![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নীলুফার তার জীবনে এই প্রথম নৌকা ভ্রমণ করছে! তার বাবা মায়ের সাথে কথার মহোতে জড়িয়েছে। দেখতে দেখতে তাদের নৌকা ভ্রমণ শেষ হয়ে গেলো। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে তার মামাতো ভাই ও মামা।
মামাতো ভাই:কি কেমন লাগছে তোর ট্রেন এবং নৌকা ভ্রমণ?
নীলুফার:ভালো খুবি ভালো।
মামাতো ভাই: জীবনে কি প্রথম?
নীলুফার:হ্যা। নৌকা ভ্রমণ প্রথম, রেলগাড়িতে একবার ছড়েছিলাম চিটাগাং যাওয়ার সময়।
মামাতো ভাই: ও তাহলে ভালো এবারতো নৌকা ভ্রমণ করাতে পেরেছি।
নীলুফার:হ্যা।আসসালামুয়ালাইকুম মামা কেমন আছেন?
মামা: ভালো মা। তুমি কেমন আছো?
নীলুফার:ভালো মামা।
মামা:তোমার মাথায় এই বাড়িতে আসার প্লেন কে দিয়েছে?
মামাতো ভাই: আমি আব্বু।
রাইস সাহেব:ও তাহলে এর পিছনের কাটি তুমি নেড়েছ মিজান?
নীলিমা বেগম :যাই হক মিজানের কারণেই অনেকদিন পর এইখানে আপনাদের আমাদের আসা।
মামা: হ্যা। তা ঠিক এখানে দাঁড়িয়ে কি সবকথা শেষ করবি সবাই নাকি বাড়িতে গিয়েও কিছু বলার জন্য বাকি রাখবি?
নীলুফার: হ্যা মামা চলেন!
মামাতো ভাই: নীলুফার আমরা এখন কিসে করে বাড়ি যাবো?
নীলুফার:সম্ভাবনা সিএনজি!
মামাতো ভাই: না পায়েচেপে যেতে হবে।
নীলুফার:তাহলেতো মজা হবে গ্রামের সবুজ শ্যামল দেখা হবে।
মামাতো ভাই: চলেন দাদি তাহলে!
নীলুফার:আব্বু দেখো ও ইচ্ছে করে আমায় ক্ষ্যাপাচ্ছে!
রাইস সাহেব:মিজান ওর মোড খারাপ করোনা।
নীলুফার:বাবা তুমি ওকে না বকে সাজেশন দিচ্ছো?
মামা:আচ্ছা আমি বকবো বাড়ি গিয়ে।
নীলিমা বেগম:মা তুমি রাগ করোনা! ও সয়তানি করে তুমিতো জানোই!
নীলুফার: আম্মু তুমি এসে না পৌঁছানোর আগেই তোমার বাবার ফ্যামিলির পক্ষ নিচ্ছো?
মামা:জন্মস্থানের মাটির টান বলে কথা।
রাইস সাহেব:ভালো।
নীলিমা বেগম:কি ভালো সাহেব?
রাইস সাহেব:এইযে আমার মেয়ের বিরুদিপক্ষ হয়ে কথা বললে!
নীলুফার:হ্যা আব্বু তুমি ঠিকি বলেছ আম্মু তাদের বাড়িতে আসার আগেই আমাদের ছুড়ে পেলে দিল!
নীলিমা বেগম: আচ্ছা হইছে বাপ বেটি থামবে?
মামাতো ভাই:ফুফু দেখো তুমি না যেন আমার থেকে মুখ ফিরাও!
নিলুফার: আম্মু তুমি কার পক্ষে?
নীলিমা বেগম:আমি কারো পক্ষে না।
রাইস সাহেব:আম্মু তুমি চিন্তা করিওনা আমি আছি তোমার পাশে।
নীলিমা বেগম:থাকো তোমরা।
মামা: কি দরকার ছিল মিজান তুই এখন তাকে ক্ষ্যাপানোর?
মামাতো ভাই:আব্বু আমি তাকে কেন ক্ষ্যাপাতে যাবো! দাদিকে কে দাদি বলে ডাকলে কি দোষের কিছু আছে নাকি?
নীলুফার: ওই দাঁড়াও তোমাকে আমি??
নীলুফার তার মামাতো ভাইয়ের পিছু নিয়েছে তাকে গ্রামের আঁকাবাঁকা পথে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাড়াতে তাড়াতে নীলুফারের নানার বাড়িতে পৌঁছে গেল!
দেখেতো সে অবাক নানার বাড়ি দেখতে বুঝি এমন হয়! কাঠের তৈরিকরণ দুতলা বাড়ি,কাঠের তৈরি শিল্পকর্মাদি,নানার বাড়ি দেখে নিলুফার অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!
নীলুফার: আব্বু তোমাকে আমি এখানে আসার জন্য বলার পর তুমি এভাবে বললা কেন?
রাইস সাহেব: তোমাকে তোমার নানার বাড়িতে এনে হতভম্ব করার জন্য! যদি আমি তোমাকে প্রথমেই সব খুলে বলতাম তাহলে তুমি এখন এতো অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখতে তোমার নানার বাড়িকে।
নীলুফার: আব্বু তাও তুমি ঠিক করোনি!
নীলিমা বেগম: কেমন দেখতে মা আমার বাবার বাড়ি?
নীলুফার:হ্যা। ভালোই খুবি ভালো আমি এখানে ৪ দিন থাকবো?
নীলিমা বেগম: মা হবেনা! কালকেই ফিরতে হবে।
নীলুফার: আম্মা আমাদের ফ্লাইটতো ৫ দিন পর! শেষ দিনে এখান থেকেই বিমানবন্দর। কি বলো?
নীলিমা বেগম: না! মা কালকে ফিরতে হবে, কারণ তোমার বড় খালাম্মা যেতে বলেছে আগামীকাল।
নীলুফার: আমি কিছু জানিনা আমি এখানে ২ দিন হলেও থাকতে চাই।আব্বু তুমি কিছু বলো?
রাইস সাহেব:মা আমার কিছু করার নেই তোমার আম্মার বিষয়। কারণ আমার ফ্যামিলির কারো বাসায় তোমাকে যেতে হবেনা। সব তোমার আম্মার ফ্যামিলির দাওয়াত।
নীলুফার: তাওতো তুমি সুপারিশ করতে পারো!
রাইস সাহেন: মা আমি কিছু জানিনা তুমি তোমার আম্মুকে বলো!
নীলিমা বেগম:মা দেখো থাকবা ৫ দিন! তার ভিতর এখানেই দুইদিন থাকলে তোমার খালাম্মার বাড়ি তোমার মেঝো নানার বাড়িতে যেতে হবে
রাইস সাহেব: আম্মু তুমি এখানে কাল অব্ধি থাকো দেখো কেমন অনুভূতি হয়।
নীলুফার: আচ্ছা।আমার যদি ভালো লাগে তাহলে আমি থাকবো।
নীলিমা বেগম: আচ্ছা দেখা যাবে।
মামা: তোমরা কি কথা বলবে এখানে দাঁড়িয়ে নাকি ভিতরে ডুকবে?
রাইস সাহেব: হ্যা,আসছি আমরা ভাবি কোথায়?
মামা: আছে ভিতরে পাকের কাজ করছে সে!
নীলুফার: পাকের রুম কোথায়?
মামা: দুতলাতে যাও দেখবে তোমার মামি রান্নাঘরে আছে হাতের ডানেই রুম।
নীলুফার: আচ্ছা আম্মু আব্বু তোমরা থাকো কথা বলো। আমি উপরে মামির সাথে দেখা করে আসছি ভাইয়া তুমি ও এসো আমার সাথে।
মামাতো ভাই: আচ্ছা আমি আসছি,চল।
নীলুফার: চলেন।
নীলুফার উপরে মামি আর মামাতো ভাইয়ের সাথে কথার মজায় মেতেছে তাকে আর কে ধরে? সবার সাথে কথা শেষ করে পরিস্কার হয়ে আসলো, তখন ঠিক দুপুর ৩ টা বাজে খাবার সময় হয়েছে।
মামি: নীলুফার কোথায় তুমি? দুলাভাই কোথায়? আপু কোথায়? মিজান তুমি তোমার বাবাকে ডেকে নিয়ে আসো।
নীলুফার: মামি আমি এসেছি! আব্বু আম্মু কোথায়?
রাইস সাহেব:এইতো মা আমি এসেছি। তোমার আম্মু কোথায়?
নীলিমা বেগম: এইতো আমিও এসেছি। তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে?
রাইস সাহেব: আমি একটু ওইদিকে ছিলাম।ভাবি আজ কি কি রান্না হয়েছে?
মামি:অনেক কিছু একদিক থেকে খাওয়া শুরু করেন,যা খেতে পারেন পেট চুক্তি আজ আপনার!
মামা:কেন তুমি ওকে শুধু শুধু রাগাচ্ছো? রাগলে পরে তুমি খাওয়ার জন্য কিছু থাকবেনা।
নীলুফার:মামা কি বলছেন? বাবা এতো বেশি খেতে পারে? আমিতো কখনো দেখিনি বাবাকে বেশি খেতে!
মামাতো ভাই:বাবা তুমি ফুফাকে ফুলাচ্ছো আমি জানি!
নীলুফার:আব্বু তুমি কেনোকিছু বলছোনা?
রাইস সাহেব:মা আমি কি বলবো তুমিতো জানোই তোমার আব্বু কেমন খেতে পারে?
নীলিমা বেগম: আমি জানি কে কেমন খেতে পারে!
রাইস সাহেব: তুমি এখানে তোমার ভাইয়ের পক্ষ নিতে পারবেনা!
মামি:কেন আপু মিথ্যে কিছুতো আর বলবেনা!
মামা:আচ্ছা হয়েছে এখন খাবে নাকি কথা বলবে? খাওয়ার সময় কথা বলতে নেই! নীলুফার তোমার বাবা বলেছে এই কথা কেন জানো? তোমার বাবার খাওয়াতে জেনো প্রব্লেম না হয় তাই।
নীলুফার:তাই নাকি বাবা?
রাইস সাহেব:আম্মু তুমি কি কোখনো আমাকে দেখছো কথা না বলে চুপচাপ খেতে?
নীলুফার:না।
রাইস সাহেব:তাহলে তোমার মামার কথা কি সত্য নাকি মিথ্যে তুমি ভালো বুঝবে!
নীলিমা বেগম: আমি জানি, রিপাত কখনকার সময়ের কথা বলছে?
রাইস সাহেব: হয়েছে। আমি বুঝেছি তোমরা সবাই আজ কথা বলে খাওয়ার সময় নষ্ট করবে আমি খাওয়া শুরু করলাম।
মামি:এই নীলুফার দেখো তোমার বাবা কেমন! কথা বলতে নারায খাওয়া শুরু করতে ছাইছে তাড়াতাড়ি?
মামা:দেখেছো নীলুফার কে মিথ্যে বলেছে?
নীলুফার:বাবা মিথ্যে বলেনি! তোমাদের কথার জন্য সবাই বসে আছে না খেয়ে তাই বাবা এই কথা বলেছে।
মামাতো ভাই:নীলুফার তুই কিন্তু এখন পুরাপুরি ফুফার পক্ষ নিচ্ছিস!
নীলুফার:মোটেই না! আমার বাবাকে আমি ছিনি।
রাইস সাহেব:এই তোমরা আমার মেয়ের কাছে আমার পরিচয় দিতে যেওনা আমার মেয়ে আমার থেকে দূরে থাকলেও কি হবে আমাকে খুব ভালো করেই ছিনে।
নীলিমা বেগম: আমার থেকেও কি বেশি চিনে তোমার মেয়ে তোমাকে?
রাইস সাহেব: হ্যা।
নীলুফার: আম্মু আমি আমার বাবার মেয়ে, আমি যদি আমার বাবাকে নাই চিন্তে পারি তাহলে কেমন মেয়ে হলাম আমার বাবার?
মামি:আচ্ছা হয়েছে এখন সবাই খাওয়া শুরু করেন!
মামা:হ্যা, শুরু করা যায় রাইস ভাই।
নীলুফার:হ্যা, তো কি কি খেতে দেওয়া হয়েছে আমাকে আমি দেখবো।
মামাতো ভাই:দাদি দেখাচ্ছি।
নীলুফার:আব্বু দেখো আবার আমাকে রাগাচ্ছে ইচ্ছে করে।
রাইস সাহেব:এই মিজান থামো! এখন খেতে দাও।
নীলিমা বেগম: হ্যা বাবা পরে হবে মজা, এখন খেতে দাও আমার মেয়েকে।
রাইস সাহেব: এখন তোমার মেয়ে?
মামি:ভাইয়া এখন আর সয়তানি নয়!
মামা:ওকে ওকে তুমি খাবার বেড়ে দাও!
তাদের খাওয়া শুরু হলো অনেক জল্পনাকল্পনার পরে।খাওয়া দাওয়ার শেষ পর্যায়।
নীলুফার:মামি আমার খাওয়া শেষ,আমি উঠবো।
মামাতো ভাই:দাদির খাওয়া শেষ?
নীলুফার:ওই মিয়াঁ দাদি কি হ্যা।
৩য় পর্ব অাসছে।
©somewhere in net ltd.