![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ট্যান্টালাসের এক পোষ্ট থেকে আমার অসম্ভব প্রিয় একটা গান পেলাম , সেটার লিরিক লেখার চেষ্টা করলাম। পরে পলাশমিঞা সংশোধন করেছেন।
আমি তার ব্যখ্যা করলাম। দেখেন কেমন হইছে। একটু মাতব্বরী করলে খুশিই হইতাম।
কাল জলে উছলা তলে ডুবল সনাতন
আজ চারানা কাল চারানা পাই যে দরশন।
লদীর ধারে চাষে বধু মিছাই কর আশ
ঝিরি হিরি বাকা লদী বইছে বার মাস।
কাল জলে উছলা তলে ঢুবল সনাতন
আজ চারানা কাল চারানা পাই যে দরশন।
চিংড়ি মাছের ভিতর কড়া তায় ঢালেছি ঘী
নিজের হাতে ভাব ছাড়েছি ভাবলে হবে কি?
চালর চুলা লম্বা কচা খুলি খুলি যায়
দেখি শামের বিবেচনা কার ঘরে সামায়।
মেদনী পুরের আয়না চিড়ন বাকুরার ঐ ফিতা
যতন করে বাধলি মাথা তাও যে বাকা সিথা।
মেদনী পুরের আয়না চিড়ন বাকুরার ঐ ফিতা
যতন করে বাধলি মাথা তাও যে বাকা সিথা।
পেচ পারিয়া রাজকুমারীর গলায় চন্দ্র হাড়
দিনে দিনে বারছে তোমার চুলেরই বাহার।
কলি কলি ফুল ফুটেছে নীল কাল আর সাদা
কোন ফুলেতে কৃষ্ণ আছেন কোন ফুলেতে রাধা।
কাল জলে উছলা তলে ডুবল সনাতন
আজ চারানা কাল চারানা পাই যে দরশন।
কাল জলে উছলা তলে ডুবল সনাতন
আজ চারানা কাল চারানা পাই যে দরশন।
তার একটা ব্যখ্যা দেওয়ার মাতব্বরী করলাম। অন্যকেউ মাতব্বরী করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
এই গানের মধ্যমে কোন এক নদীর পারের জনগোষ্ঠির জীবন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সনাতন নামের কোন এক জেলে নদীতে ডুবে মারা গেছে। গায়ক তার বিধাব স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলছেন- নদীর কাল জল সনাতনকে ডুবিয়ে মারলেও তার স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি। এই নদী সর্বগ্রাসী। তার তীরে সুখে বসবাস করার কল্পনা দুরাশা মাত্র। গায়ক বলেছেন চিংড়ি মাছে ঘী দেওয়া যেমন নিরর্থক তেমনি কৃষ্ণের ভাব হাত ছাড়া করে শুধুমাত্র সনাতনের প্রেমে মজে থেকে বধু ভুল করেছে। যাই হোক ঝাকড়া চুল, লম্বা কাছা ওয়ালা কৃষ্ণ তকে কৃপা করে কি সা। বধু মেদিনীপুরের আয়না-চিড়নি ও বাকুড়ার ফিতা দিয়ে যত্ন করে চুল বাধলেও তার সিঁথী সোজা করতে পরেনি। তার কপালের সিঁদুর ধরে রাখতে পারে নাই, সনাতনকে হারিয়েছে।
যাই হোক, এত কিছুর পরেও মানুষের জীবন থেমে থাকে না। দুঃখের পরে সুখ আবার উঁকি দেয়, মানুষকে আবার আশার পথ দেখায়। বধুর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। গলায় চন্দ্রহার পরে তাকে রাজকুমারীর মত লাগছে। তার চুলের সৌন্দর্য তথা চেহারায় এক দীপ্তিময় লাবণ্য ফিরে এসেছে। সে যেন আবার নতুন কারও প্রেমে পরেছে। বনের বিভিন্ন ধরনের ফুলে কোনটাতে কৃষ্ণ আর কোনটাতে রাধা বসে সে টা যেমন বুঝা যায় না, তেমনি মানষের মন কখন যে কার প্রেমে পরে তাও বুঝা যায় না। বধু আবার তার প্রেমময় জীবন ফিরে পেয়েছে। যে নদীর জলে সে তার সনাতনকে হারিয়েছে সে নদীর তীরেই আবার সনাতনকে ফিরে পেয়েছে। সনাতনেরা বার বার ফিরে আসে।
(ঈষৎ সংশোধিত)
পূর্বের পোষ্ট
২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৩৫
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন: আপনার এটা কি প্লাস?
২| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:৩২
দিনযাপন বলেছেন: সুন্দর গান..ভালো লাগলো...
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৪২
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন: গানটি তো ভালই। কিন্তু আমি জানতে চাইছি আমার বুঝ ঠিক আছে নাকি।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:১০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: কঠিন!
কয়েকবার পড়তে হবে!
২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:১৯
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
পইড়া আবার মনে কইরা আর একবার আইসেন।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৪৮
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: পড়লাম। সুর দিলে ভালোই হবে।
২৩ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:২৮
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন: গান টা তো আমার লেখা না। আমি শুধু লিরিক লিখে ব্যখ্যা করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আর গানটা এখানে http://www.youtube.com/watch?v=Ofwt97DlOVw
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪
ঘাসফুল বলেছেন: কঠ্ঠিন এক্খান কাম করছেন মিয়া
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১৫
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
কামখান যত না কঠিন আপনার কঠ্ঠিন কিন্তু আসলেই কঠিন।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৫৬
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: গানটা ফাটাফাটি লাগলো ~~
এই ধরনের আরো গান আছে নাকি ?
২৩ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:২৬
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
ধন্যবাদ। কি ধরনের গান বললে ভাল হত।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১৯
আনোয়ারুল আলম বলেছেন: ভাই, আমার বাংলা শব্দ ভান্ডার খুব সীমিত । তবে চিংড়ি আর ঘি এর সম্পর্ক টা ভুল বুজেছেন :-)))
আমি নিজে মাখন দিয়ে বড় গলদা চিংড়ি ভেজে খাই, ভাঁপ উঠা গরম ভাতের সাথে , আর থাকে মাখনকে পুড়িয়ে ঘরে বানানো ঘি , সমান্য লবণ আর কাঁচা মরিচ ; স্বাদ হয় অমৃতের মত ।
শব্দ নিয়ে মাতামাতি বেশি পছন্দ করি না । সব শব্দের মানে সবার কাছে সমান না ।
ধন্যবাদ লিংকটা আমার ব্লগে দেয়ার জন্য ।
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন: আমিও যে শব্দের জাহাজ তা বলি নাই। আপনি যে খাবারের কথা বললেন তা শহুরে খাবার যা অনভ্যস্ত কেউ পছন্দ নাও করতে পারে।
যাই হোক আপনার বিবেচনায় ঠিক কি হতে পারে বললে ভাল হত।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫০
তপন বাগচী বলেছেন: ভালো লিরিক। ধন্যবাদ!
২৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৩১
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
ধন্যবাদ
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:০১
আনোয়ারুল আলম বলেছেন: আমি আরেকদিন আসবো আপনার ব্লগে, একদম কোমর বেঁধে । সেদিন চেষ্টা করবো ভাল কোন মন্তব্য করার ।
খাবারের কথা যেটা বললেন তা ঠিক হতে পারে, ইউরোপে এসে শিখেছি এই ধরণের খাবার খাওয়া। প্রায় সব মেক্সিকান রেস্টুরেন্টে দেখি এভাবেই সার্ভ করে । সেটা দেখেই শেখা । খেতে কিন্তু খারাপ লাগে না, তবে সেটা আপেক্ষিক একটা বিষয় ।
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:২৬
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন: উহু.......উহু.............উহু..........। কোমর বাইধ্যা আসার আগে একটু আওয়াজ দিয়েন, যাতে আমিও বাধবার পারি।
হ্যা, ঠিক ধরেছেন। অন্যান্য বিষয়ের মত স্বাদের পছন্দও আপেক্ষিক। শুধু বিদেশ কেন, আমাদের দেশেও এক অঞ্চলের খাবার আর এক অঞ্চলের মানুষের পছন্দ নাও হতে পারে।
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:৩৫
ধ্রুব০০৭ বলেছেন: বস,
খুবই পছন্দ হয়েছে।
ফেসবুকে শেয়ার করেছি।
কিছু মোনে কৈরেন্না!!
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪
ভিজামন বলেছেন: ভালো লাগলো............
আরো ভালো লাগলো সামুতে তোমকে খুজে পেয়ে...........
ভালো আস বন্ধু !!!!!!!!!!!!!
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
তুমি কেঠায় হে? তোমারে তো চিনতে পারলাম না দোস্ত!!!!!!! বইরে আইস..........।
১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
ভিজামন বলেছেন: তুমি কি রিংকু???
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
কোন রিংকু? না। যাক বাচা গেল। তোমারে পাইয়া ভাবছিলাম ব্লগে পরিচিত কাউরে খুইজ্যা পাওনের চাকরী টা বুঝি নট হইয়া গেল। তুমি কে? জানাবে কি?
১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:১৮
ভিজামন বলেছেন: ওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওও,
মুখবই এ রিংকু এই লিংক দিয়েছিলতো!!!
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৩৬
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
বুঝি নাই । একটু বুঝাইয়া কন না ভাই । আমার প্রসেসর একটু দুর্বল।
১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:২৮
ভিজামন বলেছেন: রিংকু আমার পুরাতন বন্ধু আনেক দিন দেখা নাই...... facebook এ ও ই এই লিংক টি দিয়েছিল....... আমি ভাবেছি ওরই লিংক.....
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:১৪
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
ও আচ্ছা। যাই হোক এবার একজনরে পরিচিত সত্যিই খুইজা পাইছি। সে হচ্ছে আপনার নিচের জন
১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
মানিক হাসান বলেছেন: ভালো পোস্ট
২৫ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৪০
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
ভাল আছিস?
১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: Click This Link
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
eSnips এর বিষয়ে আগেই জানতাম। তার পরও ধন্যবাদ। কিন্তু এখান থেকে কিভাবে ডাউনলোড দিতে হয় তা জানি না। যদি জানাতেন খুবই ভাল হত। এছাড়াও আর একটি ভাল জায়গা হচ্ছে কলকাতা মিজিক ব্লগ সেখান থেকেও কিভাবে ডাউনলোড দিতে হয় তা জানালেও খুব উপকার হত।
১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আকাশ অম্বর বলেছেন: জটিল !
১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৫১
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
জটিল!!!!!!!!!!!
২০| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:১৭
পলাশমিঞা বলেছেন: এ কি হল, আমার আধা ঘন্টায় লেখা মন্তব্য হাওয়া হয়ে গেল
২১| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:২৩
পলাশমিঞা বলেছেন: দাদা মন্তব্য আসছেনাতো,
পেচ পারিয়া রাজকুমারীর গলায় চন্দ্র ''হাড়''
বানানটা হার হবে। সে দিন খেয়াল করিনি পরে যখন খেয়াল করেছিলম তখন আপনাকে খেয়ালে পাইনি, মানে আপনার নিক ভুলে ফেলেছিলাম।
২২| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:২৩
পলাশমিঞা বলেছেন: হিন্দু [ hindu ] বি. বিণ. ভারতের বেদাশ্রিত সনাতন জাতি বা ধর্ম; উক্ত জাতীয় বা ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি। [ফা. হিন্দু < সং. সিন্ধু]। ত্ব বি. হিন্দুধর্মানুযায়ী ভাব, হিন্দুভাব, হিন্দুয়ানি। য়ানা, য়ানি বি. হিন্দুসুলভ আচার আচরণ। সমাজ বি. হিন্দুধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়। স্থান বি. ভারতবর্ষ। [ফা. হিন্দুস্তান]; (সংকীর্ণ অর্থে) উত্তর ভারত। স্থানি বিণ. হিন্দুস্থানের অধিবাসী; উত্তর ভারতের (মূলত হিন্দিভাষী) অধিবাসী। বি. উত্তর ভারতের ভাষাবিশেষ, উর্দুমিশ্রিত হিন্দিভাষা।
২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:২৩
পলাশমিঞা বলেছেন: এখানে যে অর্থে সনাতন ব্যবহৃত হয়েছে তা হল হিন্দুধর্ম।
যে গানে, রাগ ভাব এবং ভক্তি খাকে সে গান সহজে বোদগম্য হয় আবার অনেকের হয় বুদ্ধিভোঁতা। আমিতো চিন্তরা সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি। এই গান বুঝতে হলে গানের কথা সংগ্রহ করতে হবে। গানের আসল কথাগোলা বুঝা যাচ্ছেনা, মানে শত চেষ্টা করলেও খাট দিয়ে খাটিয়া বানাতে পারবনা। দাদা আমি ধর্ম নিয়ে বেশি কথা বলিনা, শুধু এইটুকু বলল গান যে লেখেছেন উনি একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। দাদা গানের সব কথা না বুঝে ব্যাখ্যা দিতে আমি ব্যর্থ। ভুল হলে হাতজোড়ে ক্ষমা চাই।
২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:২৪
পলাশমিঞা বলেছেন: এখন হয়েছে।
২৫| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৪২
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
আপনার কথায় এখন আমার সেই "টিনের তলোয়ার" নাটকের বেণী মাধবের কথা মনেপরল।
"এখনে কে অভিনয় করে? এক মাত্র আঙ্গুর ছাড়া আমরা সব জলে আঁক কাটি মাত্র। এই যে আমাকে দেখছ বেণী মাধব চাটুয্যে, ছেলেবেলা থেকে যাত্রায় গাইছি, আজ বাইশ বছর একাধিক ক্রমে অভিনয় করার পর বুঝলাম যে আমি অভীনয় করতে জানি না। " তখন অভিনয় ছেড়ে দিলেন না কেন?" " ততক্ষণে আমি বংলার সুপ্রতিষ্ঠত অভিনেতার খ্যাতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েগেছি যে!!!!!!"
যাই হোক দাদা আমি খ্যাতি যাই না, চাই বুঝতে। আপনি সহযোগীতা করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
২৬| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:২৯
পলাশমিঞা বলেছেন: দাদা, আমি কসম করে বলছি এই গানের সারর্মম বুঝতে পারছিনা, জটিল গান,
কইলামনা, রাগ ভক্তি এবং ভাব যে গানে থাকে সে গান সহজে বুঝা যায় আবার কেউ হয় হতবাক।
গানটা কলকাতার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা। তবে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি শুনতে আমার অঞ্চলের ভাষার মত মনে হয়।
''ফুল গাছটি লাগিয়েছিলাম'' গানটা শুনে আমি আরো অবাক হয়েছি।
যাক এখন কথা গল গান নিয়ে, ''কুচলা তলে'', ''উচলা তলে'' কোনটাই আমি বুঝি নাই।
আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনলে বুঝতে পারবেন যে গানের আসল কথা গুলা বুঝা যাচ্ছেনা।
সনাতন নামে আবার একটা নৃত্যও আছে। এখন ঘটনা হল, গানে নদী নারী নৃত্য এবং ধর্ম আছে।
আপনিই বলেন আমার কি দশা হচ্ছে। আমিত হতাশ, কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছিনা।
কাল জলে উছলা তলে ডুবল সনাতন,
আজ চারানা কাল চারানা পাই যে ধরশন। এই দুই লাইলে লাগছে পেচ।
নদী ধারে চাষে বধু মিছাই কর আশ,
ঝিরি হিরি বাকা নদী বইছে বার মাস। এই দুই লাইন আপনি বুঝেছেন।
চিংড়ি মাছের ভিতর কড়া তায় ঢালেছি ঘী,
নিজের হাতে ভাব ছাড়েছি ভাবলে হবে কি? এই দুই লাইন বুঝি নাই।
চালর চুলা লম্বা কচা খুলি খুলি যায়,
দেখি শামের বিবেচনা কার ঘরে সামায়। এই দুই লাইনও বুঝিনাই। না বুঝার কারণ ''চালর চুলা লম্বা কচা খুলি খুলি যায়', কি বলা হয়েছে জানিনা।
মেদনী পুরের আয়না চিড়ন বাকুরার ঐ ফিতা,
যতন করে বাধলি মাথা তাও যে বাকা সিথা। এই দুই লাইন আপনি বুঝেছেন।
পেচ পারিয়া রাজকুমারীর গলায় চন্দ্র হাড়,
দিনে দিনে বারছে তোমার চুলেরই বাহার। এই দুই লাইনও বুঝেছেন।
কলি কলি ফুল ফুটেছে নীল কাল আর সাদা,
কোন ফুলেতে কৃষ্ণ আছেন কোন ফুলেতে রাধা? এই দুই লাইনে জটিলতা আছে, তা হল কলি কলি, দুইটি ফুল, বুঝে নেন।
দাদা বুঝলে আপনাকে বুঝাতাম। আমি নিজেই বুঝতেছিনা। সজল শর্মাকে ধরেন।
২৭| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:৩২
পলাশমিঞা বলেছেন: দাদাভাই এইটা হল সজলভাইর লিং
Click This Link
২৮| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:৪০
পলাশমিঞা বলেছেন: দাদা, ইশারা করে কিছু বুঝাতে চেয়েছেন আমি বুঝিনাই,
আপনার কথায় এখন আমার সেই "টিনের তলোয়ার" নাটকের বেণী মাধবের কথা মনেপরল।
"এখনে কে অভিনয় করে? এক মাত্র আঙ্গুর ছাড়া আমরা সব জলে আঁক কাটি মাত্র। এই যে আমাকে দেখছ বেণী মাধব চাটুয্যে, ছেলেবেলা থেকে যাত্রায় গাইছি, আজ বাইশ বছর একাধিক ক্রমে অভিনয় করার পর বুঝলাম যে আমি অভীনয় করতে জানি না। " তখন অভিনয় ছেড়ে দিলেন না কেন?" " ততক্ষণে আমি বংলার সুপ্রতিষ্ঠত অভিনেতার খ্যাতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েগেছি যে!!!!!!"
যাই হোক দাদা আমি খ্যাতি যাই না, চাই বুঝতে। আপনি সহযোগীতা করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
আপনার পরিচয় জানতে চাই।
সজলদা ব্যর্থ হলে পরে না হয় আবার দুজন আরম্ভ কর।
যত গভীর মন করতাছি তত গভীর নয় হয়তো। তবে দুই মাথা এক মাথার চেয়ে ভালো।
আঞ্চিল গানে কিন্তু ভেলকিবাজি থাকে। প্রবাদ থেকেও গান আছে যা শুনলে মাথা ঘুরে।
আবার কথা হবে।
২৮ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:৩৮
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
দাদা আমি ইশারা কম বুঝি তাই ঐ লাইনে পারত পক্ষে হাটার চেষ্টা করি না। আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, আমার এই লেখার অনেকে প্রশংসা করেছেন। তারপর আপনার কথায় বুঝলাম হয়তো বা এটা একটা অশ্বডিম্বে পরিণত হতে চলেছে।
আপনার পরিচয় জানতে চাই।
[email protected]
২৯| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:৪৮
সজল শর্মা বলেছেন: এই গানের মাঝে লুকিয়ে আছে একটি উচ্চ ভাব দর্শন। অর্থ বের করতে হলে ভাবতে হবে। গানে যা যা বর্ণনা দেওয়া আছে তার সবগুলিই রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। লালন বা হাসনের গানের মাঝে যেরকম গভীর আত্মোপলব্ধি বা দর্শন লুকিয়ে থাকে- এই গান শুনেও তেমনটি মনে হচ্ছে।
ভাবছি- কিছু বের করতে পারলে জানাব।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫০
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
সময় কি হয়েছে দাদা? আর কত অপেক্ষায় থাকব?
৩০| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:৫১
পলাশমিঞা বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। আমার লাজ বাচালে।
আমি এমন গানে হাত দেইনা ভয় হয়
৩১| ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
পলাশমিঞা বলেছেন: আরে দাদা আমি আছিনা, আমি থাকতে অশ্বডিম্ব হবেনা ইনশা আল্লাহ। প্রয়োজন হলে টুকনি এবং একতারা নিয়ে বেরুব।
যাক ছবিটা দেখেছেন?
আপনাকে এড করেছি, আমি লন্ডন আছি এখন সময় নির্ণয় করবেন।
কিছু গান আছে যা আমাদেরকে ভাবুক বানায়, এই গান আপনাকে ভাবুক বানিয়ে ছাড়বে
আমি অদ্য অনলাইন আসা বন্ধ করেছি। অনেকে আমাকে সহ্য করতে পারেনা
পরিচয় হলে ভালো হবে অন্তত আপনার সাথে প্যাচলা করতে পরব কতক্ষণ।
দোয়া শুভ কামনা রইল।
০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪০
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন: না ছবিটা দেখা হয়ে ওঠেনি এখনও।
৩২| ২৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৩
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
অপেক্ষায় থাকলাম
দেখি শামের বিবেচনা কার ঘরে সামায়।
৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৫১
পলাশমিঞা বলেছেন: দাদা ভাই আমার মন ভোঁতা হয়ে বলছে আপনের অনুবাধ হয়েতো ঠিকাছে সব ঠিকাছে
৩৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
ডরাইছেন না কি?
৩৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২
মানবী বলেছেন: গানটি শোনা হয়নি, আপনার ব্যাখ্যা পড়লাম- চমৎকার লিখেছেন। ব্যাখ্যা পড়ে গানটি শোনার আগ্রহ হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২৮
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
ধন্যবাদ...............
লিংক দেওয়া আছে।
৩৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৫০
মানবী বলেছেন: শুনছি এখন...
খুব মন খারাপ হলো গানটি শুনে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৭
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
মন খারাপের কিছুনেই। এই সংগ্রাম আছে বলেই মানুষের জীবনের মূল্য আছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:২৬
রনি রাজশাহী বলেছেন: ভালই