নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাঙতে নয়, গড়তে চাই। গড়তে চাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের একটি বিশ্ব সৌধ। আগামী প্রজন্মকে হানাহানিমুক্ত একটি শান্তিময় সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে চাই। সুন্দরকে আরো সুন্দর করে সাজানো এবং পরিশীলিত ব্লগিং চর্চার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনই আমার সাধনা।

সালেহ মতীন

সালেহ মতীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দখলের আনন্দ !

১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

দখলের আনন্দ !
দখলের নিজস্ব একটা আনন্দ বোধ আছে, দখল শক্তিমত্ত্বা ও যোগ্যতা প্রমাণের এক প্রকার অণুঘটক। সে কারণে বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী ও শক্তিশালী নেতারা ন্যায়-অন্যায় যেভাবেই হোক বিভিন্ন জনপদ দখলে মরিয়া ও হিংস্র হয়ে ওঠে। এ ধরনের দখল কোনটি নন্দিত আবার কোন কোনটি নিন্দিত হয়। তবে আমার এ পরিবেশনা বিশ্ব প্রেক্ষাপটের সে ধরনের কোন দখল বার্তা নিয়ে নয়- ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
অফিস থেকে সন্ধ্যা বা তার কিছু পরে ঘরে ফেরার পর সাধারণত বাসার রান্না ঘরটা আমি দখলে নিই। ভাত রান্না, পানি ফুটানোসহ অন্যান্য কিছু কাজ আমি করি নিজের আনন্দের জন্য। ২৩ বছর মেসে ছিলাম (প্রকাশিতব্য “মেসে ২৫ বছর” নামক বইতে যার বিশদ বর্ণনা রয়েছে), সেখানে রান্না বিষয়ক সংক্ষিপ্ত কিছু আইটেমে বেশ পারদর্শিতা অর্জিত হয়েছিল। সেসব স্মৃতি নাড়াচাড়া করা, নিজের সুস্বাস্থ্য রক্ষার তাগিদ এবং ব্যস্ততম গৃহিণীকে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করতে রান্না ঘর দখলটাকে আমি অতি আনন্দের সাথে গ্রহণ করে থাকি।
গতকাল জুমাবার ছুটির দিনে গৃহিণী জানালেন, তার ঠাণ্ডাজনিত একটু কাশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ফলে তিনি পানিতে ব্যাপক হাত দেয়া থেকে ছুটি চান। তাছাড়া ছেলের পরীক্ষা চলছে তার প্রস্তুতির অংশ হিসাবে তাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারাদিনই সময় দেয়া দরকার। সুতরাং সকাল থেকেই রান্নাঘর আমার দখলে চলে আসে। তবে তাঁকে শর্ত দেয়া হলো যে, রান্না ঘরের সীমানার কাছে তিনি আসতে পারবেন না। কারণ, রান্না ঘরে অন্য কারো ঘুরাঘুরি থাকলে আমি মন খুলে রান্না করতে পারি না। দখলেরও এ রকম একটা স্বভাব আছে। দখলদার নেতৃত্ব চায় না যে, সেখানে আর কারো অযাচিত প্রবেশ ঘটুক। তাছাড়া, এ রকম একটা জনশ্রুতি আছে যে, নারীরাও নাকি সাধারণত চাননা তার রান্নাঘরের আইটেম বাছাই, রান্না প্রক্রিয়া, মেন্যূ নির্ধারণের স্বাধীনতায় কারো হস্তক্ষেপ ঘটুক।
যাই হোক, সকাল ৯টা নাগাদ কাজ শুরু করি। এ সময় পুত্র রাতিব রিদওয়ান দৌঁড়ে এসে তারই স্কুলের সামনে থেকে কেনা কিচেন এ্যাপ্রোনটি এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘বাবা এটা পরে নাও।’ ভালোই হলো, একেবারেই পেশাদার রাধুনী হিসাবে কালকের রান্নাটি শেষ করেছি। গরুর গো্শত ও পোলাও ছিল মেনুতে, আর ভাজি আগের দিনই সম্পাদন করে রাখা হয়েছিল। খাওয়ার সময় গৃহিণী ও পুত্র দুজনেই বলল বেশ নাকি টেস্টি হয়েছে। অবশ্য পোলাও রান্নায় আমার তেমন দক্ষতা নেই। রান্নাঘরের দরজার সীমানা অতিক্রম করে পুত্রের মা-ই আমাকে পোলাও রান্নার সবক দিয়েছিলেন। ভাবছি- এখন থেকে ঘরের পোলাও রান্নাটা আমিই করব। খুব মজা এবং একদম সহজ।
রান্নাঘর দখলের এ প্রক্রিয়াটি আপনারাও নিয়মিত করে নিতে পারেন। দোয়া চাই সকলের কাছে। শুভ কামনা রইল।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই দখলটা সব সময়ের জন্য অব্যহত রাখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.