নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ

প্রকৃতির প্রতিফলন

সদা সত্যের সঙ্গে আছি।

প্রকৃতির প্রতিফলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউসুফ-জোলেখা প্রেম কাহিনীর বাস্তবতা. . .

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

আমাদের দেশের অনেকেরই ধারণা (বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের) ইউসুফ-জোলেখার মধ্যে গভীর প্রেম ছিল। তাই তারা যুক্তি দেখায় প্রেম-ভালবাসা পবিত্র। ইউসুফ (আঃ) যদি নবী হয়ে প্রেম করতে পারে তবে আমারা কেন করব না???



কিন্তু......



এই কথা গুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট। এই মিথ্যা কল্প-কাহীনি তারাই পেশ করে থাকে যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, যাদের মনে কু-লিপ্সা রয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্‌র নবী ইউসুফ (আঃ) এই ধরনের কু-কর্ম থেকে অনেক পবিত্র। তিনি ছিলেন আল্লাহ্‌ভীরু। তিনি কখনোই জোলেখার সাথে কোন সম্পর্ক করেন নি।



ইউসুফ (আঃ) কে যখন আজিজ নামক এক বাদশা কাছে কৃতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হয় তখন ইউসুফ (আঃ) ঐ বাদশার নিকটে লালিত-পালিত হতে থাকে। আর জোলেখা ছিল ঐ বাদশা আজিজের স্ত্রী।



মহান আল্লাহ্‌ বলেনঃ "যখন সে পূর্ণ যৌবনে পৌছে গেল, তখন তাকে প্রজ্ঞা ও ব্যুৎপত্তি দান করলাম। এমননিভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিদান দেই। আর সে যে মহিলার ঘরে ছিল, ঐ মহিলা তাকে ফুসলাতে লাগল এবং দরজাসমূহ বন্ধ করে দিল। সে মহিলা বললঃ শুন! তোমাকে বলছি, এদিকে আস, সে বললঃ আল্লাহ রক্ষা করুন; তোমার স্বামী আমার মালিক। তিনি আমাকে সযত্নে থাকতে দিয়েছেন। নিশ্চয় সীমা লংঘনকারীগণ সফল হয় না। নিশ্চয় মহিলা তার বিষয়ে চিন্তা করেছিল এবং সেও মহিলার বিষয়ে চিন্তা করত। যদি না সে স্বীয় পালনকর্তার মহিমা অবলোকন করত। এমনিভাবে হয়েছে, যাতে আমি তার কাছ থেকে মন্দ বিষয় ও নিলজ্জ বিষয় সরিয়ে দেই। নিশ্চয় সে আমার মনোনীত বান্দাদের একজন। তারা উভয়ে ছুটে দরজার দিকে গেল এবং মহিলা ইউসুফের জামা পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে ফেলল। উভয়ে মহিলার স্বামীকে দরজার কাছে পেল। মহিলা বললঃ যে ব্যক্তি তোমার পরিজনের সাথে কুকর্মের ইচ্ছা করে, তাকে কারাগারে পাঠানো অথবা অন্য কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেয়া ছাড়া তার আর কি শাস্তি হতে পারে? ইউসুফ (আঃ) বললেন, সেই আমাকে আত্মসংবরণ না করতে ফুসলিয়েছে। মহিলার পরিবারে জনৈক সাক্ষী দিল যে, যদি তার জামা সামনের দিক থেকে ছিন্ন থাকে, তবে মহিলা সত্যবাদিনী এবং সে মিথ্যাবাদি। এবং যদি তার জামা পেছনের দিক থেকে ছিন্ন থাকে, তবে মহিলা মিথ্যাবাদিনী এবং সে সত্যবাদী। অতঃপর গৃহস্বামী (বাদশা আজিজ) যখন দেখল যে, তার (ইউসুফ) জামা পেছন দিক থেকে ছিন্ন, তখন সে বলল, নিশ্চয় এটা তোমার (জোলেখা) ছলনা। নিঃসন্দেহে তোমাদের ছলনা খুবই মারাত্নক। ইউসুফ বললেনঃ এ ছলনা ছাড়! আর হে নারী, এ পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর নিঃসন্দেহে তুমি-ই পাপাচারিনী। নগরে অন্যান্য মহিলারা বলাবলি করতে লাগল যে, আযীযের স্ত্রী স্বীয় গোলামকে কু-মতলব চরিতার্থ করার জন্য ফুসলায়। সে তার প্রেমে উম্মত্ত হয়ে গেছে। আমরা তো তাকে প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে দেখতে পাচ্ছি। (সুরা ইউসুফঃ ২২-৩০)



"মহিলা বললঃ এ ঐ ব্যক্তি, যার জন্যে তোমরা আমাকে ভৎর্সনা করছিলে। আমি ওরই মন জয় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে। আর আমি যা আদেশ দেই, সে যদি তা না করে, তবে অবশ্যই সে কারাগারে প্রেরিত হবে এবং লাঞ্চিত হবে। ইউসুফ বললঃ হে পালনকর্তা তারা আমাকে যে কাজের দিকে আহবান করে, তার চাইতে আমি কারাগারই পছন্দ করি। যদি আপনি তাদের চক্রান্ত আমার উপর থেকে প্রতিহত না করেন, তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাব। অতঃপর তার পালনকর্তা তার দোয়া কবুল করে নিলেন। অতঃপর তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করলেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সুরা ইউসুফঃ ৩২-৩৪)

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

টিনের বাড়ী বলেছেন: সঠিক বলেছেন । মানুষ না জেনে এসব বলে ।
নবীগন অহী ব্যতিত কোন কাজ করেন না ।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

শিপু ভাই বলেছেন:
++++++++++++++

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

একজন পথশিশু বলেছেন: Thik. Ei Fb te share koren.

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

একজন পথশিশু বলেছেন: @ lekhok,
vai Badshar naam Abdul AZIZ lekhen. AZIZ mohan ALLAH ta'alar naam.

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: মহান আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরআনে "আজিজ" বলেই সম্বোধন করেছেন।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: এটা ঠিক যে ইউসুফ (আঃ) জুলেখাকে এড়িয়ে চলতেন। ইউসুফ (আঃ) দেখতে অনেক সুন্দর ছিলেন। জুলেখা ইউসুফ (আঃ) কে সত্যিকার ভালবাসতেন। একটা সময় পর ইউসুফ (আঃ) বুঝতে পারেন তা।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: আপনার এই মনগড়া কথার দলিল দিন।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই এই পর্যন্ত যেটুকু ইতিহাস দিয়েছেন ১০০ % সত্যি কিন্তু এর পর কি হল সেটা কিন্তু আপনি আর দিলেন না । এর পরের কাহিনী গুলো দিলে আরও অনেক কিছু আমরা জানতে পারতাম।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই আপনারা কেন কুরআন পড়েন না???
কেন সত্যটাকে জানার চেস্টা করেন না???

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: না এটা আমার মন গড়া নয়। ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি কাসাসুল আম্বিয়া নামে একটা বইতে পরেছিলাম। জানিনা এটা ভুল না সত্যি। আপনি জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: বোন, আমাদের দেশের কিছু সস্তা মানের লেখক রয়েছে যারা বিভিন্ন কল্প-কাহিনী বানিয়ে বই বাজারে বিক্রি করে।
তারা যে টপিকটা নেয় সেটা সত্য, কিন্তু তারা ঐ ঘটনার সাথে সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণ ঘটায়। এমনভবে কাহিনীটিকে তুলে ধরে যাতে বিষয়টি বিনোদনের খোরাক হয়।
অথচ বিচার দিনের মালিক বলেছেনঃ তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না। (সুরা বাকারাঃ ৪২)


এই সমস্ত লেখকদের থেকে সাবধান।
এই ধরনের বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ নিয়ামুল কোরআন, মুকছুদুল মুমিনিন, কাসাসুল আম্বিয়া, নুরানী নামাজ শিক্ষা ইত্যাদি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই ভুলে ভরা, নিম্নমানের বইগুলো আমাদের সমাজের প্রায় প্রত্যেকের ঘরে ঘরে রয়েছে।

কিন্তু আমাদের উচিৎ এই সমস্ত নিম্নমানের বই সমূহকে বর্জন করে কুরআন-সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা। এই নিম্নমানের বইগুলো পড়ে আজ মুসলিমরা কতটা বিভ্রান্ত হয়েছে। তাই আজ তারা পথভ্রষ্ট।

আর ঐসব সমস্ত পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচার জন্য আকড়ে ধরুন ও অনুসরন করুন শুধু মাত্র তাই যা আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে বলেছেন।

যেমনটি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস ছেড় যাচ্ছি; তা যদি তোমরা শক্তভাবে ধারণ কর, তবে কোন দিন পথভ্রষ্ট হবে না; আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ’’। (মুয়াত্তা মালিক , মেশকাত ১ম/হাঃ ১১৭)

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

লাবনী আক্তার বলেছেন: ভাই আপনার কি ধারনা কেউ কুরআন পরেনা? সত্যকে জানার চেষ্টা করেনা?? আপনি যে কথাগুলো লিখেছেন সেটা আমি জানি। কারন আমি কুরআন অর্থ সহকারে পড়ি।

এই কাহিনীর পরেরটুকু যদি জানেন তবে দয়া করে জানাবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: বাকী অংশ . . . .

মহান আল্লাহ্‌ বলেনঃ
অতঃপর এসব নিদর্শন দেখার পর তারা তাকে [ইউসুফ (আঃ)] কিছুদিন কারাগারে রাখা সমীচীন মনে করল। তাঁর সাথে কারাগারে অন্য দুজন যুবক কয়েদিও ছিল। তাদের একজন ইউসুফকে বললঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি মদ নিঙড়াচ্ছি। অপরজন বললঃ আমি দেখলাম যে, নিজ মাথায় রুটি বহন করছি। তা থেকে পাখী ঠুকরিয়ে খাচ্ছে। আমাদের কে এর ব্যাখ্যা বলুন। আমরা আপনাকে সৎকর্মশীল হিসেবেই জানি। তিনি জবাবে বললেনঃ তোমাদেরকে প্রত্যহ যে খাদ্য দেয়া হয়, তা তোমাদের কাছে আসার আগেই আমি তার ব্যাখ্যা বলে দেব। এ জ্ঞান আমার পালনকর্তা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমি ঐসব লোকের ধর্ম পরিত্যাগ করেছি যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেনা এবং পরকালে অবিশ্বাসী।

আমি আপন পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম অনুসরণ করছি। আমাদের জন্য শোভা পায় না যে, কোন বস্তুকে আল্লাহর অংশীদার করি। এটা আমাদের প্রতি এবং অন্য সব লোকের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ। কিন্ত অধিকাংশ লোক অনুগ্রহ স্বীকার করে না।

"হে কারাগারের সঙ্গীরা! পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ?

তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো ভ্রান্ত নামের এবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।

"হে কারাগারের সঙ্গীরা! তোমাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা হল-তোমাদের একজন আপন মনিবকে মদ্যপান করাবে এবং দ্বিতীয়জনকে শুলে চড়ানো হবে। অতঃপর তার মস্তক থেকে পাখী আহার করবে। তোমরা যে, বিষয়ে জানার আগ্রহী তার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।

যে ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, সে মুক্তি পাবে, তাকে ইউসুফ বলে দিলঃ আপন প্রভুর কাছে আমার আলোচনা করবে। অতঃপর শয়তান তাকে মনিবের কাছে আলোচনার কথা ভুলিয়ে দিল। ফলে তাঁকে আরো কয়েক বছর কারাগারে থাকতে হল।

অপরদিকে বাদশাহ আজিজ একদিন স্বপ্নে দেখল, সাতটি মোটাতাজা গাভী-এদেরকে সাতটি জীর্ণ-শীর্ণ গাভী খেয়ে যাচ্ছে এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অন্যগুলো শুষ্ক।"


তাই বাদশাহ আজিজ তার সভা-পরিষদবর্গদের ডেকে বললঃ হে পরিষদবর্গ! তোমরা আমাকে আমার স্বপ্নের ব্যাখ্যা বল, যদি তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যায় পারদর্শী হয়ে থাক।

তারা বললঃ এটা কল্পনাপ্রসূত স্বপ্ন। এরূপ স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমাদের জানা নেই।

কিন্তু দু’জন কারারুদ্ধের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি মুক্তি পেয়েছিল এবং দীর্ঘকাল পর স্মরণ হলে, সে বলল, আমি তোমাদেরকে এর ব্যাখ্যা বলছি। তোমরা আমাকে ইউসুফের নিকট নিয়ে চল।

সে তথায় পৌঁছে বললঃ হে ইউসুফ! হে সত্যবাদী! সাতটি মোটাতাজা গাভী-তাদেরকে খাচ্ছে সাতটি শীর্ণ গাভী এবং সাতটি সবুজ শীর্ষ ও অন্যগুলো শুষ্ক; আপনি আমাদেরকে এ স্বপ্ন সম্পর্কে পথনির্দেশ প্রদান করুন যাতে আমি তাদের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের অবগত করাতে পারি।

ইউসুফ (আঃ) বললঃ তোমরা সাত বছর উত্তম রূপে চাষাবাদ করবে। অতঃপর যা কাটবে, তার মধ্যে যে সামান্য পরিমাণ তোমরা খাবে তা ছাড়া অবশিষ্ট শস্য শীষ সমেত রেখে দেবে। এবং এরপরে আসবে দূর্ভিক্ষের সাত বছর; তোমরা এ দিনের জন্যে যা রেখেছিলে, তা খেয়ে যাবে, কিন্তু অল্প পরিমাণ ব্যতীত, যা তোমরা তুলে রাখবে। এর পরেই আসবে একবছর-এতে মানুষের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং এতে তারা রস নিঙড়াবে।

পরবর্তীতে বাদশাহ আজিজের পত্মি জোলেখা সত্য কথা প্রকাশ করল। সে স্বীকার করলঃ আমিই তাকে আত্মসংবরণ থেকে ফুসলিয়েছিলাম এবং সে ছিল সত্যবাদী। ফলে ইউসুফ (আঃ) কে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হল।

ইউসুফ বললেনঃ এটা এজন্য, যাতে আযীয জেনে নেয় যে, আমি গোপনে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আরও এই যে, আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের প্রতারণাকে এগুতে দেন না। এবং আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু।


বাদশাহ বললঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তাকে নিজের বিশ্বস্ত সহচর করে রাখব। অতঃপর যখন তার সাথে মতবিনিময় করল, তখন বললঃ নিশ্চয়ই আপনি আমার কাছে আজ থেকে বিশ্বস্ত হিসাবে মর্যাদার স্থান লাভ করেছেন।

ইউসুফ বললঃ আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারে নিযুক্ত করুন। আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান।

এমনিভাবে আমি(আল্লাহ্‌ সুবানাহুতায়ালা) ইউসুফকে সে দেশের বুকে প্রতিষ্ঠা দান করেছি। সে তথায় যেখানে ইচ্ছা স্থান করে নিতে পারত। আমি স্বীয় রহমত যাকে ইচ্ছা পৌছে দেই এবং আমি পূণ্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করি না। এবং ঐ লোকদের জন্য পরকালে প্রতিদান উত্তম যারা ঈমান এনেছে ও সতর্কতা অবলম্বন করে।

পরবর্তীতে ইউসুফের ভ্রাতারা ঐ দেশে ব্যাবসা করার উদ্দেশে আগমন করল, অতঃপর তার কাছে উপস্থিত হল। সে (ইউসুফ) তাদেরকে চিনল কিন্তু তারা তাকে চিনল না। এবং সে যখন তাদেরকে তাদের রসদ প্রস্তুত করে দিল, তখন সে বললঃ তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে নিয়ে এসো। তোমরা কি দেখ না যে, আমি সঠিক মাপ দেই এবং মেহমানদেরকে উত্তম সমাদার করি?

ইউসুফ বললঃ অতঃপর যদি তাকে আমার কাছে না আন, তবে আমি তোমাদের জন্য কোন খাদ্য শস্যের বরাদ্দ হবে না এবং তোমরা আমার কাছেও আসতে পারবে না।

তারা বললঃ আমরা তার সম্পর্কে আমাদের পিতাকে সম্মত করার চেষ্টা করব এবং আমাদেরকে একাজ করতেই হবে।

ইউসুফ এখানে তার ভৃত্যদের সাথে একটি কৌশল অবলম্বন করলেন-
তিনি একজনকে আদেশ দিলেনঃ তাদের পণ্যমূল্য তাদের রসদ-পত্রের মধ্যে রেখে দাও-সম্ভবতঃ তারা গৃহে পৌঁছে তা বুঝতে পারবে, সম্ভবতঃ তারা পুনর্বার আসবে।

ভাইয়েরা যখন তাদের পিতার কাছে ফিরে এল তখন বললঃ হে আমাদের পিতা, আমাদের জন্যে খাদ্য শস্যের বরাদ্দ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতএব আপনি আমাদের ছোট ভাইকে আমাদের সাথে প্রেরণ করুন; যাতে আমরা খাদ্য শস্যের বরাদ্দ আনতে পারি এবং আমরা অবশ্যই তার পুরোপুরি হেফাযত করব।

তাদের পিতা বললেনঃ আমি তোমাদেরকে কি সেরূপ বিশ্বাস করব, যেমন ইতিপূর্বে তোমাদের ভাই (ইউসুফ) সম্পর্কে বিশ্বাস করেছিলাম? অতএব আল্লাহ উত্তম হেফাযতকারী এবং তিনিই সর্বাধিক দয়ালু।

এরপর যখন তারা আসবাবপত্র খুলল, তখন দেখতে পেল যে, তাদেরকে তাদের পন্যমুল্য ফেরত দেয়া হয়েছে।

তারা বললঃ হে আমাদের পিতা, আমরা আর কি চাইতে পারি। এই আমাদের প্রদত্ত পন্যমূল্য, আমাদেরকে ফেরত দেয়া হয়েছে। এখন আমরা আবার আমাদের পরিবারবর্গের জন্যে রসদ আনব এবং আমাদের ভাইয়ের দেখাশোনা করব এবং এক এক উটের বরাদ্দ খাদ্যশস্য আমরা অতিরিক্ত আনব। ঐ বরাদ্দ সহজ।

পিতা বললেনঃ তাকে ততক্ষণ তোমাদের সাথে পাঠাব না, যতক্ষণ তোমরা আমাকে আল্লাহর নামে ওয়াদা না দাও যে, তাকে অবশ্যই আমার কাছে সহিহ-সালামতে ফিরিয়ে দেবে;

অতঃপর যখন সবাই তাঁকে অঙ্গীকার দিল, তখন তিনি বললেনঃ আমাদের মধ্যে যা কথাবার্তা হলো সে ব্যাপারে আল্লাহই মধ্যস্থ রইলেন।

ইয়াকুব বললেনঃ হে আমার বৎসগণ! সবাই একই প্রবেশদ্বার দিয়ে যেয়ো না, বরং পৃথক পৃথক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। আল্লাহর কোন বিধান থেকে আমি তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারি না। নির্দেশ একমাত্র আল্লাহরই চলে। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি এবং তাঁরই উপরই সকলের ভরসা করা উচিত।

তারা যখন পিতার কথামত প্রবেশ করল, তখন আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে তা তাদের বাঁচাতে পারল না। কিন্তু ইয়াকুবের সিদ্ধান্তে তাঁর মনের একটি বাসনা ছিল, যা তিনি পূর্ণ করেছেন। এবং তিনি তো আমার(আল্লাহ্‌র) শেখানো বিষয় অবগত ছিলেন। কিন্তু অনেক মানুষ অবগত নয়।

যখন তারা ইউসুফের কাছে উপস্থিত হল, তখন সে আপন ছোট ভ্রাতাকে নিজের কাছে রাখল। এবং নিজের পরিচয় দিল। সে বলল আমি তোমার সহোদর। অতএব তাদের কৃতকর্মের জন্যে দুঃখ করো না।

অতঃপর যখন ইউসুফ তাদের রসদপত্র প্রস্তুত করে দিল, তখন সে নিজের পানপাত্র কৌশলে আপন ভাইয়ের রসদের মধ্যে রেখে দিল।

অতঃপর একজন ঘোষককে ঘোষণা দিতে বলল।

ঘোষক ঘোষণা দিলঃ হে কাফেলার লোকজন, তোমরা অবশ্যই চোর।

তারা ওদের দিকে মুখ করে বললঃ তোমাদের কি হারিয়েছে?

ইউসুফের ভায়েরা বললঃ আমরা বাদশাহর পানপাত্র হারিয়েছি এবং যে কেউ এটা এনে দেবে সে এক উটের বোঝা পরিমাণ মাল পাবে এবং আমি এর যামিন।

তারা আরো বললঃ আল্লাহর কসম, তোমরা তো জান, আমরা অনর্থ ঘটাতে এদেশে আসিনি এবং আমরা কখনও চোর ছিলাম না।

ঘোষক বললঃ যদি তোমরা মিথ্যাবাদী হও, তবে যে, চুরি করেছে তার কি শাস্তি?

তারা বললঃ এর শাস্তি এই যে, যার রসদপত্র থেকে তা পাওয়া যাবে, এর প্রতিদানে সে দাসত্বে যাবে। আমি(আল্লাহ্‌) যালেমদেরকে এভাবেই শাস্তি দেই।

অতঃপর ইউসুফ আপন ভাইদের থলের পূর্বে তাদের থলে তল্লাশী শুরু করলেন। অবশেষে সেই পাত্র আপন ভাইয়ের থলের মধ্য থেকে বের করলেন। এমনিভাবে আমি(আল্লাহ্‌) ইউসুফকে কৌশল শিক্ষা দিয়েছিলাম।

সে(ইউসুফ) বাদশাহ আজিজের আইনে আপন ভাইকে কখনও দাসত্বে দিতে পারত না,কিন্তু আল্লাহ্‌ যদি ইচ্ছা করেন। আমি(আল্লাহ্‌) যাকে ইচ্ছা, মর্যাদায় উন্নীত করি এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপরে আছে অধিকতর এক জ্ঞানীজন।

তারা বলতে লাগলঃ হে আযীয, আমাদের পিতা আছেন, যিনি খুবই বৃদ্ধ বয়স্ক। সুতরাং আপনি আমাদের একজনকে তার বদলে রেখে দিন। আমরা আপনাকে অনুগ্রহশীল ব্যক্তিদের একজন দেখতে পাচ্ছি।





.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

বোন আর লিখতে পারতেছি না। বাকিটা আগামীকাল বাকিটা শেষ করব ইনশাল্লাহ।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

বোকা_ছেলে বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ++++++++++++++++

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমি শুধু কোরআন পড়ি না অর্থ এবং তাফসির সহকারে পড়ি।
আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করি নাই শুধু বলেছি এর পরের কাহিনী টুকু জানালে খুসি হতাম আমার প্রথম মন্তব্যটি পুনরায় পড়ে দেখবেন।
আর আপনি যেই কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থ টিকে আমাদের দেশের সস্তা গ্রন্থ বলছেন সেটা ঠিক নয় তবে আমাদের দেশে অনেক সস্তা গ্রন্থ রয়েছে সেটাও ঠিক। যাই হোক আপনি খুব চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন এবং নবীদের কাহিনী নিয়ে কোন তর্ক নয় আমি শুধু আমার জ্ঞানের জন্য আপনার কাছে আপনার দেয়া কাহিনীর পরের অংশ টুকু কোরআন দারা জানতে চেয়েছি। আর একটা কথা ভাই কাসসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থটি আমাদের দেশে শুধু অনুবাদ করা হয়েছে এটা লিখেছেন মাওলানা মক্কী আল হিজাজি । এই গ্রন্থটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় কেবল অনুবাদিত হয়েছে যার প্রথম কিতাব ইমাম বুখারি (র) এর সময় তার তত্যাবধানে একবার লেখা হয়েছিল । পরে সেটাই এসেছে নানা ভাষায়। তবে কোরআনের তাফসির থেকে যদি জানা যায় তবে জানালে খুসি হব এর পরের কাহিনী টুকু। এই পর্যন্ত আপনি ঠিক আছেন ১০০%

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: বাকী অংশ . . . .

মহান আল্লাহ্‌ বলেনঃ
অতঃপর এসব নিদর্শন দেখার পর তারা তাকে [ইউসুফ (আঃ)] কিছুদিন কারাগারে রাখা সমীচীন মনে করল। তাঁর সাথে কারাগারে অন্য দুজন যুবক কয়েদিও ছিল। তাদের একজন ইউসুফকে বললঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি মদ নিঙড়াচ্ছি। অপরজন বললঃ আমি দেখলাম যে, নিজ মাথায় রুটি বহন করছি। তা থেকে পাখী ঠুকরিয়ে খাচ্ছে। আমাদের কে এর ব্যাখ্যা বলুন। আমরা আপনাকে সৎকর্মশীল হিসেবেই জানি। তিনি জবাবে বললেনঃ তোমাদেরকে প্রত্যহ যে খাদ্য দেয়া হয়, তা তোমাদের কাছে আসার আগেই আমি তার ব্যাখ্যা বলে দেব। এ জ্ঞান আমার পালনকর্তা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমি ঐসব লোকের ধর্ম পরিত্যাগ করেছি যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেনা এবং পরকালে অবিশ্বাসী।

আমি আপন পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম অনুসরণ করছি। আমাদের জন্য শোভা পায় না যে, কোন বস্তুকে আল্লাহর অংশীদার করি। এটা আমাদের প্রতি এবং অন্য সব লোকের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ। কিন্ত অধিকাংশ লোক অনুগ্রহ স্বীকার করে না।

"হে কারাগারের সঙ্গীরা! পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ?

তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো ভ্রান্ত নামের এবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।

"হে কারাগারের সঙ্গীরা! তোমাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা হল-তোমাদের একজন আপন মনিবকে মদ্যপান করাবে এবং দ্বিতীয়জনকে শুলে চড়ানো হবে। অতঃপর তার মস্তক থেকে পাখী আহার করবে। তোমরা যে, বিষয়ে জানার আগ্রহী তার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।

যে ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, সে মুক্তি পাবে, তাকে ইউসুফ বলে দিলঃ আপন প্রভুর কাছে আমার আলোচনা করবে। অতঃপর শয়তান তাকে মনিবের কাছে আলোচনার কথা ভুলিয়ে দিল। ফলে তাঁকে আরো কয়েক বছর কারাগারে থাকতে হল।

অপরদিকে বাদশাহ আজিজ একদিন স্বপ্নে দেখল, সাতটি মোটাতাজা গাভী-এদেরকে সাতটি জীর্ণ-শীর্ণ গাভী খেয়ে যাচ্ছে এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অন্যগুলো শুষ্ক।"


তাই বাদশাহ আজিজ তার সভা-পরিষদবর্গদের ডেকে বললঃ হে পরিষদবর্গ! তোমরা আমাকে আমার স্বপ্নের ব্যাখ্যা বল, যদি তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যায় পারদর্শী হয়ে থাক।

তারা বললঃ এটা কল্পনাপ্রসূত স্বপ্ন। এরূপ স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমাদের জানা নেই।

কিন্তু দু’জন কারারুদ্ধের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি মুক্তি পেয়েছিল এবং দীর্ঘকাল পর স্মরণ হলে, সে বলল, আমি তোমাদেরকে এর ব্যাখ্যা বলছি। তোমরা আমাকে ইউসুফের নিকট নিয়ে চল।

সে তথায় পৌঁছে বললঃ হে ইউসুফ! হে সত্যবাদী! সাতটি মোটাতাজা গাভী-তাদেরকে খাচ্ছে সাতটি শীর্ণ গাভী এবং সাতটি সবুজ শীর্ষ ও অন্যগুলো শুষ্ক; আপনি আমাদেরকে এ স্বপ্ন সম্পর্কে পথনির্দেশ প্রদান করুন যাতে আমি তাদের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের অবগত করাতে পারি।

ইউসুফ (আঃ) বললঃ তোমরা সাত বছর উত্তম রূপে চাষাবাদ করবে। অতঃপর যা কাটবে, তার মধ্যে যে সামান্য পরিমাণ তোমরা খাবে তা ছাড়া অবশিষ্ট শস্য শীষ সমেত রেখে দেবে। এবং এরপরে আসবে দূর্ভিক্ষের সাত বছর; তোমরা এ দিনের জন্যে যা রেখেছিলে, তা খেয়ে যাবে, কিন্তু অল্প পরিমাণ ব্যতীত, যা তোমরা তুলে রাখবে। এর পরেই আসবে একবছর-এতে মানুষের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং এতে তারা রস নিঙড়াবে।

পরবর্তীতে বাদশাহ আজিজের পত্মি জোলেখা সত্য কথা প্রকাশ করল। সে স্বীকার করলঃ আমিই তাকে আত্মসংবরণ থেকে ফুসলিয়েছিলাম এবং সে ছিল সত্যবাদী। ফলে ইউসুফ (আঃ) কে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হল।

ইউসুফ বললেনঃ এটা এজন্য, যাতে আযীয জেনে নেয় যে, আমি গোপনে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আরও এই যে, আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের প্রতারণাকে এগুতে দেন না। এবং আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু।


বাদশাহ বললঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তাকে নিজের বিশ্বস্ত সহচর করে রাখব। অতঃপর যখন তার সাথে মতবিনিময় করল, তখন বললঃ নিশ্চয়ই আপনি আমার কাছে আজ থেকে বিশ্বস্ত হিসাবে মর্যাদার স্থান লাভ করেছেন।

ইউসুফ বললঃ আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারে নিযুক্ত করুন। আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও অধিক জ্ঞানবান।

এমনিভাবে আমি(আল্লাহ্‌ সুবানাহুতায়ালা) ইউসুফকে সে দেশের বুকে প্রতিষ্ঠা দান করেছি। সে তথায় যেখানে ইচ্ছা স্থান করে নিতে পারত। আমি স্বীয় রহমত যাকে ইচ্ছা পৌছে দেই এবং আমি পূণ্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করি না। এবং ঐ লোকদের জন্য পরকালে প্রতিদান উত্তম যারা ঈমান এনেছে ও সতর্কতা অবলম্বন করে।

পরবর্তীতে ইউসুফের ভ্রাতারা ঐ দেশে ব্যাবসা করার উদ্দেশে আগমন করল, অতঃপর তার কাছে উপস্থিত হল। সে (ইউসুফ) তাদেরকে চিনল কিন্তু তারা তাকে চিনল না। এবং সে যখন তাদেরকে তাদের রসদ প্রস্তুত করে দিল, তখন সে বললঃ তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে নিয়ে এসো। তোমরা কি দেখ না যে, আমি সঠিক মাপ দেই এবং মেহমানদেরকে উত্তম সমাদার করি?

ইউসুফ বললঃ অতঃপর যদি তাকে আমার কাছে না আন, তবে আমি তোমাদের জন্য কোন খাদ্য শস্যের বরাদ্দ হবে না এবং তোমরা আমার কাছেও আসতে পারবে না।

তারা বললঃ আমরা তার সম্পর্কে আমাদের পিতাকে সম্মত করার চেষ্টা করব এবং আমাদেরকে একাজ করতেই হবে।

ইউসুফ এখানে তার ভৃত্যদের সাথে একটি কৌশল অবলম্বন করলেন-
তিনি একজনকে আদেশ দিলেনঃ তাদের পণ্যমূল্য তাদের রসদ-পত্রের মধ্যে রেখে দাও-সম্ভবতঃ তারা গৃহে পৌঁছে তা বুঝতে পারবে, সম্ভবতঃ তারা পুনর্বার আসবে।

ভাইয়েরা যখন তাদের পিতার কাছে ফিরে এল তখন বললঃ হে আমাদের পিতা, আমাদের জন্যে খাদ্য শস্যের বরাদ্দ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতএব আপনি আমাদের ছোট ভাইকে আমাদের সাথে প্রেরণ করুন; যাতে আমরা খাদ্য শস্যের বরাদ্দ আনতে পারি এবং আমরা অবশ্যই তার পুরোপুরি হেফাযত করব।

তাদের পিতা বললেনঃ আমি তোমাদেরকে কি সেরূপ বিশ্বাস করব, যেমন ইতিপূর্বে তোমাদের ভাই (ইউসুফ) সম্পর্কে বিশ্বাস করেছিলাম? অতএব আল্লাহ উত্তম হেফাযতকারী এবং তিনিই সর্বাধিক দয়ালু।

এরপর যখন তারা আসবাবপত্র খুলল, তখন দেখতে পেল যে, তাদেরকে তাদের পন্যমুল্য ফেরত দেয়া হয়েছে।

তারা বললঃ হে আমাদের পিতা, আমরা আর কি চাইতে পারি। এই আমাদের প্রদত্ত পন্যমূল্য, আমাদেরকে ফেরত দেয়া হয়েছে। এখন আমরা আবার আমাদের পরিবারবর্গের জন্যে রসদ আনব এবং আমাদের ভাইয়ের দেখাশোনা করব এবং এক এক উটের বরাদ্দ খাদ্যশস্য আমরা অতিরিক্ত আনব। ঐ বরাদ্দ সহজ।

পিতা বললেনঃ তাকে ততক্ষণ তোমাদের সাথে পাঠাব না, যতক্ষণ তোমরা আমাকে আল্লাহর নামে ওয়াদা না দাও যে, তাকে অবশ্যই আমার কাছে সহিহ-সালামতে ফিরিয়ে দেবে;

অতঃপর যখন সবাই তাঁকে অঙ্গীকার দিল, তখন তিনি বললেনঃ আমাদের মধ্যে যা কথাবার্তা হলো সে ব্যাপারে আল্লাহই মধ্যস্থ রইলেন।

ইয়াকুব বললেনঃ হে আমার বৎসগণ! সবাই একই প্রবেশদ্বার দিয়ে যেয়ো না, বরং পৃথক পৃথক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। আল্লাহর কোন বিধান থেকে আমি তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারি না। নির্দেশ একমাত্র আল্লাহরই চলে। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি এবং তাঁরই উপরই সকলের ভরসা করা উচিত।

তারা যখন পিতার কথামত প্রবেশ করল, তখন আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে তা তাদের বাঁচাতে পারল না। কিন্তু ইয়াকুবের সিদ্ধান্তে তাঁর মনের একটি বাসনা ছিল, যা তিনি পূর্ণ করেছেন। এবং তিনি তো আমার(আল্লাহ্‌র) শেখানো বিষয় অবগত ছিলেন। কিন্তু অনেক মানুষ অবগত নয়।

যখন তারা ইউসুফের কাছে উপস্থিত হল, তখন সে আপন ছোট ভ্রাতাকে নিজের কাছে রাখল। এবং নিজের পরিচয় দিল। সে বলল আমি তোমার সহোদর। অতএব তাদের কৃতকর্মের জন্যে দুঃখ করো না।

অতঃপর যখন ইউসুফ তাদের রসদপত্র প্রস্তুত করে দিল, তখন সে নিজের পানপাত্র কৌশলে আপন ভাইয়ের রসদের মধ্যে রেখে দিল।

অতঃপর একজন ঘোষককে ঘোষণা দিতে বলল।

ঘোষক ঘোষণা দিলঃ হে কাফেলার লোকজন, তোমরা অবশ্যই চোর।

তারা ওদের দিকে মুখ করে বললঃ তোমাদের কি হারিয়েছে?

ইউসুফের ভায়েরা বললঃ আমরা বাদশাহর পানপাত্র হারিয়েছি এবং যে কেউ এটা এনে দেবে সে এক উটের বোঝা পরিমাণ মাল পাবে এবং আমি এর যামিন।

তারা আরো বললঃ আল্লাহর কসম, তোমরা তো জান, আমরা অনর্থ ঘটাতে এদেশে আসিনি এবং আমরা কখনও চোর ছিলাম না।

ঘোষক বললঃ যদি তোমরা মিথ্যাবাদী হও, তবে যে, চুরি করেছে তার কি শাস্তি?

তারা বললঃ এর শাস্তি এই যে, যার রসদপত্র থেকে তা পাওয়া যাবে, এর প্রতিদানে সে দাসত্বে যাবে। আমি(আল্লাহ্‌) যালেমদেরকে এভাবেই শাস্তি দেই।

অতঃপর ইউসুফ আপন ভাইদের থলের পূর্বে তাদের থলে তল্লাশী শুরু করলেন। অবশেষে সেই পাত্র আপন ভাইয়ের থলের মধ্য থেকে বের করলেন। এমনিভাবে আমি(আল্লাহ্‌) ইউসুফকে কৌশল শিক্ষা দিয়েছিলাম।

সে(ইউসুফ) বাদশাহ আজিজের আইনে আপন ভাইকে কখনও দাসত্বে দিতে পারত না,কিন্তু আল্লাহ্‌ যদি ইচ্ছা করেন। আমি(আল্লাহ্‌) যাকে ইচ্ছা, মর্যাদায় উন্নীত করি এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপরে আছে অধিকতর এক জ্ঞানীজন।

তারা বলতে লাগলঃ হে আযীয, আমাদের পিতা আছেন, যিনি খুবই বৃদ্ধ বয়স্ক। সুতরাং আপনি আমাদের একজনকে তার বদলে রেখে দিন। আমরা আপনাকে অনুগ্রহশীল ব্যক্তিদের একজন দেখতে পাচ্ছি।





.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।

ভাই আর লিখতে পারতেছি না। বাকিটা আগামীকাল বাকিটা শেষ করব ইনশাল্লাহ।

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

লাবনী আক্তার বলেছেন: ৭৯) তিনি বললেন: যার কাছে আমরা আমাদের মাল পেয়েছি, তাকে ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করা থেকে আল্লাহ্ আমাদের রক্ষা করুন। তা হলে তো আমরা নিশ্চিতই অন্যায়কারী হয়ে যাব।
৮০ ) অত:পর যখন তারা তাঁর কাছ থেকে নিরাশ হয়ে গেল, তখন পরামর্শের জন্যে এখানে বসল। তাদের জ্যেন্ঠ ভাই বলল: তোমরা কি জান না যে, পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহ্র নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন এবং পূর্বে ইউসুফের ব্যাপারেও তোমরা অন্যায় করেছো? অতএব আমি তো কিছুতেই এদেশ ত্যাগ করব না, যে পর্যন্ত না পিতা আমাকে আদেশ দেন অথবা আল্লাহ্ আমার পক্ষে কোন ব্যবস্থা করে দেন। তিনিই সর্বোত্তম ব্যবস্থাপক।
৮১ ) তোমরা তোমাদের পিতার কাছে ফিরে যাও এবং বল: পিতা আপনার ছেলে চুরি করেছে। আমরা তাই বলে দিলাম, যা আমাদের জানা ছিল এবং অদৃশ্য বিষয়ের প্রতি আমাদের লক্ষ্য ছিল না।
৮২ ) জিজ্ঞেস করুন ঐ জনপদের লোকদেরকে যেখানে আমরা ছিলাম এবং ঐ কাফেলাকে, যাদের সাথে আমরা এসেছি। নিশ্চিতই আমরা সত্য বলছি।
৮৩ ) তিনি বললেন: কিছুই না, তোমরা মনগড়া একটি কথা নিয়েই এসেছ। এখন ধৈর্যধারণই উত্তম। সম্ভবত: আল্লাহ্ তাদের সবাইকে একসঙ্গে আমার কাছে নিয়ে আসবেন তিনি সুবিজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
৮৪ ) এবং তাদের দিক থেকে তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন: হায় আফসোস ইউসুফের জন্যে। এবং দু:খে তাঁর চক্ষুদ্বয় সাদা হয়ে গেল। এবং অসহনীয় মনস্তাপে তিনি ছিলেন ক্লিষ্ট।
৮৫ ) তারা বলতে লাগল: আল্লাহ্র কসম আপনি তো ইউসুফের স¥রণ থেকে নিবৃত হবেন না, যে পর্যন্ত মরণপ›¥ না হয়ে যান কিংবা মৃতবরণ না করেন
৮৬ ) তিনি বললেন: আমি তো আমার দু:খ ও অস্থিরতা আল্লাহ্র সমীপেই নিবেদন করছি এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আমি যা জানি, তা তোমরা জান না।
৮৭ ) বৎসগণ! যাও, ইউসুফ ও তার ভাইকে তালাশ কর এবং আল্লাহ্র রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্র রহমত থেকে কাফের স¤প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।
৮৮ ) অত:পর যখন তারা ইউসুফের কাছে পৌঁছল তখন বলল: হে আযীয, আমরা ও আমাদের পরিবারবর্গ কষ্টের স¤মুখীন হয়ে পড়েছি এবং আমরা অপর্যাপ্ত পুঁজি নিয়ে এসেছি। অতএব আপনি আমাদের পুরোপুরি বরাদ্দ দিন এবং আমাদের কে দান করুন। আল্লাহ্ দাতাদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকেন।
৮৯ ) ইউসুফ বললেন: তোমাদের জানা আছে কি, যা তোমরা ইউসুফ ও তার ভাইয়ের সাথে করেছ, যখন তোমরা অপরিণামদর্শী ছিলে?
৯০ ) তারা বলল, তবে কি তুমিই ইউসুফ! বললেন: আমিই ইউসুফ এবং এ হল আমার সহোদর ভাই। আল্লাহ্ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। নিশ্চয় যে তাকওয়া অবল¤¦ন করে এবং সবর করে, আল্লাহ এহেন সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না।

৭তিনি বললেন: যার কাছে আমরা আমাদের মাল পেয়েছি, তাকে ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করা থেকে আল্লাহ্ আমাদের রক্ষা করুন। তা হলে তো আমরা নিশ্চিতই অন্যায়কারী হয়ে যাব।
৮০ ) অত:পর যখন তারা তাঁর কাছ থেকে নিরাশ হয়ে গেল, তখন পরামর্শের জন্যে এখানে বসল। তাদের জ্যেন্ঠ ভাই বলল: তোমরা কি জান না যে, পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহ্র নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন এবং পূর্বে ইউসুফের ব্যাপারেও তোমরা অন্যায় করেছো? অতএব আমি তো কিছুতেই এদেশ ত্যাগ করব না, যে পর্যন্ত না পিতা আমাকে আদেশ দেন অথবা আল্লাহ্ আমার পক্ষে কোন ব্যবস্থা করে দেন। তিনিই সর্বোত্তম ব্যবস্থাপক।
৮১ ) তোমরা তোমাদের পিতার কাছে ফিরে যাও এবং বল: পিতা আপনার ছেলে চুরি করেছে। আমরা তাই বলে দিলাম, যা আমাদের জানা ছিল এবং অদৃশ্য বিষয়ের প্রতি আমাদের লক্ষ্য ছিল না।
৮২ ) জিজ্ঞেস করুন ঐ জনপদের লোকদেরকে যেখানে আমরা ছিলাম এবং ঐ কাফেলাকে, যাদের সাথে আমরা এসেছি। নিশ্চিতই আমরা সত্য বলছি।
৮৩ ) তিনি বললেন: কিছুই না, তোমরা মনগড়া একটি কথা নিয়েই এসেছ। এখন ধৈর্যধারণই উত্তম। সম্ভবত: আল্লাহ্ তাদের সবাইকে একসঙ্গে আমার কাছে নিয়ে আসবেন তিনি সুবিজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
৮৪ ) এবং তাদের দিক থেকে তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন: হায় আফসোস ইউসুফের জন্যে। এবং দু:খে তাঁর চক্ষুদ্বয় সাদা হয়ে গেল। এবং অসহনীয় মনস্তাপে তিনি ছিলেন ক্লিষ্ট।
৮৫ ) তারা বলতে লাগল: আল্লাহ্র কসম আপনি তো ইউসুফের স¥রণ থেকে নিবৃত হবেন না, যে পর্যন্ত মরণপ›¥ না হয়ে যান কিংবা মৃতবরণ না করেন
৮৬ ) তিনি বললেন: আমি তো আমার দু:খ ও অস্থিরতা আল্লাহ্র সমীপেই নিবেদন করছি এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আমি যা জানি, তা তোমরা জান না।
৮৭ ) বৎসগণ! যাও, ইউসুফ ও তার ভাইকে তালাশ কর এবং আল্লাহ্র রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ্র রহমত থেকে কাফের স¤প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।
৮৮ ) অত:পর যখন তারা ইউসুফের কাছে পৌঁছল তখন বলল: হে আযীয, আমরা ও আমাদের পরিবারবর্গ কষ্টের স¤মুখীন হয়ে পড়েছি এবং আমরা অপর্যাপ্ত পুঁজি নিয়ে এসেছি। অতএব আপনি আমাদের পুরোপুরি বরাদ্দ দিন এবং আমাদের কে দান করুন। আল্লাহ্ দাতাদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকেন।
৮৯ ) ইউসুফ বললেন: তোমাদের জানা আছে কি, যা তোমরা ইউসুফ ও তার ভাইয়ের সাথে করেছ, যখন তোমরা অপরিণামদর্শী ছিলে?
৯০ ) তারা বলল, তবে কি তুমিই ইউসুফ! বললেন: আমিই ইউসুফ এবং এ হল আমার সহোদর ভাই। আল্লাহ্ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। নিশ্চয় যে তাকওয়া অবল¤¦ন করে এবং সবর করে, আল্লাহ এহেন সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না।

-সূরা ইউসুফ



বাকীটুকু আমিই দিয়ে দিলাম।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লাবনী আক্তার বলেছেন: বাকীটুকু আমিই দিয়ে দিলাম।


ধন্যবাদ আমার আর কিছু বলার থাকল না।

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.