![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষনীয় কিছু কথা >> একটু সময় নিয়ে পড়বেন,অনুরোধ রইলো }}}}
-----------------------------------------------------<
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ সকালে চাঁনপুর গ্রামের অমুকের সন্তান তমুক তার নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন।
আমার/আপনার খেলার সাথি আমার/আপনার প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর খবর এভাবেই ভেসে আসছে মাইক থেকে। আমি সহ কাছের মানুষ সবাই শেষ দেখা দেখার জন্য ছুটে যাচ্ছি বন্ধুর বাড়িতে।
নানান মানুষের নানান কথায় চলছে সময়। চলছে প্রিয়জনদের কান্না আর আহাজারি।
আর আমি রেডি হচ্ছি বন্ধুর দাফনের ব্যবস্থা করার জন্য, কিন্তু আমার মনটাতে কিছু প্রশ্ন এসে আমাকে বার বার ঘুমন্ত মানুষটাকে জাগিয়ে দিচ্ছে,খুব নার্ভাস ফিল করছিলাম তখন,আজ জানি কি সেই প্রশ্ন ।
বন্ধুর লাশ আর আমার কিছু ভাবনাঃ-
লাশঃ হে বন্ধু বন্ধুর লাশের খবর শুনে চলে আসছো । কত অদ্ভুত তোমরা সবাই,আমার প্রিয় মা,বাবা,আমার ভাই,বোন ,আমার বউ, সন্তান সবাই আজ বলছে আমার লাশটা একটু দেখতে চায়, আমি আজ সবার কাছে লাশ হয়ে গেছি, আমার নাম আজ শুধুই স্মৃতি। কিন্তু একটু আগেও আমাকে কত সুন্দর নাম ধরে ডাকাডাকি করতে । আজ আমার নাম ধরে কেউ আর কিচ্ছু বলেনা,শুধু বলছে লাশ,বলেনা অমুকের সন্তান,অমুক বাড়ির কিংবা অমুক প্রতিষ্টানের মালিক,সবার কাছে আজ আমার পরিচয় শুধুই লাশ। সবাই আজ একটা সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশটাকে সমবেদনা জানাচ্ছে,দোয়া করছে । বন্ধু ভুল হলে ক্ষমা করে দিও । তোমার সাথে অনেক সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি ,অনেক স্মৃতি জড়িত । বন্ধু আগর বাতির গন্ধ পাচ্ছি,কোরাআন তেলোয়াত চলেছে,গরম পানি রেডি হয়ে গেছে,কাপনের কাপড় রেডি হয়ে গেছে,কবর রেডি হয়ে গেছে, প্রিয় বন্ধু আমাকে কখন বিদায় জানাবা ।
আমিঃ এইতো এখনিই ।
বন্ধুর লাশঃ বন্ধু বেশী গরম পানি দিও না, আরাম করে গোসল দিও,নাকের ভিতর কাপড় কম করে দিও আমার শ্বাস নিতে কষ্ট যেন না হয় ।
আমি: চোখের জল নিয়ে খুব কষ্টে বললাম, ঠিক আছে।
বন্ধুর লাশ : বন্ধুরে ও বন্ধু কাপনের কাপড়ে মুখটা বন্ধ করে দিও না আমার দম নিতে কস্ট হয়।
চোখ দিয়ে অন্ধকার দেখী,কান দিয়ে কিছু শুনতে পাইনা,বন্ধু আমার কষ্ট হচ্ছে তাড়াতাড়ি নিয়ে চল। বন্ধু কাটিয়া দিয়ে নেওয়ার সময় আসতে আসতে নিও ।
আমি: কাটিয়াই তুলে মসজিদের মাঠে নিয়ে গেলাম।
জানাজার জন্য সবাই রেডি,ভাবলাম বন্ধুর শেষ মুখটা দেখে দেই। কাপনের কাপড় খুলে বন্ধুর শেষ দেখা দেখে নিলাম ।
বন্ধুর লাশঃ বন্ধু এইতো শেষ দেখা আর কোনদিন দেখা হবে না,বুকে বুক আর মিলাবেনা, হাত হাত আর মিলাবেনা,বাইকের পিছে নিয়ে আর ঘুরতে যাবো না, কখনো রাগ বা অভিমানে তোমাকে গালাগালি করবো না। বন্ধু একবারো আমার নাম ধরে ডাকলানা, এতো পর করে দিলা,আমি এতো অচেনা হয়ে গেলাম। তুমি না আমার সব চেয়ে কাছের,সব চেয়ে প্রিয় বন্ধুটি ছিলে ।
আমিঃ চোখ দিয়ে জল পড়ছে ,আর বলে যাচ্ছি হে আল্লাহ বন্ধুকে বেহেশত নসীব করুন।
জানাজা শেষে বন্ধুকে নিয়ে চললাম কবরের দিকে >আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ,বলে ।
বন্ধুর লাশঃ বন্ধু তোমরা আমাকে এতো যত্ন করছো কেন ? এতো মায়া মহব্বত কেন করছো বন্ধু ,আমি দূরে থাকলে কি তোমরা খুব খুশী,বন্ধু আর তোমাদের জ্বালাতন করবোনা।
আমিঃ কবরের ঠিক পাশে নামালাম,কবরের ভিতর প্রবেশ করলাম, বন্ধুর লাশ আমার হাতে নিলাম,খুব যত্নে কবরে শুয়ে দিলাম ,দোয়া পড়লাম > বিসমিল্লাহি ওয়া আলা মিল্লাতি রাসুলিল্লাহ, সবাই উপরে উঠে গেল ,আমিও চলে আসবো ঠিক তখনই বিবেক আবার বন্ধুকে নিয়ে ভাবতে লাগলো ।
বন্ধুর লাশঃ বন্ধু আমাকে কি শেষ বিদায় দিয়ে দিলা, আমার সঙ্গে আর আড্ডা দিবা না, খেলাধুলা করবানা,সুখ দুঃখের গল্প করবানা। দেখ বন্ধু তোমরা সবাই কত স্বার্থপর আমি দুনিয়াতে এতো কিছু রেখে আসলাম ,মা,বাবা,বউ,সন্তান,বন্ধু বান্ধব, আমার সাধের মোটর বাইক,আমার সাধের বাড়ি গাড়ি,আমার অনেক টাকা পয়সা, আমার একক আধিপত্য,আমার ক্ষমতা, এগুলি কিচ্ছু সাথে নিতে বললা না , এগুলি কে এখন দেখা শুনা করবে,কে এখন ভোগ করবে । বন্ধু তুমি আমার মটর বাইকটা নিয়ে যেও ।
বন্ধু ও বন্ধু একটা কথা শুনো আজ যদি তুমি আমার জায়গাতে থাকতা, আজ যদি তোমার মৃত্যুর খবর মাইকে ভেসে আসতো,আজ যদি কবরে আমাকে না রেখে তোমাকে রাখা হত ,তবে কি করতে ?
আমিঃ প্রশ্ন গুলো ভেবে ভেবে চোখ বেয়ে জল এসে পড়লো ,কি বলবো বুঝে পাইনি, নিজেকে সবচেয়ে অসহায় মনে হচ্ছিল, বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলাম। হতবাগ হচ্ছিলাম ।বন্ধুকে নিয়ে এমন বাস্তবিক ভাবনায় নিমগ্ন হয়ে ।
সত্যি বন্ধুকে নিয়ে বিবেকের প্রশ্ন গুলি খুবই যথার্থ ।
এই প্রশ্নের ঘোরে সময় কাটতে লাগলো,বন্ধুর শোকে কিচ্ছু ভাল লাগেনা ,বন্ধুর কবরের পাশ দিয়ে গেলে প্রতিবারই কান্না আসে,বন্ধুর জন্য দোয়া করি,আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রাথনা করি ।
একদিন ঘুমের দেশে বন্ধুর আর আমার ভাবনার জগতের কথা চলছেঃ-
আমার বন্ধু আমাকে বলছেন। বন্ধু ও বন্ধু এটা কি জান তোমরা সবাই যখন কবরের অতি যত্নে রেখে আসলে ,ঠিক কিছু পরেই দুইজন ফেরেস্তা আসলো, আমাকে নানান প্রশ্ন করা শুরু করলো ।
০১। আমার রব কে ?
০২। আমার দিন কি?
০৩। আমার নবী কে ?
আমি সঠিক উত্তর দিতে পারিনি ?
তখন শেকলে বেধে আমাকে নিয়ে চললো হাশরের মাঠে
সেখানেও অনেক প্রশ্ন করলো ?
আমার আমলনামা কোথায় ?
দুনিয়াতে যে কাজ দিয়েছিল তা কি ঠিক ভাবে করেছি কিনা ?
তখন দুইজন ফেরেস্তা আমার আমলনামা পেশ করলো ।
আমি সঠিক উত্তর দিতে পারিনি ।
তখন আমার জবান বন্ধ হয়ে এলো কারন আমি দুনিয়াতে আল্লাহর কথামত চলিনি,আমি জবাব দেওয়ার মত কোন কাজ করিনি ।
ঠিক তখনই আমার জবান(জিহ্বা),আমার চোখ,আমার হাত,আমার কান,আমার পা নিজ থেকে সাক্ষি দিতে শুরু করলো,
আল্লাহর দরবারে তখন আমি পুরোপুরি অপরাধী ।
আমাকে তখন শেষ বিচারের পাল্লায় উঠানো হল ।
সেখানেও আমার পাল্লা খুব ভারী হল ।
তারপর নিয়ে গেল ফুলসিরাতের কাছে ,বললো এটা দ্রুত পারি দাও,আমি মাঝপথে গিয়ে নিচে দাউ দাউ করে জলন্ত আগুনে নিমজ্জিত হলাম ।
সেখান থেকে বিচারকের আওয়াজ ভেসে উঠলো, হুকুম দিচ্ছেন,এই অভাগা বান্ধা আমার বিধান মানেনি,আমার কথা মত চলেনি ,দুনিয়ার ভোগ বিলাসেই সে বেশী মনোযোগী ছিল,বার বার তাগাদা দেওয়ার পরেও আমার বিধান মানেনি,আমার নিয়োজিত নবী রাসুলের দাওয়াত মেনে চলেনি ।
তাই এই অভাগা বান্ধাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাও,দরজায় তালা লাগাও,জাহান্নামেই হবে তার চিরস্থায়ী বাসস্থান ।
আমিঃ হঠাত চিৎকার করে ঘুম ভেঙ্গে গেল ,সারা শরীল ঘামে ভেজে গেছে, ভয়ে বুক প্রচন্ড উঠা নামা করছে, শুধু আল্লাহ আল্লাহ করছি, একটু পানি খেয়ে, ৩০ মিনিট শুধু ভাবলাম । হে আল্লাহ এ তুমি কি স্বপ্ন দেখালে সত্যি যদি আমার বন্ধুর এ অবস্থা হয়ে তাকে আল্লাহ বন্ধুকে তুমি ক্ষমা কর,আর আমি তওবা করলাম, ধীর মনে আমি নিয়ত করলাম আজ থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো ,সৎ পথে চলবো আল্লাহর সব বিধান মেনে চলার চেষ্টা করবো,
ঠিক একটু পড়েই ওযু করে দুই রাকাত তওবার নামাজ পড়লাম, তারপর ফজরের নামাজ পড়লাম, সকালে উঠে আমার সব কিছু যেন অন্য রকম লাগতে শুরু করলো ,নিজেকে শুদ্ধ করার যা যা করার সব করে নিলাম,কাপড় সব রেডি করলাম, কোরআন শরীফ কিনে নিলাম,নামাজের নিয়ম কানুন সহ বিভিন্ন হাদিসের বই কিনে পড়তে শুরু করলাম,আসতে আসতে ইসলামিক প্রতিটি বিধান নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করলাম। কাছের সব মানুষ নানান কথা বলতে শুরু করলো তা না শুনে আমি আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর বিধান মতে চলতেই শুরু করলাম ।
এভাবে চলতে চলতে আমার পুরোটা জীবন বদলে গেলে,আমার পরিবার আমার সন্তানরা বদলে গেল,আমরা হয়ে গেলাম সম্পূর্ণ এক ইসলামিক পরিবার । আমরা নিয়মিত নিজেরা নামাজ পড়ি ও অন্যকেও নামাজের জন্য দাওয়াত করি ,আল্লাহর সঠিক বিধান মেনে চলার দাওয়াত পৌছাই। আমরা আজ অনেক হ্যাপি,অনেক খুশী ,আমরা সঠিক রাস্তা পেয়েছি,আল্লাহর রহমত পেয়েছি ।
একদিন আল্লাহর ডাক আসলো আমাকে চলে যেতে হবে,আল্লাহ তার নিয়োজিত ফেরেস্তা আজরাইল (আ)কে পাঠাইছেন,একদিন ভোরে আমাকে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হল ।
ঠিক আমাকেও দাফনের সব কাজ সম্পূর্ণ করে জানাজা শেষে কবর দেওয়া হল,তারপর কবরের ফেরেস্তাদের প্রবেশ হল,সওয়াল জবাব হল,আমি সব কিছুর সঠিক উত্তর দিলাম,ফেরেস্তাগন আমাকে খুব আরাম করে যত্ন করে,হাশরের মাঠে নিয়ে গেলেন,সেখানে সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলাম, তারপর বিচারের পাল্লায় উঠানো হল,সেখানে আমার পাল্লা খুব হালকা হল,তারপর পুলসিরাত দ্রুত বেগে পার হলাম, তারপর বিচারকের রায়ের আওয়াজ শুনলামঃ হে ফেরেস্তাগন আমার এই প্রিয় বান্ধাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে প্রবেশ করাও,সেখানে হবে তার চিরস্থায়ী বাসস্থান ।
জাহান্নামী ও জান্নাতি দুই বন্ধুর কথোপকথনঃ
জাহান্নামী বন্ধুঃ বন্ধু শুনলাম তুমিও পৃথিবীর সবত্ত মায়া ছেড়ে চলে আসছো,তবে আমি যে ঘরে আছি তুমি সে ঘরে না এসে অন্য জায়গাতে গেলে কেন,তুমি না আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ।
জান্নাতি বন্ধুঃ বন্ধু এটা আমার কর্ম ফল,তোমার মৃত্যের পর আল্লাহ তোমাকে নিয়ে একদিন স্বপ্নে তোমার পরকালে পরিণাম কি তা দেখিয়েছেন তার পর থেকে আমি এবং আমার পরিবার সিধান্ত নিলাম এখন থেকে আল্লাহর বিধান মেনে চলবো ।
তারই কর্ম ফল এটা ।আর তাই আল্লাহ তোমার থেকে আমাকে আলাদা করে রেখেছেন,এখানে আল্লামা ছাড়া আর কারো ক্ষমতা নেই ।
জাহান্নামী বন্ধুঃ বন্ধু তোমার এখানে কি তোমার শরীলে দাউ দাউ আগুন জ্বলে,সাপে ধংসন করে,খুব যন্ত্রনা পাও,পচা,দুরগন্ধ যুক্ত খাবার খাও।
জান্নাতি বন্ধুঃ না বন্ধু আমার এখানে খুব শান্তি, কি সু বাতাস,কি আরাম,এখানে আমি শান্তির জন্য যা চাই তাহাই পাই,আমার প্রয়োজনে মুখ দিয়ে কিছু বের করার সাথে সাথে আল্লাহর হুকুমের ফেরেস্তারা আমার সে আশা পুরন করে দেন। কি যে শান্তি বন্ধু ।
জাহান্নামী বন্ধুঃ বন্ধু তোমার এখানে আমাকে নিয়ে চলনা।
জান্নাতি বন্ধুঃ বন্ধু আমি দুঃখীত,এখানে শুধু আল্লাহর বিধান,আল্লাহর কালাম,এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ কারীরাই প্রবেশ করতে পারেন।আমি তোমার জন্য কিচ্ছু করতে পারছিনা, দুঃখিত বন্ধু ।
জাহান্নামী বন্ধুঃ বন্ধু তুমি এটা কি বললা,দুনিয়াতে আমরা কত আপন ছিলাম,একজনের বিপদে অন্য জন কি না করতাম,আজ তুমি একি বলছো।
জান্নাতী বন্ধুঃ বন্ধু দুনিয়া আর আখেরাত এক নয়,সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছা,আমার কিচ্ছু করার নেই, আমি আবারও বলছি আমাকে ক্ষমা করো । আমার কিছুই করার নেই ।
তুমি তোমার জন্য নিজেই চেষ্টা কর।
ভাল থেক বন্ধু, ভুল হলে ক্ষমা কর ।
{আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ }
সবশেষেঃ- এ দুনিয়ার কোন কিছুই কাল হাশরে কাজে আসবেনা, কাজে আসবে যার যার কর্মফল,তখন কেউ কারো সুপারিশ কারী হবেনা। সবাই নিজেকেই নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। তাই আসুন নিজেকে নিয়ে একটু ভেবে দেখী ,আল্লাহ কেন আমাদের এ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন? এমন কোন কঠিন নিয়ম পালন করতে কি আল্লাহ বলেছেন ? আসুন আমরা ঠিক মত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি,ভাল ব্যবহার করি,সৎ পথে চলি ,আল্লাহর বিধান মেনে চলি, জান্নাতে যাওয়ার রাস্তায় পথ চলি, নিজেকে আল্লাহর সুবান্ধা হিসাবে গড়ে তুলি,আল্লাহ সবাইকে রহম করুন ।আমিন।
বিঃদ্রঃ-আমার লিখাটাতে কোন কিছু শিখার থাকলে তাহলে সার্থক মনে হবে,আর কোন ভুল থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখে ,সুন্দর বচনে আমার ভুল ধরিয়ে দিবেন,আর আমি সব সময় সবার সহযোগিতা কামনা করি ।
R BM Tutul
©somewhere in net ltd.