![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার লেখা কবিতা আপনার পছন্দ হলে হোয়াটসঅ্যাপ এই চ্যানেলটি ফলো করুন প্লিজ Follow the রফিকুল ইসলাম এর কবিতা সমগ্র। channel on WhatsApp: https://whatsapp.com/channel/0029VbBPuTzBA1epLIRBZX1x
আজ দিনের শুরুটাই খারাপ ছিল ।কাক ভোর থেকে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি। সেই যে শুরু হলো শেষ হবার নাম নেই কোন। কি যে একটা বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা!
বৃষ্টির রোমান্টিকতা ভালো তাই বলে অতি বৃষ্টির জ্বালাতন পোষায় কার?
সম্ভবত নিম্নচাপ চলছে ।বৃষ্টির সাথে জোর বাতাস, অদ্ভুতুড়ে হুশ হুশ শব্দ। শুনলে কেমন যেন গা ছমছম করে। ঝড়ের দাপটে কারেন্ট চলে যেতে পারে যখন তখন কিন্তু ঘরে মোমবাতি বা টর্চ কিছুর জোগাড় নেই।বাইরের কাজ ছিল সে পাট আজকের মত চুকে গেছে। পথ ঘাট একেবারে শুনশান।
যেহেতু আপাতত হাতে কাজ নেই তো কি আর করা। গরম চা আর বিস্কুট নিয়ে পি সিতে বসে একটা গল্প লিখছিলাম কিছু আগে থেকে। গল্পটা অবশ্য ছোটন মারা যাবার ক'দিন আগে থেকে লেখা শুরু করেছিলাম। ছেলেটা ডেঙ্গুতে মারা যাবার পর আর শেষ করতে পারিনি। মনোযোগই বসাতে পারি নি।আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে এত কষ্ট পায় নি আমার তেতাল্লিশ বছরের জীবন।
ছোটন মারা যাবার পর যত বারই বসেছি গল্পটা নিয়ে মন স্থির হয়নি, হয় নি তো হয় নি। অথচ এই গল্পটা আমার জন্য বিশেষ মাইলস্টোন। অনেক ভাবনা অনেক আয়োজন অনেক শ্রম দিয়েছি গল্পটার পেছনে। শিশুদের মনোজগৎ বুঝতে ছোট্ট ছোটন। যে কি-না ছিল আমার "হলুদ পাখি" যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। বলা যায় ওর উৎসাহটা বেশী ছিল।
সকাল থেকে অখন্ড অবসরে নানা কিছু ভাবছিলাম।কত কিছু ।মিরার বিশ্বাসঘাতকা চরম স্বার্থপরতা.. ছোট্ট ছোটনের আহাজারি।তারপর নিজেদের মানিয়ে নেওয়া। ছোটনের ডেঙ্গু।শেষতক ছেলেটা নেই হয়ে গেল এক বুক অভিমান নিয়ে। এসব ভাবতে ভাবতে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনাটা ঘটে গেল।ডাক্তার অবশ্য আগেই সাবধান করেছিল।নিজের দিকে খেয়াল রাখতে বলেছিল।
যা হবার তাই হলো হাইপারটেনশন সাথে নানা অনুষঙ্গ আমার গুরুত্বপূর্ণ অর্গান ফেইল করলো....জনমের বোঝা শেষ হলো বুঝি।
কষ্ট শেষে থিতু হতে একটু ঝরঝরে লাগলো।মৃত্যু পরবর্তী জীবনটা মন্দ নয়। অবাক হয়ে লক্ষ করলাম রাইটার্স ব্লক কেটে গেছে প্লটটা দারুণ সেটআপে মস্তিষ্কের নিউরনের কোষগুলোকে তাগাদা দিচ্ছে।লিখে ফেলো। লিখে ফেলো। এখনই কিবোর্ডের ছন্দে ফিরতে পারলে বেশ হতো কিন্তু কি বিচিত্র এক নিয়ম মৃত্যু পরবর্তী জীবনে সেই মানুষটির কোন ইচ্ছে আর পূরণ হবার নয়!
গল্পটা আর লেখা হলো না। এ এক যন্ত্রণা হলো দেখছি। শান্তি বুঝি কোন জনমেই নেই!
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৫২
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
ভালো থাকুন সব সময়।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১৫
সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো ইসিয়াক।
সময় থাকতে সবকিছুর গুড়ুত্ব দেয়া উচিত নতুবা বুঝতে বুঝতে দেখা গেল সব শেষ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপু।
ভালো থাকুন সব সময়।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
শায়মা বলেছেন: কষ্টের গল্প!
সব কিছুই একদিন শেষ হয়ে যায়।
তবুও শেষ হবার বেদনায় থাকি আমরা।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: কোন কিছু লিখবার আগে ভাবি আর কোন কষ্টের কথা লিখবো না কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই লেখা শেষ হয় কষ্ট দিয়েই।
পাঠ মন্তব্য ও লাইকের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভ সকাল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ছোটনের জন্য ভালবাসা রইলো। মৃত্যু মানে থেমে যাওয়া। ছোটন মরে গিয়ে অমর হয়ে গেছে। সব কিছু বুড়ো হবে কিন্তু ছোটনের বয়স বাড়বে না৷। সবাই কে কাচকলা দেখিয়ে ছোটন, ছোটন হয়েই রয়ে যাবে।