![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েক টুকরো মেঘ
একটি রাতের মাংস
==================
শব্দ বাক্স ম্যাচ বাক্স নয়
টোকা দিলেই আগুন বেরোবে।
রাত বাড়ার গন্ধে ঘুম আসে
অথচ মশারা উসখুস করছে
মশারা উসখুস করছে খুব
এবং মশারি কামড়ে দিচ্ছে দীর্ঘশ্বাসের সুতো।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা আড্ডাপত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়।
চিনেজোঁক
===============
লাল নীল মার্বেলের খেলা।
লাল নীল মার্বেলের ঠোকাঠুকি
লাল নীল মার্বেলের চুমোচুমি
লাল নীল মার্বেলের খেলা।
রোজ চোখ মারে শিকারী আকাশ
মেঘ ওড়ে
যেন কালো শাড়ি পড়া কামুক বালিকা,
ফর্সা উরুতে লাগা মিশকালো চিনেজোঁকও ডাকে
এসো
প্রেম গারদে একটা রাত চোখ বুজে থাকি।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা আড্ডাপত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়।
ইনসমনিয়া
==========
সারা রাত বাঘিনীর চুমু
শহরজুড়ে মেয়েদের চুম্বনের মতন ভারী বৃষ্টি
বাড়ছে মাছের পিপাসা।
ছিড়ে ফেলা চিরকুটদের শোক
সেলাই করা মেয়ে পুতুলের টুকরো টাকরা
পরিত্যক্ত চুমুর পেরেক
কার্নিসে দলছুট নূতন বউয়ের মতন মেঘ
কিংবা মেয়েলি বিদ্যুতের কনিষ্ট তরবারী
শিরায় শিরায় ফরফর ধ্বনি তুলছে।
সারা রাত বাঘিনীর চুমু
শহর জুড়ে বৃষ্টিরা মাথা খুটছে কাঁচের জানালায়
বাড়ছে মাছের পিপাসা।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা আড্ডাপত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়।
প্রেমিকাকে
নৌকো ডুবির শতভাগ সম্ভাবনা সত্ত্বেও
আশৈশব আমি নৌকো চড়তে ভালোবাসতাম
এবং নৌকো আমায় ডুবোয়নি কখনও ।
আমি একটা ঘাসফুলকেও ভালোবাসতাম খুব
বিশ্বাসী ছিলাম এই আপেক্ষিক মহাবিশ্বে
শেষপযর্ন্ত ঘাসের যৌবনই একমাত্র অবানিজ্যিক;
অথচ ঘাসফুল আজ সওদাগরের ছোট বৌ।
সাপখেলা
সাপখেলা খেলতে খেলতে ক্লান্ত
আমি এক নির্বিষ সাপ।
ক্রমাগত নিজেকে লুকোতে চাই ছায়াদের আবডালে
অথচ ছায়ারাই আমাকে হাটে তোলে ঘটা করে
লম্বাশ্বাস নিয়ে ধারালো বীণ বাজায়;
আমি বিষন্ন ফণা তুলে নাচি।
আহা! সুতানাগ!!
ঝর্ণা কি জানে? পাহাড়ের প্রেমে পড়তে নেই
ষোল আনা শরীর জুড়ে দামী চা পাতার গন্ধ
আর খুউব সকাল থেকেই
ঋতুমতী গৃহিণীদের লোভনীয় উঁকিঝুকি
সুডৌল রান্না চিকিৎসা।
দমকা হাওয়ার মতন নদী পথেও প্রচন্ড গুজব
আনকা চাঁদের গায়েও পড়শীর গন্ধ
কার? থুতনিতে লেগে থাকে হাউজে কাওসারের ঘ্রাণ
ফাইভস্টার হোটেলের জলরঙ শাওর
যেখানে সম্প্রতি সুতানাগ প্রজনন প্রকল্প
উদ্বোধন করেছেন মা মনসা।
আমার নয় দরোজায় খলবল করে চাঁদ সওদাগর
তবে কি?
লোহার বাসরে বরবেশী আমি এক লখিন্দর
অনন্ত পাথরের পা ধুয়ে দেওয়াই যার দৈনিক আয়ুবিধি।
মনেপড়ে
আহা সুতানাগ! কীসুন্দর ছোবল তোমার।
বিঃদ্রঃকবিতা তিনটি কবিতাপত্র পত্রিকার২০১৩ সালের আগস্ট সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
বৈকালিক এস্রাজের সুর
ফুরায় নিরর্থক গল্পদের আয়ু
মৈথুন প্রিয় সময় পথ হাঁটে চোখের নৈরাশ্যে
স্বপ্নের শরীর জুড়ে মুঠো মুঠো শূন্যতার ধূলো
প্রেমিক বিকেলগুলো ক্রমশ রক্তাক্ত আজ সন্দেহের কাঁচে ।
আলগা হয়ে এলে বৈকালিক এস্রাজের সুর
স্মৃতির সেতারে কাঁদে টুং টাং বাউল কষ্ট,
পাতাদের রক্তে রাঙা শ্রীময়ীর দাঁতের চুমুক
চৌকস রাত্রি জমায় রোমশ পেরেকের আঙুলে।
তবু আজও মগজের মৃত ক্যানভাসে
যখন নিশীথ সুরায় জাগে সমুদ্র মৈথুনের ঘ্রাণ
মনের কাঁচের ঘর প্রেমসিক্ত অ্যাকুরিয়াম হয়ে ওড়ে।
বিঃদ্রঃকবিতাটি ডাকটিকিট পত্রিকার২০১১ সালের জুলাই সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
দর্শক
দর্শক জীবন কাটছে বেশ শিলপাথর চোখে
বৃক্ষরাও নীরব দর্মক
রাত্রির আগুন দর্শক ক্ষুধার্ত জোনাকির পাড়া।
ক্রমশ সুনসান নাট্যশালা
সূর্যও নিকোটিনগ্রস্থ পোড়খাওয়া হৃৎপিন্ডের রঙে
মঞ্চ জুড়ে অবিরাম খোলস ভাঙার শব্দ
ঈশ্বরও কি? আতঙ্কগ্রস্থ দর্শক বটে.........
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা অর্কিডে প্রথম প্রকাশিত হয়।
একটি ধারালো চাকু
একটি ধারালো চাকু নিয়ত আমায় কাঁটে,
স্মৃতির নরম শিরা ছোপ ছোপ লাল।
কী এক অন্ধ দ্যুতির ছোয়া পাই নরম ব্যাথায়।
সে এক মজার অসুখ.......................
ঢেউ হয়ে জ্বলে আর নিভে
মাতাল রাত্রির ফুল লুটে নেবে- নিতে পার ঠোটে।
মৃত্যুর মতো হিম কিছু টুকটাক আলো,
তোমার দুটি চোখ মেলে যদি ধরো
সেখানে বরফ দেশ বেদনা পাথর হয়ে যায়।
হৃদয় অভয়মুদ্রা রহস্যরাত্তির পায়ে পায়ে
স্মৃতিরা অনিদ্রাপরী
নদী ও আকাশ এ ওকে জড়িয়ে শুয়ে রয়।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা গোলাঘরে প্রথম প্রকাশিত হয়।
আরব বসন্ত
অঙ্কটি সহজ ছিলনা............
তবু পাখিরা নাছোড়
পাখিদের ছোট্ট দুটি ডানা
বঞ্চনার ক্ষতে জরজর।
মৃদু চাঁদ টপকে দিয়ে উঁকি দেয় কালো কালো রাত,
তবু জ্যোৎস্নার পিদিম জ্বেলে
ঘুমহীন, রাতজাগা প্রজাপতির মিছিল
কানপাতি, শুনি, বসন্ত আছড়ে পড়ার স্বর।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা কবিতাপত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়।
তীরন্দাজ
ঘুরছে আখি
উড়ছে মানুষ
আগুন ঘুমে
অন্ধ চাঁদ।
মুক্ত আকাশ
মেলছে ডানা
ছুড়ছে ওঁ! তীর
কোন তীরন্দাজ।
চলছে গাড়ী
বাড়ছে বাড়ী
উঠছে দেয়াল
না ভাঙার।
নাচছে নদী
বসন খোলা
ভাঙছে পাজর
নয়তো পাড়।
ভগ্ন পাখা
কন্ঠ বাঁকা
চাইছি তবু
পাখির গান।
জাদুর মাঠে
ঘাসের চুমে
ডাকল ওঁ! কোন
জল উচ্ছ্বাস।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা অর্কিডে প্রথম প্রকাশিত হয়।
প্রার্থনা মাহফিল
প্রার্থনা মাহফিল সুনসান:
সাইকেলের মৃদু ঘন্টির মত প্রভুকে ডাকছে
এক অন্ধ প্রজাপতি;
প্রজাপতিটি একটিবার তার রঙিন পাখনা দেখতে চায়
নার্সিসাস যেন একটিবার ছুতে চায় তার পাপড়ির কররেখা।
শুধু................একটিবার।
প্রার্থনা মাহফিল গমগম:
পেটভর্তি জ্বলন্ত উনুন নিয়ে প্রভুকে ডাকছে
এক বন্ধ্যা দেয়াশলাই;
একটিবার তার জীবনকে আগুনে রাঙাতে চায় সে
একপলক হাতের তালুতে পেতে চায় ঝলসানোর নরমযৌনতা।
শুধু...............একপলক।
প্রার্থনা মাহফিলজ্বলজ্বল:
মিশকালো কোকিলের মত কাঁদ কাঁদ বিনীত গলায় প্রভুকে ডাকছে
এক মরচেপড়া ঘুঙুর;
ঘুঙুরটি একরাত্রি নাচতে চায়
মেঘ ভর্তি মাহফিলে একটিরাত খসাতে চায় অযুত-নিযুত জোনাকির আলো।
শুধু................একটিরাত।
প্রভু শুনছেন কি?
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা কুড়েঘরে প্রথম প্রকাশিত হয়।
ফেরারী সুর
কাঠপুতুলরো ফিরে পেলে ঘাসের নখর
মৌন শিশির জমায় মাতাল রাত্রি
নিসঙ্গ নাগরিক বালুর স্তুপ
প্রেমিক সুর বাধে কোজাগরী চাঁদের বুকে।
অথচ নগর জুড়ে একরাশ হিংস্র পশুর বুদবুদ
ক্রমশ নিভিয়ে দেয় রুপালী মুহূর্তগুলো,
আর একলা চলো বলে যে পাতাটি হাটতে শিখেছিল
সে পাতাটির স্বপ্ন ভাঙার তীব্র আর্তনাদে
সদ্য প্রসূত শ্রীময়ী কবিতার খাতাও ধর্ষিত।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা পতাকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
দূরত্ব
=================
ঘুড়িটির মাঞ্জা জুড়ে ক্ষয়
ঘুড়িটির সুতো কেঁটে গেছে।
ধসে যাচ্ছে একাকী নাটাই
ঘুড়িটি আর উড়ছে না।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা অর্কিডে প্রথম প্রকাশিত হয়।
কী এক সার্কাস!
কী এক সার্কাস!
লিখি প্রেম, ঠোট থেকে খসে নগ্ন বিষফল উত্তাপ
পিছল দেহ ছুয়ে পৃথুলা প্রিয়তীর সবুজ নিঃশ্বাস
ঘুমের সুতো খসে অধোমুখ, মাংসল লকলকে চাকু
রাতের বরণকুলো উষ্ঞ পালক গোজে অন্ধ আয়নার ভেতর।
নিরীহ রোদ্দুরে হাঁটে ফিকে রং পাতাদের সবুজ বিকেল
পাতার সবুজ রক্ত চাটতে চাটতে মানুষ হাঁটে নামে!
মানুষ শান্তির ফেরীওলা! শান্তি ফেরী করে
হাতের তালুতে ছেলে ভুলানো লাটিম কোমল রোদ্দুর ছিড়ে খায়।
যে এক পাখির ঝাক মৃত্যুকে আরোগ্যের অ্যাম্বুলেন্স ভাবে
কেউ কেউ তারাও নিয়ত বেরোয় রীতিরুদ্ধ গন্ধমের ঘ্রাণে
কী এক আজব সার্কাস!
রাতের নিবিড় ভূগোল কয়লা হতে হতেও চকমকে চাকু গিলে খায়।
বিঃদ্রঃকবিতাটি সাহিত্য পত্রিকা কবিতাপত্রে প্রথম প্রকাশিত হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১:২২
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সুন্দর। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।