নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ

প্রকৃতির প্রতিফলন

সদা সত্যের সঙ্গে আছি।

প্রকৃতির প্রতিফলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা তাদের মেয়েকে বেপর্দা করে প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে, আর হাজার হাজার পুরুষ তা দেখে উপভোগ করছে তাদের সকলকেই কিয়ামতের দিন জবাব দিহি করতে হবে!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

আজকে যারা নিজেদের স্ত্রী ও কন্যা সন্তানদের অর্ধ উলংগ করে পহেলা বৈশাখ পালন করতে গিয়েছিলেন দয়া করে একবার এই হাদীসটা পড়ে নেনঃ



রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেনঃ

১. যে মদ তৈরী করে।

২. যে মাতা-পিতার নাফরমানী করে এবং

৩. "দাইয়ুস" (যে তার পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়)।

[মুসনাদে আহমাদঃ ৫৮৩৯



***"দাইয়ুস" বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে, যে তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা অশ্লীল কাজ বা ব্যভিচার করলে সে ভাল মনে করে গ্রহণ করে অথবা প্রতিবাদ না করে চুপ থাকে। উপরের হাদিসটির ব্যাখ্যা ব্যাপক। এখানে মুল বিষয় হল ফাহেশা বা অশ্লীলতা। যে তার নিজ ঘরে ইসলাম অনুশাসনে শিথিলতা করে, মেয়েদের পর্দা করতে উৎসাহ দেয় না, আদেশ করেনা, ঘরে সিনেমা, গান-বাজনা দিব্যি চলে, এর কোন প্রতিবাদ করে না; যে এই রকম সকল শরীয়াহ বিরোধী অশ্লীলতাকে মেনে নেয় - সেই হল 'দাইয়ুস'।



রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” (বুখারী : ৮৯৩; মুসলিম: ১৮২৯)







মুসিলম, সাবধান হও! তোমাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছ:

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

إِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ كِرَامًا كَاتِبِينَ يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ

অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। - সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। - তারা জানে যা তোমরা কর। (সূরা ইনফিতার: ১০, ১১ ও ১২)





আল্লাহ্‌কে ভয় কর।

আল্লাহ্‌ ভীতিই মুসলমানের জন্য শেষ্ঠ পাথেয়।



আল্লাহ্‌ তা'আলা ইরশাদ করেন,

"আল্লাহ্‌ ভীতিই মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ পাথেয়। অতএব হে বুদ্ধিমান মানুষেরা তোমরা আমাকেই ভয় করো" (সূরা বাক্বারাঃ ১৯৭)



আল্লাহ্‌ তা'আলা সফলতা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে আল্লাহ্‌ ভীতি অবলম্বনের নির্দেশ দেন।



সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ নির্দেশ দেনঃ

"আর আমাকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো" (সূরা বাক্বারাঃ ১৮৯)

এছাড়াও আরো অনেক আয়াতে মহান আল্লাহ্‌ মুসলিমদেরকে "আল্লাহ্‌ ভীতির" নির্দেশ দিয়েছেন।



মহান আল্লাহ্‌ বলেনঃ

“আর শুভ পরিণাম তো আল্লাহ্‌ভীরুদের জন্যই।”- ( সূরা আল-আ‘রাফ: ১২৮);



আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা আরও বলেছেন:



“আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথসমূহের হিদায়াত দিব। আর নিশ্চয় আল্লাহ মুহসিনদের সঙ্গে আছেন।” - (সূরা আল-‘আনকাবুত: ৬৯)।





তাই আসুন আমরা তওবা করি। মৃত্যু কখন এসে যায় বলা যায় না। তাই আসুন মৃত্যু আসার পূর্বেই তওবা করি। সৎ জীবন-যাপন করি। একবার মৃত্যু যন্ত্রণা উপস্থিত হলে আর তওবা করার সুযোগ থাকবে না ।

মহান আল্লাহ্‌ বলেনঃ

"যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। (সুরা ফুরকানঃ ৬৮-৭০)

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

মদন বলেছেন: দায়ুস কখনও জান্নাতে যাবে না :(

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

মোঃ এনামুল কবীর বলেছেন: খুবই সুন্দর পোস্ট বলার অপেক্ষা রাখেনা । তবে ভাই আমার একটা প্রশ্ন ছিল, যদি কোন কারনে তার স্ত্রী, সন্তানদের বুঝানোর পরও যদি তারা সে মোতাবেক না চলে তাহলে করনীয় কি? বা এর দায়ভার তখন কে নিবে? যদি সম্ভব হয় উত্তরটা শরিয়ত অনুযায়ী দেয়ার চ্ষ্টো করবেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তরটা ঐ হাদিসেই দেয়া আছে।

আল্লাহ্‌সুবানাহুতায়ালা আপনাকে কিয়ামতের দিন যখন প্রশ্ন করবেন তখন যদি আপনি আপনার দায়িত্বে অবহেলা না করেন তবে আল্লাহ্‌কে বলবেন আমি তো অবহেলা করিনি। আর যদি অবহেলা করে থাকেন তাহলে আর কি বলব. . . .।

আল্লাহ্‌ ভীতিই মুসলমানের জন্য শেষ্ঠ পাথেয়।

আল্লাহ্‌ তা'আলা ইরশাদ করেন,
"আল্লাহ্‌ ভীতিই মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ পাথেয়। অতএব হে বুদ্ধিমান মানুষেরা তোমরা আমাকেই ভয় করো" (সূরা বাক্বারাঃ ১৯৭)

আল্লাহ্‌ তা'আলা সফলতা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে আল্লাহ্‌ ভীতি অবলম্বনের নির্দেশ দেন।

সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ নির্দেশ দেনঃ
"আর আমাকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো" (সূরা বাক্বারাঃ ১৮৯)


আর দ্বিতীয় কথা হল একটি পরিবারের প্রধান কেন তার অধীনস্থদের নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না? তাহলে এটা কি তার অযোগ্যতা নয়?
আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে নারী নেতৃত্ব ঢুকে গেছে। পরিবারের প্রধান আল্লাহ্‌ আদেশ অনুযায়ী হওয়া উচিৎ ছিল পুরুষের। কিন্তু সেই অযোগ্য পুরুষ নারীকে নেতৃত্ব দিয়ে দিয়েছে। সে ভেবেছে দেশের প্রধান-ই যখন নারী তখন পরিবারে কেন নয়?


রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন -
"সেই জাতি কোনোদিন সফলকাম হতে পারবেনা যারা তাদের শাসনক্ষমতা একজন নারীর হাতে দেয়।"
[সহীহ বুখারী, ১০ম খন্ড, ফিতনা অধ্যায়, হাদীস নং-৬৬২৮।]


আল্লাহ্‌ নারীকে প্রহার করার যে হুকুম দিয়েছেন আমাদের দেশের মূর্খ মুসলিমরা তা অপব্যাবহার করে। আল্লাহ্‌ তায়ালা নারীকে প্রহার করার হুকুম শুধুমাত্র শরিয়তের আদেশ-নিষেধ পালনে ভয় দেখানোর জন্যই দিয়েছেন।

নিজের ব্যক্তিগত কোন প্রয়োজনে প্রহার করা গুরুতর পাপ।
যেমনঃ তরকারীতে লবন বেশি হয়েছে, তারে মশারী টাঙ্গাতে ভুলে গেছে এজন্য আপনি তাকে প্রহার করতে পারবেন না। এটা গুরুতর পাপ।

শুধুমাত্র শরিয়তের আদেশ-নিষেধ পালনে ভয় দেখানোর জন্যই প্রহার করতে পারবেন। তাও সেটা অনেক পরে।
প্রথমে তাকে স্নেহ-ভালবাসা দিয়ে বোঝাতে হবে।
কেননা রাসুল (সাঃ ) বলেছেনঃ নারীদেরকে পাজরের বাঁকা হাড় দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই তুমি যদি একে সোজা করতে যাও তবে তুমি তা ভেঙ্গে ফেলবে। তাই তুমি তার সাথে সদাচরণ কর। তাহলে তুমি তার কাছ থেকে সব কাজ-ই আদায় করে নিতে পারবে।"

এই হাদিসে বাঁকা হাড় বলতে যা বোঝানো হয়েছে তা হচ্ছে তাদের প্রকৃতি। অর্থাৎ তাদের প্রকৃতি একটু বাঁকা স্বভাবের। তাই তাকে জোর করে পরিবর্তন করা যাবেনা তাদের সাথে স্নেহ-ভালবাসা দিয়ে, সদাচরণ করে বোঝাতে হবে। তবে তারা সঠিক পথে ফিরে আসবে।

যদি এতেও কাজ না হয় তবে তাদেরকে যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করতে হবে সবচেয়ে উত্তম পন্থায়।
আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেনঃ "আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন সবচেয়ে উত্তম পন্থায়।(সুরা আন নাহলঃ ১২৫)



যদি এরপরেও সে ফিরে না আসে তবে তার সাথে শয্যা ত্যাগ করতে হবে। বেশ কয়েকদিন তার সাথে শয্যা ত্যাগের ফলে তার মনে কিছুটা ভীতির সঞ্চার হতে পারে। সে ভাবতে পারে আমার স্বামী আমাকে তালাক না দিয়ে দেয়। এই ভয়ে সে আল্লাহ্‌ আদেশের দিকে ফিরে আসতে পারে।


যদি এতেও কাজ না হয় তবে তাকে প্রহার করতে হবে। তবে সেটা শর্ত সাপেক্ষ।
১। প্রহারের লাঠি হতে হবে মেসওয়াক সমপরিমাণ ছোট।
২। মুখে প্রহার করা যাবে না।
৩। শরীরের স্পর্শকাতর কোন স্থানে প্রহার করা যাবে না।
৪। প্রহারটা এমন হতে হবে যাতে শরিরে কোন জখম বা দাগ না পরে।
৫। প্রহারের সময় নিজের খেয়াল-খুশিমত প্রহার করবে না। বরং অবশ্যই আল্লাহ্‌ভীতি নিজের মধ্যে রেখে প্রহার করতে হবে। কেননা আল্লাহ্‌ নিকট এই ব্যাপারেও হিসাব দিতে হবে।

অর্থাৎ এই প্রহারের মূল উদ্দেশ তাকে আহত করা নয় বরং ভয় দেখানো।

কিন্তু আমাদের দেশের মূর্খ লোকদের শরীয়াত সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার দরুন তারা বউকে ইচ্ছামত পেটায়, মারাত্মকভাবে আহত করে, জখম করে। এরা মুসলিম নয়, এরা এক বর্বর-জাহিল জাতি।

এদের এই কাজের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: নারীরা কি অর্ধোলংগ হয়ে পহেলা বৈশাখ পালন করে ? আপনার জন্ম কি বাংলাদেশের মাটিতে ? আপনি কি বাংলাদেশের আলো বাতাস খেয়ে বড় হয়েছেন ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১০

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: অর্ধোলংগ বলতে আপনি কি বুঝেন?

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০০

আহমেদ রিজভী বলেছেন: ভাল লাগল । ++++++

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আপনাদের মত তরুণ যারা একটা ঐতিহ্য, একটা সংস্কৃতি পালন করতে আসা শত সহস্র মা, বোন, কন্যাদের নির্দ্বিধায় অর্ধোলং বলতে পারে, তারা মনে হয় সুস্থ না।
সবার আগে নিজের অন্তর কে পরিশুদ্ধ করেন। মানুষকে একটু মানুষ হিসেবে দেখুন, আপনি যে জাতির সন্তান সে জাতির অনুষ্ঠান গুলোকে একটু ভাল মত খেয়াল করুন। বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার স্ত্রী কন্যাকে যদি কেউ আপনার সামনে বলে অসভ্য বজ্জাত শয়তান মেয়ে, আদব লেহাজের কিছু জানে না, আপনার নিশ্চয় ই ভাল লাগবে না। ভাল লাগতে ও পারে অবশ্য। কিন্তু আপনাদের মুখে এসব কথা শুনলে যারা শালীনভাবে একটা ঐতিহ্য কে লালন পালন করতে চায়, তারা বিরক্ত হয়।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১১

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই শালীনতার সংজ্ঞাটা দেবেন কি?

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: @প্রতিবাদীকণ্ঠ০০৭:
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সমন্ধে আপনি কতটুকু জ্ঞাত জানতে ইচ্ছে করছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্ধউলঙ্গ মানে কিন্তু জিন্স আর ব্লাইজ (টি-শার্ট?) পড়ে ঘোরা নয়। অথচ আমেরিকায় বিকিনি পড়লেও তাকে কেউ সহজে অশালীন বলে না।
কাল সকালে শুক্রাবাদ ওভারব্রিজে একদল 'বখাটে' ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে এক প্রেমিক। প্রেমিক সাহেব নাকি প্রেমিকাকে নিয়ে ওভারব্রিজ দিয়ে যাচ্ছিলেন, বখাটেরা প্রেমিকার ছবি তুলেছে!
আমরা ফ্রেন্ডরা এগিয়ে দেলাম। ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়ার অবসরে আমি কয়েকবার সেই প্রেমিকাকে দেখলাম, মনোযোগ দিয়ে। একটা মেয়ের স্তনের বোটা যদি বাইরে থেকে দেখা যায়, আর তথাকথিত বখাটেরা যদি ছবি তোলে, তাহলে আমি সেই ছবি তোলাকে বড় অপরাধ মনে করি না।
তখন আপনি থাকলে দেখতেন, অর্ধউলঙ্গ কাকে বলে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই আপনার মতে অর্ধউলঙ্গ -এর সঠিক সংজ্ঞা কি?

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই আপনার মতে অর্ধউলঙ্গ -এর সঠিক সংজ্ঞা কি?

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ব্লগার মুক্তকন্ঠ,

প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার সাহসী কাজের জন্য। কখনো আমার ও সুযোগ হয়েছিল বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের কে উত্যক্তকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার।
কিন্তু পহেলা বৈশাখে সবাই অর্ধোলংগ হয়ে আছে মানে কি ?

নিশ্চয় ই কোন ভদ্র সুসভ্য মানুষ চাবে না, সে নিজে, তার স্ত্রী, কন্যা, কেউ ই অসভ্য বেশে বাইরে যাবে না। পহেলা বৈশাখে এ পর্যন্ত যত গুলা ছবি দেখলাম তাতে তো কাউকে অর্ধোলংগ দেখলাম না । একারণেই পোস্টের মর্মার্থ বুঝতে পারছি না।

ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রকৃতির প্রতিফলন,

আমার কাছে শালীনতার সংজ্ঞা জানতে চেয়েছেন আপনি।

আমার চোখে আর আপনার চোখে শালীন পোশাক আলাদা হলেও হতে পারে।

কিন্তু একটা বিষয়ে তো একমত না হবার কিছু নাই, যে নারী বা পুরুষ এমন পোশাক পরিধান করে যাতে তাকে দেখে বাকি সবার মনে সম্মান শ্রদ্ধা থাকে। সে যেন অতি সংক্ষিপ্ত উত্তেজক পোশাক পরিধান না করে।

পহেলা বৈশাখে সবাই কি সংক্ষিপ্ত উত্তেজক অমার্জিত পোষাক পড়ে বাইরে গিয়েছিল ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই আমি আপনার কাছে একটি স্পষ্ট উত্তর চাচ্ছি যে একটি মেয়ের কতটুকু অঙ্গ দেখা গেলে তাকে অর্ধনগ্ন বলা যায়?

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২২

মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: @প্রতিবাদীকণ্ঠ০০৭:
আপনার জানা আছে কিনা জানি না, অধিকাংশ ছেলেই তার গার্লফ্রেন্ডকে 'সেক্সি' পোশাকে দেখতে ভালবাসে। বিয়ের পর যদিও এই ধারা বদলে যায়।
কাল কি আপনি বৈশাখী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন? যে মেয়েটা কোনোদিন শাড়ি পড়ে না, কাল সেই মেয়ে কীভাবে শাড়ি পড়েছিল দেখেছেন? শাড়ি পড়ার সেই স্টাইল কি আমাদের মা, দাদি কিংবা নানিদের মতো? শাড়ি পড়া একটা মেয়ের কোমরের কাছে ত্রিভুজাকৃতির সাদা ত্বক কেন উকি দিচ্ছিল, আপনি জিজ্ঞেস করেছেন?
প্রগতিশীল/আধুনিক হওয়া আর নোংরামি করা এক বিষয় না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ইসলামে গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড বলতে কিছু নেই। বিবাহপূর্ব প্রেম সম্পূর্ণ হারাম। আপনি আপনার বিয়ে করে স্ত্রীকে যে কোন সেক্সি পোশাকে দেখতে ভালবাসেন তাকে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপনি চাইলে তাকে ইন্ডিয়ান মডেলদের পোশাকও কিতে দিতে পারেন। তবে আপনার স্ত্রী যেন ঐ পোশাক পরে অন্য কাউকে নিজের সৌন্দর্য না দেখায়। কেননা তার সৌন্দর্য একমাত্র আপনার জন্যই। সে যে পোশাকই পরিধান করুক না কেন তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপনার স্ত্রী যদি শুধু বিকিনিও পরে তাতেও আমাদের কোন আপত্তি নেই। সে আপনার মন জয় করার জন্য আপনাকে বিনদোন দেয়ার জন্য যে কোন পোশাক পরতে পারে তাতে কারো কোন আপত্তি থাকবে না। আপনার স্ত্রীর রূপ-সৌন্দর্য একমাত্র আপনার জন্য। সে তার রূপ-সৌন্দর্য অন্য কারো সামনে প্রদর্শন করার অর্থ কি?


মহান আল্লাহ্‌ আদেশ দিয়েছেনঃ
"যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কু-বাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে। মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। (সুরা আল আহযাবঃ ৩২-৩৩)

"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা আন নুরঃ ৩১)

আর যদি আপনার স্ত্রীর একান্ত কোন প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয় তবে আল্লাহ্‌সুবহানাহূতায়ালা বলেছেনঃ
"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সুরা আল আহজাবঃ ৫৯)

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: প্রিয় মুক্তকন্ঠ,

আপনি যেভাবে দেখেন সেভাবে হয়ত আমি দেখি না, বা হয়ত দেখি স্বীকার করি না।
কে জানে !

আপনি এবগ আপনারা এক প্রেমিক প্রেমিকা জুটিকে বখাটেদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। আপনার কথা সত্য হলে আপনার এই নিকের পেছনে একজন অতি বড় মাপের মানুষের অবস্থান। কাজেই আপনার কথার সাথে আমি একমত। যেকোন একটা পোশাক কে শালীন বা অশালীন ভাবে পড়া যায়।

না, এবারের পহেলা বৈশাখে আমার যাওয়া হয় নাই। একারণে আমার মনটা একটু খারাপ ছিল। আমার খালি মনে পড়ছিল অসংখ্য মানুষের কথা, অসংখ্য বাংলাদেশির কথা, যারা মনের আনন্দে সাজ গোজ করে বর্ষ বরণ করতে চলে আসে, মজা করে। সত্যি বলি আমি কখনোই এর মাঝে অশ্লীল কিছু দেখি নাই।

আমার কাছে বরং মন থেকে প্রাণের আনন্দে একটা নতুন বর্ষকে অভ্যর্থনা জানানোটাকে অনেক সুন্দর, অনেক পবিত্র মনে হয়েছে। ইরানে যা পালন হয় নওরোজ হিসেবে, পাশ্চাত্যে যা পালন হয় নিউ ইয়ার হিসেবে, আমাদের দেশের মানুষ যদি খুশি মনে সেজে গুজে প্রাণ ভরে এ দিনটাকে উপভোগ করতে পারে, তাহলে কি আসলেই তাদের কে অর্ধোলং বলে উপহাস করা উচিত ? এতে কি আসলেই পুণ্য হবে ?

ধন্যবাদ।

হয়ত আমার সাথে আপনার মতে এ জীবনে মিলবে না। তবে আপনার মত সাহসী ভাল কাজ যেন আমাকে আল্লাহ করার আরো সুযোগ দেন, সেই দোয়া করি, একি সাথে আপনার এবং আপনার পরিবার , সেই সাথে লেখক এবং লেখকের পরিবার সবাই যেন ভাল থাকেন, সুস্থ থাকেন এই দোয়াও করি।

আল্লাহ হাফেজ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই আমি আপনার কাছে একটি স্পষ্ট উত্তর চাচ্ছি যে একটি মেয়ের কতটুকু অঙ্গ দেখা গেলে তাকে অর্ধনগ্ন বলা যায়?

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

আহলান বলেছেন: বেলেল্লাপণা বহু হারে বেড়ে গিয়েছে, তাতে কোনোই সন্দেহ নাই। নিজের চোখকে কত সময় সংযত করবেন? তারপরেও সম্ভব হয় না। মানুষ তো .... তাও আবার পুরুষ মানুষ ...... বড়ই মুসিবতে আছি আমরা ....

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

মওদুদ মোমেন মিঠু বলেছেন: মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: ...........প্রগতিশীল/আধুনিক হওয়া আর নোংরামি করা এক বিষয় না।

অনুগ্রহ করে লিংকে দেয়া নগ্নতা বিষয়ক কবিতাটি পড়লে বুঝতে পারবেন প্রগতিশীলতার দোহাই দিয়ে আমারা কিভাবে নগ্নতার দিকে ধাবিত হচ্ছি...
নগ্নতার নগর সংস্করন ও বিতাড়িত

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

এ জাফর বলেছেন: প্রতিবাদী কন্ঠ কেন ক্ষেপে যাচ্ছেন তা বুঝতে পারছি না। লেখক বলেছেন "যারা তাদের মেয়েকে বেপর্দা করে প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে, আর হাজার হাজার পুরুষ তা দেখে উপভোগ করছে তাদের সকলকেই কিয়ামতের দিন জবাব দিহি করতে হবে! আমি মনে করি শুধু যারা ঐ অবস্থায় বের হয়েছেন কেবল তারাই উপরোক্ত হাদীসের আওতায় পড়ব্নে। এখানে লেখক সবাইকে বলেননি। আর আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে যে যদি আমরা মুসলিম হই তাহলে আমাদেরকে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে হবে। এতে লোকজন আমাকে সেকেলে, ধর্মান্ধ বা অন্য কিছু বলুক তাতে কিছুই যায় আসে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাল কথা বলেছেন।

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টের জন্য ।

মেয়েদের যদি সতর্ক করা না হয় বা বুঝ না থাকে মেয়েরা যে কি করে - তা পাশ্চাত্যের দিকে তাকালেই বুঝা যায় ।

পাশ্চাত্যে মেয়েদের কোন লজ্জ্বা নেই বরং ছেলেদেরই লজ্জ্বা করতে হয় ।

আপনি আমি যদি আমাদের মেয়েদের এরূপ না বানাতে চাই - তাহলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে । না হয় -- এর পরিণাম ভোগ করতে হবে - ইহকালে এবং পরকালে ।

১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

নাওেয়দ বলেছেন: একেই বলে অবাধ মেলামেশা

১৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

নাওেয়দ বলেছেন: প্রতিবাদী ভাই, 'না' বলাটা খুব সহজ। নিজে করাটা খুব কঠিন। যে যেই ধর্মেরই হোক (হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ....) না কেন, তাকে তার আইডিওলোজি প্রকাশ করতে দেন। আপনার আপত্তি থাকলে আরেকটা পোস্ট করে আপনার আইডিওলজি প্রকাশ করতে পারেন। খামাখা ঝগড়া করেন কেন ভাই?

ঝগড়া করে কেউ কারও আইডিওলজি বদলাইতে পারে না।

১৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

মুঘল সম্রাট বলেছেন: খুব সুন্দর ও সময়োচিত পোস্ট। আমরা যদি আমাদের জাতির সংস্কৃতির নামে বেলাল্লাপনা করি তাহলে অবশ্যই এর পরিনতি হবে ভয়াবহ উভয় জাহানে।

আল্লাহ্ সর্ব শক্তিমান।

১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: মানুষ যখন ক্লান্ত রাজনৈতিক কারণ সেখানে জীবনের একটি দিন মন খুলে উপভোগ করা ইসলাম কখনো হারাম বলে নাই সবাই ঐশ্বর্য রাষ্টের জন্য করছে আমাদের বাংলা ভাষার জন্ম থেকেই চলছে জাতীয় মাছ,ইলিশ ফুল শাপলা পাখি দোয়েল বছরের প্রথম বৈশাখ । সেটা কি অস্বীকার করা যাবে ? আরব আমাদের থেকেও খোলা মেলা চলা পিরা করে ।দেশিয় পোশাকে আমাদের মায়েরা ভালই দেখাচ্ছিলো এখানে আপত্তির কি থাকতে পারে ?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: "মানুষ যখন ক্লান্ত রাজনৈতিক কারণ সেখানে জীবনের একটি দিন মন খুলে উপভোগ করা ইসলাম কখনো হারাম বলে নাই। "
আপনার এই কথাটির দলিল দিন।


ভাই আমি আপনাকে অনুরোধ করি-ইসলাম সম্পর্কে ভাল ভাবে না জেনে মন্তব্য করবেন না।

২০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

এ জাফর বলেছেন: দেশীয় পোশাকেই অনেকে শালীন ভাবে চলাফেরা করেন আবার অনেকেই অশালীন। যদি কোন মেয়েকে শালীন পোশাকে দেখি তখন মন থেকেই একটি শ্রদ্বা চলে আসে যে নিশ্চয়ই মেয়েটি কোন ভালো ঘরের। আর যদি কাউকে অশালীন পোশাকে দেখি তাহলে এমনিতেই ঘৃনার উদ্রেক হয়। আমাদের সকলের উচিত আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারন করা। প্রগতির নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি বর্জন করা।

২১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

দিশার বলেছেন: শালীন অসলীন এর সংগা কি আপনার কাছে? প্লিজ অন্য কোন দেশ য়ে যাবেন না বেড়াতে, তাহলে অনেক কে ঘৃনা করবেন। তারাও আপনাকে ঘৃনা করবে কুত্সিত মানসিকতার জন্য .

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২২

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: আমার কাছে শালীনতার কোন ব্যক্তিগত সংজ্ঞা নেই।
আল্লাহ্‌সুবানাহুতায়ালা যেটাকে শালীন বলেছেন সেটাকে শালীন বলেই জানি এবং মানি।
আর তিনি যেটাকে অশালীন বলেছেন সেটাকেও অশালীন বলেই জানি এবং মানি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই আপনি আপনার বিয়ে করা স্ত্রীকে যে কোন সেক্সি পোশাকে দেখতে ভালবাসেন তাকে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপনি চাইলে তাকে ইন্ডিয়ান মডেলদের পোশাকও কিতে দিতে পারেন। তবে আপনার স্ত্রী যেন ঐ পোশাক পরে অন্য কাউকে নিজের সৌন্দর্য না দেখায়। কেননা তার সৌন্দর্য একমাত্র আপনার জন্যই। সে যে পোশাকই পরিধান করুক না কেন তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপনার স্ত্রী যদি শুধু বিকিনিও পরে তাতেও আমাদের কোন আপত্তি নেই। সে আপনার মন জয় করার জন্য আপনাকে বিনদোন দেয়ার জন্য যে কোন পোশাক পরতে পারে তাতে কারো কোন আপত্তি থাকবে না। আপনার স্ত্রীর রূপ-সৌন্দর্য একমাত্র আপনার জন্য। সে তার রূপ-সৌন্দর্য অন্য কারো সামনে প্রদর্শন করার অর্থ কি?


মহান আল্লাহ্‌ আদেশ দিয়েছেনঃ
"যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কু-বাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে। মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। (সুরা আল আহযাবঃ ৩২-৩৩)

"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা আন নুরঃ ৩১)

আর যদি আপনার স্ত্রীর একান্ত কোন প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয় তবে আল্লাহ্‌সুবহানাহূতায়ালা বলেছেনঃ
"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সুরা আল আহজাবঃ ৫৯)

২২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

কোবা সামসু বলেছেন: @দিশার আপনার মত কিছু নোংরা মনের মানুষদের জন্য দেশের আজ এই অবস্থা কারন আপনারা কিছু হলেই সবসময় পশ্চিমা নোংরা কালচারের সাথে তুলনা করেন।

২৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

দিশার বলেছেন: @কবা প্রিয় আরবের , বেলি ডান্স দেখসেন? আর ফাকিস্তান এর মুজরা? না দেখলে বলেন লিংক দেই .

২৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

লালমিয়াভাই বলেছেন: ভালো ও সময়োচিত পোস্ট।

কাল ভেবেছিলাম বের হবনা, বিকালে ফ্রেন্ডরা বার বার ফোন দিলো ধানমন্ডি লেকে যাওয়ার জন্য, পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে গেলাম। অনেক দূর ঘুরে ভীড় এড়িয়ে রবীন্দ্র সরোবরের ঠিক পিছনের দিকে লেকের অন্য পাড়ে আমরা ৪ ফ্রেন্ড পানির ধারে বসলাম। কিছুক্ষন পরে খেয়াল করলাম ৩ টি মেয়ে এসে বসেছে আমাদের চেয়ে একটু উপরে। আমরা নিজেদের মধ্যে গল্প আর গান করছিলাম। একটু পর দেখি মেয়েগুলা সিগারেট টানছে, একটা পর একটা সিগারেট ঐ তিনটা মেয়ে টেনে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পরে বিরক্তি ও ঘৃণা নিয়ে বের হতে ধানমণ্ডি লেক পাড় মসজিদের ওদিকে রওয়ানা হলাম, সন্ধ্যার আলো আঁধারীতে জোড়ায় জোড়ায় যারা বসে ছিলো তাদের শালীনতা বর্জিত কার্যকলাপ দেখে মনে হয়নি এসব আমাদের বাঙালীর সংস্কৃতি । রাত ১০ টা ১১ টা পর্যন্ত এরা এখানে কি করে আর এদের ভবিষ্যৎ কি ? সব ই কেমন যেন !!

২৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

সক্রিয় বলেছেন: জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আরব আমাদের
থেকেও খোলা মেলা চলা পিরা করে ।
Arab ra ki Islam er stand, na, Islam er stand Quran n Sahi Hadith......arab der jonno ki jahannam haram?Islam er prothom jahannami gula kintu Pure arab...........so Islam and arab is not similar........

২৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৭

পালের গোদা বলেছেন: আসলে শালীনতা এবং অশালীনতা দুটোই মানসিক ব্যাপার। আমাদের দেশের অনেক হুজুর আছে মেয়েদের চুল দেখা গেলেই মনে করে অশ্লীল। আমিও পুরুষ। ২০০৪ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মোট ৮ বছর অস্ট্রেলিয়া তে ব্যাচেলর অবস্থায় ছিলাম। এখানে মেয়েরা সাধারণত মিনিস্কির্ট বা গেঞ্জি পরে। ৮ বছরে কোনদিন কোনো মেয়েকে দেখে অশ্লীল মনে হয়নি, বা খারাপ চিন্তাও মাথায় আসেনি। শুধু আমি না, এখানে কোন ছেলেকে এরকম বলতেও শুনিনি। আরেকটি ব্যাপার হলো, এখানে আমি কোনদিন ইভটিজিং হতে দেখিনি। বলতে গেলে জিরো। অথচ আমাদের দেশে হিজাবিরাও ইভটিজিং এর শিকার হয়। আসলে পুরো ব্যাপারটাই মানসিক, perception নির্ভর এবং subjective। মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে আমরা মেয়েদেরকে মানুষ হিসেবে দেখিনা, ভোগ্যবস্তু হিসেবে দেখি। এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না করলে হাজার হিজাব পরলেও আমাদের মধ্যে সেরকম মানসিকতার লোকেরা তাদের কল্পনার চোখ নিয়ে মেয়েদের শরীরকে চেখে নেবে। আর সঠিক মানসিকার হলে সামনে দিয়ে বিকিনি পরে কেউ হেটে গেলেও তাকে একজন রক্তমাংসের মানুষ ছাড়া আর কিছু মনে হবে না। যেমন আমার হয়না।

আর ইসলাম এর সংগা অনুসারে যদি হিজাব না পরাকেই অর্ধলোঙ্গ সংগায়িত করেন তাহলে দয়া করে বোঝেন যে বাকিরা সবাই আপনার মত দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন না। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এমন হলে সেটা আপনার সমস্যা। আপনার উচিত নিজেকে ঠিক করা, যাতে আপনার সমস্যা না হয়। তাই বলে traditional বাঙালি পোশাকপরাদেরকে অর্ধলোঙ্গ বলে তাদেরকে শুধু শুধু offend করে কি লাভ?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: শালীন এবং শালীনের সংজ্ঞা কি?

একজন মানুষ নিজেকে যেটাকে আদর্শ রেখে সংশোধন করেবে সেই মাপকাঠিটি কি?

২৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৮

কোবা সামসু বলেছেন: @দিশার ওরফে চটি দিশার আপনার মত নোংরা মানুষ এসব ছাড়া আর কি দিতে পারবে!!!

২৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মিথ্যা কথার লিমিট আছে

অর্ধউলং্গের একটা ছবি দেন তো

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: একজন নারীর কতটুকু অংশ জনসম্মুখে প্রকাশিত হতে তাকে অর্ধউলঙ্গ বলা যায়?

আপনার মতে অর্ধউলঙ্গের সংজ্ঞা কি?

২৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

মায়াবী আলো বলেছেন: এই লিঙ্ক এ যেতে পারেন ইসলামের শরীয়ত সম্মত অথেন্টিক রুলিং জন্য

ভরসা করার মতো ইনশাল্লা্‌হ

View this link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.