নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

গায়েন রইসউদ্দিন

গায়েন রইসউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের ময়নাতদন্ত (গুজরাত ফাইলস) পর্ব-১০

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৪

বন্ধুর ই-মেলে গুজরাত ফিল্ম ইন্ডাসট্রির দু’জন জনপ্রিয় অভিনেতা নরেশ ও হিতু কানোরিয়া সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেওয়া ছিল । বস্তুত নরেশ কানোরিয়া ছিলেন গুজরাতি সিনেমার অমিতাভ বচ্চন । হিতু তার পুত্র, দক্ষিণ মুম্বইতে পড়াশোনা করেছেন এবং ঠিক করেছেন হিন্দি সিনেমায় শিকে ছেঁড়ার অপেক্ষায় বসে না থেকে বাবার জুতোয় পা গলানো বুদ্ধমানের কাজ ।
ই-মেলে জানানো হয়েছিল কানোরিয়ারা দলিত শ্রেণির মানুষ, অনেক বড়ো বড়ো অফিসারের সঙ্গে তাঁদের ভালো যোগাযোগ আছে । সিংঘলের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে তাঁদের এবং সিংঘল নিজেও একজন দলিত । উত্তেজিত হয়ে নরেশ কানোরিয়াকে ফোন করলাম । তিনি আমাকে পরেরদিন সকালে আমেদাবাদের জিমখানায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বললেন । দেখা হওয়ার পর তাঁর মধ্যে কোনো তাপ-উত্তাপ দেখলাম না ।ভালোভাবে মকশো করা বিশেষ উচ্চারণভঙ্গির ইংরেজিতে তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় সম্পূর্ণ নির্বিকার রইলেন তিনি । আয়নার দিকে তাকালেন, চিরুনি দিয়ে চুলটা একটু ঠিক করে নিয়ে উদাসীন ভঙ্গিতে বললেন, ‘বেন, হিন্দি মেঁ বোলোনা, আউর থোড়া আহিস্তা বোলো, বহুত ফাস্ট হো তুম’।
বুঝলাম আমার প্রস্তুতিতে গলদ আছে । পরের এক ঘন্টা ধরে তাঁকে আমার ফিল্মের বিষয়বস্তু বোঝালাম । বললাম, গুজরাতের যে-সব বিষয় তেমন পরিচিত নয়, সেগুলোই ফিল্মে দেখাতে চাই আমি । যেমন গুজরাতের চলচ্চিত্রশিল্প, দলিত শ্রেণির মানুষরা কীভাবে গুজরাতে উন্নতি করেছে । এবার তাঁর চোখে কৌতুহলের ঝলক দেখা গেল । নিজেকে ‘তারকা’ ভাবা একজন মানুষ, কিন্তু হিন্দি সিনেমার দাপটে নিজের রাজ্যেই যাঁর সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে, একজন ‘বিলায়েতি’ চলচ্চিত্রকারের কাছে তিনি নিজের কাজের স্বীকৃতি পাচ্ছেন—এতেই যেন অবশেষে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া গেল ।
পরেরদিন আমাকে গাড়িতে করে ১০০ কিলোমিটার দূরে একটা গ্রামে যেতে হবে । কানোরিয়া চান সেখানেই আমি তাঁর সাক্ষাৎকার নিই এবং একটা ফিল্মের সেটে তাঁর স্টান্ট দেখি । তাঁর সঙ্গে কথা বলে ঘরে ফিরে বিছানায় বসে মনে হল, পুরো বেকার একটা কাজ করতে হবে । কাজটায় বিস্তর ঝুঁকি আছে, কিন্তু এটাই একমাত্র পথ । পরের দিন সকালে এসএলআর ক্যামেরা আর বিভিন্ন তথ্য লেখা কাগজপত্র নিয়ে ঘর থেকে বেরোলাম । মাইক বলল, ‘তোমার চোখে চশমা কই?’ আসলে নিজের নতুন মূর্তিতে তখনও ঠিক অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারিনি ।
শহরের উপকন্ঠে একটা গ্রামে ফিল্মের সেট বানানো হয়েছে । হাজার হাজার লোক জড়ো হয়েছে শুটিং দেখার জন্য । কানোরিয়ার ছেলে হিতু যথেষ্ট সপ্রতিভ, দক্ষিণ মুম্বই থেকে স্নাতক হয়েছে । বন্দির পোশাক পরে আছে সে, তার বাবা অভিনয় করছেন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় ।
বসে শুটিং দেখার জন্য একটা চেয়ার দেওয়া হল আমাকে । মন দিয়ে নোট নিতে আর শুটিংয়ের ছবি তুলতে লাগলাম । লক্ষ করলাম আমি একা নই, অন্য একজন যুবকও ট্রাইপড আর লেন্স-টেন্স নিয়ে স্টান্টের ছবি তুলছে । (ক্রমশঃ)...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টে পাঠক আসে না কেন?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনি সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন । আমার মনে হয় পাঠকবন্ধুরা এ বইটি আগেই পড়ে ফেলেছেন । কারণ দু'একজন পাঠকের মন্তব্য তেমনই ছিল । তাই যদি হয়,তাহলে তো আর এবিষয়ে নতুন কোনও পোস্ট দেওয়ার প্রয়োজন নেই । আবার এমনও হতে পারে, ক্রমানুসারে পোস্ট অনেকেই পছন্দ করেন না। জানি না, কোনটা ঠিক । শুধু আপনি আমার যেকোনো পোস্টে এসে আপনার স্পষ্ট মতামত জানান, এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি । দেখা যাক, আরও কয়েকটা পোস্ট দেওয়ার পর কী হয়? 'নজরুল জীবনের শেষ অধ্যায়' বইটি হয়তো অনেকের কাছে আছে, তাই সেখানেও তেমন ভাল আগ্রহ পাঠকের দেখছি না। আর সবচেয়ে বড় কারণ এটাই হতে পারে, বেশিরভাগ পাঠক হয়তো পড়ার সময়ই পান না। যাহোক, আগামি সময় বলে দেবে, আমার কী করা উচিত, কোন্ বিষয়ে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে !? ভাল থাকবেন, আবার কথা হবে আশা করি !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.