![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েটা যে রূপবতী,
এটা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। দেশের নামকরা ভার্সিটিতে হিস্ট্রিতে অনার্স করছে সে। থার্ড ইয়ার। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রূপের চমক দেখিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়ে গেল সে! সেই সুবাধে মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লো তার সুনাম! কয়েকটা নাটক-সিনেমায় অভিনয়ও করে ফেললো! অবশ্য অভিনয়ে চান্স পাওয়ার জন্য তার সুন্দর শরীরটাকে কয়েকটা পশুর ভোগবস্তু বানাতে হল। কিন্তু তবুও সে হ্যাপি! তার বিশ্বাস এই শরীরটা কিছুদিনের মধ্যেই তাকে বিখ্যাত করে তুলবে! কিন্তু তার কপাল খারাপ! সেদিন রাতে বাসায় ফেরার পথে খুন হলো সে! বাবা-মা ও আত্নীয় স্বজনদের চোখের পানি ঝরিয়ে মাটির নিচে জায়গা হলো তার।
তিনদিন পর তদন্তের স্বার্থে তার লাশটা কবর থেকে উঠানো হল।
কিন্তু একি! তার লাশটা উঠানোর পর উপস্থিত কয়েকজন বমি করে দিলো! এমনকি তার জন্মদাতা মা-বাবাও লাশের দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিলো!
যে আবেদনময়ী শরীরটা দেখার জন্য হাজার হাজার চোখ পলকহীন চেয়ে থাকতো, সেই শরীরটার একি অবস্থা! অথচ এই শরীরটার জন্যই সে বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন দেখতো! তাই বুঝি তার বিখ্যাত শরীরটা সবাইকে দুর্গন্ধ বিলিয়ে শেষ বিদায় জানালো! (সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত)
কিছুদিন আগে লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী সুমাইয়া আজগার রাহা (২০) রাহা আত্মহত্যা।
আজ আরেকটি ঘটনা ঘটলঃ
বলিউডের উঠতি অভিনেত্রী জিয়া খান (২৫)। সোমবার ৩ জুন রাতে মুম্বাইয়ের জুহু বিচ সংলগ্ন এলাকার নিজের ফ্ল্যাটে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মন্তব্যঃ- বেঁচে থাকতেই যাদের জীবন একেবারে Hell হয়ে গেছে যে যন্ত্রণা সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত মুক্তি (??) হিসেবে আত্মহত্যাকে বেঁচে নেয়, পরকালে তাঁদের জন্যে কি অপেক্ষা করছে একমাত্র আল্লাহ্ই ভালো জানেন।
এইসব লাক্স সুন্দরী, বলিউড অভিনেত্রীদের লাইফ স্টাইল দেখে যারা পুলকিত হন, ঈর্ষান্বিত হন, নিজের জীবনকে এদের জীবনের মতো করে সাজানোর পরিকল্পনা বা মনে মনে ইচ্ছে পোষণ করেন তাঁদের জন্যে রাহা, জিয়া খানদের এইরকম অপমান জনক মৃত্যুতে গভীরভাবে চিন্তার খোরাক আছে!!!
যে সমস্ত দুর্বল ঈমানদার আপুরা এদের পার্থিব সফলতা দেখে বিগলিত হয়ে যাবেন তাদের প্রতি সতর্ক বার্তাঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- দুই শ্রেণীর জাহান্নামী এখনও আমি দেখিনি। (কারণ তারা এখন নেই, ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করবে) এক শ্রেণী হচ্ছে ঐ সকল মানুষ, যাদের হাতে ষাঁড়ের লেজের মতো চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা মানুষকে প্রহার করবে।
আর দ্বিতীয় শ্রেণী হচ্ছে- ঐ সকল নারী, যারা হবে পোশাক পরিহিতা কিন্তু তারপরেও তারা থাকবে নগ্ন, তারা পর পুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হবে; তাদের মাথা হবে উটের হেলানো কুঁজের ন্যায়।
এরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং জান্নাতের সু-ঘ্রাণও পাবে না অথচ জান্নাতের সু-ঘ্রাণ তো এত এত দূর থেকে পাওয়া যাবে। (মুসলিম ২/২০৫, হাদীস: ২১২৮)
মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘সুগন্ধি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন মহিলা যদি তা ব্যবহার করে পুরুষদের সামনে যায়, তবে সে একটি বেশ্যা মেয়ে বলে পরিগণিত হবে।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত নং ১০৬৫)
পরকালে এদের কি পরিণাম হবে?
যেখানে আল্লাহ্ বললেনঃ “এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা খারাপ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। এবং তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।” [সুরা নিসাঃ ১৮]
এদের মাগফিরাতের জন্য দুয়া করাও হারাম। এরা এতই অভাগী এদের পিতা-মাতা বা যে কেউ এদের জন্য দুয়া করলে আল্লাহ্ এদের কবরে ঐ দুয়া পৌছাবেন না।
আল্লাহ্ বলেছেনঃ " নবী ও মুমিনের উচিত নয় মুশরেকদের মাগফেরাত কামনা করে, যদিও তারা আত্নীয় হোক একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা জাহান্নামী। (সুরা আত তওবাঃ ১১৩)
এজন্যই আল্লাহ্ বলেছেনঃ "অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক"। (সুরা ইউসুফঃ ১০৬)
যে সমস্ত নারীরা আল্লাহ্র দেয়া একটি গিফট - রূপ-সৌন্দর্য্যকে সঠিকভাবে হিফাজত না করে আল্লাহ্কে অবজ্ঞা করে তাদের দেহ প্রদর্শন করতেই থাকে তাদের প্রতি বিনীত আবেদন . . . . .
বিষয়টিকে নিয়ে এখনো কি ভেবে দেখার সময় হয় নি???
# লেখাটি 'তথাকথিত ' সকল আধুনিক মেয়েকে উৎসর্গ করা হলো। #
০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: জাযাকাল্লাহ
২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
সাইফ সানি বলেছেন: মেহেদী হাসান ভূঁঞা বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আসলে বর্তমানে মডেলদের বা নায়িকাদের পরিনতি ভাবার বিষয় বৈকি........।
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
রোহান খান বলেছেন: এখণ তো এসব কথা বললে সেই সব মেয়েরা মনে করে সেকেলে...।ভাল কথা কারউ ভাল লাগেনা...।
০৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: আমাদের কাজ বলে যাওয়া। কারন এটাই আল্লাহ্র আদেশ।
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মদন বলেছেন: এইসব মেয়েদের এই পথে আনার পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর ভুমিকা রাখেন তাদের মা। সন্তানকে শালিন/ভদ্র করার পরিবর্তে সন্তানের রূপ বেচা টাকায় তাদের বিলাসী জীবন চালান, আর মেয়ের গর্বে গর্বিত হোন।
০৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেনঃ
১. যে মদ তৈরী করে।
২. যে মাতা-পিতার নাফরমানী করে এবং
৩. "দাইয়ুস" (যে তার পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয়)।
[মুসনাদে আহমাদঃ ৫৮৩৯
***"দাইয়ুস" বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে, যে তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা অশ্লীল কাজ বা ব্যভিচার করলে সে ভাল মনে করে গ্রহণ করে অথবা প্রতিবাদ না করে চুপ থাকে। উপরের হাদিসটির ব্যাখ্যা ব্যাপক। এখানে মুল বিষয় হল ফাহেশা বা অশ্লীলতা। যে তার নিজ ঘরে ইসলাম অনুশাসনে শিথিলতা করে, মেয়েদের পর্দা করতে উৎসাহ দেয় না, আদেশ করেনা, ঘরে সিনেমা, গান-বাজনা দিব্যি চলে, এর কোন প্রতিবাদ করে না; যে এই রকম সকল শরীয়াহ বিরোধী অশ্লীলতাকে মেনে নেয় - সেই হল 'দাইয়ুস'।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” (বুখারী : ৮৯৩; মুসলিম: ১৮২৯)
৫| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সাইবার সোহেল বলেছেন: বর্তমানে কিছু না অনেকেই বোরখা পরে কিন্তু পর্দা করেনা।মানে, ফুলহাত জামা,পায়জামা ও মাথায় স্ক্রার্ফ বা ওড়না পরে কিন্তু জামা ও পায়জামা এত টাইট বা স্বচ্ছ যে তাদের অর্ন্তবাস পর্যন্ত দেখা যায়। যারা পর্দা করেনা তারা তো করেই না কিন্তু বোরখার এই ডিজিটাল রুপ তো আরও খারাপ...।
০৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ইসলামী হিজাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি দেখুন।
৬| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
খাটাস বলেছেন: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মেয়েদের পোশাকে পরিবর্তন এসেছে। হয়ত এ যুগের শালীন পোশাক গুলো ইসলামের সম্পূর্ণ শর্ত পুরন না করলে ও অনেকটা করে। তবু ও ইসলামের ভিত্তিতে এ যুগের শালীন পোশাক গুলো ও পুরোপুরি সমর্থন যোগ্য নয়। আমরা বেশি হলে আমাদের মা বোন দের বুঝাতে পারি, তার বেশি আর কি করার আছে। অন্যদিকে ফ্যাশনের নামে বেহায়াপনা কে কোন সুস্থ চিন্তার প্রগতিশীল মানুষ ও সমর্থন করবে না। নারীদের ইসলামে অনেক সম্মান দেয়া হয়েছে। সেই সম্মানের স্থান তাদের ই ধরে রাখতে হবে।
৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
পরের তরে বলেছেন: ভাই এই দুঃখ কোথায় রাখি। আর মানতে পারছি না। তাই তো আমার লেখায় সামান্য তুলে ধরেছি.............http://www.somewhereinblog.net/blog/arshadhossaindiu/29838125. যাই হোক সুন্দর লিখা।
০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: জাযাকাল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
মেহেদী হাসান ভূঁঞা বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আসলে বর্তমানে মডেলদের বা নায়িকাদের পরিনতি ভাবার বিষয় বৈকি........।