নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
(১)
আমাদের বাসার ঠিক পিছনেই ভৈরব নদী।এই নদী একসময় খরস্রোতা থাকলেও এখন প্রায় মরে গেছে। দুই পাড়ের অনেকটা জায়গা দখল হয়ে গেছে অবৈধ দখলদারদের দ্বারা ।এই নদীর কিনারায় আমার একটা নিজস্ব ঘাট আছে।একেবারেই নিজস্ব।
এখন আমি আর মেঘলা ভৈরব নদীর সেই ঘাট সংলগ্ন বটগাছের ছায়ায় বসে আছি।
নদী যদিও মরে গেছে তবু বর্ষা এলে ঠিকই তেড়েফুঁড়ে ওঠে বীর দর্পে। ঘাট সংলগ্ন বটগাছটার গোড়া অবধি পানি চলে আসে।তখনও আমি এখানে নিয়মিতই পা ঝুলিয়ে বসি। নদীর পানি আমার চরণ ছুঁয়ে বয়ে যায়।মুহুর্মুহু পানির স্পর্শে এসময় আমার শরীরের ভিতর অন্য রকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আমি বেশ উপভোগ করি।
বাস্তবে আমার তেমন একটা বন্ধু বান্ধব নেই কিন্তু আছে কিছু ছেলেমানুষী। আমি নিরিবিলিতে বই পড়ি গান শুনি গান গাই নয়তো নিজস্ব কিছু ছেলেমানুষী করে সময় কাটাই। অনেকে আমাকে পাগল বললেও সে সব কথায় আমার কিছু যায় আসে না।
আমার নিরিবিলি কাটাবার সেই সময়টাতে মাঝে মাঝে মেঘলা এসে ভীড় করে।তবে সেটা শুধুমাত্র রোববার। সেদিন সারাটা দিন আমরা গল্প করি বাদাম পাপড় খাই।মেঘলা হোস্টেল থেকে আসবার সময় এগুলো বয়ে নিয়ে আসে।আমি যদিও মানা করি ও কিছুতেই সেই বারণ শোনে না। বলা হয় নি
মেঘলা আমার কলেজ সহপাঠী ও প্রেমিকা। প্রেমিকা বলতে সত্যি সত্যি প্রেমিকা।আজকালকার ছেলেদের মত সময় কাটাবার জন্য স্রেফ বান্ধবী নয়। মেঘলার সারল্য কলেজে ভর্তি হবার দিন থেকেই আমায় আকর্ষণ করেছিল। কিছু কমন বিষয়ের জন্য ওর সাথে আমার ভাব হতে দেরি হয় নি।সেই থেকে সম্পর্ক অটুট আছে এখনও ।
মেঘলা গ্রামের গরীব ঘরের মেয়ে হতে পারে কিন্তু আচার-আচরণে বনেদি পরিবারের মেয়েদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। পড়া লেখা জ্ঞান বুদ্ধিতেও দারুণ চৌকস সে।অন্তত আমার থেকে অনেক ভালো।সবচেয়ে ভালো লাগে ওর উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ দেখে।
মা ওর কথা জানলেও বাবাকে সেভাবে বলার সাহস এখনও করে উঠতে পারি নি।কোনদিন পারবো কি-না সে ভরসা করতে পারছি না বিশেষ কিছু কারণে ।
আমার বাবা এই শহরের নামকরা ধনী ব্যবসায়ী।তাকে সবাই এক নামে চেনে এবং ভালো মানুষ হিসাবেই জানে।উনি একজন আদর্শ স্বামী ও বাবা।তবে আমার চোখে ইদানীং উনার একটা দোষ ধরা পড়েছে। সেটা হলো তিনি সব সম্পর্ককে টাকা দিয়ে পরিমাপ করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে মেঘলার মত গরীব ঘরের মেয়ের সাথে আমার বিয়ে তো দুরের কথা বন্ধুত্বও বাবা মেনে নিবেন কিনা সন্দেহ আছে।
সমস্যা হলো ইদানীং বাবা আমার বিয়ের তোড়জোড় শুরু করছেন। তিনি বাইশ বছর বয়সে বিয়ে করে সংসারী হয়েছিলেন আর আমার এখন চব্বিশ চলছে। সেকারণে ব্যস্ততা একটু বেশি ।আমার নাকি বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।
যদিও আমি বলেছি আমার পড়াশোনা শেষ না হলে বিয়ে নিয়ে চিন্তা করছি না তবুও বাবার দিক থেকে চাপ অব্যহত আছে এবং সম্ভবত সেই চাপ আমি উপেক্ষা করতে পারবোও না।সেদিন এই সব মেঘলাকে খোলাখুলি বলতে ও কেঁদে কেটে পরিস্থিতি খারাপ করে ফেলল।
বাবার দেখা কন্যাটি না-কি রূপসী উর্বশী টাইপের।তাঁর মতে এমন পাত্রী হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। তাঁর বিচক্ষণ মতামতের বিরুদ্ধে যাবার সাহস আমাদের বাড়ির কারো নেই । যদিও নিন্দুকেরা বলে এই মেয়েটিকে পছন্দের পিছনে একমাত্র কারণ পাত্রীর বাবা জাফর আলী সাহেবের বিপুল অর্থ সম্পদ।
নানা ভাবনা ভাবতে ভাবতে যথা সময়ে মেঘলা চলে এলো প্রতি রোববারের মত।শুক্রবার বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে আমরা বাইরে দেখা করি।বরাবরের মত আজ মেঘলা এসে বসলো ঠিক আমার পাশে তবে তেমন একটা কথা বলল না। আসা অবধি বিষন্ন মনে বিরস মুখে বসে রইলো ।
মেঘলার মন খারাপের কারণ যে আমি সে আমি জানি।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সমব্যথি হয়ে বললাম,
- মুখটা ভার করে আছো কেন জান? কি হয়েছে? কোন সমস্যা?
- তোমার কাছে কোন সমস্যা কি আদৌ সমস্যা মনে হয় ?
- এ কথা কেন বলছো?
- তোমার বাবার মত আমার ভাইয়াও আমার বিয়ের পাত্র ঠিক করে বসে আছে। বাড়ি ফিরে গেলেই বিয়ে। এদিকে মায়ের শরীর ভীষণ খারাপ। বাড়ি না গেলেও নয়। এবার উপায়?
- সে কী এতো দেখি চতুর্মুখী বিপদ।
- চতুর্মুখী মানে?
-আমার বাবাও এদিকে গো ধরেছেন আমার বিয়ে জাফর আলী সাহেবের মেয়ের সাথে দিয়েই ছাড়বেন। আবার ওদিকে.... আর
- আর?
- আগামী শুক্রবার না-কি মেয়ে পক্ষ আমাকে দেখতে আসবে তখনই বিয়ের কথা ফাইনাল হবে।
- তোমার বাবাকে আমার কথা জানাও।বলো এ বিয়ে করা তোমার পক্ষে সম্ভব নয়।তুমি আমাকে ভালোবাসো।
- না না বাবা আমাকে কেটে সোজা ভৈরবে ভাসিয়ে দেবে।আর
-আর?
- পালিয়ে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।আমি বাবার বিরুদ্ধে যেতে পারবো না।
- তাহলে আর কি? করে ফেলো বিয়ে কে আটকাচ্ছে? আমি গরীবের মেয়ে আমার আর কি মূল্য তোমার কাছে?
- মেঘলা তুমি যদি এমন করে বলো আমি কিন্তু কষ্ট পাই।
- নাটুকে ডায়লগ বাদ দাও।
- তুমিই তো বলেছিলে আমাকে পরিবারের অমতে বিয়ে করলে লোকে তোমায় লোভী ভাববে।এদিকে আমি কোন কাজ করি না। এখনও ছাত্র। আমাদের সংসার চলবে কিভাবে? বলো?
- আমি টিউশনি করবো।
- ওতে তো বাসা ভাড়াই হবে না খাবো কি? বাস্তব বড় কঠিন।
- থাকো তোমার বাস্তবতা নিয়ে।
সেদিন আর কথা এগোলো না। মেঘলা জানালো যে তার মা অসুস্থ তাই সে কদিনের জন্য বাড়ি যাবে।ভাই বিয়ে দিলে বিয়ে করে নেবে।যে সম্পর্ক জুড়বার নয় সেই সম্পর্ক রয়ে বেড়াবার কোন যুক্তি নেই। আর তাই বাড়ি যাবার আগে শেষ দেখা করতে এসেছে সে।
আমরা আসন্ন বিচ্ছেদ চিন্তায় পরস্পরকে বিদায় জানালাম। দুজনের চোখে পানি....
(২)
-ভাইজান আপনার নাম?
অসময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত লোকগুলোকে দেখে আমি ভীষণই বিরক্ত হলাম।কদিন ধরে একটা থ্রিলার গল্প লিখছি বেশ ভালো ই এগোচ্ছিলো শেষটায় এসে কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে গেল।আউটলাইন করা স্বত্ত্বেও নতুন একটা চরিত্র এড করার পর থেকে জট ছাড়াতে গিয়ে উল্টো জটে জটে জটায়ু হয়ে সব গোলমাল পাকিয়ে গেল। কি থেকে কি করা যায় সেই সব নিয়েই ভাবছিলাম। অনেক শ্রম আর সময় দুটোই দিয়েছি আমি এই গল্পটাতে। পরবর্তী পর্বের জন্য পাঠক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে।আজ কালের মধ্যে পোস্ট করতে হবেই হবে। এমন সময় এসব কি উটকো ঝামেলা জোগাড় হলো এই সন্ধ্যাবেলাতে? কি মতলবে এসেছে কে জানে? আমি যার পর নাই বিরক্ত হয়ে বললাম।
- কি চাই?
আবার সেই এক প্রশ্ন
- ভাইজান আপনার নামটা একটু বলেন ?
- অপূর্ব। হয়েছে? এবার যান ব্যস্ত আছি।
লোকগুলো নিজেদের মধ্যে চোখাচোখি করল তারপর মাথা ঝাঁকালো। একটা ছবি বের করে মিলিয়ে নিলো মনে হলো।আমি বেশ রূঢ় স্বরেই বললাম
-আর কি চাই? নাম জানা হয়েছে যখন এবার কেটে পড়ুন ।আমি ব্যস্ত আছি। প্লিজ।
- আমরা তো খালি হাতে ফিরে যাবার জন্য আসি নি ভাইজান।
- মানে?
- ভাইজানকে আমাদের সাথে যেতে হবে। বেশি সময় নেবো না। যাবেন আর আসবেন।
- কে আপনারা? কোথায় যেতে হবে? কেন যাবো আমি?
-এতো কিছু তো জানি না।আপনাকে নিয়ে যাবার অর্ডার হয়েছে। ব্যস।চলুন আমাদের সাথে।
-বাহ! মামার বাড়ির আবদার। কি ভুলভাল বকছেন বলুন তো।আর শুনুন কোথাও যাচ্ছি না আমি। এবার আসতে পারেন।
-গায়ে হাত দিতে বাধ্য করবেন না ভাইজান।আমরা শান্তি প্রিয় মানুষ ।আপনাকে আমরা যথেষ্ট সম্মান করি। স্বেচ্ছায় না গেলে জোর করে ধরে নিয়ে যাবার অর্ডার আছে। সেক্ষেত্রে আপনার সম্মানহানি হবে।
-মামদোবাজি না-কি? মগের মুল্লুক?
পাঁচ জনের দলের মধ্যে থেকে বেঁটে মতো একজন ফট করে একটা পিস্তল বের করে নল দেখালো। সাহস মুহুর্তে উবে গেল এবার আমি সত্যি সত্যি ঘাবড়ে গেলাম। আশেপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম মার ধোর খেলে কেউ বাঁচাতে আসবে না অগত্যা আত্মসমর্পণ করা ছাড়া গতান্তর নেই আপাতত। অবস্থা বুঝে পরে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না হয়। এখন এদের সাথে তাল দিয়ে চলতে হবে। কি উটকো ঝামেলা!
আমি তেজ দেখিয়ে বললাম
-ঠিক আছে ঠিক আছে।যাবো তবে শর্ত আছে।
- কি?
- গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। তাহলে যেখানে যেতে বললেন যাবো।
- পাক্কা?
- পাক্কা!
- ওকে চলুন কেউ আপনার গায়ে হাত দেবে না।
চারপাশ থেকে গোল করে ঘিরে ধরে পুরো বাহিনী আমাকে একটা রং চটা কালো গাড়ির সামনে নিয়ে এলো।
আচ্ছা আমার কি এখন চিৎকার দেওয়া উচিত? না-কি এদের মোকাবেলা করা উচিত?
-ভাইজান কি ভাবেন? বাজখাঁই গলায় কেউ একজন বলল।
নিতান্ত বাধ্য হয়ে গাড়িতে উঠতে উঠতে সাত পাঁচ ভাবতে লাগলাম। গাড়ি চলতে শুরু করেছে।সন্ধ্যার আযান পড়ে গেছে। দ্রুত অন্ধকার নেমে আসছে প্রকৃতিতে।
-ভাইজান কি করা হয়?
উত্তর দিতে ইচ্ছে করছিল না।তবু বললাম
-তেমন কিছু করি না। পড়াশোনা আর গল্প কবিতা লিখি। বাপের হোটেলে খাই।
-কবিতা? বাহ বেশতো।ভাইজান একটা রোমান্টিক প্রেমের কবিতা হুনান।শুইনা দেহি কেমন লাগে।
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম
- মনে নেই।
- মনে নেই মানে? নিজের লেখা কবিতা নিজেরই মনে নাই। টুকলিফাই করেন না-কি।
হঠাৎ মাথায় রক্ত চড়ে গেল আমার।
- আমার সম্পর্কে না জেনে খবরদার বাজে কমেন্ট করবেন না।
এরপর সবাই কেমন যেন গুম মেরে গেল। কোথায় চলেছি কে জানে?কি আছে কপালে তাও জানি না। মা নিশ্চয় দেরি দেখে চিন্তা করছে।
হঠাৎ গাড়ি থামলো।
লাট্টু বলল
- ভাইজান পানি বদলাবেন? চা পান বিড়ি কিছু খাইলে কন।
-না।
- খিদা লাগছে? কিছু আনমু। রাইতে কিন্তু খাওন নাই।
কি যন্ত্রণায় পড়লাম রে বাবা। এরা কারা?কিডন্যপার? তাহলে এত খাতির করছে কেন? আমার সাথে আসলে হচ্ছে টা কি?
(৩)
রাত যে অনেক হয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে অনুধাবন করা যাচ্ছে। তবে এখন ঠিক ক'টা বাজে সেটা অনুমান করা মুশকিল।
তাছাড়া কোথায় আছি তা'ও বুঝতে পারছি না। আমি এতক্ষণ মনে হয় ঘুমিয়েছিলাম।এই পরিস্থিতিতে কিভাবে ঘুমালাম সেটাও একটা রহস্য।না-কি আমাকে অজ্ঞান করা হয়েছিল? সে যাই হোক ঘুম ভাঙতেই অদ্ভুত একটা আওয়াজ কানে এলো।সম্মিলিত আওয়াজটা চেনা ছন্দের।
মাথাটা কেমন যেন ঝিম ধরে আছে। সবকিছু পরিষ্কার হয়ে ধরা দিচ্ছে না।
পৃথিবীতে আমিই মনে হয় প্রথম ব্যক্তি যে কিডন্যাপ হবার পর স্বভাবিক ভাবে জৈবিক কাজগুলো করে চলেছি। কিছুক্ষণ আগে খাওয়া দাওয়া করেছি তারপর নিশ্চিন্তে ঘুম দিয়েছি। মাথাটা সত্যি কেমন যেন ঝিমঝিম করছে। সত্যি সত্যি কিছু খাইয়ে দেয় নি তো। না হলে অসময়ে ঘুম চলে আসবে কেন বিশেষ করে এরকম অদ্ভুত পরিস্থিতিতে?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কি আমি কিডন্যাপড হয়েছি?কিন্তু কেন জানি এই ব্যাপারটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে পারছি না। কিডন্যাপ সম্পর্কে আমার অন্য ধারণা ছিল। নিদেন পক্ষে দু'চারটা কিল চড় থাপ্পড়। গালাগালি। কিছুই তো হলো না।অবশ্য আমিও তেমন কোন অসহযোগিতা করি নি।
অবশ্য সবকিছুতেই পরিবর্তন এসেছে তেমনি হয়তো এই কিডন্যাপাররা আধুনিক ভদ্র তেমন একটা উগ্র নয়। তবে এদের কাছে অস্ত্র আছে। অবশ্য অস্ত্র না থাকলে এরা কি আমাকে বশে আনতে পারতো?
আসলে আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না কি থেকে কি হচ্ছে। এরপর কি হবে? আমাকে নিয়ে ওরা কি করবে? কি উদ্দেশ্য আমাকে ধরে এনেছে? গাড়ির ভিতর আমি একা। ছেলেগুলো গাড়ি থেকে নেমে নিজেদের মধ্যে কি যেন পরামর্শ করছে। সম্ভবত টাকা পয়সার লেনদেন হচ্ছে। এক সময় গাড়ির দরজা খুলে গেল।
-ভাইজান নাইম্যা আসেন।
- নামবো কেন? এটা কোন জায়গা?কোথায় নিয়ে এসেছো আমাকে?
- এট্টু সবুর করেন সব জানতে পারবেন। চিন্তা নাই।
- চিন্তা নাই মানে কি।তোমরা আমাকে ধরে বেঁধে আনলে আর এখন বলছেন চিন্তা নাই!
- ভাইজান আপনারে কোন ডিস্টার্ব করছি? করি নাই। যত্নে রাখছি? রাখছি তো।খোদার কসম আমার বাবারে কোনদিন এত খাতির দেখাই নাই। এতক্ষণ যখন কোন অযত্ন হয় নাই আশা করি সামনেও হবে না। খালি খালি ডর খাইয়েন না।
রাগে আমার শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিপাকে আছি দেখে হজম করলাম। বেশি বাড়াবাড়ি করা যাবে না। বলা যায় না চড় থাপ্পড় মেরে বসতে পারে।
গাড়ি থেকে নামতেই হঠাৎ দেখি কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ অন্ধকারের মধ্যে ভূইফোঁড় উদয় হলো।
ওরা এসেই তালি বাজিয়ে গান জুড়ে দিলো " রাজাকো আয়েগী বারাত ন্যাশেলী হোগী রাত। মগন মে নাচুঙ্গী.....
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না।এদিকে ওদের কাছে আমাকে রেখে আমাকে বয়ে আনা লোকজনগুলো গাড়ি নিয়ে ভুস করে বেরিয়ে গেল অল্প সময়ের ব্যবধানে। এখন কি হবে?
এদিকে শোরগোলে তিষ্টোনো দায়।আমি বিরক্ত হয়ে জোরে ধমক লাগালাম।
- এ্যাই কি চাই? যাও। সরো সরো।যাও। যাও এখান থেকে।
- কেন গো আমরা কি মানুষ না? আমাদের দেখে কি পছন্দ হচ্ছে না, কথা বলো ও ধেড়ে খোকা!
- কোন তর্ক নয়। আমি তোমাদের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নই। যাও নিজের নিজের কাজে যাও।
আরেকজন বেসুরে গেয়ে উঠলো
-" মনের কথা যদি বলতে পারি, মুখের ভাষা যদি পড়তে পারি।...."
- বাড়াবাড়ি হচ্ছে কিন্তু ভালো চাইলে তাড়াতাড়ি বিদেয় হও! নাহলে
- না হলে কি? এই বিজনে তুমি আমি দুজনে ইশ! আমার না ভীষণ ভীষণ দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে করছে।
ওদের মধ্যে একজন হাত ধরলো। মহা! মুশকিল। আমি হাত ছাড়িয়ে নিতেই
- এমন করছো কেন দুষ্টুখোকা।দেখতো তোমার জন্য কি সুন্দর করে সেজেছি আমি।তুমি যা যা বলবে সব করবো।তোমার গা মালিশ করে দেবো।মাথায় বিলি কেটে দেবো।ঘুমিয়ে গেলে বাতাস করবো, শুধু একটু সহযোগিতা করো।সব পাবে সব। আমার মন জীবন যৌবন।
- খবরদার আমার গায়ে হাত দিবি না। ছিড়ে ফেলবো কিন্তু।
ওদের মধ্যে থেকে কে একজন নাঁকি সুরে বলল
- এ্যাই হাত দিয়ো না,হাত দিয়ো না।ডোন্ট টাচ। বসের নিষেধ।শুধু গন্ধ শোঁকা যাবে। যত খুশি গন্ধ নাও কিন্তু
- কিন্তু কি!
-ডোন্ট টাচ... ডোন্ট টাচ। হো হো হো....
- এ্যাই তোদের বস কে?
- দেখবে সব দেখবে হে সুন্দর ।সময় হোক।ঠিক আছে চল বসের কাছে যাই বস তোমাকে ডাকছে? হো হো হো
- আমি কোথাও যাচ্ছি না।কোথায় তোদের বস? তাকে এখানে আসতে বল।
- নাও সিগারেট নাও। নেশায় পেয়েছে বুঝতে পেরেছি। খাও তো বেনসন? না-কি?
- সিগারেট কি হবে? আমার সিগারেট লাগবে না।
- এমন করে না দুষ্টু খোকা।তুমি খুব অবাধ্য।বস তোমাকে সম্মান করে পাঠিয়েছে নিয়ে নাও।
- যা ভাগ।
এবার কেউ একজন কঠিন গলায় বলল
-তেড়িবেড়ি না করে ভালো ভালোয় আমাদের সাথে চল না হলে আমরা তোকে তুলে নিয়ে যেতে বাধ্য হবো। সে রকমই অর্ডার আছে।আমরা তোর সাথে দূর্ব্যবহার করতে চাই না।
আরেকজন সোউৎসাহে বলল
- চল চল নিয়ে চলো ওকে। ইচ্ছে মত আদর সোহাগ মাখিয়ে দেই।আদর না করলে শান্ত হবে না। উই মা ভাবতেই কি যে ভালো লাগছে।একেবারে টাটকা মালের শরীরের আড় ভাঙার দায়িত্ব পড়েছে। ওহ!তুমি আর আমি, বন্ধ দরজা। হায় আল্লা তুমি এত হ্যান্ডসাম কেন?
অদ্ভুত একটা পরিস্থিতিতে পড়েছি। এটা মনে হয় পাড়া গাঁ টাইপের কোন জায়গা ।আমার পেছনে বিশাল বড় বাগান বাড়ি দেখা যাচ্ছে। সেটাই মনে হয় এদের আস্তানা। মনে সনে স্বগোতক্তি করলাম,
- এবার?
- কি এবার?
আমি চুপ করে রইলাম। কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।কে একজন বলল
- ভিতরে চলো খোকা?
মনে মনে ভাবলাম যেহেতু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই সামনে যাই দেখা যাক কি হয়।এছাড়া উপায় বা কি!
বেশ বড় সড় দোতলা বাড়ি। সম্প্রতি নতুন করে রং করা হয়েছে এই অন্ধকারের মধ্যেই বোঝা যাচ্ছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে গাছ গাছালির ফাঁকে দারুণ পূর্ণিমার চাঁদ বেশ ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। চারদিক অদ্ভুত রকম চুপচাপ। ভৌতিক বাড়ি নয় টয় তো। ভাবতে ভাবতে বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই বড় হল ঘরে চলে এলাম। আলোকিত ঘরের মধ্যে আবার অন্যান্য ফার্ণিচারগুলোর সাথে একটা দোলনাও আছে। একজন মোটা সোটা মাস্তান মত ছেলে বসে আছে সেই দোলনায়।বেশ সাজুগুজু করেছে এই এত রাতেও। এ আবার কে জানে? একেও তো কোনদিন দেখি নি? এই কি সেই বস? কেন ধরে এনেছে আমাকে?
ছেলেটি বাজখাঁই গলায় প্রশ্ন করলো
- কি নাম?
-অপূর্ব
- পুরা নাম
- এই আপনি কি এদের বস? কে আপনি? কি চান আমার কাছে? আমাকে ধরে এনেছেন কেন? নাম দিয়ে কি করবেন?
পাত্তা না দিয়ে ছেলেটি আবার চেঁচালো
- বয়স?
-বয়স দিয়ে কি হবে?
- তুই কি মেয়ে?
- দেখে মনে হচ্ছে?
- তাহলে বয়স বলিস না কেন? কি অসুবিধা?
- কোন অসুবিধা নাই।
- বল বয়স বল? আর কোন প্রশ্ন নয় আমি প্রশ্ন করা পছন্দ করি না।
- পঁচিশ
- বিয়ের বয়স তো হয়ে গেছে বিয়ে করিস না কেন?
- এসব আবার কি প্রশ্ন?
- বলছি না প্রশ্ন করা যাবে না।
- কে তুই?
- বেশি কথা বলিস।চল তোর টেস্ট হবে!
- কিসের টেস্ট।
-এই সুলতান এরে উপরের ঘরে নে। আমি আসতেছি। ঠিক মত আয়োজন কর।
- কিছুই তো বুঝতে পারছি না।এসব কি ধরনের ফাজলামো হচ্ছে । খবরদার উল্টো পাল্টা চিন্তা করলে কিন্তু খবর আছে।
কয়েকজন মিলে টেনে হিচড়ে আমাকে উপরে নিয়ে গেল ।এতক্ষণ ওরা আমার গায়ে হাত দেবার সাহস করেনি কিন্তু হোৎকা মত ছেলেটার অর্ডারের পরিপেক্ষিতে ওরা সরাসরি এসে আমাকে চ্যংদোলা করে তুলে ফেলল । আমি হাত পা ছুড়তে লাগলাম কিন্তু ওরা সংখ্যায় অনেক। আর এটা কোন বাংলা সিনেমা নয়।এবার কি হবে?
(৪)
ভালো করেই জানি বাধা দেওয়ার চেষ্টা বৃথা হয়ে যাবে।কারণ আমি একা। নিজের উপর নিজেরই রাগ হচ্ছে। এতগুলো হৃষ্টপুষ্ট লোকের সাথে শক্তিতে আমি পারবো না।তবু একটু চেষ্টা করে দেখতে দোষ নেই। ব্যপারটা মান সম্মানের হয়ে যাচ্ছে।
ব্যাপক ধস্তাধস্তির মধ্যে আমাকে চ্যাংদোলা করে দোতলার একটি কক্ষে নিয়ে এসে ঢাউস সাইজের বিছানাে উপর বলের মত ছুড়ে ফেলা হলো। মনে হলো শূন্যে ভেসে উড়ে এলাম। তবে বিছানা মোলায়াম বলে হয়তো আমার তেমন কিছু হলো না। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে ছিল কয়েক সেকেন্ড মাত্র ।
আমার ছোড়া কিল ঘুষিতে কয়েকজনের নাক মুখ থেতলে গেছে এ ব্যাপারে আমার অবশ্য কোন অনুশোচনা নেই।
নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আমার যেহেতু আছে, আক্রান্ত হলে তো আক্রমণ করবোই। আর এরা যে কি পরিমান বাজে টাইপের মানুষ তা এদের আচরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এদের সাথে আর কোন ভালো ব্যবহার নয়।
আতঙ্কের ব্যপার এদের দলের প্রায় সবাই তৃতীয় লিঙ্গের।রেগে গেলে এরা বেশ হিংস্র হয়ে ওঠে। এদের সম্পর্কে অনেক কথা ইতিপূর্বে লোক মুখে শুনেছি।
হঠাৎ নিরবতা নেমে এলো। ওরা যেন কি নিয়ে ব্যস্ত। নিজেদের মধ্যে কি সব বলাবলি করছে এরা আমার প্রতি কোন কৌতূহল দেখাচ্ছে না।আমি নিজে বেশ একটু ঘাবড়েই গেছি সেটা স্বীকার করতে লজ্জা নেই।ওরা সবাই আমার পেছন পেছন উঠে এসেছে আমার কান্ডকারখানাকে সম্ভবত ফান হিসাবে নিয়েছে। প্রবল হাসি ঠাট্টায় মেতে আছে সকলেই। যেন একটু আগে কিছুই হয় নি। পাশের ঘরে গান বাজছে। বাড়ির পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়ি কিন্তু মেয়েদের সাজ পোশাকে থাকা মেয়েগুলো কি সত্যি মেয়ে না-কি তৃতীয় লিঙ্গের। মাথাটা ঝিম ঝিম করছে। সম্ভবত ঘাট পার হবার সময় নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে দিয়েছে।বিরক্ত চরমে উঠে যাচ্ছে।এতক্ষণে মনে পড়লো পকেট হাতড়ে ফোনটাও পেলাম না। ঠিক সরিয়েছে।
কিছুটা পরে একজন ষণ্ডা মতো লোক ঘরে ঢুকে আমার দিকে তাকিয়ে হুঙ্কার দিলো।
-এই নে তোর বিয়ের পোশাক পরে নে।
-অপহরণ করে আনছো বিয়ের পোশাক পরাতে?
- তোকে না বস কথা কইতে মানা করছে। আমরা যা কমু স্রেফ হুকুম তামিল করবি।ব্যস।
- মানে?
- নিজেই কাপড় পাল্টাবি না আমার লোক হাত লাগাইবো?
কয়েকজন আমার দিকে এগিয়ে আসতে বুঝতে পারলাম ভাব গতিক সুবিধার না।হাত লাগিয়ে কি খুলতে না কি খোলে কে জানে?কি করবো ভাবছি।
আমি নিশ্চুপ থাকাতে লোকটার হুঙ্কার আরও তীব্র হলো।
-কি দুলহা মিয়া কথা কও না কেন? হাত লাহামু?
অগত্যা আমি পোশাক বদলে নিলাম। ঠিক সেই মুহুর্তে একজন কাজী সাহেব ঘরে প্রবেশ করলেন এবং বিয়ে পড়ানো শুরু হয়ে গেল।আমার সাথে এসব কি হচ্ছে? বোকামির জন্য নিজের মাথার চুল নিজেই ছিড়তে ইচ্ছে করছে।কিন্তু কি বা করার ছিল আমার। আমি তো এতক্ষণ ভাবছিলাম এরা মুক্তি পন চাইবে আর বাবার একমাত্র সন্তান হিসাবে টাকাটা বাবা অল্প বিস্তর দর কষাকষি করে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে আমাকে।এখন দেখি বিয়ে শাদী কেস।
কার বিয়ে কিসের বিয়ে আল্লাহ মালুম।
(৫)
অল্প সময়ের ব্যবধানে আমার বিয়ে পড়ানো হয়ে গেল।কবুল বলতেও বাধ্য হলাম।রেজিস্ট্রারে সইও করলাম। নিজেকে এতটা অসহায় কখনও ভাবিনি। রাগে দুঃখে অপমানে আমার নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে। সামনে কপালে আর কি কি দুর্ভোগ আছে কে জানে?
আহা মেঘলার কথা ভাবতেই আমার বুকটা হাহাকার করে উঠলো।
সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবে সেই বেচারি। আর আমি?আমি কি সুখে থাকবো না- কি? বাবা মা? সুযোগ পেলে এখান থেকে পালিয়ে বাঁচা ছাড়া গতান্তর নেই। তাও কি মুক্তি মিলবে সহজে?
এমন সময় পাশের ঘরে বিকট স্বরে মমতাজের গান বেজে উঠলো। ফাইট্যা যায় বুকটা ফাইট্যা যায়,বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া হাইট্যা যায়... । সত্যি সত্যি আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। কি থেকে কি হলো কে জানে! এ থেকে মুক্তির উপায় কি তা কে বলবে !
এমন সময় কে যেন বলল
-দুলহাভাই এই ঘরে আসেন? আপনেরে বরণ কইরা লই।
অচেনা মেয়েটির দিকে চোখ কটমট করে তাকিয়ে বললাম
- এ্যাই চোপ! দুলা ভাই কারে ডাকিস।কে তোর দুলাভাই? আমি কারও দুলাভাই না।
- দুলাভাইরে দুলা ভাই বলবো না তো কি বলবো?
ভাবি বলবো হি হি হি
হাসির রোল পড়লো মনে হয়।
পরিশিষ্ট
আজ না-কি আমার বাসর!
জীবনে এর থেকে ট্রাজেডি কি হতে পারে। এখানে আত্নীয় পরিজন বন্ধু বান্ধবহীন অবস্থায় নিজেকে সত্যি ভীষণ ভীষণ অসহায় লাগলো।
নতুন একটা ঘরে আমাকে আনা হয়েছে।ঘরটা সাইজে বেশ বড়। বেশ কিছু পুরানো আমলের ফার্ণিচারে ঠাসা।সাঁথে ইয়া বড় একটা খাট। আমি খাটের দিকে তাকাতে হাসির রোল পড়ে গেল।
- দুলহা ভাই মাঠ তো জব্বর। ফাঁকা মাঠে সারারাইত ইচ্ছে মত গোল দিয়েন। তয় আপু কিন্তু বড় অবলা বেশি জ্বালাইলে কিন্তু খবর আছে।
সবাই চলে গেলে আমি সোফায় গিয়ে বসলাম।
হঠাৎ কি মনে হতে ঘোমটা টানা মানুষটিকে বললাম
- এ্যাই যে হ্যালো আপনার কাছে মোবাইল আছে।
মিষ্টি কন্ঠে কে যেন বলল
- মোবাইল দিয়ে কি হবে?
- সে আমি বুঝবো।তার আগে বলো তো তুমি ছেলে না-কি মেয়ে?
- হায় আল্লাহ আমি পোলা হইতে যামু কোন দুঃখে।
- না মানে আমি মনে করেছিলাম।
- কি মনে করেছিলেন? হিজড়া?
- না মানে।
- আল্লাহ তুমি এ কার লগে আমার বিয়ে দিলা? হেতেই আসারে হিজড়া ভাবছে। এর তন গাঙে ডুইবা মরণ ঢেড় ভালা। আমি অহনই মরুম।
আমি দৌড়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধরতেই ভীমড়ি খাওয়ার দশা হলো।
আমি আসলে মেঘলার ভালো নামটা ঠিক ঠাক জানতামও না।না হলে বিয়ে পড়ানোর সময় কিছুটা আঁচ করতে পারতাম।এমনই গাধার গাধা আমি! আর মেঘলাও কম যায় না সে আমাকে বলেছে গায়ের সাধারণ মেয়ে কিন্তু তারা যে এত অবস্থাপন্ন তা কে জানতো আর মেঘলার ছোট বেলা থেকে শখ তার বিয়েটা অন্য রকম আয়োজনে হবে। এসব তারই ফল। আমার সেদিনের দোনোমনো ভাব এক্ষেত্রে আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। একমাত্র বড়ভাইকে এসে সব বলতেই সেই এত নাটকের অবতারণা করেছে।
-খামোখা গুচ্ছের টাকা খরচ করলে।
- আরে এ আর এমন কি ভাইয়ার অনেক টাকা। আর তোমার বাবাও আমার অবস্থান জেনে নিশ্চয় আর আপত্তি করবে না।
- মনে হয়।
-শুধু একটা খটকা আছে মনে।
- কি?
- গ্রামের মেয়ে বলে না আবার রিজেক্ট করে দেন।
- বললেই হলো না-কি? আমি প্রতিবাদ করবো না।
- সত্যি তুমি প্রতিবাদ করতে পারবে?
- তিন সত্যি। এই গ্রামের মেয়েকে নিয়ে আমি সারা জীবন পথ চলতে চাই।
এক সময় সব ঝামেলা কেটে গেল অবশেষে সব সমস্যাকে জয় করে আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলাম।
(সমাপ্ত)
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
শুভকামনা রইলো।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১২
অপ্সরা বলেছেন: মেঘলাদের ফ্যামিলী দেখি আস্ত পাগল!!
ভাইয়া এত নাটকীয়তা করে কেউ বিয়ে দেয়!!!!!!!!!!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২১
ইসিয়াক বলেছেন: পাগলামি থেকে যদি ভালো কিছু হয় তো পাগলামিই ভালো হা হা হা।
শুভকামনা রইলো আপু।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ গল্প হয়েছে। মস্তান হিজড়াদের নিয়ে গল্পের বিনুনি বেশ হয়েছে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: মন্তব্য কেমন যেন দূরত্বের আভাস , শুভেচ্ছা নেই কেন? রাগ হলো কিন্তু।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দারুণ হয়েছে। চমক ছিল।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।
শুভকামনা রইলো।
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক ,
নাটকীয় বিয়ে!!!!!!!
সুখে শান্তিতে বসবাস করাটাও নাটকীয় হোক!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার শুভকামনা যথা স্থানে জানিয়ে দিয়েছি প্রিয় ব্লগার।
শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাপরে কী কাহিনী
দারুন হয়েছে