নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উল্লেখযোগ্য বিশেষ কোন গুনাগুন নেই। ফুলটাইম ভবঘুরে, সুযোগ পেলে পরজনমে রাখাল হয়ে জন্মাবার আবেদন করতাম।

রুদ্র রাখাল

শুন্য থেকে জমিন সবই প্রাপ্তির খাতা

রুদ্র রাখাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৈশাচিক !!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০২

সকাল থেকে উনি কোনো কথা বলতে পারতেছিল না। হঠাৎ কইরা আমারে ডাইকা বলল, আমি আর পাঁচ মিনিট আছি। মুখে একটু পানি দে। ঠোঁট ফাঁক করে পানি মুখে ঢালতে না ঢালতেই মারা যান তিনি'
হ্যাঁ বাবুল চলে গেছেন, মানুষ আর পুলিশের মধ্যে পার্থক্যটা ববুঝিয়ে, সভ্যতা নামের একটা ভেঙ্কি থেকে অসভ্য কিছু মানুষরূপী মহা জানোয়ারদের বর্বরতা যে কতটা নিচে নেমেছে, "মুখোশ সভ্যতার" তথাকথিক সভ্যদের বুঝিয়ে। চাঁদা না দেয়ায় একটা মানুষকে জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে মেরে দেবে এরা!!!
বাবুলের অপরাধ !!! 'এখানে দোকান দিছ কার অর্ডারে। আমাগো টাকা দে।”
তহন আমার স্বামী কয়, আমি কর্ম কইরা খাই, তোমাগো কিসের টাকা দিমু। আমার বউ অসুস্থ, টাকার অভাবে হ্যার লইগ্যা ওষুধ কিনতে পারি না। তহন ফরমাররা লাডি দিয়া আমার স্বামীরে মারে। লাথি মাইরা স্টোভের ওপর ফালাইয়া দেয়। আমি বালতি দিয়া হ্যার শরীরের আগুন নিভাইতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পায়ে ধইরা কানলাম। কিন্তু পুলিশ তামশা দেখছিল। চিল্লাইতে চিল্লাইতে রাস্তার মাথা পর্যন্ত গ্যালে পুলিশ ও ফরমার চইল্যা যায়। ততক্ষণে আমার স্বামীর পুরা শরীর পুইড়া গেছে। পরে আশপাশের মানুষ বালি ছিডাইয়া আগুন নিভায়। আগুন ধইরা গ্যালে গায়ের জ্যাকেট, শার্ট-লুঙ্গি ও প্যান্ট সব ছাই অইয়া শরীর পুইড়া যায়। তহন তার পরনে আর কিছু ছেল না।’
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মণ্ডল দাবি করেন, "চায়ের দোকানের আড়ালে বাবুল গাঁজার ব্যবসা করতেন।" তাঁর বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় চার-পাঁচটির মতো মাদকের মামলা আছে।
বাবুলকে একবার পুলিশ আটক করেছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। এর আড়ালে তিনি "মাদকের ব্যবসা করতেন কি না, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।" তবে দুই বছর ধরে তিনি চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।"
ধরেই নিলাম, বাবুল চায়ের দোকানের আড়ালে "গাঁজা ব্যাবসা "করতেন। কিন্তু চাঁদা নিয়ে সে ব্যাবসার সুযোগ কে তৈরি করে দিয়েছে? গাঁজার ব্যবসা করার অপরাধে তাকে পুড়িয়ে মারতে হবে? ধিক এই অসভ্য জানোয়ার কুলাঙ্গারদের। আমি লজ্জিত, ব্যাথিত........................।
কার কাছে বিচার চাইবে বাবুল!! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বজন হারানোর যে কত বেদনা আপনি জানেন। প্লিজ, বিচার করুন এই পিশাচদের। রোধ করুন, টেনে ধরুন এদের পৈশাচিকতার লাগাম। ভেবে দেখুন একবার, পুলিশে কারা চাকরি করে! নৈতিকতার কতটা অবক্ষয় হয়েছে এদের। পুলিশে মানুষ নিয়োগ করুন, আর এসব নর পিশাচদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করুন। নয়ত কান্না থামবেই না অসহায় এসব মুখগুলোর

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: চোখের পানিও শুকিয়ে যায় নৃশংসতার গল্প শুনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.