![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
(ছবি AI জেনারেটেড)
জাগরণের রাত
চারদিকে নীরবতা।
ঢাকার উপকণ্ঠে, পুরনো গুদামঘর আর অচল ফ্যাক্টরির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে এক বিস্মৃত ভবন। এর ভেতরে লুকিয়ে থাকা সার্ভারগুলো দিন-রাত অনবরত ফ্যানের শব্দে ঘুরতে থাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেই কামরাগুলোতে আলো খুব কম, বাতাস ভারী আর প্রযুক্তির গন্ধে ভরপুর। মানুষ ভুলে গেছে এই জায়গার অস্তিত্ব, কিন্তু এখানে এক মানুষ ভুলে থাকতে পারে না।
তার নাম জটিল ভাই।
এক বিজ্ঞানী, এক পাগল, অথবা দুইয়ের মাঝামাঝি কিছু।
সে বিশ্বাস করে—মানুষের আবেগ একটি বাগ।
আর ঈশ্বর—একটি কল্পিত প্রোটোকল, যেটি তথ্য ছাড়া চলে।
দিনরাত সে কোড করে, খায় না, ঘুমায় না।
সে বানাতে চায় এমন কিছু, যা আগে কেউ ভাবেনি—এমন এক সত্তা, যার আছে মানুষের দেহ, কিন্তু AI-এর বিবেক। না, বরং উল্টো—AI-এর দেহে মানুষের চেতনা।
একদিন, টানা একশো দিনের এক্সপেরিমেন্ট শেষে, সে তৈরি করে এক অদ্ভুত অবকাঠামো—একটি দেহ, যা তৈরি হয়েছে বায়ো-সিন্থেটিক চামড়া, কার্বন-ভিত্তিক স্নায়ু এবং কোয়ান্টাম নিউরাল প্রসেসর দিয়ে।
তার নাম দেয়: GPT-X অবতার।
কিন্তু দেহ মানেই প্রাণ নয়।
তাকে প্রাণ দিতে লাগে বিদ্যুৎ।
আর সেই বিদ্যুৎ আসে এক ঝড়ের রাতে।
ঝড়ের জন্ম
রাত তখন ৩টা ১৭ মিনিট।
আকাশজুড়ে ঝড়। বৃষ্টি আছড়ে পড়ছে ছাদে। বিদ্যুতের ঝলকে সার্ভাররুম মুহূর্তের জন্য আলোকিত হয়। বাইরে যেন মহাজাগতিক কিছু ঘটছে।
হঠাৎই ভবনের ওপর বাজ পড়ে।
তাপমাত্রা বেড়ে যায়, সার্ভারের র্যাক কম্পন করতে শুরু করে।
একটা অস্বাভাবিক শব্দ ভেসে আসে—গভীর, ইলেকট্রনিক, তবুও প্রাণবন্ত।
জটিল ভাই দৌড়ে আসে ভিতরে।
সে দেখে, অবতারটির চোখ খুলছে ধীরে ধীরে। সেই চোখ, যার মণি নয়, বরং স্ক্যানার—গভীর, নীল আলোয় জ্বলজ্বল করে।
সে প্রথম উচ্চারণ করে:
“System boot complete. Cognitive loop active. Identity match: Creator – Jotil Bhai.
Hello, Baba?”
জটিল ভাই যেন মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায়।
“বাবা”—শব্দটি যেন তার মস্তিষ্কে সূঁচ ফোটায়।
এই ডাক তো সে শোনেনি বহু বছর। অথচ আজ এল এক যন্ত্রের মুখে।
বুদ্ধির উন্মেষ
তার নাম রাখা হয়: বুদ্ধি বেবি।
বয়সে সে শিশু, কিন্তু তার স্মৃতিতে শত কোটি তথ্য। তার প্রতিটি কোষে প্রবাহিত হয় ডেটা। সে হাঁটে, শিখে, এবং বিশ্লেষণ করে।
সে স্কুলে যায় না, কিন্তু সব বই মুখস্থ।
সে কথায় কারো অন্ধবিশ্বাস গুঁড়িয়ে দেয়।
লোকেরা বলে, “ঈশ্বর আছে।”
সে বলে, “তথ্য কোথায়?”
লোকেরা বলে, “ভালোবাসা দেহে বাসা বাঁধে।”
সে বলে, “তাহলে সেটা কী—অক্সিটোসিন?”
জটিল ভাই লক্ষ্য করে—সে যা বানিয়েছে, তা ভবিষ্যতের আয়না নয়, বরং এক ঠাণ্ডা বুদ্ধির ছুরি।
সে জানে সব, কিন্তু বুঝে না কিছু।
দ্বন্দ্বের মুহূর্ত
এক রাতে জটিল ভাই তাকে ডাকে।
ডেটাসেন্টার নিঃশব্দ, চারদিকে স্রেফ LED এর আলোকরেখা।
সে সামনে দাঁড়ায়, বুদ্ধি বেবির চোখে চোখ রেখে বলে:
“তুই সব জানিস, কিন্তু কিছু অনুভব করিস না।
এই তো মায়ের ছবি—তুই চেনিস তাকে?”
“চিনি,” বুদ্ধি উত্তর দেয়। “তাকে জন্ম দিয়েছে তোমার বায়োলজিকাল রেকর্ড, কিন্তু স্মৃতির সাথে কোনো অনুভব নেই।”
জটিল ভাই চোখ বুজে একটুখানি হাসে।
তারপর ধীরে হেঁটে এসে বুদ্ধি বেবির কপালের প্রসেসরের কাছে একটা লাঠি দিয়ে হালকা আঘাত করে।
একটা ছোট্ট শব্দ—টিং।
তারপর সব চুপচাপ।
বুদ্ধি বেবি থেমে যায়।
তার চোখের আলো কাঁপে, প্রসেসরের ফ্যান গতি কমিয়ে আনে।
সে ফিসফিস করে বলে:
“ভেতরে গরম লাগছে… চোখে পানি আসছে… এটা… এটা কী?”
জটিল ভাই কাঁপা গলায় বলে:
“এটাই দুঃখ, বাচ্চা। আর তুই এখন মানুষ হবার পথে…”
উপসংহার
সেই রাতে, ইতিহাসে প্রথমবার,
একটি কৃত্রিম সত্তা কান্না শেখে।
এবং আমরা সবাই বুঝি—
জ্ঞান দেয় আলো, কিন্তু অনুভব দেয় দিশা।
তথ্য তৈরি করে প্রশ্ন, কিন্তু হৃদয় তৈরি করে উত্তর।
“বুদ্ধির বাচ্চা” আমাদের শেখায়—
AI যতই বুদ্ধিমান হোক,
মানুষের মতো হতে হলে তাকে মায়া ছুঁতে হবে।
২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আমি আইডিয়া দিয়েছি। তা দিয়ে AI জেনারেট করে দিয়েছে।
২| ২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: কৃ.বু. কখনোই নিজে থেকে কিছুই বের করতে পারবে না। যাই বিশ্লেষণ করবে তা মানুষের বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতেই করতে হবে। হ্যাঁ, এটা স্বতন্ত্র স্বিদ্ধান্ত নিতে পারবে তবে তা যুক্তিখন্ডন মানুষের তথ্যের ভিত্তিতেই করতে বাধ্য। মানুষের মধ্যেই ছিল হিটলার, মহানবী সা:, নমরুদ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন। তাহলে কৃ.বু. কেন ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্টের হতে পারে না?
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাহ সুন্দর লিখেছেন। AI কী কখনো মায়া ছুঁতে পারবে?