![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সাগরের বুক চিরে সূর্যোদয় কিংবা অথৈ সাগরের বিশাল জলরাশিতে দিনশেষে সূর্যের ডুব দেয়া দেখতে যথেষ্ট রোমাঞ্চ বোধ করি। অনেক দূর থেকে প্রোগ্রাম-পরিকল্পনা করে সপরিবারে কিংবা বন্ধুরা দল বেঁধে যাই সাগরবক্ষে সূর্যাস্ত দেখার দূরন্ত আশা নিয়ে। ভাগ্য ভালো হলে অর্থাৎ আকাশ পরিষ্কার থাকলে সে স্বপ্ন বাস্তবে ছোঁয়া যেতে পারে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমার প্রিয় বাংলার সবুজ প্রান্তরে প্রতিদিন যে সূর্যাস্ত নিরবে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে যায় তা দেখার জন্য আমরা আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি না নিলেও সেটি সাগরের সূর্যাস্ত থেকে কোন অংশে কম নয়। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ গালিচার ঠিক ঐ পারে হালকা কূয়াশা ভেদ করে ক্লান্ত সূর্যটা যখন ধীরে ধীরে অদৃশ্য হতে থাকে তখন এক মায়াবী বেদনার জন্ম দেয়। পাখিরা নীড়ে ফিরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, কর্মক্লান্ত মানুষগুলোও ঘরে ফিরতে থাকে। গোধূলীর এ আবহ আসন্ন সন্ধ্যার আঁধার ঘেরা গাঁয়ের সুনসান নিরব পরিবেশের পূর্বাভাষ দিয়ে যায়। সূর্যের ম্লান আভা বোধ হয় এটাই বলে যেতে চায় যে, পৃথিবীর সান্নিধ্য থেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও বিদায় নিতে তার কষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি প্রত্যেকের জীবন সায়াহ্নের কথাও সে স্মরণ করিয়ে দেয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে অবারিত সবুজের লীলাক্ষেত্র যশোরের মনিরামপুর থানার ঐতিহাসিক বলদহালি বিলের পশ্চিম প্রান্তে সবুজের বুক চিরে লালাভ সূর্যটা অস্ত যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.