নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রানা সোহেল

চাকরী করি, পাশাপাশি পড়ালেখা। পড়তে ভালোবাসি। ঘরকুনো, চা'র কাপে দেশোদ্ধার করি। এই তো...

রানা সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ডাবল-স্ট্যান্ডার্ড

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

ভদ্রলোকের সাথে লঞ্চেই দেখা। আমি লঞ্চের পেছনের খোলা জায়গাটায় দাড়িয়ে আশপাশ দেখছিলাম। সামনেই ভদ্রলোক সিগারেট ধরিয়ে আনমনে নদীর দিকে তাকিয়ে ধোয়া ছাড়ছেন। পড়ন্ত বিকেলে বেশ চমৎকার একটি দৃশ্য। তিনি হঠাৎ আমার দিকে তাকালেন। চোখে চোখ পড়ে গেল। সুন্দর করে হাসি দিয়ে আমার দিকে একটি সিগারেট বাড়িয়ে দিলেন।

-কি ভায়া, চলবে তো? আমি না সুচক মাথা নাড়াই। ভদ্রলোক বেশ হাসি খুশি। তিনি জোর করলেন,
-আরে নেন নেন। একটা সিগারেটই তো। আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম যে আমি সিগারেট খাই না।

উনার সাথে কথা বলতে বলতেই পাশে দাড়ানো মুড়িওয়ালার মুড়ি বানানো দেখছিলাম।

-ব্যাটারা মুড়ি খুব ভাল বানায়, কি বলেন? খাবেন নাকি? খান। দাড়ান আমি নিয়ে আসি।

-আরে না না, কি বলেন। আমি নিষেধ করি। কিন্তু ভদ্রলোক জোর করেই আমার হাতে মাখানো মুড়ি ধরিয়ে দেন।

তারপর টুকটাক কথা বলতে বলতে আমরা লঞ্চের ভেতরে গিয়ে বসি।

ভদ্রলোক ব্যাগ থেকে একটি পত্রিকা বের করে উল্টানো শুরু করেন। আমিও অলসভাবে পত্রিকার দিকে তাকাই।
-পড়বেন নাকি? নেন নেন, পড়েন। ভদ্রলোক জোর করেই কয়েকটা পাতা আমার হাতে ধরিয়ে দেন। নিতান্ত অমায়িক বন্ধু বৎসল ভদ্রলোক! তখনই আমার জিনিসটা চোখে পড়লো। ভদ্র লোকের হাতের ঘড়িটা বেশ সুন্দর। মনেহলো, ভদ্রলোকতো বেশ ভালই। যার দিকে তাকাই সেটাই দিয়ে দিচ্ছে। ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখি কোন ফল হয় কি না! আমি হা করে ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকি। ভদ্রলোক নড়েচড়ে বসেন। আমার দিকে

তাকিয়ে হাসেন। তারপর বলেন “জি, ঘড়িটা বেশ সুন্দর। আমার বন্ধু বিদেশ থেকে পাঠিয়েছে”।

আমিও বললাম, “হ্যা হ্যা, অনেক সুন্দর, আমারও খুব পছন্দ হয়েছে”।
আমি আবারও হা করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকি। ভদ্রলোক ইতস্ত করেন। তারপর কিছু না বলে উঠে কোথায় যে চলে গেলেন আর খুজেই পেলাম না!!

এরকম ডাবল-স্ট্যান্ডার্ড লোক আমার একদমই পছন্দ না!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.