহ’ আর খাঁটি ওষুধ হলো তওবা করা।’ (বায়হাকি)

যদি পাপাচার দুজন বান্দাসংশ্লিষ্ট হয় তাহলে তওবাকারীকে হকদার ব্যক্তির প্রাপ্য আদায় করতে হবে। যদি ধনসম্পদের ব্যাপার হয় তবে তা ফেরত দিতে হবে। কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে ভবিষ্যতে আর কোনো গুনাহ করবে না। আর যদি গিবত করা হয়ে থাকে তাহলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অপরাধী যখন অনুশোচনায় সিক্ত হয়, অন্যায় ও অপরাধকর্ম থেকে বিরত হওয়ার প্রতিশ্রুতিতে পাপমুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে হাজির হয়, তখন আল্লাহ তাকে দয়াপরবশ হয়ে ক্ষমা করে দেন।

প্রত্যেক মুমিনের উচিত সর্বদা তাওবা করা এবং বেশী বেশী নেক আমল করা ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য তলব করা। কারণ গুনাই সবচেয়ে বড় সমস্যা, সবচেয়ে বড় মুসিবত। বান্দা যখন তাওবা করে, আল্লাহ তাকে পছন্দ করেন এবং তাকে নিশ্চিত সফলতা দান করেন।
তিনি বলেন :
হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। সূরা নুর : (৩১)
তিনি অন্যত্র বলেন:
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে। সূরা বাকারা : (২২২)

আর আল্লাহ যাকে ভালবাসেন, তিনি তার মনোবাসনা পুরো করেন এবং ভয় থেকে তাকে তিনি নিরাপত্তা দান করেন। আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
‘আল্লাহ তাআলা বলেছেন : আমার বান্দার সাথে যে বিদ্বেষ পোষণ করে, আমি তার সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দেই। আমি আমার বান্দার উপর যা কিছু ফরজ করেছি, তা ব্যতীত অন্য কোন জিনিসের মাধ্যমে সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করতে পারে না। আমার বান্দা নফলের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে, এক সময় আমি তাকে মহব্বত করি। আমি যখন তাকে মহব্বত করি, তখন আমি তার কার্ণে পরিণত হই, যে কান দিয়ে সে শোনে, আমি তার চোখে পরিণত হই, যে চোখ দিয়ে সে দেখে, আমি তার হাতে পরিণত হই, যে হাত দিয়ে সে ধরে, আমি তার পায়ে পরিণত হই, যে পা দিয়ে সে চলে, সে যদি আমার কাছে প্রার্থনা করে, আমি তাকে দান করি, আর সে যদি আমার কাছে পানাহ চায়, আমি তাকে পানাহ দেই। ‘বুখারি।

পাপ ও আল্লাহর অবাধ্যতা মানুষকে রিযক থেকে বঞ্চিত করে দেয়, যেমন মুসনাদ ও অন্যান্য গ্রন্থে রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
إن الرجل ليحرم الرزق بالذنب يصيبه.
বান্দা তার কৃত পাপের কারণে রিযক থেকে মাহরুম হয়।

তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন
আল্লাহ তায়ালা কেবল তওবাকারীর তওবা কবুলই করেন না, বরং কেউ তওবা করলে তিনি অত্যধিক খুশি হন। তিনি কি পরিমাণ খুশি হন সে সম্পর্কে সহীহ বুখারী ও মুসলিমে একটি হাদীস এসেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তার বান্দার তাওবায় ঐ ব্যক্তির চেয়েও অধিক আনন্দিত হন, যার উট খাদ্য ও পানীয়সহ জনমানবহীন মরুভূমিতে হারিয়ে গেছে। এ কারণে সে জীবন থেকে নিরাশ হয়ে কোনো এক গাছের নীচে শুয়ে পড়ল। এমন নৈরাশ্য জনক অবস্থায় হঠাৎ তার কাছে উটটিকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে এর লাগাম ধরে আনন্দে আত্নহারা হয়ে বলে ফেলল, হে আল্লাহ! তুমি আমার বান্দা, আমি তোমার প্রভু। অর্থাৎ সে এ ভুলটি করেছে আনন্দের আধিক্যের কারণে।’ (মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ (সা.)এর তওবা
আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসূলুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: ‘আমি দিনের মধ্যে সত্তর বারেরও বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি ও তাওবা করি। (বুখারী)
অন্য একটি হাদীসে এসেছে রাসুল (সা.) দিনে একশো বারের বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করতেন। (মুসলিম)
অথচ আমরা জানি যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সকল পাপ থেকে মুক্ত। আল্লাহ তায়ালা তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তারপরও তিনি কেন ইস্তেগফার ও তওবা করেছেন। এর অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে:

১. তিনি উম্মতকে ইস্তেগফার ও তাওবার গুরুত্ব অনুধাবন করানোর জন্য।
২. পাপ না থাকলেও তাওবা ইস্তেগফার করা যায়। এই অবস্থায় তওবা ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।
৩. ইস্তেগফার ও তওবা হল ইবাদত।
৪. কেউ যদি তার জানামতে কোনো পাপ নাও করে থাকে, তবুও অজান্তে তাঁর দ্বারা কোনো পাপ সংঘটিত হয়ে যেতে পারে অথবা কোনো পাপ করে সে ভুলে যেতে পারে। তাই সর্বাবস্থায় তওবা ও ইস্তিগফার করা উচিত।

ইস্তেগফার ও তওবা আমলটি সর্বদা অব্যাহত রাখা রাসূলুল্লাহ (সা.) সুন্নত।
তওবার কয়েকটি শর্ত রয়েছে। এগুলো হলো:
(১) ইখলাস থাকা অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তওবা করা।
(২) পাপ কাজটি পরিহার করা।
(৩) পাপটিতে লিপ্ত হওয়ার কারণে আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হওয়া।
(৪) ভবিষ্যতে আর এ পাপ করব না বলে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।

আর যদি পাপকর্মটি অন্যকারও হকের সাথে সম্পর্কিত হয় তবে অতিরিক্ত আরেকটি শর্ত রয়েছে সেটি হলো:
(৫) পাপের কারণে যে মানুষটির অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার পাওনা পরিশোধ করা বা যথাযথ ক্ষতিপুরণ দিয়ে তার সাথে মিটমাট করে নেওয়া অথবা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে দাবী ছাড়িয়ে নেওয়া।

তওবার সময়সীমাঃ
তওবা দ্রুত করা উচিত। যখন কেউ তার ভুল বুঝতে পারে সাথে সাথেই তওবা করা উচিত। একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: ‘নিশ্চয় পাপকারী মুসলিম বান্দা থেকে বামপাশের ফেরেশতা কলম উঠিয়ে রাখে ছয় ঘন্টা পর্যন্ত। বান্দা যদি অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায় তাহলে তা মাফ করে দেওয়া হয়, নতুবা একটি গুনাহ লিখা হয়।’ (তাবারানী, বায়হাকী, ইমাম আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন)

তাওবার একটি শর্ত হল, তাওবা করতে হবে মৃত্যুর আলামত প্রকাশের পূর্বে। মৃত্যুর আলামত প্রকাশ পেতে শুরু করলে তাওবা কবুল হবে না। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘তাদের জন্য তাওবা নেই, যারা ঐ পর্যন্ত পাপ করতে থাকে, যখন তাদের কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়। তখন বলে, নিশ্চয়ই আমি এখন তওবা করলাম।’ (সূরা আন-নিসা, ১৮) এ সম্পর্কিত একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তওবা মৃত্যুকালীন কষ্ট শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কবুল করে থাকেন।’ (তিরমিযী)

সুস্থ জীবন তওবার উপযুক্ত সময়। জীবন থেকে নিরাশ হওয়ার পর তওবার উপযুক্ত সময় আর থাকে না। এমনিভাবে পাপ করার সামর্থ থাকাকালীন সময়টা হল তওবার উপযুক্ত সময়। পাপ করার ক্ষমতা লোপ পেয়ে গেলে তওবা করা যথোপযুক্ত নয়। তবুও সর্বাবস্থায়ই তওবা করা উচিত।

তওবার আরেকটি শর্ত হলো কিয়ামতের লক্ষণ প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই তওবা করতে হবে। পশ্চিমাকাশে সূর্য উদয় হওয়ার পর তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ রাতে তাঁর কুদরতী হাত প্রসারিত করে রাখেন। যেন দিনে যে ব্যক্তি নাফরমানী করেছে সে যেন রাতে তাঁর নিকট তওবা করতে পারে। এমনিভাবে আল্লাহ দিনে তার কুদরতী হাত প্রসারিত করে দেন যেন রাত্রে যদি কোন ব্যক্তি পাপকাজ করে থাকে সে যেন দিনে তাঁর নিকট তওবা করতে পারে। আর এ অবস্থা পশ্চিমাকাশে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’ (মুসলিম)

পাপ মোচন বা প্রায়শ্চিত্তের উপায়:
১. তওবা করা: বান্দার তওবার কারণে আল্লাহ তায়ালা পাপ ক্ষমা করে দেন। আর তওবা কবুল হওয়া নির্ভর করবে বান্দার সিন্সিয়ারিটি বা ইখলাসের উপর।

২. ক্ষমা প্রার্থনা করা: ইস্তিগফার করলে আল্লাহ তায়ালা গুনাহ মাফ করে দেন। হাদীসে এসেছে, ‘যখন পাপ করে বান্দা বলে, ‘হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করে দিন’। আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘আমার দাস জানে যে তার একজন প্রভু আছে যিনি ক্ষমা করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন। আমি আমার দাসকে ক্ষমা করে দিলাম...’ (বুখারী ও মুসলিম)

৩. এমন ধরনের নেক কাজ বেশি বেশি করা যেগুলো পাপকে মুছে দেয়
রাসুলুল্লাহ (সা.)এর বিভিন্ন হাদীসে এমন সব নেক আমলের কথা বলা হয়েছে যেগুলো পাপকে মোচন করে। যেমন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, জুময়া এবং রমাদান এক বছর থেকে পরবর্তী বছর পর্যন্ত সমস্ত সগিরাহ গুনাহকে মুছে দেয়।’ (মুসলিম)

৪. আপতিত বিপদ-আপদ
মুমিনের উপর আপতিত বিপদে তার গুনাহ মাফ হয়। রাসুলুল্লাহ বলেন, ‘মুসলিম বান্দার যে কোন ক্লান্তি, রোগ, দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নটা ও অস্থিরতা হোক না কেন, এমনকি কোন কাঁটা বিঁধলেও, তার কারনে আল্লাহ্ তার গুনাহ মাফ করে দেন। (বুখারী ও মুসলিম)
৫. মুমিনের জন্য মুমিনের দুআ: যেমন, জানাজার নামাজের সময় যে দুআ পাঠ করা হয়।
৬. মৃতের পক্ষ থেকে কৃত নেক কাজ। যেমন; মৃতের পক্ষ হয়ে দান-সাদাকাহ করা, হজ্ব করা ইত্যাদি।
৭. কবরের শাস্তির ফলে গুনাহ মোচন হবে।
৮. নবী (সা.)এর শাফায়াৎ: নবী (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে যারা কবিরা গুনাহ করেছে, তাদের জন্য আমি শাফায়াৎ করব।’ (সহীহ সুনান আবি দাউদ, ৩৯৬৫)
৯. বান্দার জন্য আল্লাহ তায়ালার দয়া

(মাজমু ফতওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা-৪৮৭-৫০১)

আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আমরা কারনে অকারনে প্রতি দিনেই নানা পাপে বোঝায় করছি আমাদের ভান্ডার । "

-আপনি মনে হয় অনেক ক্রাইম করছেন? আল্লার কাছে মাফ পেলে ভালো কথা; তবে, আপনাকে পুলিশে দেয়া দরকার।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

আহলান বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন .... !! আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন ....

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২২

মোঃ সাকিব সরোয়ার বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন .... !!

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

বকস মুজিব বলেছেন: খুব ভাল লাগল

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

আর বি এম টুটুল বলেছেন: যারা আমার লেখা পড়েছেন এবং সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়েছেন আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আমার সকল ভাই বন্ধুকে জানাই ধন্যবাদ ,
আমাদের সবাইকে যেন আল্লাহ ক্ষমা করেন, সবাইকে যেন রহমত ও বরকত দান করেন,

চাঁদ গাজী ভাই<< আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন, আমরা সব সময় সব কিছুতেই অযাচিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকি,কাউকে অযথা কথা বলা আল্লাহ পছন্দ করেন না । আপনার সুন্দর জীবন কামনায় । ভাল থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.