![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্নঃ কুরআনে অনেক জায়গায়
পৃথিবীকে কার্পেট
বা বিছানা বলা হয়েছে।
(১৫:১৯,২০:৫৩,৫০:৪৮,৭১:১৯,৭৮:৬,৭৯:৩০,২:২২)।
অর্থ্যাৎ কুরআন পৃথিবীকে সমতল বলছে।
এটা কুরআনের বৈজ্ঞানিক ভুল।
উত্তরঃ কুরআনে আছে- " এটা ঐ গ্রন্ধ যার
মধ্যে কোন সন্দেহ নেই; আল্লহ ভীরুদের
জন্য এ গ্রন্ধ হিদায়াত বা মুক্তিপথের
দিশারী।(২:২)
কুরআন নিজেই বলছে এ
গ্রন্ধে কোনো সন্দেহ নেই
এবং আমরা মুসলমানরা,কুরআন
নিয়ে কোনো সন্দেহ পোষণ করিও না।
এবং কুরআন এটাও বলছে যে এ গ্রন্ধ আল্লহ
ভীরুদের জন্য হেদায়াত।তাই
আপনারা যারা সন্দেহ পোষণ করেছেন
কুরআন নিয়ে তাদের উক্ত
বিষয়টি ব্যাখ্যা করার আগে আপনাদের
দুইটি স্বীকার্য মেনে নিতে হবে।যেমন
কোনো মডেল
কিংবা প্রস্তাবনা প্রদানের
পূর্বে যেমন কিছু স্বীকার্য
মেনে নিতে হয় ঠিক তেমনি এখানেও
কিছু স্বীকার্য আপনাদের মানতে হবে।
আপনি যদি মনে করেন আপনি কেবল
কুরআনের বিরোধীতায়
করবেন,তাহলে আপনার পক্ষে সঠিক তথ্য
জানা সম্ভব নয়।আপনাকে নিরপেক্ষ
হতে হবে।তাই নিচে দেওয়া স্বীকার্য
গুলো মেনে পোষ্টটি পড়ুন।
১| কুরআন সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লহর বাণী
২| কুরআনে কোনরূপ ভুল
ত্রুটি থাকতে পারে না।
%স্বীকার্য দুইটি অন্তত কিছুক্ষণের জন্য
মেনে নিন।%
এবার মূল বক্তব্যে আসি।উল্লিখিত বিষয়
সম্পর্কে কোরআনের কিছু আয়াত উল্লেখ
করছিঃ
"আল্লাহ তালা তোমাদের জন্য
ভূমিকে করেছেন বিছানা,
যাতে তোমরা চলাফেরা কর প্রশস্ত
পথে।(৭১:১৯)
আমরা কি পৃথিবীকে পাতানো-
বিছানা-রূপে বানায়নি,আর পাহাড়-
পর্বতকে খুটিরূপে?(৭৮:৬-৭)
"যিনি তোমাদের জন্য
যমীনকে করেছেন
শয্যা এবং আকাশকে ছাদ রূপে"(২:২২)
আয়াতগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়
যে,বিছানা কিংবা বিছিয়ে
দিয়েছি ইত্যাদির পরে মহান আল্লহ
কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।যেমন-কোথাও
হরেক রকমের জিনিস উৎপন্নের
কথা বলেছেন,কোথাও
গন্তব্যস্থানে পৌছাতে পারার
কথা বলেছেন আবার কোথাও
চারণভূমিও বলা হয়েছেন।কিন্তু কারণ
হিসেবে কোথাও পৃথিবী সমতল এরুপ
বলা হয়নি।এ আয়াত যে সমতল
পৃথিবী বোঝায় না তা আমরা একটু
পরে দেখব।সত্যি বলতে কুরআনে পৃথিবীর
আকৃতি সম্পর্কে যে সুনির্দিষ্ট
ব্যাখ্যা রয়েছে তা অন্য কোন
ধর্মগ্রন্থে নেই।
আগে বিছানা বা শয্যা বলার আসল
কারণ,এর পিছনে কি বিজ্ঞান
আছে আসুন তা দেখে আসি~~~
%% আমরা জানি পৃথিবীর মধ্যভাগ বসবাস
ও ফসল উৎপাদনের জন্য উপযোগী নয়।
বিছানা হলো আরামদায়ক স্থান।
এবং আমরা জানি,পৃথিবীর লেয়ারের
মধ্যে সবচেয়ে উপরে হচ্ছে -ক্রাস্ট।এটিই
পাতলা আস্তরণ। এর আয়তন ৩০ কি.মি. এই
পাতলা আস্তরণের উপরই আমরা বসবাস
করি।পৃথিবীর যত নিচের
দিকে যাওয়া যায় তাপমাত্রা তত
বাড়তে থাকে যা জীবের বসবাসের
উপযোগী নয়।কেবল উপরের স্তরটিই বসবাস
উপযোগী।তাই
কুরআনে পৃথিবীকে বিছানা বলা
হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে এফ জেড করিমের-
"কোরআন পৃথিবী এবং বিজ্ঞান"
বইটি পড়তে পারেন। %%
® এখন এই আয়াতটি যে, পৃথিবী সমতল;
তা বোঝায় না তার ব্যাখ্যার কিছু
যুক্তি মহান আল্লহ আমাকে বোঝার
তৌফিক দিয়েছেন।এ
সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে কিছু বিষয়
আমার সামনে উপস্থিত
হয়েছে তা আমি আপনাদের
সামনে পেশ করছি।আমি আপনাদের
পাঁচটি যুক্তি দেবঃ
[১] সূরা নাবার ৬-৭
আয়াতে বলা হয়েছে-"আমি কি
পৃথিবীকে বিছানা করিনি এবং
পর্বতমালাকে পেরেক?
♪♪এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করুন।
পৃথিবীকে বিছানা উল্লেখ করে মহান
আল্লহ পর্বতকে পেরেক বলছেন।
আমরা জানি,পর্বতমালা পৃথিবী কাঁপা
থেকে রক্ষা করে।"Earth" বইটি বিশ্বের
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব
বিষয়ে ব্যবহৃত প্রাথমিক রেফরেন্স বই।এই
বইয়ের লেখক ফ্রাঙ্ক প্রেস বর্ণনা দেন
যে,পাহাড়
পর্বতমালা পেরেকাকৃতি এবং এগুলো
অবিভক্ত বস্তুর ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।যার মূল
ভুপৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে নীচ পর্যন্ত
দৃঢ়ভাবে বিস্তৃত।যা পৃথিবীকে সুস্থির
রাখতে পাহাড়-পর্বত গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
কোরআনও আমাদের একই দিকে ইঙ্গিত
দেয়।♪♪
কুরআনে আছে-
"আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা রেখে
দিয়েছি যাতে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে।
" (সূরা আম্বিয়া:৩১)
→→→ এখন আপনাদের
কাছে প্রশ্ন,পৃথিবী যদি সমতল প্লেটের
মতো হতো তাহলে কি পৃথিবীর
নড়াচড়ার কোনো কারণ ছিল?
বরং পৃথিবীর সমতল আকারই
তাকে সুস্থির রাখত।পৃথিবী সমতল
হলে এর প্রত্যেকটি লেয়ার একে অপরের
সাথে সুস্থির থাকত।এর জন্য
কোনো পেরেকের প্রয়োজন হতো না।
একবার সমতল এবং গোলাকার
পৃথিবী কল্পনা করুন।দেখবেন ----
পৃথিবী যদি গোলকার হতো তাহলেই এর
উপরের ক্রাস্টটি নড়াচড়ার
সম্ভাবনা থাকে,কিন্তু
পৃথিবী যদি সমতল হয় তাহলে এর উপরের
লেয়ার নড়াচড়ার কোনো কারণ নেই।
পৃথিবীর সমতল আকৃতিই কিন্তু
তাকে স্থির রাখত।বরং পৃথিবী সমতল
হলে তাতে পাহাড় স্থাপন
করলে তা পৃথিবীর নড়াচড়ার কারণ
হতো।কিন্তু কুরআন বলছে তার উল্টো।
সত্যি বলতে উক্ত আয়াতটি পৃথিবীর
সঠিক আকৃতিরই ইঙ্গিত দেয়।
আল্লহ কিন্তু এই বিষয়টি খুব
সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। >>
[২] এবার আরেকটি আয়াতের মাধ্যমেও
যুক্তিটি প্রমাণ করা যায়।
সূরা বাকারাহ্ এর ২২ আয়াতে আল্লহ
তালা বলেন, " যিনি তোমাদের জন্য
যমিনকে করেছেন
শয্যা এবং আকাশকে ছাদরূপে।"(২:২২)
পৃথিবীকে ছাদ বলার কারণ
তো জানা গেল এখন আকাশকে ছাদ
বলার কারণটা একটু বলিঃ
আকাশ(sky) বলতে কি বোঝায় আগে একটু
দেখি→
দেখুনঃ en.wikipedia.org/sky
<< The sky is everything that lies above the surface
of earth,including the atmosphere and outer space
অর্থ্যাৎ আকাশ হলো ভূপৃষ্ঠ
থেকে দেখতে পাওয়া বায়ুমন্ডল
বা মহাশূন্যের অংশবিশেষ। >>
এবং আমরা জানি বায়ুমন্ডল আমাদের
সূর্য থেকে আসা অনেক ক্ষতিকর
রশ্মি থেকে রক্ষা করে।এজন্য
কুরআনে আকাশকে ছাদ বলা হয়েছে।এখন
আবার এটা বলবেন না তো আকাশও
সমতল।যাই হোক মহান আল্লহ এ
বিষয়ে অধিক অবগত।
এখানে আমি অমুসলিমদের কিছু
বলতে চাই।আপনারা যেহেতু বাহ্যিক
দিক
দিয়ে কুরআনকে ব্যাখ্যা করেন,তাহলে
একবার ভাবুন তো, যমীন যেহেতু
বিছানা এবং আকাশ যেহেতু
ছাদ,সেহেতু তাদের
মধ্যে কাঠামো পূর্ণের জন্য কোনো স্তম্ভ
বা পিলারের তো প্রয়োজন
যা হিন্দুধর্মগ্রন্থ এবং খ্রিষ্টানধর্মগ্রন্থ
আছে।
#হিন্দুধর্মঃ গরু আকাশকে ধরে রেখেছে।
(যজুর্বেদ:৪:৩০)
---এবং খ্রিষ্টানধর্ম
তো পৃথিবীকে সমতল বলার
পাশাপাশি পৃথিবীকে শক্ত স্তম্ভের
উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।(Psalm 104:5)
@@ তবে আলহামদুলিল্লাহ কুরআনে এমন
কোনো আজগুবি কথা বলা নেই। @@
[৩] পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার নয়।উপর ও
নিচের
দিকে কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ
স্ফিত।এই স্ফীতির কারণেই বিষুব
অঞ্চলীয় ব্যাস মেরু অঞ্চলীয় ব্যাসের
তুলনায় প্রায় ২৩ কি.মি. বেশি।পৃথিবীর
এই স্ফীতির কারণ হচ্ছে পৃথিবীর নিজ
অক্ষের উপর ঘূর্ণন।যা পৃথিবী সমতল
হলে হতো না।এবং পৃথিবীর এ ঘূর্ণনের
কথা কুরআনেও বলা হয়েছে-
"তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন
এবং সূর্য ও চন্দ্র।সবাই আপন আপন
কক্ষপথে বিচরণ করে।(সূরা আম্বিয়া:৩৩)
---তাহলে একবার ভেবে দেখুন কোরআন
কিভাবে পৃথিবীর গোল হবার মূল
বিষয়গুলোকে সমর্থন করে।এ
বিষয়গুলো কি ১৪০০ বছর পূর্বে কেউ
জানত??
[৪] পৃথিবী সমতল হলে দিন
রাত্রি পরিবর্তনে ব্যঘাত দেখা দিত।
আকস্মিকভাবে দিন রাত্রির পরিবর্তন
হয়ে যেত; কিন্তু কুরআনে দিন-
রাত্রি পরিবর্তন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট
ব্যাখ্যা রয়েছে।(সূরা লুকমান:২৯)
আরো অনেক আয়াত রয়েছে।
[৫] সবচেয়ে বড় বিষয় কুরআনে পৃথিবীর
আকার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট
ব্যাখ্যা রয়েছে---
♪♪ কুরআনে আছে- " He made the earth egg-
shaped.(79:30)
"এবং আল্লহ
পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতি করে তৈরী
করেছেন।"
এখানে "দা-হাহা" শব্দটির দুইটি অর্থ
আছে।প্রথমটি হলো উটপাখির ডিম
যা "দহিয়া" থেকে উৎপত্তি।আর
একটি অর্থ হচ্ছে "বিস্তৃত করা"।
প্রথমে উটপাখির ডিম
অর্থটি নিয়ে বলিঃ
এখানে ডিমের আকার এবং পৃথিবীর
আকারের সাদৃশ্যটাই মূল।ডিম আর
পৃথিবী কিন্তু এক জিনিস নয়।তবুও এদের
মধ্যে কিছু সাদৃশ্য রয়েছে যেমন ডিমের
কয়েকটি স্তর আছে(শেল,নিচের
পাতলা স্তর,সাদা তরল পদার্থের স্তর,হলুদ
তরল পদার্থের স্তর,ইত্যাদি)।ঠিক
তেমনি পৃথিবীর কয়েকটি স্তর
রয়েছে(crust,mantle,innercore,outercore)।
তাছাড়া আরো অনেক আয়াত
আছে যা পৃথিবীর সঠিক আকার উল্লেখ
করে।(৮৪:৩,৭০:৪০,যুমার ৫,আরাফ ৫৪)
ইত্যাদি।
এবার আসি "বিস্তৃত করা" অর্থটা নিয়ে।
চারপাশে তাকালে পৃথিবীকে সমতল
মনে হয়।কারণ পৃথিবী এত বড় গোলক
যা নির্দিষ্ট কোন স্থান থেকে সমতলই
মনে হয়।বিজ্ঞানের
যে পরীক্ষা গুলোতে পৃথিবীর ছোট
কোনো অংশ বিবেচনা করা হয়
সেখানে কিন্তু সমতলই ধরা হয়। তবে বৃহৎ
দুরত্বে অবশ্যই গোলাকার। আর পৃথিবীর
সমস্ত জায়গায় কিন্তু মানুষ বসবাস করেও
না,বসবাস করার উপযোগীও নয়।
তাছাড়া পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিণ
এর ব্যাস ১২৭০৯এবং পূর্ব
থেকে পশ্চিমে এর ব্যাস ১২৭৭৫২ এক
বিরাট বিস্তৃত দুরত্ব।এর আয়তন ১৯
কোটি ২০ লক্ষ বর্গমাইল
এবং পরিধি ২৫০০০ মাইল।এ বিশাল
জায়গাকে দেখলে বিস্তৃতই মনে হয়।
এটা পৃথিবী সমতল প্রমাণ করে না।
তবে আমরা তো দেখলাম দা-
হাহা শব্দের দুটো অর্থই বিশুদ্ধ।
আপনাকে মনে রাখতে হবে যে,কুরআন
কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট কোনো সময়
এবং গোষ্ঠীর জন্য আসি নি,কুরআন সমস্ত
মানব জাতির জন্য এসেছে।ইনজিল যেমন
কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছিল,
কুরআন কিন্তু তা নয়।কুরআন
নিয়ে গবেষণা এবং আল্লহর
সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করা আল্লহরই হুকুম।
তাই কুরআনের কোনো আয়াতের
সমসাময়িক যতগুলো শুদ্ধ অর্থ হবে সবগুলোই
আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।
আপনি একটা গ্রহণ করে আরেকটা বাদ
দিতে পারেন না।কুরআন সকল
মানবজাতির জন্য,সকল সময়ের মানুষের
জন্য।"দা-হাহা শব্দের অর্থ উটপাখির
ডিম এটাও আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।
তাই বলা যায় কুরআনে পৃথিবীর আকার
সম্পর্কে কোনো ভুল তথ্য দেওয়া নেই।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হচ্ছে কুরআনে পৃথিবীর আকার
সম্পর্কে যে ধারণা দেওয়া হয়েছে "
নাসা" তার সত্য সমর্থন করেছে।
দেখুনঃ
http://newsrescue.com/the-earth-is-egg-shaped-
nasa-validates-quran-ancient-scripture/
#axzz3KJWs5Vnh
"সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত
হয়েছে।নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই
ছিল।"
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
নতুন বলেছেন: আরেকটা প্রশ্ন নাস্তিকরা করে থাকে...
রাসুলের আঙ্গুলের ইসারায় চাদ দুই খন্ড হয়েছিলো.... এটার বৈঙানিক ব্যখ্যা কি?