![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের মুসলিম নামধারীরা দ্বীনদার আলেমদের থেকেও মুন্নি সাহাদের কথাকে বেশী বিশ্বাস করেন। দ্বীনদার হুজুরদের মারা হলো, তারা তা বিশ্বাস করেননি কারণ মুন্নি সাহারা এই মর্মে কোনো বাণী দেয়নি।
বহু বছর আগে বাংলা সিনেমার নায়ক সালমান শাহ মারা যাবার পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত দেখেছি বাংলার মানুষদের শার্লক হোমস হয়ে উঠার চেষ্টাগুলো। সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে খুন করা হয়েছে এই মর্মে বিভিন্ন ম্যগাজিন-পত্রিকায় পাঠকরা যেই ডেডিকেশন দিয়ে তদন্ত করেছিলেন তার তুলনা মেলা দায়। তখন ইউটিউব ফেসবুক ছিলো না। তবু মানুষ যার যার জায়গা থেকে সত্যটা অনুসন্ধান করতে থাকে। খুব সহজে এই জাতিকে কোনো কিছু বিশ্বাস করানো যায় না। এই জাতি ৫'ই মে'র নৃশংসতা ঢেকে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা নিসৃত কথাগুলো কী সুবোধ বালকের মতো বিশ্বাস করে ফেললো! নিজেদের এত এত বুদ্ধি কত সহজেই না বিক্রি করে দিলো তারা।
এই হুজুরদের কাছে মম্মি-ড্যাডিরা বাচ্চাদের আরবী শিখতে পাঠান। বাইপাস সার্জারীর আগে এই হুজুরদের কাছে দোয়া করার অনুরোধ করেন। কড়া ইস্ত্রি পরে শুক্রবারে এইসব হুজুরের পেছনে সালাত আদায় করতে যান। মাম্মি-ড্যাডি সমাজের সন্তানরা নিজেদের বাপ-মার জানাযাও পড়াতে পারে না। মারা যাবার পর তাই জানাযাটাও এই হুজুরদেরকেই পড়াতে হয়। আজ আপনারা সবাই এই হুজুরদের হত্যাকান্ডে উল্লাস করছেন (তা সেটা না জেনে, হুজুগের বশেই হোক) সেই সাথে তাদেরকে চোর-লুটেরা বলছেন। এইসব হুজুরদের থেকেও আপনাদের কুরআন-প্রেম নাকি বেড়ে গেছে! নিজের সাথেও কি আপনি ভন্ডামি করতে পারবেন? আপনাদের সন্তানকে এইসব হুজুরের কাছে আরবী শেখার জন্যে পাঠাতেন। কেবল আরবী। যদি ইসলামটা শেখাতেন তবে আপনার সন্তান আজ এই নৃশংসতায় উল্লাস করতো না। আপনি, একজন মম-ড্যাড, ইসলাম শেখাতে চাইবেনই বা কীভাবে? আপনি কতটা জানেন ইসলাম নিয়ে। সন্তানকে দেশের গোঁফওয়ালা আর মাথামোটা কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আর মিডিয়া কাঁপানো পাতি বুদ্ধিজীবিদের আদর্শে বড় করতে চেয়েছেন। নিজে অমন পাতি বুদ্ধিজীবি হতে না পেরে সন্তানকে তাদের আদর্শে বড় করতে চেয়েছেন। আপনারা ভুলে যান, খুব বেশী দিন আর বেঁচে থাকবেন না। সিনিয়র সিটিজেন হয়ে গেছেন। আপনার বাবা-মাও চলে গেছেন। এই তো আর মাত্র কয়টা দিন আছে আপনার। চলে যাবার প্রস্তুতি আছে কী আপনার? মাজারে টাকা দিয়ে বেহেস্ত পাওয়া যাবে না। কোনো শর্টকাট নেই। জীবনে ইসলাম ইনস্টল না করে পার পাওয়া যাবে না। একটু পেছন ফিরে ভুলগুলো ভুল হিসেবে আইডেনটিফাই করতে কি পারছেন? জানার চেষ্টা করুন, জীবন কী? পরকাল কী? একদম প্রথম থেকে চিন্তা করুন। মৃত্যুকে ভুলে থাকবেন না। আর আপনার সন্তান! আহ্, আপনার সন্তানকে মৃত্যুর কথা মনে করার শিক্ষাই তো দেননি। আপনার জানাযা পড়া শেষ হলে পারবে কী আপনার সন্তান আপনার জন্যে সাদকা হতে? দ্বীনদার মানুষকে হত্যা করা হলেও আপনার সুসন্তান কেয়ার করে না। তারা সেসব লোককে চোর বলে। মুন্নি সাহারা তাদের কাছে আইডল।
বাংলাদেশের চেতনাধারীদের একহাত নেয়ার জন্যে আমি লিখছি না। অনুভূতিতে আঘাত দিতেও নয়। একবারের জন্যে হলেও মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবার জন্যে লিখছি। জান্নাত আর জাহান্নাম বলে দুটো বিষয় আছে, এটা মনে করিয়ে দেবার জন্যে লিখছি। কাদেরকে অনুসরণ করছি এটা কী একবার হলেও চিন্তা করেছি কখনো। যাদের অনুসরণ করছি তাদের মাধ্যমে এই জীবনটা হয়তো খুব ডেকোরেটেড হয়ে উঠবে। পরের জীবনে এইসব ব্যাক্তির আদর্শের অনুসরণ কি কাজে আসবে? চিন্তা করুন। মৃত্যু-পরকাল এসব বিষয়ে একেবারই যদি বিশ্বাস করতে না পরেন তবে আপনি ভাবতে পারেন আলেমরা, হুজুররা, যারা কুরআন শিখতে শিখতে জীবন পার করে দেয়, তারা কুরআন জ্বালিয়ে ফেলেছে। আপনি বিশ্বাস করতে পারেন, লাইট বন্ধ করে, মিডিয়াকে সরিয়ে দিয়ে, লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করে হুজুরদেরকে পিঠে হাত বুলিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ফেসবুকে যেসব মৃত হুজুরের ছবি দেখছেন এখন আপনাদের কাছে তা কেবল ফটোশপের কাজ।
যারা কলেজ-ভার্সিটিতে না পড়ে মাদ্রাসায় পড়েছে, যারা বিলাস বহুল বিল্ডিংয়ে পড়ালেখা না করে কুরেঘরে থেকে কুরআন পড়েছে, যারা কুরআনকে রক্ষার জন্য শাহাদাৎ বরণ করেছে, আজ তারাই নাকি মসজিদে আগুন লাগিয়েছে,কুরআন
পুড়িয়েছে!!! এই কথা আর কেউ বিশ্বাস করলেও আমি করব না। মিডিয়ার কিছু নিজের নৈতিকতা বিক্রি করা কুলাঙ্গাররা প্রচার করছে, “হেফাজতের হুজুররা কুরআন পুড়িয়েছে” আর চিলে কান নেয়ার মত বাংলাদেশের কিছু মূর্খের দল তা নির্বিচারে বিশ্বাস করছে। মানুষ এত গাধা হয় কি করে? হুজুররা যদি কুরআন ধ্বংশ করতে চাইতো তাহলে তারা মসজিদ-মাদ্রাসায় দুই হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত না, তাদের সন্তানসহ অন্যদেরকে কুরআন শিক্ষা দিত না। যারা কুরআন রক্ষার জন্য এত কষ্ট করছে আজ তারাই নাকি কুরআন পুড়াচ্ছে!! কি আজব দুনিয়া!!! অতীতে বিভিন্ন জায়গায় কারা কুরআন পুড়িয়েছে, কারা কুরআনকে অবমাননা করেছে নাস্তিক বেঈমানের দল কুরআন পুড়াবে আর বলবে- "হুজুররা কুরআন পুড়িয়েছে”। কোন মুসলমান সেটা কখোনই বিশ্বাসকরবে না, করতে পারে না।
০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: আপনাকে কে বলল- যে আমি মনে করি ফুটপাতে সব পর্নো পত্রিকা বিক্রী হয়?
আপনাকে কে বলল- যে আমি মনে করি রাস্তায় মেয়ে বের হলেই পতিতা?
শুনুন না জেনে কারো সম্পর্কে ধারণা করা পাপ।
তাই নিছক ধারণার ভিত্তিতে কাউকে বিচার করবেন না।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতিপয় ধারণা পাপের কারন। (সুরা হুজুরাতঃ ১২)
২| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
ছাসা ডোনার বলেছেন: শুনেন ভাই, মানুষদের এই সব ভূ্য়া ছবি দিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না!!!!!!
০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: তাহলে সঠিক ছবি কোন গুলো?
৩| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
শরীফ িবিড বলেছেন: ১৯৯৩ সালে রুয়ান্ডার সরকার সেদেশের নিরস্ত্র নিজ জনগণকে হত্যা করেছিল। ৩ মাসের মাথায় তাদের করুন পরিনতি েদেখেছ বিশ্ব।
কারণ যাই থাক, নিরস্ত্র নিজ জনগণকে হত্যা কোন বিবেকবান মানুষ করতে পারে না।
৪| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৬
মামুন হতভাগা বলেছেন: ঐ খানকির পোলারা,আমার ইসলাম ধর্মের মুল ভিত্তি পবিত্র কোরআন যারা পুড়িয়েছে তাদের বাঁচাতে এই পোষ্ট নিয়ে হাজির হইছ?কোরআন-হাদিস পুড়ানো কুত্তারবাচ্চাদের বিচার না চেয়ে কেন তাদের ধোলাই দেওয়া হইছে তাই নিয়ে কান্তে আইছ?তোর মুখে মুতে দিয়ে গেলাম খানকির পোলা।
০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই আপনি তো খুব ইসলাম প্রীতি দেখাচ্ছেন।
"আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, রাসুল ( সাঃ ) বলেন, ঐ ব্যক্তি মুসলিম নয় যার হাত ও মুখ থেকে অন্য ব্যক্তি নিরাপদ নয়। [সহিহ বুখারি, ১ম খন্ড, ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং- ৯]
এখন এই হাদিসের আলোকে আপনি আগে বলুন আপনি মুসলিম কি না? তারপরে ইসলাম প্রীতি, কুরআন প্রীতি দেখাতে আসবেন ।
প্রতিদিন কুরআন পড়েন কয়বেলা?
প্রতি সপ্তাহে কয়বার পড়েন?
প্রতি মাসে কয়বার পড়েন?
এত কুরআন প্রীতি দেখাচ্ছেন?
মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ-ই একটু বেশি।
চাইলে আমিও উরা-ধুরা গালি দিতে পারতাম। কিন্তু আমি একজন মুসলিম।
৫| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৪
নিয়াজ মোর্শেদ বলেছেন: মতিঝিলে কোন মানুষ নিহত হয় নাই !! কথা এক দমই সইত্য!!
সংসদে দাড়িয়ে হাসিনা বলেছিলেন সাভারে ৩০-৪০ জন মানুষ মারা গেছে !!কথা এক দমই সইত্য!!
সংসদে দাড়িয়ে হাসিনা বলেছিলেন রানা আম্লীগের কেউ না !!কথা এক দমই সইত্য!!
সারা বিশ্বের সামনে সিএনএনের ক্রিস্টিয়ানা আমানপুরের সাথে হাসিনা বলেছিলেন রানা আম্লীগের কেউ না !!কথা এক দমই সইত্য!!
আপনি কি আওয়ামী-বাম-নাস্তিক বা তাদের চ্যালা-চামুন্ডা?? আজই আপনার কান ও চোখের চিকিৎসা করুন, তবে মানসিক বিকৃতির চিকিৎসার কোন দরকার নাই, ঐটা আপনার ইহ জনমে নিরাময় হবে না !!!!!!!!!: আসুন, তার আগেই একদলা থুথু নিক্ষেপ করি- তুই আওয়ামীলীগ! তুই মানুষখেকো!! থু!!সহমত
০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: সইত্য!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: আপনি করেন না। কারণ আমি ওই দলে। আর যাদেরটা পুড়েছে তারা জানে কে পুড়িয়েছে। আপনারা মনে করেছেন ফুটপাতে সব পর্নো পত্রিকা বিক্রী হয়। আপনার মনে করেন রাস্তায় মেয়ে বের হলেই পতিতা। আর পরকালের খবরটা নিজের জন্য জমা রাখেন। আমাদের পরকালের খবর আমরাই রাখবো। কারণ আমার পরকালে আপনার মতো কাউকে ওকালতি করতে হবে না। আমি যদি সাচ্চা হই তাহলে দ্বীনের নবী (সা
আছেন আমার জন্য। আপনার জন্য কে থাকবে সেটা মনে রাখেন।
সাধারণ মাদ্রাসা ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে, অভিভাবকের অনুমতি না নিয়ে সমাবেশে এনে, তাদের কে দিয়ে মারদাঙ্গা করিয়ে আর যাই হোক পরকালে মুক্তি মেলা ভার।