নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একদা এসেছিলাম তোমাদের সান্নিধ্যে। ভালো মন্দ মিশিয়ে কেটেছে বেলা। বিদায় বেলায় শুধু এটাই জানিয়ে যাওয়া বড় ব্যথা জাগে মনে পেলে অবহেলা।

ইসিয়াক

আমার লেখা কবিতা আপনার পছন্দ হলে হোয়াটসঅ্যাপ এই চ্যানেলটি ফলো করুন প্লিজ Follow the রফিকুল ইসলাম এর কবিতা সমগ্র। channel on WhatsApp: https://whatsapp.com/channel/0029VbBPuTzBA1epLIRBZX1x

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বিবাহ বিভ্রাট -প্রথম পর্ব

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৬



(১)
মাসুদুর রহমান দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে আরিশা সুলতানা সোমা সবে মাস্টার্স শেষ করেছে আর ছোট মেয়ে মাইশা সুলতানা তমা অনার্স ফাইনাল ইয়ারে এবার। ছোট ছেলে অভি ক্লাস এইটে পড়ে।
যেহেতু সোমার পড়াশোনা শেষ তাই স্বাভাবিকভাবেই তার বিয়ের তোড়জোড় চালাচ্ছেন মাসুদুর রহমান দম্পতি। সেই ধারাবাহিকতায় পাত্র পক্ষ আজ দেখতে এসেছে সোমাকে। যদিও এসব দেখাদেখির লোক লৌকিকতায় সোমার জোর আপত্তি ছিল বরাবর। তবু মাসুদুর রহমান আর মোসলেমা খাতুনের প্রচন্ড জেদের কাছে সোমার আপত্তি বানের জলে ভেসে গেল।তারা সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তোমার জীবন তোমার সিদ্ধান্ত সে ঠিক আছে তবে সেটা অবশ্যই তোমার বিয়ের পরে। তার আগে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে।
অন্যদিকে রায়হান সোবহান আর জাহানারা বেগমের ছোট ছিমছাম সংসার।তাদের দুই ছেলে বড়টির নাম জামিল আর ছোট রাফিদ। বড় ছেলে ডাক্তার আর ছোট ছেলেটি টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং পড়ছে। ব্রেকআপ স্টাডির কারণে ছোট ছেলে রাফিদ একটু পিছিয়ে পড়েছে নতুবা তার এতদিনে পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবার কথা ছিল।
আজ জামিলের জন্য পাত্রী হিসাবে সোমাকে দেখতে এসেছে রায়হান সোবহান সপরিবারে মাসুদুর রহমান সাহেবের বাসায়।
সোমাকে আজ মারাত্মক সুন্দর লাগছে রূপ যেন ভরা পূর্ণিমার জোছনা হয়ে ধরা দিয়েছে তার সর্বাঙ্গে। তমা তার বড় আপাকে মনের মাধুরি দিয়ে সাজিয়েছে যদিও সোমা দেখতে বেশ সুন্দরী তবে আজ তাকে অনন্যা লাগছে।মেয়েকে দেখে মোসলেমা খাতুনের বুকটা গর্বে ভরে উঠলো। মনে মনে ভাবলেন দোয়া রইলো মা তোর বিয়েটা যেন ভালোয় ভালোয় হয়ে যায়।
জাহানারা বেগম প্রথম দেখায় মেয়েটিকে দারুণ পছন্দ করে ফেললেন। মেয়ে এতটাই পছন্দ হয়েছে তার যে তিনি নিজের কপট গাম্ভীর্য ভেঙে মুখ ফসকে বলেই ফেললেন
- বাহ! তোমায় তো খুব মিষ্টি লাগছে মা।
সোমা গর্বিত ভঙ্গীতে মুখটা একটু উচু করলো এবং রাফিদের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মারলো। রাফিদ জামিলের ছোট ভাই। অপ্রত্যাশিত ঘটনায় বেশ বিব্রতকর অবস্থা তবে এদিকে তার আগে রায়হান সোবহান প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন সোমার প্রতি,
- কি নাম তোমার মা?
- আরিশা সুলতানা সোমা। মিষ্টি করে বলল সোমা।জাহানার বেগম প্রথমে বিব্রত হলেও পরে মনে মনে ভাবলেন একটু আগে সম্ভবত তিনি চোখে ভুল দেখেছেন বা কোন কারণে মেয়েটির চোখে কোন সমস্যা হয়েছে। শুধু শুধু এই মেয়ে এমন আচরণ করবেই বা কেন?
জামিল বরাবরই ভোলাভালা সাদাসিদা এ জীবনে বাবা মায়ের কথা মত কোন মেয়ের দিকে ফিরেও তাকায় নি তেমন করে প্রেম তো দুরের কথা।তারও প্রথম দেখায় সোমাকে দারুণ পছন্দ হয়েছে। সে বেশ গদগদ হয়ে বলল
- বাহ! নামটাও তো তোমার মত ই মিষ্টি। আমার পছন্দ হয়েছে। ইউ আর সো সুইট।
আরিশা চকিতে মুখ ভেঙচালো।
মোসলেমা খাতুনের এবারও চোখ এড়ায় নি মেয়ের আচরণ। মেয়েটা কি করছে এসব? এত ভালো পাত্র হাতছাড়া না হয়ে যায়।
এদিকে জাহানারা বেগম ভাবছেন এই মেয়ে সে যত ভালোই হোক না কেন, কোন না কোন সমস্যা আছে এর মধ্যে। না হলে মেয়েটি এমন করবে কেন? আগেরটা না হয় চোখের দেখা ভুল বলে কাটিযে দেওয়া যায় কিন্তু এই যে জামিল বলল তার পছন্দ হয়েছে অমনি সে মুখ ভেঙচালো। এর কি মানে? এর একটাই মানে মেয়েটি বিয়েতে রাজী নয়। এর আগেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিলো। তার জীবনেও তো ঘটেছিলো। এসব হচ্ছে ছেলে পক্ষ তাড়ানো বুদ্ধি ।তিনি একটু মুচকি হাসলেন।
জামিলকে বেশ স্মার্ট লাগছে। যদিও সে পরেছে কালো সুট কালো টাই কালো প্যান্ট এমনকি তার জামাটিও কালো রঙের সেই সাথে সে পরে আছে কালো মাস্ক এবং একটি কালো চশমা কিন্তু আশ্চর‌্যজনকভাবে তার সাথে এত কালোর কম্বিনেশন চমৎকারভাবে মানিয়ে গেছে। এগুলো অবশ্য রাফিদের কারসাজি। তবুও রায়হানকে বেশ স্মার্ট লাগছে।
সোমা হঠাৎ বলল
-আচ্ছা আপনার কি কালো রং খুব পছন্দ?
- ইয়ে মানে হ্যাঁ। কেন ? আমাকে কি খুব বাজে দেখাচ্ছে?
-না না বাজে দেখাবে কেন? কিন্তু আপনি ঘরের মধ্যে সানগ্লাস পরে আছেন এখানে তো রোদ নাই তাই না? ব্যপারটা কেমন জানি লাগছে। তাই বলছিলাম। আপনি আবার কিছু মনে করবেন না প্লিজ!
জামিল বেশ অপ্রস্তুত হয়ে বলল,
-হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক ঠিক তাইতো তাইতো। সে তাড়াতাড়ি সানগ্লাস খুলে রাখলো।
-না না ব্যস্ত হবেন প্লিজ না অপ্রস্তুত হবারও কিছু নেই।
-- ঠিক আছে ঠিক আছে। আপনি যেমন চাইবেন তেমনই হবে।
-তাই? যাহোক যে মেয়ে আপনাকে বিয়ে করবে সে নিশ্চয় সুখী হবে। তাই না? কি বলেন?
এদিকে সোমার বাবা কটমট চোখে তাকালেন সোমা সেসব ভ্রুক্ষেপ না করে বলল
-আপনার নামটা জানা হলো না কিন্তু
-ওহ সরি আমি ..আমি
- নিশ্চয় নামটা কালু মিয়া বা এই জাতীয় কিছু নয়? ব্লাক লাভার বলে বলছিলাম আর কি?
জামিল অকারণেই বেশ একটু ঘাবড়ে গেল
-জামিল সোবহান। ভায়ের হয়ে আগ বাড়িয়ে বলে বসল রাফিদ
সোমা অবাক হবার ভান করে বলল
-আপনি কে?
-আমি ওর ছোট ভাই। স্মার্টলি উত্তর দিলো রাফিদ।
-আপনাকে কি জিজ্ঞেস করেছি ভাইয়া?
জাহানারা বেগম রাফিদের উপর ভীষণ বিরক্ত হলেন। তিনি ছোট ছেলের উদ্দেশ্য করে বললেন।
- এত কথা বলো কেন রাফিদ । তোমাকে না বলেছি কথা কম বলবে?
রায়হান সোবহান সহাস্যে বললেন
-কিছু মনে করবেন না বেয়াই সাহেব আমার ছোট ছেলেটা একটু সহজ সরল। বেশি কথা বলে। একক্ষণ যে চুপ ছিল এটাই আশ্চর্য।
সোমা যোগ করল
-সহজ সরল মানুষ আমার ভীষণ পছন্দ।
-আমাকে নয় মিস , ভাইয়াকে পছন্দ করলেই হবে। বলল রাফিদ
মোসলেমা খাতুন এবার সত্যি সত্যি মেয়ের উপর বিরক্ত হলেন তিনি বললেন । আর দেরি করা ঠিক হবে না মেয়েকে থামাতে হবে।
-আহ সোমা কি হচ্ছে কি? এটা কি ধরণের ব্যবহার।
নানা ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই মেয়ে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে ।বললেন রায়হান সোবহান। রাফিদ এবার হঠাৎ নড়েচড়ে বসলো।
-হ্যাঁ মা ভাবীকে আমারও খুব পছন্দ হয়েছে । এতক্ষণ তমা চুপচাপ বসেছিল সে এবার রাফিদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল
আমি তমা ,বিয়েটা হলে সম্পর্কে আমরা বিয়াই বিয়েন হবো তাই না ভাইয়া। যদি না কোন ভুল করি আমি।
রাফিদ সুযোগটা নিলো সে বলল
-চল তমা আমার একটু ছাদ থেকে ঘুরে আসি এখানে বড়দের মধ্যে থাকা ঠিক হবে না । আর ঘরের মধ্যে আমার কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসে।
-হ্যাঁ হ্যাঁ যাও যাও।
সবার সম্মতিতে তমা রাফিদের সাথে অন্য ঘর পেরিয়ে ছাদে এলো ।তাদের পিছু পিছু অভিও এলো। সিড়ি ভাঙতে ভাঙতে রাফিদ বলল,
-জানেন আমার না ভীষণ দুঃখ।
-কেন ?কেন? কিসের দুঃখ?
-আমি আপনার বিয়াই না দুলাভাই হতে চাই।
-অ্যাঁ।
-হ্যাঁ ।
-ও এবার বুঝেছি। কিন্তু আমি কি দেখতে শুনতে খুব বেশি খারাপ? মোটেও আকর্ষনীয় নই?
-না না আপনি খুব ভালো স্মার্ট সুন্দরী একদম পারফেক্ট বাট ...।
-তাহলে আমরা প্রেম করলে কেমন হয়। ওই যে সিনেমাতে দেখায় না বেয়াই বিয়েনের প্রেম!
- আজিব! আপনার কোন বয়ফ্রেন্ড নেই ?
-জুটলো কই। এই যে আপনিও তো আমায় রিজেক্ঠ করে দিচ্ছেন?
-হুম!!
- জানেন তো পড়াশোনার চাপে প্রেম ট্রেম নিয়ে ভাববার সুযোগই পাই নি। কিন্তু আজ আপনাকে দেখে কেন জানি মনের মধ্যে লাড্ডু ফুটলো। মনে হলো একটু প্রেম করলে মন্দ হয় না। আমাকে শিখিয়ে দিবেন।
-কি শেখাবো?
-এই যে কিভাবে প্রেম করতে হয়। শুধু প্রেমের প্রথম পাঠটা শেখালেই হবে।
-এই যে মিস আমি প্রেমের টিচার নই।
-আমর জন্য না হয় প্রেমের টিচার হয়ে যান।
-আপনার হয়ে গেছে দেখছি!
-কি হয়ে গেছে।
ততক্ষণে ওরা ছাদে চলে এসেছে।
রাফিদ ছাদ দিয়ে নিচে তাকাতে তাকাতে একটা বুদ্ধি পাকিয়ে বলল,
-ও ইয়ে ইউরেকা ইউরেকা।
-কি ইউরেকা? কি হলো?
-আচ্ছা একটা বালতি হবে?
-বালতি?
-হ্যাঁ মানে বালতি। এক বালতি পানি?
-পানি দিয়ে কি করবেন? টয়লেট তো নিচে?
-আমি কি টয়লেটে যেতে চেয়েছি?
-না। তবে আচ্ছা বল তো তোমার মতলবটা কি জান?
-জান জানু এসব বলছো কেন? আর তুমি তুমি করছো কেন? আমরা কি প্রেম করবো বলে ঠিক করেছি?
-না প্রেম কি কেউ ঠিক করে করে ও তো হয়ে যায়।
-আমার হয় নি.।
-প্রেমে তো মানুষ আবেগে পড়ে।ওই যে বললাম আপনি শুধু শিখিয়ে দেবেন। ভুল ক্রুটি ধরিয়ে দিবেন। আমায় পরিশুদ্ধ করে নেবেন!
-এক বালতি পানির ব্যবস্থা করা হোক আগে তারপর ভেবে দেখবো।
-তুমি কি আকিমিডিস হবে?
-পানির সাথে আকিমিডিসের সম্পর্ক কি?
-ওই যে গল্পটা ইউরেকা! ইউরেকা!! তমা হঠাৎ লজ্জা পেল। রাফিদ কটমটিয়ে বলল
-এক বালতি পানি চেয়েছি কিন্তু?
সোমা দৌড়ে গিয়ে ছাদের কিনার থেকে পানি নিয়ে এলো ..... রাফিদ এক ফাঁকে দেখলো ছাদের এপাশে কিছু জমানো ময়লা মাটি আছে ভাবলো যাহোক কাজে লাগবে ।
*************************************
রায়হান সোবহান জাহানারা বেগমের চোখের ইশারায় যা বোঝার বুঝে নিয়ে জানালেন তাদের মেয়ে পছন্দ হয়েছে । জামিলেরও আগ্রহ আছে সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তাছাড়া মেয়ে যথেষ্ট সুন্দরী। লেখাপড়ায় ভালো। এ যুগে এরকম মেয়ে পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার। মেয়ে সম্পর্কে তারা আগেই আরও বিস্তারিত খোঁজ করে এসেছেন। অতএব দেরি করা উচিত হবে না।
রায়হান সোবহান সহাস্যে বললেন
- তাহলে আগামী শুক্রবার সপরিবারে আমাদের বাসায় আসুন বেয়াই সাহেব।দুটো ডাল ভাত খাবেন একসাথে আর তার ফাঁকে বিয়ের পাকা কথাও সেরে নেওয়া যাবে। মাসুদুর রহমান দম্পতি এই কথা শোনা মাত্র মনে মনে বেশ খুশিই হলেন তবে মুখে সেটা প্রকাশ করলেন না কারণ যে কোন ব্যপারে অতি উচ্ছ্বাস ভালো ফল বয়ে আনে না তাদের অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে। তবে প্রস্তাবের সম্মতিতে মাথা দুলিয়ে বললেন
- আলহামদুলিল্লাহ এ তো ভালো খবর। গিন্নি তাহলে টেবিলে খাবার লাগাও এমনিতেই অনেক বেলা গড়িয়ে গেছে যে হৈ হৈ করে উঠলেন মাসুদুর রহমান।।
খবর শুনে অভি নাচতে নাচতে ছাদে গিয়ে বলল
- এই তোমরা এখানে আর ওদিকে বিয়ে পাকা কথার দিন পড়ে গেছে। শুনেছো কিছু?
রাফিদ চেহারায় হঠাৎ চিন্তার রেখা ভাজ ফেলল। সে নিচের ঠোঁটটি দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরল তমার চোখে রাফিদের এই পরিবর্তন সহজে ধরা পড়ে গেল সে একটু অবাক হয়ে জানতে চাইলো।
- কি হলো বিয়াই? এই খবরে আপনি মনে হয় খুশি হন নাই?
- না না খুশি হব না কেন? এ্যাই অভি বাবা মা কোথায় এখন।
-কার বাবা মা?
-আরে আমার।
- এই তো বেরোবেন বলছেন বাবা মা খেয়ে যেতে বললেন ওনারা রাজী হচ্ছেন না কি না কি কাজের তাড়া আছে। তুমি কি খাবে? মা জানতে চাইলো।
- ঠিক আছে তুমি গিয়ে বল ওনারা যেন চলে যায় আমি তমা আর তোমার সাথে থাকছি। ।ভোবে চলে যাওয়াটা ঠিক হবে না। তাছাড়া এখানে কিছু সময় কাটাতেও চাই। পারবে না বলতে? চোখ টিপ মারলো রাফিদ।
- তাহলে কিন্তু ট্রিট দিতে হবে ভাইয়া।
- আরে হবে হবে যাও বাবা যাও।
তমা বেশ গদগদ হয়ে বলল
- এই তোমার কয়টা গালফ্রেন্ড?
-গার্লফ্রেন্ড? আকাশ থেকে পড়ল রাফিদ
-বল না। বায়না করল তমা।
রাফিদ মুখটা শুকনো করে বলল
-একটাও নেই।
- নেই মানে?
- নেই মানে নেই।
-বিশ্বাস করি না।
- আরে ছিল একটা বহু আগে এখন ব্রেকআপ হয়ে গেছে? এখন আমি সিঙ্গেল।
- বিশ্বাস করি না। আমার সাখে সাথে লাইন মারার জন্য মিথ্যা বলছো তুমি?
- কতটুকু চেনেন আমাকে?
- ব্রেকআপ হলো কেন?
- সে তোমাকে সব বলবো তার আগে এক গ্লাস পানি খাওয়াতে পারবে। আনন্দে গলা একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে...
-অদ্ভুত?
- কি অদ্ভুত?
- আপনি।
- বুঝলাম না।
- পানি চেয়েছি।
তমা নিচে নামতেই রাফিদ খেয়াল করলো তার বাবা মা আর বড় ভাই বাড়ির সামনের লনে। বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।
এদিকে রাফিদ একদমই চায় না এ বিয়েটা হোক সে ময়লা ভর্তি বালতির পানি তমাদের তিনতলা হতে সোজা রায়হান সোবহানের মাথায় ফেলল। ...।
চলবে
ছবি ইউ টিউব থেকে স্ক্রীন শর্ট দিয়ে নেওয়া।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

শায়মা বলেছেন: ইয়া খোদা এই পোলা দেখি পুরাই জেইলে যাবার বুদ্ধি করেছে।

পাগলা গারদেও পাঠাতে পারো ভাইয়া।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৭

ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা রাফিদকে গারদেই পাঠাতে হবে। সত্যি সত্যি!!

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৬

মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগে অনেক দিন পর লগইন করে এমন সুন্দর একটা গল্প পড়তে পাবো আশা করিনাই। অনেক সুন্দর হয়েছে গল্পটা। ধন্যবাদ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: মোঃ আনারুল ইসলাম আপনাকে আমার পাতায় স্বাগতম।
গল্প পড়ে ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম। শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৬

নাজিম সৌরভ বলেছেন: সুন্দর গল্প।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০০

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৮

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: চলুক ... প্রথম দিকে কথায় একটা টেনশন তৈরীর ব্যাপার ছিলে , তমা আর রাফিদের আলাপন নাটুকে হয়ে গেছে ...কোনো রহস্য আছে মনে হচ্ছে !

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: ভাইয়া গল্পটি থেকে একটা প্রডাকশন হাউজ থেকে টিভি নাটকের স্ক্রীপ্ট লেখার কাজ চলছে। যেহেতু টিভি নাটকের কথা ভেবে লেখা সেকারণেই গল্পটিতে একটু নাটুকে ভাব একটু বেশি।
কৃতজ্ঞতা রইলো
ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওই মিয়া এটা গল্প না মহাকাব্য? সাড়ে বত্রিশ পাতার গল্প লিখে বিভ্রাট বলতে শরম লাগে না? যান্ত্রিক বিভ্রাট শুনতাম! তাইবলে এক্কেবারে খোদ বিবাহ বিভ্রাট? বড়গল্প সময় পেলে দেখি সবটা পড়তে পারি কিনা..

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: আচ্ছা আপনাকে পড়তে হবে। আগে নাটকটা অন ইয়ারে যাক তখন না হয় দেখে নিয়েন। হা হা হা.....

৬| ০১ লা মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:৩৩

সোহানী বলেছেন: শুরুটা ভালো লাগলো কিন্তু সাইজে এতো বড়!!! সাইজ ছোট করে আরো কিছু পর্ব বাড়ালে কি ভালো হবে?

০৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: ঠিক আছে আপু এরপর আমি চেষ্টা করবো ছোট করে গল্প পোস্ট করতে।
কৃতজ্ঞতা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

জটিল ভাই বলেছেন:
হাউ মাউ খাও,
রহস্যের গন্ধ পাও =p~

০৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: জটিলবাদ ভাই।
শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ভালোই তবে আরেকটু শর্ট করা যেত কি ?

০৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: এই গল্পটা লেখা শেষ। এখন ভাবছি কি করবো।এক গল্প বার বার পোস্ট করতে ভালো লাগে না। যাহোক পাঠ মন্তব্য ও লাইকে কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
ভালো থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.