| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি একটা বিষয়ে মিডিয়ায় খুব মাতামাতি চলছে। বিষয়টা হল "কাজী ক্যাসল"।
https://youtu.be/kR52Cf0uXKg
জাকজমকপূর্ন দৃষ্টিনন্দন বিরাট একটা প্রাসাদ । তিনতলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল একটা বাড়ি,(অবশ্য এটা বাড়ি নাকি হোটেল এতে কনফিউসনে আছি আমি) । বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য এনে তুলে রাখা হয়েছে এতে। উনত্রিশটি বেডরুম, নয়টি ডাইনিং রুম,চোদ্দটি ড্রইংরুম, ছাদে হেলিকপ্টার অবতরণস্হল , আছে আরো অনেক কিছু । চারদেশের ইন্জিনিয়ার মিলে তৈরি করেছেন দালান পরিকল্পনা । মালিক নিজেই জানেন না কত টাকা খরচ হয়েছে এই প্রসাদ নির্মাণে। মালিক বলছেন "লোক দেখানোর জন্য তিনি এটি নির্মাণ করেন নি"। আমিও বলছি "আমার লেখাও কিন্তু বিলকুল হিংসাত্মক নয়"। শুধুমাত্র ঈমানদারদের জন্য উৎসাহমূলক ।
এবার আসা যাক পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল,বৃহৎ,বাড়ির কথায় । Click This Link) অবস্থান ভারতের দক্ষিণ মুম্বাইয়ে। চার লক্ষ ফুট বিস্তৃত । পাচশ ষাট ফুট উচু । নির্মাণ ব্যয় এক বিলিয়ন মানে একশ কোটি । সাতাইশ তলা বিশিষ্ট ব্যক্তিগত বাসভবনটির মালিক মুকেশ আম্বানি ও নিতা আম্বানি, যাকে আমরা আইপিএল এর মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক হিসেবে চিনি।
এখন বলি আসল কথা ।আমরা মুসলমান। জান্নাত মুমিনের আকাঙ্ক্ষা ।দুনিয়ার চাকচিক্যময় প্রাসাদ অব্যশই জান্নাতের প্রাসাদের তুলনায় কিছুই না ।পরম ও চরম শান্তি বলতে যা বুঝায়, তা সবই জান্নাতে পাওয়া যাবে। দুনিয়ার সুখ-শান্তির যত ব্যবস্থা আছে, জান্নাতের সুখ-শান্তির তুলনায় তা কিছুই না। বরং তা দুনিয়ার সকল আরাম-আয়েশকে হার মানাবে। মানুষ সুখ পেতে চায়। তাই পরম সুখ লাভের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া উচিত।
জান্নাতের ব্যাপক পরিচিতি সম্পর্কে এক বর্ণনায় মহান আল্লাহ বলেন:
﴿فَلَا تَعۡلَمُ نَفۡسٞ مَّآ أُخۡفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعۡيُنٖ َزَآءَۢ بِمَا كَانُواْيَعۡمَلُونَ ١٧﴾ [السجدة: ١٧]
‘কেউ জানে না তার জন্য কৃতকর্মের কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।’’ (সূরা সাজদাহ: ১৭)
আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন এরশাদ করেন,
«أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ، وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ، فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ»
“আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন নেয়ামত তৈরি করে রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখে নি, কোনো কান শোনে নি এবং এমনকি কোনো মানুষ তা কল্পনাও করতে পারে না। এরপর তিনি বলেন, যদি তোমরা চাও,তাহলে নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ো। যার অর্থ হলো: “কেউ জানে না, তার জন্য কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।” (বুখারি, মুসলিম )
﴿ وَمَسَٰكِنَ طَيِّبَةٗ فِي جَنَّٰتِ عَدۡنٖۚ ﴾ [التوبة: ٧٢]
“ উত্তম বাসস্থান স্থায়ী জান্নাতসমূহে।” [সূরা আত-তাওবাহ: ৭২]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরও বলেন:
﴿ وَهُمۡ فِي ٱلۡغُرُفَٰتِ ءَامِنُونَ ٣٧ ﴾ [سبا: ٣٧]
“আর তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।”(সূরা সাবা: ৩৭)
﴿أُوْلَٰٓئِكَ يُجۡزَوۡنَ ٱلۡغُرۡفَةَ بِمَا صَبَرُواْ وَيُلَقَّوۡنَ فِيهَا تَحِيَّةٗ وَسَلَٰمًا ٧٥﴾ [الفرقان: ٧٤]
“তারাই, যাদেরকে প্রতিদান দেয়া হবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ, যেহেতু তারা ছিল ধৈর্যশীল। আর তারা প্রাপ্ত হবে সেখানে অভিবাদন ও সালাম।”(সূরা আল-ফুরকান: ৭৫)
﴿ لَٰكِنِ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ رَبَّهُمۡ لَهُمۡ غُرَفٞ مِّن فَوۡقِهَا غُرَفٞ مَّبۡنِيَّةٞ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُۖ وَعۡدَ ٱللَّهِ لَا يُخۡلِفُ ٱللَّهُ ٱلۡمِيعَادَ ٢٠ ﴾ [الزمر: ٢٠]
“তবে যারা তাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন করে,তাদের জন্য আছে বহু প্রাসাদ যার উপর নির্মিত আরো প্রাসাদ, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; এটা আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি, আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতির বিপরীত করেন না।”(সূরা যুমার: ২০)
আবু মূসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: জান্নাতে মোমিনের জন্য মুক্তার তৈরি তাঁবু থাকবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ৬০ মাইল। সেখানে মোমিনদের পরিবার থাকবে। তারা তাদের কাছে আসা-যাওয়া করবে, একে অপরকে দেখতে পারবে না। (বুখারী, ৪৮৭৯; মুসলিম, ১৮০)
তাঁবু দীর্ঘ হওয়ার কারণে সাধারণভাবে একে অপরকে দূরত্বের কারণে দেখতে পাবে না।
আনাস ইবন মালেক থেকে বর্ণিত, তিনি মিরাজের হাদীস বর্ণনা করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বরাত দিয়ে বলেন: জিবরীল আমাকে সিদরাতুল মোনতাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলো। এরপর অজ্ঞাত রং দ্বারা চতুর্দিক আবৃত হয়ে গেলো। পরে আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হলো। সেখানে মুক্তার তৈরি তাঁবুসমূহ রয়েছে। এগুলোর মাটি হচ্ছে মেশক।’ (বুখারী, ৩৪৯; মুসলিম, ১৬৩)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: জান্নাতের ইট হলো সোনা ও রূপার, মাটি হলো মেশক,কংকর হলো মুক্তা ও ইয়াকুত, মাটি হলো যাফরান। যে প্রবেশ করবে সে সুখে থাকবে, দুঃখী হবে না, চিরস্থায়ী হবে, মৃত্যু বরণ করবে না, পোশাক পুরাতন হবে না এবং যৌবন শেষ হবে না। (তিরমিযী)
আবু মূসা আশ‘আরী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “দুটো জান্নাত রূপার এবং পানপাত্র ও আসবাপত্রও রূপার। আর দুটো জান্নাত সোনার এবং পানপাত্র ও আসবাবপত্র সোনার। জান্নাতে আদনে তাদের ও আল্লাহর মধ্যে দৃষ্টির আড়াল হলো আল্লাহর অহংকারের চাদর।” (বুখারী, ৪৮৭৮; মুসলিম, ১৮০)।
জান্নাতের ইটগুলো সোনা ও রূপার, সিমেন্ট হচ্ছে মেশক, কংকর হচ্ছে মণি-মুক্তা ও ইয়াকুত পাথর এবং মাটি হচ্ছে যাফরান।
আহ...পেতে কি চাইনা এই নিয়ামতরাজি ??। মারা যাব একদিন নিশ্চিত , তবে মৃত্যুর পূর্বে যেন এই ডাকটিই শুনি....হে মাওলা....
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
হে প্রশান্ত মন,
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
وَادْخُلِي جَنَّتِي
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর। (সুরা আল ফাজর -আয়াত 27-30)
সময় নিয়ে কষ্ট করে পড়ার জন্য মোবারকবাদ ।
।
২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০
Ahmed Rahat বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
২|
২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তবে মৃত্যুর পূর্বে যেন এই ডাকটিই শুনি....হে মাওলা....
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
হে প্রশান্ত মন,
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
وَادْخُلِي جَنَّتِي
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর। (সুরা আল ফাজর -আয়াত 27-30
আল্লাহ পাক তাঁর সৃষ্ট বান্দাদের কত ভালবেসেই এই সুন্দর জান্নাতি জীবনের সুসংবাদ দিয়েছেন ।
তার পরেও কি মানুষ আল্লার মহাত্ম বুঝবেনা !!
অনেক ধন্যবাদ, আগের দিন দেখে গিয়েছিলাম , ভাল কথা সমৃদ্ধ আল্লার বাণী দেখার জন্য অাবার আসলাম ।
নিরন্তর ভাল থাকার শুভেচ্ছা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চিন্তাশীলদের জন্য অনেক কিছু বুঝার আছে এ পোস্টের লিখায় ।