নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হতাশাগ্রস্ত মানুষের কদর্যতাই একমাত্র অস্ত্র।

ইসিয়াক

যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনু গল্পঃ দায়বদ্ধতা

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৪

মিসেস চৌধুরী জানালা দিয়ে দেখলেন নাদিয়া ফুটফুটে দুটি বাচ্চাকে রিকশা থেকে নামতে সাহায্য করছে।। তার সাথে অনেকগুলো প্যাকেট।বাচ্চা দুটির বসন ভূষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে এদের চাল চুলোর ঠিক নেই। নাদিয়া মিসেস চৌধুরীর বাসায় দোতলায় দুটি রুম নিয়ে ভাড়া থাকে এই দুই বছর চার মাস হলো। সরকারী চাকুরে এই মেয়েটির কর্মকাণ্ড তার কেন জানি ভালো ই লাগে। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব কৌতুহলে কলাপসিবল গেটের তালা খুলে ভ্রু নাচিয়ে তিনি জানতে চাইলেন,
- এরা কারা?
নাদিয়া ঠোঁট টেনে একটা হাসি দিলো তবে মুখে কিছু বলল না।বাচ্চাদুটোর হাত ধরে ভিতরে নিয়ে এলো। মেয়েদুটো খানিকটা বিহ্বল মুখে এদিক ওদিক চেয়ে চেয়ে দেখছে।দৃষ্টিটা অন্যরকম, দেখলেই কেমন যেন একটা মায়া জাগে মনে। বাচ্চা দুটোর প্রতি প্রথম দেখায় মায়া পড়ে গেল মিসেস চৌধুরীর। তার বিদেশী নাতনিটিও এদের বয়সী।..
নাদিয়া ওদের তাড়া দেয়
- তাড়াতাড়ি করো তাড়াতাড়ি করো । অবাক হবার কিছু নেই,এটা তোমাদের নতুন বাসা। ওই যে ওখানে গোসলখানা , ওখান থেকে ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে এসো।নতুন জামা কাপড় পরতে হবে। চাইলে গোসল সেরে নিতে পারও। তারপর খেতে হবে।
মিসেস চৌধুরী পিছন পিছন এসে তখনও জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছেন।
নাদিয়া প্যাকেটগুলো রেখে এবার কিছুটা কৈফিয়তের সুরে বলল,
- আপনি তো জানেন আন্টি, এক সময় আমার বাসস্থান ছিল রাস্তায়। অনাথ ছিলাম আমি। মিস মরিয়ম আমায় রাস্তা থেকে তুলে উনার আশ্রয়ে মানুষ করেছেন নিজের মত করে, এজন্য আমি ওনার কাছে চির ঋণী । উনার হাত ধরেই আমার যা কিছু উন্নতি। আমার পড়াশোনা চাকরি সবকিছুতে ওনার নিঃস্বার্থ অবদান। তিনি আজ আর পৃথিবীতে নেই তবে উনার ঋণ শোধ করার দায় রয়ে গেছে আমার। তাই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
নাদিয়ার মহানুভবতায় মিসেস চৌধুরীর মনের মধ্যে অন্য রকম এক ভালো লাগার আবেশ ছুঁয়ে গেল। সবাই যদি এমন করে ভাবতো তবে পৃথিবীটা অন্য রকম হয়ে যেতো।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ইসিয়াক আপনি কেমন আছেন?
আগামী বছর আপনার নতুন কি বই বের হচ্ছে?


আপনার কাছে প্রশ্ন ''অনুগল্প'' ব্যাপারটা কি? একটূ বুঝিয়ে বলুন?

১২ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:২৯

ইসিয়াক বলেছেন:




২০২৭ সালে বড় পরিসরে আমার একটা গল্পের বই আসবে। সে ব্যপারে কাজ চলছে। সময় নিয়ে একটা চমৎকার বই উপহার দেওয়ার আশা রাখি।
ধন্যবাদ

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,




দায়বদ্ধতা যদি কারো থাকতে হয় তবে প্রশাসনের লোকজন, জনপ্রতিনিধিদের থাকতে হবে। ;)

১২ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন: প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি.... আছে না- কি আমাদের দেশে? মনে তো হয় না।তাহলে লক্ষ হাজার শিশুরা রাস্তায় রাস্তায় বেড়াতো না।
আমাদের সরকার,প্রশাসন,জনপ্রতিনিধিগনের শুভ বুদ্ধি উদয় হোক এই কামনা করি। এছাড়া আর কি বা করার আছে?
পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ব্লগার।
শুভ সকাল।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর অনুভূতির গল্প
ভালো লাগলো

১২ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন:




অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো আপু।
শুভকামনা সতত।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হৃদয় নিংড়ানো গল্প।+

আরে আমি এতোটা পিছনে পড়েছি?
আয় মিয়া এতো দ্রুত ছোটেন ক্যান?
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

ইসিয়াক বলেছেন: আরও গল্প লেখা আছে,মাঝে মন খারাপ ছিল বলে পোস্ট দেইনি।
আপনার পোস্ট আমি ভীষণ!ভীষণ!! ভীষণ!!! মিস করছি।


ব্লগে সময় দিন প্রিয় দাদা। ফাঁকিবাজি করলে চলবে না।

শুভ কামনা রইলো ।
ভালো থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.