![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানী ঢাকার মৌচাক মার্কেটের রাস্তার উত্তর পাশে অবস্থিত ফরচুন শপিং মল- একটি অভিজাত বিপনী বিতান। এই মার্কেটের শৈশবের সাথে আমার মেলামেশা আছে। ১৯৯৯ সালের দিকে যখন এই মার্কেটটির নির্মাণ কাজ আরম্ভ হয় তখন আমি ম্যাব্স মৌচাক শাখার বাংলা শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলাম। বাসা ছিল নয়াটোলা চেয়ারম্যান গলি। সুতরাং প্রতিদিন ২/৩ বার নির্মানাধীন এই মার্কেটের সামনে দিয়ে আসা যাওয়া হতো। সে সময়ের বাসা ও কর্মস্থল দুটোই বদল হয়েছে তবু এখনকার কর্মস্থলে এই মার্কেটের পাশ দিয়েই আসা-যাওয়া করতে হয়।
মার্কেটের দক্ষিণ পাশের গ্লাসে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন দেখলেই বুঝা যায় এখানে শাড়ীর বেশ সমাগম রয়েছে। আমার স্ত্রীর এ মার্কেটে আসার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও আমার নেই। গত পরশু জুমাবার এ মার্কেটের একটি শাড়ীর দোকানে গেলাম। সাথে আমার স্ত্রী ও তার বড় ভাবী। আমাদের পছন্দে রাজগুরু ব্রান্ডের একটি কাতান শাড়ী সামনে উপস্থাপন করা হলো। শাড়ীটা সুন্দর, কালারটাও বেশ অভিজাত। নেভী ব্লু।
ফিক্সড প্রাইসের দোকান না হলেও প্রতিটি পণ্যে প্রাইস স্টিকার সাঁটা আছে। আমাদের শাড়ীতে যে স্টীকারটি বিদ্যমান তাতে সুস্পষ্ট লেখা আছে সেটির মূল্য ৮৩০০/- (আট হাজার তিনশত টাকা)। সুপ্রিয় পাঠক মহোদয়গণ ! এই শাড়ীটির মূল্য আপনারা কতই বা কম বলবেন ! শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বিশাল দোকানের আপনি ভদ্র কাস্টমার। আপনার তো বিবেকের কাছে কিছু দায়বদ্ধতা আছে। ঈদের সময়- একটু বেশি দাম তো হবেই। চক্ষুলজ্জা তো আপনি একেবারেই বিসর্জন দেননি। আপনার বলা দামের ওপর ভিত্তি করে দোকানের শিক্ষিত কর্মচারীরা আপনার ব্যক্তিত্ব পরিমাপ করবেন। তদুপরি সাথে আপনার স্ত্রী ছাড়াও আরেক সংবেদনশীল আত্মীয়। আরো বড় কথা হলো শাড়ীটি কিনছেন আপনার শ্রদ্ধেয়া শ্বাশুড়ির জন্য। অনেক কিছুর সমীকরণ এখানে উপস্থিত।
অতএব, বলুন না এর দাম কত বলবেন ? সবাই তাকিয়ে আছে আপনার মুখের দিকে। দোকানদারের অধিকার আছে তিনি তার পণ্যের যে কোন মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। তবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একচেঁটিয়া মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়না মর্মে আমরা অর্থনীতিতে পড়েছি। এ সবই বোধ হয় ধূসর হয়ে যায় রাজধানীর স্বতন্ত্র বিপণীবিতানগুলোতে। গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে সব দোকানদাররা এক জায়গায় বসে, ক্রেতারা দাম যাঁচাই-বাছাই করতে পারেন। কিন্ত মহানগরীতে তা সম্ভব নয়, একেক দূরত্বে একেকটা মার্কেট, ক্রেতাদের পক্ষে ঘুরে ঘুরে যাঁচাই করা দুরূহ।
যাই হোক, শাড়ীটি মাত্র দুই হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। আমার স্ত্রীর পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি শাড়ীটির আঠারো শ‘ টাকা দাম বললেন। বিক্রেতাগণ অনীহা প্রকাশ করে মুথ ঘুরিয়ে নিলেন। আমরাও উঠে দাঁড়ালাম। দোকান থেকে বের হতে এক ভদ্রলোকের মুখোমুখি হলে তিনি বললেন, স্যার চলে যাচ্ছেন ? আমার জবাব তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, তারই সহকর্মীদের কাছ থেকে তিনি বৃত্তান্ত শুনলেন। অতঃপর বিনয়ের সাথে বললেন, বিসমিল্লাহ করব- একটু বাড়িয়ে শাড়ীটা নিয়ে যান স্যার। আগন্তুক নাকি মালিক। এখান আরো একটা আশ্চর্য ব্যাপার লক্ষণীয়, তখন বাজে বিকাল ৪টা - সারাদিন তারা বিসমিল্লাহ করতে পারেনি- এটা তো মহা বিষ্ময়ের ব্যাপার বৈকি! অতঃপর দুই হাজার টাকায় দোকানীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে দোকান ত্যাগ করলাম।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
সালেহ মতীন বলেছেন: জী দাদা, দোয়া চাই। ভালো থাকবেন।
২| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১২
মার্শাল আরমান বলেছেন: শুধু ফরচুন নয়, সব মার্কেটেই একই অবস্থা। অভিজ্ঞতা না থাকলে ৩/- টাকার মাল ৩০০০/- টাকায় কিনে ঘরে ফিরতে হয়।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
সালেহ মতীন বলেছেন: জী ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ
৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একরেটের নামে পকেট কাটছে এই সব বিপনি বিতান গুলি।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
সালেহ মতীন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। আমি মনে করি এর একটা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা দরকার।
৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বদমাইশগুলো এমন মূল্যই চায়। অনেকে লজ্জায় কম বলতে পারে না। রাজধানী মার্কেট তো পুরো ডাকাইত। মূলামুলি করে কিনতে পারলে জিতে যাবেন নইলে বাঁশ।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২০
সালেহ মতীন বলেছেন: জী আপু একদম ঠিক কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
প্রথমকথা বলেছেন:
ভাবীকে ধন্যবাদ। উনি খুব সুন্দর দরকষাকষি করে জিতেছেন। এটা একটা কঠিন সংগ্রাম ঈদের বাজারে।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২০
সালেহ মতীন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
৬| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: এইজন্য রোজার আগে শপিং সেরে ফেলি।
রোজার আগে গেলে এই শাড়ির দাম লেখা থাকতো ৩০০০ টাকা। ১৫০০ টাকায় পেয়ে যেতেন।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২১
সালেহ মতীন বলেছেন: আগামীতে সেই পলিসিই নিব ইনশাআল্লাহ। দোয়া চাই।
৭| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: সব শপিং মলের একই অবস্থা ভাই।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২১
সালেহ মতীন বলেছেন: জী ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ
৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
গরল বলেছেন: বসুন্ধরা সিটিতে আমার বিবাহত্তোর সম্বর্ধনাতে বউ এর জন্য শাড়ি কিনতে গিয়েছিলাম জামদানি কুঠিতে। শাড়ির দাম চেয়েছিল ৪৫ হাজার টাকা, ভাগ্যিস ফুপু ঐটা ১৬ হাজার দিয়ে কিনল। আমারতো দৌড়ে পালাবার অবস্থা হয়েছিল।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
সালেহ মতীন বলেছেন: সাংঘাতিক ব্যাপার তো! ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
ক্লে ডল বলেছেন: মানুষ যে যেভাবে পারছে অন্যের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে চায়ছে।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
সালেহ মতীন বলেছেন: জী ভাইয়া আপনি একদম ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ
১০| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: এই জন্যই আমি শপিং করি না । একেবারে না ঠেকলে না । গত ছয় সাত বছর ধরে আমি ঈদ কুরবানী পূজায় শপিং করি না ।
আমি ঠকে যাই । ওরা আমাকে ঠকায় আমার ভদ্রতার সুযোগে ।
১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
সালেহ মতীন বলেছেন: আপনার পলিসিটা আমার পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ।
১১| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
রুমি৯৯ বলেছেন: ঐটা হৈল বিকাল পৌনে ৪টার বিসমিল্লাহ্৷ আপনি বোঝেন নাই ব্যাপারটা ৷
১২| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৪
সুমন কর বলেছেন: আমি কোন উৎসবেই কেনাকাটা করি না !!! এসব পুকুর চুরি বন্ধ হওয়া উচিত।
১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪০
শায়মা বলেছেন: হায় হায় !
আমার সাথেও এখন থেকে ভাবীকে নিয়ে যেতে হবে ভাইয়া। আমার মত বড় বড় ঠকাঠকি মনে হয় কেউ ঠকেনা কারণ পছন্দ হলে দোকানী যদি না দেয় সেই ভয়ে বেশি কম বলতে পারিনা। নিজেই ভয় পাই।
তবে এই কথা সত্যি একটা শাড়ির দোকান আছে মন্ত্রা সেখানে যেই শাড়ী ২২০০০ ছিলো সেই শাড়িও মানে সেইম টু সেইম আমি দেখেছি গাওসিয়া মার্কেটে ২০০০ টাকা !
কিল খেয়ে কিল চুরি ছাড়া আর কি করার আছে তখন বলো!
১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫১
সালেহ মতীন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। সবাইকে একটু সচেতন করার লক্ষ্যে পোস্টটি দিয়েছি। এসব বাস্তব চিত্র দেখে-শুনে রিয়েলি জাতি হিসাবে আমার/আমাদের ভাগেও কিছু লজ্জা জমা হয়। কোন সমস্যা নেই যখনই প্রয়োজন হবে বলবেন ওকে পাঠাবো ইনশাআল্লাহ। তবে ওকে পাহারা দেয়ার জন্য আমাকেও সাথে যেতে হবে। ধন্যবাদ
১৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩
আলোরিকা বলেছেন: হায় হায় আমি হলে লজ্জায় চার -এর কম কিছুতেই বলতে পারতাম না ! আমাদের দেশে ক্রেতা আর বিক্রেতা মিলে মুলোমুলিকে বিশাল এক আর্ট বানিয়ে ফেলেছে !
১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
সালেহ মতীন বলেছেন: এতদম সত্যি কথাই বরেছেন আপু। দোয়া রইল। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৯
বিজন রয় বলেছেন: নিয়মিত হচ্ছেন নাকি? এটা ভাল লক্ষণ।
লিকুন নিয়মিত।
শুভকামনা রইল।