নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিজভী আহমদ খান

ইসলাম প্রকৃত জীবন ব্যবস্থা।জীবন ব্যবস্থা নিয়ে টানাটানি সহ্যকর নয়।

রিজভী আহমদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে_নারীর_অধিকারের_স্বরুপ_সন্ধানেঃ_পর্ব_একঃ

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

ইসলাম হলো একমাত্র ধর্ম যা নারীর
পূর্ণাঙ্গ অধিকার নিশ্চিত করে।
পূর্ববর্তী যুগে নারীদের করুণ
অবস্থা ছিল, ইসলামের
স্পর্শে এসে তারা প্রকৃত মর্যাদা ও
সম্মান পেয়েছে।
<<আমি আজ ইসলামে নারীর অধিকার
সম্পর্কে অনেকের অনেক ভুল
ধারণা রয়েছে তার ব্যবচ্ছেদ করবো।>>
তবে তার আগে আমাদের নারীর
অধিকার কি? ইসলাম
কিরুপে সমানাধিকার কায়েম
করে তা জানতে হবে।
>> নারীর
স্বাধিনতা বলতে যদি বিবস্ত্র
থাকাকে বোঝান তাহলে এ
স্বাধিনতা ইসলাম নারী কেন
পুরুষদেরও দেয় না।প্রত্যেককের
একটা সীমা রয়েছে।কুরআন প্রথমে পুরুষ
এবং তারপরে নারীদের
পর্দা করতে বলে।নগ্নতা অবলম্বনের
সুযোগ কারোরই নেই।এখন
এটা যদি বলেন,এটা স্বাধিনতায়
হস্তক্ষেপ, তাহলে তো চোরেরও
চুরি করার অধিকার আছে।মানুষের
হত্যা করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এ
অধিকারগুলো কি দেওয়া সম্ভব?
আমেরিকা কি আমার মতো সাধারন
মানুষকে white house এ ঢোকার
অনুমতি দেয়? আমার কি নিজ দেশের
সংসদে ঢোকার অনুমতি রয়েছে? নেই।
কেন আমার এই অধিকার নেই? এর উত্তর
কি দিতে পারবেন?
পশ্চিমারা যে স্বাধিনতার
কথা বলে তা মূলত স্বাধিনতা নয়।
তাদের আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য
হচ্ছে শালীনতার লেবেলে।কিছু
পশ্চিমা দেশের মানুষ ভারতীয়
নারীদের নির্লজ্জ বলে কারণ
তারা শাড়ী পড়ে এবং তাদের পেট
দেখা যায়,উক্ত দেশগুলোতে পেট
দেখানো অশালিনতার পরিচয়।আবার
ভারতীয়দের কাছে তারা অশালীন
কারন তারা ছোট কাপড়
পড়ে অধিকাংশ অঙ্গ বের করে রাখে।
জাপানে মহিলাদের উর্ধ্বদেশ
খুলে সাতাঁর কাটা অশালীন আবার
ফ্রান্সে সেটা স্বভাবিক ব্যাপার।
আমাদের মুসলিমদের
শালীনতা হলো সম্পূর্ণ দেহে।
পশ্চিমাদের শালীনতার লেবেল
উঠানামা করে কিন্তু আমাদের
(মুসলমানদের) শালীনতার লেবেল
স্থির।শরিয়া বিধির
মধ্যে থেকে নারী সব কাজ
করতে পারে।অনেকে বলে ইসলাম
নারীদের বিভিন্ন পেশা যেমন
অভিনয়,মডেলিং ইত্যাদি গ্রহণে বাধা দেয়।
আপনার কাছে প্রশ্ন ইসলাম কি পুরুষদের
এই পেশাগুলো গ্রহণের সুযোগ দেয়? সুদই
কারবার,শরিয়া আইন লঙ্ঘন হয় এমন
পেশা তো পুরুষও গ্রহণ করতে পারে না!
ইসলাম নারীদের অবিচার
করে না বরং তাদের সংরক্ষণ করে।
---এবার ইসলাম নারীদের
কিরুপে সমানাধিকার বিধান
করে আসুন দেখিঃ
-- ইসলাম সমানাধিকারের
চেয়ে ন্যায়ানুগতাকে বেশি প্রাধান্য
দেয়।অর্থ্যাৎ
যেখানে যেটা প্রয়োজন,সেখানে সেটা।
সামগ্রিক দিক দিয়ে বিচার
করলে নারী পুরুষ সমান কিন্তু সকল
বিষয়ে নারী পুরুষ সমান নয়।ধরুণ
একটি ১০ নম্বরে একটি সৃজনশীল প্রশ্নের
উত্তর একটি ছেলে ও
একটি মেয়ে করতে বলা হলো।
যেখানে [ক] প্রশ্নের মান ১, [খ] প্রশ্নের
জন্য ২, [গ]প্রশ্নের ৩ এবং [ঘ] প্রশ্নের জন্য
৪নম্বর।এবার [ক] প্রশ্নতে ছেলেটি পেল
১,মেয়েটি পেল ০ ; [খ]
টিতে ছেলেটি পেল ১, মেয়েটি ২;
[গ] টিতে ছেলেটি ২, মেয়েটি ৩ ; [ঘ]
টিতে ছেলেটি ৪, মেয়েটি ৩।এখন
ছেলেটির মোট নম্বর [১+১+২+৪]=৮।আর
মেয়েটির নম্বর [০+২+৩+৩]=৮।পরি
শেষে ছেলে ও
মেয়েটি বিভিন্ন প্রশ্নে বিভিন্ন
নম্বর পেয়েছে কিন্তু তাদের উভয়ের
মোট নম্বর সমান।ঠিক ইসলামেও
তেমনি নারী পুরুষ সমান করা হয়েছে।
সম্পত্তির ক্ষেত্রে পুরুষদের
এগিয়ে রেখেছে।আবার
মোহরানা দিয়ে নারীদের
সমানাধিকার বিধান করেছে।
পরিবারের ভরণপোষণের
ক্ষেত্রে নারীকে মুক্ত করেছে।
ইসলাম আগে পুরুষদের
পর্দা করতে বলে,তারপর নারীদের।
এমনকি ইবাদতের জন্য নারীদের
ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা দেয়া হয়েছে।
আরো অনেক ক্ষেত্রে অনেক সময়
মহিলাদেরএগিয়ে রাখা হয়েছে,আবার
অনেকক্ষেত্রে পুরুষদের
এগিয়ে রাখা হয়েছে।
তাছাড়া আকৃতিগত কারনেও উভয়ের
কর্ম ও দায়িত্ব আলাদা।
সুতরাং সামগ্রিকভাবে নারী-পুরুষ
সমান।
পবিত্র কুরআনে আছে-"আর
তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো না এমন
সব
বিষয়ে যাতে আল্লাহ
তা’আলা তোমাদের একের উপর
অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষ
যা অর্জন করে সেটা তার অংশ
এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার
অংশ। আর আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ
প্রার্থনা কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ
তা’আলা সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।" (সূরা নিসা ৩২)
---এবার যে বিষয়ে ভুল
ধারণা রয়েছে তার জবাব এবার দিব।
((অভিযোগঃ< কুরআনে নারীদের
শস্যক্ষেত (২:২২৩)হিসেবে সঙ্গায়িত
করে মহিলাদের পণ্য তথা সম্পত্তির
পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে এবং পুরুষদের
অবাধ যৌন কর্ষণের সুযোগ
করে দিয়েছে।এ সম্পর্কে হাদিসও
আছে যে,স্বামী যদি স্ত্রীকে বিছানায়
ডাকে এবং স্ত্রী ডাকে সাড়া না দিলে ফেরেশতাগণ
ঐ স্ত্রীর উপর অভিশাপ
করিতে থাকেন।(বুখারী,মুসলিম)
জবাবঃ>> এখানে অভিযোগ মূলত
তিনটি।যথাঃ
১) ইসলাম কি নারীদের পণ্য
তথা সম্পত্তির সম
পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে?
২) ইসলাম কি পুরুষদের অবাধ যৌন
কর্ষণের সুযোগ দেয়?
৩) স্ত্রীর অসম্মতিতে ফেরেশতাদের
অভিশাপ কেন?
ইনশা আল্লহ সবগুলো অভিযোগের
জবাব দিবঃ
[১] ইসলাম কি নারীদের পণ্য
তথা সম্পত্তির সম পর্যায়ে আনয়ন
করেছে?
এই অভিযোগটি নিতান্তই অযৌক্তিক।
(২:২২৩) আয়াতটি সহবাস
প্রসঙ্গে নাযিল হয়েছে।এ
বিষয়টি একটু পরে আলোচনা করছি।উক্ত
আয়াতে নারীদের শস্যক্ষেত
বলা মানে এ নয়
যে নারীরা হলো পণ্য বা সম্পত্তি।
একজন কৃষকের নিকট তার ক্ষেত
হলো সম্পদ।সম্পদ ও সম্পত্তির
মধ্যে পার্থক্য বুঝুন।একজন নারীর চরিত্র
তার সবচেয়ে বড় সম্পদ,একজন পুরুষের
পুরুষত্ব তার কাছে সম্পদ।সম্পদ
সংরক্ষণের জন্য,মূল্যায়নের জন্য।
পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ
হলো সতি স্ত্রী।
--আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)
থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ মহানবী (সাঃ)
বলেছেন, পৃথিবী একটি সম্পদ,আর
পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হল
সতী নারী।(মুসলিম)।
অর্থ্যাৎ পুরুষের জন্য নারী হলো সম্পদ,শুধু
পুরুষের জন্য নয় পৃথিবীর মূল্যবান সম্পদ
হচ্ছে সতী নারী।
~~আর পুরুষের জন্য যেমন
নারী সম্পদ,তেমনি নারীর জন্যও পুরুষ
সম্পদ।মহান আল্লহ নারী ও পুরুষের
প্রকৃতি আলাদা করেন নি।
কুরআনে আছে- তিনি (আল্লহ)
আসমানসমূহ ও জমিনের
স্রষ্টা,তিনি তোমাদের মধ্য থেকেই
তোমাদের জন্য
জোড়া সৃষ্টি করেছেন।(সূরা আশ
শূরা ১১)
নর-নারীর মাঝে কোনো প্রকৃতিগত
পার্থক্য আল্লহ রাখলেন না।আর পুরুষও
নারীর জন্য সম্পদ।নিচের আয়াত
দ্বারা তা পরিষ্কার হবে,ইনশা আল্লহ।
"তারা তোমাদের পোশাক
এবং তোমরাও তাদের
পোশাক।"(২:১৮৭)
// এখানে লক্ষনীয় বিষয়
হলো পোশাকও কিন্তু পণ্য বা সম্পদ।
নারী যদি পুরুষের পোশাক তথা সম্পদ
হয়,তাহলে আয়াতটি স্পষ্ট করে পুরুষদের
চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন
যে,তারাও নারীর কাছে সম্পদ।
আলহামদুলিল্লাহ,কেস ডিসমিস। //
[২] এবার ইসলাম কি পুরুষদের অবাধ
যৌনাচারের সুযোগ দেয়?
=উত্তর পানির মতো পরিষ্কার,"না"।(
২:২২৩) আয়াতটি সঙ্গমের
তড়িকা জানানোর উদ্দেশ্য নাযিল
হয়েছিল।পিছন দিয়ে সংগম
করলে টেরা সন্তান হবে এমন
কুসংস্কার ছিল তৎকালীন সময়ে।এ
কথার খন্ডনে আয়াতটি নাযিল হয়।
এখানে পুরুষদের অবাধ অধিকার
দেওয়া হয়নি।উক্ত আয়াতের
প্রেক্ষিতে একটা হাদিস রয়েছে।
--রাসূল (সাঃ) কে এক
ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেনঃ"
আমরা আমাদের স্ত্রীদের নিকট
কিরুপে আসবো এবং কিরুপে ছাড়বো?
উত্তরে তিনি বলেনঃ "তারা তোমাদের
ক্ষেত বিশেষ,যেভাবেই চাও এসো।
হাঁ,তবে তাদের মুখের
উপরে মেরো না,তাদের মন্দ
বলো না,ক্রোধ বশতঃ তাদের
হতে পৃথক হয়ে যেও না,একই
ঘরে অবস্থান কর।(আহমদ ও সুনান)
এখানে কোথায় অবাধ
স্বাধিনতা দিলেন,বরং স্ত্রীদের
সাথে ব্যবহারের নিখাদ
তড়িকা শিখিয়ে দিলেন।
--আর অভিযোগ
করা হাদিসটিতে স্ত্রী যদি স্বামীর
ডাকে সাড়া না দেয়,তারপর ইসলাম
স্বামীকে কি জোর করে তার
অধিকার আদায়ের নির্দেশ দিচ্ছে?
না,এমন নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না।
বরং জোর করে অধিকার আদায়
করা হারাম।
কুরআনে আছে-" হে বিশ্বাসীগণ!
তোমাদের জন্য নারীদের জোর
করে অধিকারভুক্ত করা যায়েজ
নেই।"(সূরা নিসা,১৯)।
তারপরও ইসলাম যদি পুরুষদের অবাধ যৌন
কর্ষণের অধিকার দেয়
তাহলে সংগমে কোনরুপ
বাধা নির্দেশ ইসলামে থাকতো না।
কিন্তু মহিলাদের হায়েয অবস্থায়
সংগম হারাম,রোযা অবস্থায়
হারাম,মলদ্বারে সংগম হারাম
আরো অনেক বিধি নিষেধ।
১) ইবনু আব্বাস (রাঃ), আবু
হুরাইয়া (রাঃ) হতে মাসিক অবস্থায়
সংগম হারাম সম্পর্কে সহি হাদিস
রয়েছে।(তিরমিযী,মুসলিম)
২) স্ত্রীর মলদ্বারে সংগম হারাম।আবু
হুরাইয়া (রাঃ)
থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসূল
(সাঃ) বলেছেন,যে ব্যক্তি তার
স্ত্রীর মলদ্বারে সংগম
করে সে অভিসপ্ত।(আহমদ)
:::দেখুন অভিযোগ
আনা হাদিসটিতে স্ত্রী অভিসপ্ত আর
স্ত্রীর
মলদ্বারে সংগমে স্বামী অভিসপ্ত।
এখনও কি বলবেন,ইসলাম পুরুষদের অবাধ
যৌন অধিকার দেয়।যদি তাই
হতো তাহলে পুরুষদের যৌন
কর্ষণে কোনো বাধা নিষেধ
থাকতো না।:::
[৩] স্বামীর ডাকে স্ত্রীর
সাড়া না দেওয়ায় স্ত্রীকে কেন
অভিশাপ দেওয়া হবে?
আমি আগেও বলেছি,এখানে স্ত্রীর
কাছে পুরুষদের অধিকার
আদায়ে জোর করার সুযোগ
দেওয়া হয়নি।
উক্ত হাদিসে স্ত্রীদের
এভাবে নসিয়ত করার কারণ
হচ্ছে,স্ত্রী যদি তার স্বামীর
ডাকে না আসে তাহলে সংসারে কলহ
ও বিবাদের সৃষ্টি হবে।স্বামীর চরিত্র
নষ্টের সম্ভাবনা থাকে।বরং পুরুষদের
স্ত্রীর নিকট উত্তম হবার জন্য
বলা হয়েছে।
--ইবনু আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসূল
(সাঃ) বলেছেন,তোমাদের
মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যে তার
স্ত্রীর নিকট সর্বোত্তম। (সহীহ আস
জামে আস সাগীর,হাকিম)
তারপরও ইসলাম এখানে শুধু পুরুষের যৌন
আকাঙ্খা পূরণের জন্য নসিয়ত
করে নি বরং স্ত্রীর অধিকার
আদায়ের জন্যও নির্দেশ দিয়েছে।
এমনকি স্ত্রীর অধিকার আদায়
না করা গোনাহ এবং মুসলিম দল
থেকে বের হয়ে যাওয়ার মতো কঠিন
হাদিসও আছেঃ
--উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ) দাম্পত্য
জীবন বা স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগের
চিন্তা করেন তখন নবী (সাঃ)
তাকে ডেকে পাঠান
এবং বলেন,"উসমান,আমা
কে বৈরাগ্যেরর নির্দেশ
দেওয়া হয়নি,তুমি কি আমার
সুন্নাতকে অপছন্দ করছ? তিনি বলেন,না,
ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি আপনার
সুন্নাতকে অপছন্দ করছি না।রাসূল
(সাঃ) বলেন,আমার সুন্নাতের
মধ্যে রয়েছে যে,
আমি রাতে তাহাজ্জুদ পড়ি আবার
ঘুমাই,ককনো নফল
রোযা রাখি,কখনো রাখি না,বিবাহ
করি,বিবাহ বিচ্ছেদও করি।
যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে অপছন্দ
করে,তার সাথে আমার সম্পর্ক নেই।
(সুনানে দামেরি: কিতাবুন
নিকাহ,নং ২১৬৯)
::: দেখুন নবী (সাঃ) কিভাবে স্ত্রীর
সংসর্গ ত্যাগ অপছন্দ করেছেন
এবং তার সাথে সম্পর্ক না থাকার
কথা বলেছেন।
-- আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাঃ)
হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ)
বলেন,গোনাহ হওয়ার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট
যে,যার খরচ করা তার দ্বায়িত্ব তার
খরচ বহন না করা।(মুসলিম)
অর্থ্যাৎ হক আদায় না করা গোনাহ।
সুতরাং স্ত্রীর হক আদায় না করাও
গোনাহ।
-- তিরমিযীতে আছে স্বামীর উপর
স্ত্রীর অধিকার রয়েছেন,যেমন
রয়েছে স্বামীর।
-- আবু হুরাইয়া (রাঃ) হতে,রাসূল
(সাঃ) বলেন,আমি দু ধরণের দুর্বলের
অধিকার নষ্ট করা হারাম করছি।
তারা হল এতিম ও নারী।(ইবনু মাযা)
স্বামীর
ডাকে স্ত্রী সাড়া না দিলে অপরাধ
যেমন হচ্ছে তেমনি স্ত্রীর
যদি স্বামীর কাছে যৌন
আকাঙ্খা পেশ করে তবে উক্ত হাদিস
মতে তাকে ফিরিয়ে দেওয়াও
গোনাহ হবে।
এবাব বলুন,ইসলাম কিভাবে নারীদের
উপর অবিচার করল?ইসলাম নারীদের
পূর্ণ মর্যাদা দেয়।
নাস্তিকরা নারীদের অধিকারের
জন্য দৃষ্টান্ত মূলক কিছু করেছে এমন নযির
আমার জানা নেই।
খালি সমালোচনায় নারীর
মর্যাদা হাসিল হয় না।
চলবে..........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.