নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাঙতে নয়, গড়তে চাই। গড়তে চাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের একটি বিশ্ব সৌধ। আগামী প্রজন্মকে হানাহানিমুক্ত একটি শান্তিময় সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে চাই। সুন্দরকে আরো সুন্দর করে সাজানো এবং পরিশীলিত ব্লগিং চর্চার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনই আমার সাধনা।

সালেহ মতীন

সালেহ মতীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিক্ষুকের ভিক্ষা নাকি পরিশ্রম ?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫


আমরা দরিদ্র/অসহায়/ভিক্ষুকদেরকে দান করে থাকি যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের অংশ। এসব সহায়তা ও দান/সাদাকার উপযুক্ত প্রতিদান আল্লাহ আমাদের দিবেন এ ব্যাপারে কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়।

গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা মহানগরীর কয়েকজন ভিক্ষুকের সাথে আমার আলাপ হয়। তারা দাবী করছেন ভিক্ষার মতো মনে হলেও, এটাকে তারা ভিক্ষা বলতে রাজী নয়- পরিশ্রম করেই উপার্জন করছে তারা। দিন চলার মতো পয়সা উপার্জন করতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়, ঘাম ঝরাতে হয়, দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয়। উল্টো আমার কাছেই তাদের কয়েকজনের প্রশ্ন ছিল, একজন সাধারণ শ্রমিক তাদের চাইতে কম সময়ে কম পরিশ্রমে আরো বেশি ইনকাম করে, তাহলে এটাকে ঠিক ভিক্ষা বলা যাবে নাকি পরিশ্রমের উপার্জনই বলতে হবে ?

আমরা জানি যে, ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসাহের এবং পরিশ্রম সম্মান ও সৌভাগ্যের। এ বিষয়ে হাদীসের মর্মাথ এরূপ, ‘নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা মেহনত করো সবে। তারা তো মেহনত করেই উপার্জন করছেন, তাহলে সেটাকে ভিক্ষা বলে তাদের আত্মমর্যাদায় আঘাত করা উচিত কিনা!

আবার আমাদের দান সেখানে গিয়ে যদি পরিশ্রমের উপার্জনে রূপান্তরিত হয় তাহলে গরমিলটা কোথায় ? আমরা একটু বিশ্লেষণ করলে একটা উত্তর বেরিয়েও আসতে পারে। ধরুন, একজন পঙ্গু ভিক্ষুক দিনে ৬০০ টাকা ইনকাম করল। প্রত্যেক দাতা যদি গড়ে তাকে ২ টাকা করে দিয়ে থাকে তাহলে এই টাকা আয় করতে তার ৩০০জন লোকের কাছে হাত পাততে হয়েছে। প্রতি ২ মিনিটে যদি একজন করে তাকে ভিক্ষা দিয়ে থাকে তাহলে ঐ ভিক্ষুকের বিরতিহীন ১০ ঘণ্টা লেগেছে এই ৬০০ টাকা আয় করতে। এ পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের দানের পরিমাণ যদি ১০০ টাকা করে হতো তাহলে ৬/৭ জনের কাছ থেকেই উক্ত পরিমাণ আয় উঠে আসত যেটাতে তার সময় লাগত হয়ত সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা(মিনিটে মিনিটে ২ টাকা করে দানকারী পাওয়া গেলেও ১০০ টাকা করে দানে সমর্থ ও ইচ্ছুক দাতা নাও মিলতে পারে)। এমতাবস্থায় ঐ পঙ্গু ভিক্ষুক বাকী সময়টা বিশ্রামে কাটাতে পারত। তাহলে দেখা গেল, দানের পরিমাণ বড় হওয়ার সাথে অসহায়ের রোজগারের পাশাপাশি তাকে কিছুটা আরামেরও ব্যবস্থা জড়িত।

দান/সাদাকা/যাকাত প্রদানে শরীআহর স্পিরিট হলো বেশি বেশি দান করা যাতে সঙ্গতিহীন/অসহায় ভিক্ষুক কিছুটা আরামের পাশাপাশি স্বনির্ভরতার স্বপ্ন দেখতে পারে। আসুন আমরা অসহায়ের পাশে দাঁড়াই এবং বেশি বেশি করে দানের মহড়া ও শিক্ষায় অংশ নিই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: ভিক্ষাবৃত্তি যদিও লজ্জার বিষয়। তদুপরি আপনার ভাবার্থে সম্মান জানাতে বাধ্য হচ্ছি। প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর কথা আমরা কজনইবা মাথায় রাখি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

সালেহ মতীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, ভিক্ষাবৃত্তিকে আমি মনেপ্রাণে ঘৃণা করি, কিন্তু ভিক্ষুককে তো ঘৃণা করা উচিত নয়। ঐ যে বলা হয়, পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়। আমি মূলত মানবসন্তানের প্রতি সেই স্বভাবজাত সম্মানবোধের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বিষয়টি চিন্তা করেছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসার ও মন্তব্যের জন্য।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

গোধুলী রঙ বলেছেন: হেহ আমি ঢাকা শহরের ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দেই নাহ, কারন ১। ভিক্ষাবৃত্তি নিরুতসাহিত ২। ভিক্ষা করা ওদের পেশা, ওরা দিনশেষে সব টাকা মালিকের হাতে তুলে দেয় আর ~৯০০ টাকা দৈনিক বেতন হিসেবে পায়। অনেক ভিক্ষুকের এলাকায় নিজের জমি আছে, পোলা পাইন ভালো স্কুলে পড়ে, চানখারপুলে নান্না বিরানিতে রাত ১০-১১ টার দিকে গেলে প্রায়ই দেখতাম অদুরে মসজিদের গোড়ায় বসে যে ভিক্ষা করে সে ভিক্ষার টাকায় বিরানি খাইতেছে, এখন এইসব খানদানি ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দিয়া কি লাভ??

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

সালেহ মতীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, অাপনার যুক্তি উড়িয়ে দেয়ার দুঃসাহস আমার নেই, কারণ আমিও এই মহানগরীতে চলতে ফিরতে ঐসব চিত্রই দেখি। এ কথা ঠিক যে, এক শ্রেণির প্রভাবশালী ভিক্ষুক ব্যবসায়ী আছে যারা সহজ-সরল ভিক্ষুকদের ব্যবসার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের এ কাজ থেকে বিরত রাখতেও আমরা সাধারণ মানুষেরা সক্ষম নই। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০

জনম দাসী বলেছেন: প্রথমে...++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

ভিক্ষুককে মানুষ দূর দূর করে, গাল মন্দ করে, পাড়লে গলা ধাক্কা দিতেও কুণ্ঠিত বোধ করে না। অথচ নায়িকা গায়িকা ডিস্ক দেহপসারিনি সুধ খোর, ঘুষখোর, সন্ত্রাসি, খুনি, মদ, নারী, মিথ্যাবাদী, প্রতারক, ধোঁকাবাজ, ধর্ষণ কারী, ওজনে কম দেয়া কারী, প্রসাসন, রাজনীতি বিদ এমন কি কবিদের মধ্যেও দুই নাম্বারি। ভিক্ষা যদি পাপ হয় তবে এগুলি কি? পূর্ণ ? একমাত্র ভিক্ষুক ছাড়া উপরের সব গুলো অন্যায় কারীকে গলধাক্কা করা উচিৎ। পৃথিবীর কেউ, এমনকি কোরআন শরীফ ও বলতে পারবেনা, ভিক্ষা করা পাপ। শুধু মাত্র ভিক্ষার চেয়ে কর্ম উত্তম লেখা আছে। লেখা আছে নিচের হাতের চেয়ে উপরের হাত উত্তম। যে কর্ম পরিবেশে অন্যায় মেনে নিতে হয়, দশ জনার সাথে টিকে থাকতে ভালো মানুষটিকেও অন্যায়ে জড়িয়ে যেতে হয়। সেই কর্মের চেয়ে আমি বলবো ভিক্ষা উত্তম। ধনীদের জন্য গরীবরা যে আল্লাহ্‌র পরীক্ষা স্বরূপ তাহা তো আজকাল ধনীরা মানতেই না রাজ। বলে বেড়ান ভিক্ষা একটি অভিশাপ। অভিশপ্ত তো ওই ব্যক্তিরা যারা ভিক্ষুক দেখে মুখ ফিরিয়ে নেন। নিজে পেট পুরে খেয়ে খুমান... প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত ব্যক্তির খবর নেন না। আরও লিখুন এমন কিছু। এগিয়ে যান, দোয়া রইবে অশেষ। স্যলুট জানিয়ে যাই কবি। ভাল থাকুন সব সময়।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনার লেখাগুলো একবার না দু দুবার পড়লাম, খানিক্ষণ ভাবলাম। একেবারেই নিগূঢ় কিছু উপলব্ধিজাত সত্য আপনি উচ্চারণ করেছেন। আমাদের উচ্চারণের এই ধারা আরো গতিশীল হওয়া উচিত। অধমের ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসার এবং মন্তব্য আকারে এ সমাজের কিছু বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি সাথে থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.