নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাঙতে নয়, গড়তে চাই। গড়তে চাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের একটি বিশ্ব সৌধ। আগামী প্রজন্মকে হানাহানিমুক্ত একটি শান্তিময় সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে চাই। সুন্দরকে আরো সুন্দর করে সাজানো এবং পরিশীলিত ব্লগিং চর্চার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনই আমার সাধনা।

সালেহ মতীন

সালেহ মতীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চশমা চোখে ছাত্রগণ

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮


আজ একটু আগে অফিসে আসার সময় একটা চিত্র আমাকে ভাবিয়ে তুলল। পাবলিক বাসে আসছিলাম। রাজধানীর ফার্মগেট থেকে শ্যামলীগামী গাড়িতে স্কুল পড়ুয়া তিন সন্তানকে নিয়ে তিন মা গাড়িতে উঠলেন। ব্যাগ মায়েদের কাঁধে, বেশ পরিপূর্ণ আর ওজনও বেশ মনে হলো। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম তিন মা-ই খালি চোখে কিন্তু তিন ছাত্রেরই চোখে চশমা। শখের নয়, সমস্যাজনিত চশমা বুঝাই গেল। একজনের তো মোটা গ্লাসের চশমা। ধারণা করা যায় তারা ক্লাস টু কিংবা থ্রিতে পড়বে। বিষয়টি আমাকে যারপরনাই ব্যথিত করল। একজন নগন্য শিশু গবেষক হিসাবে আক্ষেপ ও বেদনার দীর্ঘশ্বাস আমাকে সঙ্গ দিতে শুরু করল। এই অল্প বয়সে চশমা পরতে বাধ্য হওয়ার পেছনে খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও আরো অনেক কিছু দায়ী থাকতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে ক‘লাইনের কবিতা সবাইকে শুনাতে চাই-

মায়ের চোখ খালি কিন্তু পুত্রের চোখে চশমা,
সবজি খেতে আপত্তি তার সে কথা তো্ কস না।
অন্য দিকে মুখ ঘুরায় সামনে এলে সবজি,
কেমনে চোখ ভালো থাকে শক্ত হয় কব্জি ?

ফলের কথা বললেই তারা একটাই শব্দ “খাব না”
বুঝে না যে ফল না খেলে পুষ্টি মোটেও পাব না।
ঘরের খাবার এড়িয়ে গিয়ে নিচ্ছে তারা ফাস্ট ফুড,
এ কারণে দেখা যায় স্বাস্থ্য এদের নট গুড।

চশমা চোখে পিঠে ব্যাগ ছুটছে তারা উর্ধ্বশ্বাস,
ফল-সবজি শক্তি যোগায় করছে না তারা বিশ্বাস।

বাপ-মায়েদের উচিত হওয়া এ ব্যাপারে আপোষহীন
একটি দিনও যায়না যেন সবজি এবং ফলবিহীন।
ফাস্ট ফুডের গণ্ডি থেকে দূরে রাখলে ভালো হয়,
সকল খাবার হয় যেন লেবু এবং সবজিময়।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অভিভাবকদের অসচেতনতার ফলে অনেক শিশুই মারাত্বক সাস্থঝুকিতে পড়ে।
কবিতা ভাল হয়েছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

সালেহ মতীন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: খাদ্যবাস ছাড়া ও অনেক কারন থাকতে পারে । তবে এ খাদ্য সমস্যটা প্রকট আকার ধারণ করেছে বর্তমানে। যার জন্য বেশির ভাগ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। কেউ চোখে কম দেখে , কেউ বা অন্য রোগে ভুগছে। রোগ নিয়েই বড় হচ্ছে আমাদের ছোট্ট শিশু মণিরা।
""খুকু আমার খায়না ভাত
খায় স্ন্যাকস চিপস।
রাতে তার ঘুম আসেনা
কাঁনদে পেটের ব্যাথায়"" ।।

ঘরে ঘরে এ র্নিবাক অবস্থা । একটা ভালো উপায় তো বাহির করতে হবে গবেষক স্যার।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

সালেহ মতীন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ, বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই শাকসবজি ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করানো উচিত।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

সালেহ মতীন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। আবার বেড়াতে আসবেন আমার ব্লগ কুটিরে।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

ক্স বলেছেন: কয়েকটি কারণঃ
- এসব শিশুরা শারীরিক পরিশ্রমে অভ্যস্ত নয়। পরিশ্রম করলে চোখের জ্যোতি বাড়ে।
- বিদ্যালয়ের পাশাপাশি শিশুদেরকে কোচিংয়ে দৌড়াতে হয় - এত সময় বই খাতার দিকে তাকিয়ে থাকায় চোখের উপর প্রেশার পড়ে।
- রাতে এনারা পড়াশোনা না করে মাইন্ডক্রাফট, ক্লাশ অফ ক্ল্যান, এ্যাংরি বার্ডের সাথে সময় কাটায়, তাই চোখের বারোটা বাজে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

সালেহ মতীন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। আবার বেড়াতে আসবেন আমার ব্লগ কুটিরে

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: অসচেতন অভিভাবকের কারণে এমনটি হয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

সালেহ মতীন বলেছেন: আপনার সাথে একেবারেই একমত। আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অতিরিক্ত সেলফোন কিংবা কম্পিউটারে
চোখ থাকলে চোখ অকার্যকর হতে বাধ্য

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

সালেহ মতীন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। আবার বেড়াতে আসবেন আমার ব্লগ কুটিরে।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


এগুলো ফরমালিনের রি-এ্যাকশান।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

সালেহ মতীন বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। আবার বেড়াতে আসবেন আমার ব্লগ কুটিরে।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০২

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: এটা খুব-ই দুঃখ জনক। এখকার বেশির ভাগ ছেলে-মেয়েদের জন্মগ্রহণের পর থেকে চশমা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এক সময় দেখেছি শুধু প্রবীণেরা চশমা ব্যবহার করেছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

সালেহ মতীন বলেছেন: আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসা ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই সমস্ত চোখে চশমা পরা ছেলে মেয়েরাই ভবিষত প্রজন্ম। তারাই এই দেশের দায়িত্ব নিবে একদিন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

সালেহ মতীন বলেছেন: আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসা ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

জেকলেট বলেছেন: খাদ্যবাস ছাড়াও চোখে চশমার বড় কারন স্মার্টফোন। আমি একজন চক্ষু ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানলাম: ২টা বড় কারনে স্মার্ট ফোন বাচ্চাদের চোখের দুইটা বড় ক্ষতি করে

১) বাচ্চাদের আই নার্ভ গুলো অনেক নমনীয় থাকে, ফলে ও যখন স্মার্টফোনে ছোট স্ক্রিনে অনেক্ষন তাকিয়ে থাকে তখন চোখের নার্ভ গুলো অনেক কম নড়াচড়া করে ফলে চোখের ন্যাচারাল ব্যায়াম অনেক কম হয়। এতে বাচ্চাদের চোখ ট্যারা বা এই টাইপের রোগ হও্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২) স্মার্টফোনে খুব কাছ থেকে সবসময় দেখতে হয় এবং একি দুরত্বে স্ক্রীনে সব দেখায়। কিন্তু প্রকৃতিতে ব্যাপারটা এই রকম না দুরের আকাশ এবং কাছের পাখির মধ্যে ব্যাবধান বুঝা যায়, দুইটা গাছের মাঝের ব্যাবধান। অর্থাৎ যেকোন দুইটা অবজেক্টের মাঝে যে ডিস্টন্সের গ্যাপ আছে সেইটা কিন্তু স্মার্টফোনে কিন্তু বোঝা যায়না। যেটা বাচ্চাদের চোখের ফোকাস চেইঞ্জ করে ফেলে। ফলে সে স্কুলে বোর্ড বা রিয়েল লাইফে চোখের সমস্যা ভুগে।
বাচ্চাদেরকে অবশ্যই স্মার্টফোন থেকে দুরে রাখতে হবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

সালেহ মতীন বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনি বলেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

অগ্নিবেশ বলেছেন: বাচ্চাদের মাত্র দুয়েক ঘণ্টা পড়িয়ে ৪-৫ ঘণ্টা খেলানো দরকার।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

সালেহ মতীন বলেছেন: খুব খাঁটি কথা বলেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: কবিতা খারাপ হয়নি, তবে বিষয়টা কষ্টদায়ক।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

সালেহ মতীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আবার বেড়াতে আসবেন আমার ব্লগ কুটিরে।

১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভাই একই সমস্যাতো আমার ছেলেটারো; কি যে করি। সবজি মোটেই খেতে চায়না।

১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

ফাহমিদা বারী বলেছেন: বাস্তব একটা সমস্যা তুলে ধরেছেন।

১৫| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: নিয়মিত শাক সবজি আর ফলমূল না খাওয়াতে চোখে চশমা উঠে যাচ্ছে। জাতির সামনে চশমা ব্যবসায়ীদের সুদিন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.