নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন কিছু ভাবতে পছন্দ করি। নিজকে আরো জানতে চাই। শিখতে চাই মানুষের মন।

রাসেল রুশো

রাসেল রুশো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেকার পরিস্থিতি

০২ রা জুন, ২০১৫ ভোর ৫:০২

বেকার পরিস্থিতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির অগ্রগতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে শংকা প্রকাশ করা হয়েছে দেশী-বিদেশী সংস্থার নিজস্ব জরিপ প্রতিবেদনে। এসব জরিপের সারকথা হচ্ছে- বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব অবনতির দিকে যাচ্ছে। ২০১২ সালে প্রকাশিত আইএলও’র এক প্রতিবেদনে ২০১৫ সালের মধ্যে বেকারত্ব বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩ কোটি। আগামী ২০১৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৬ কোটিতে দাঁড়াবে। বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপিসহ দেশী গবেষণা প্রতিষ্ঠানও একই ধরনের আশংকা প্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরাও দাবি করছেন, অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির হার বেশি। যে হারে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে সেই হারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে না- এটিই হচ্ছে দুশ্চিন্তার বিষয়। পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারি খাত মাত্র ৫ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে। বাকি ৯৫ শতাংশ কর্মসংস্থানই হচ্ছে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে। কিন্তু এখন সেই বেসরকারি উদ্যোক্তারাই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কেন কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি থেমে আছে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ জানান, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে মন্দা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি কমিয়ে দিয়েছে। এর জন্য তিনি ‘অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, উচ্চ সুদের হার এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং উৎপাদনমুখী শিল্পে ঝুঁকি প্রবণতাকেও দায়ী করেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাজের অভাবে অনিচ্ছাকৃত কর্মহীনতাই হচ্ছে বেকারত্ব। শ্রমশক্তির সেই অংশকেই বেকার বুঝানো হয়, যারা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শত চেষ্টা করেও কাজ পায় না। বেকারত্ব বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে- ‘সার্বিক বিনিয়োগ হ্রাস, উৎপাদনমুখী শিল্পায়নে উদ্যোক্তার অনাগ্রহ, শ্রমিকের অদক্ষতা, সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব, আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, কারিগরি শিক্ষার অভাব, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন ও পোলট্রির মতো লাভজনক খাতে শিক্ষিতদের প্রবেশে অনীহা। বাজারে কাজের চাহিদার সঙ্গে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার অসঙ্গতিই মূলত এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। সেই সঙ্গে বেকারত্ব বৃদ্ধিরহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সেভাবে দ্রুত বাড়ানো যাচ্ছে না। যার ফলে বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান এই দুইয়ের মধ্যে আশংকাজনক ব্যবধান তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, বেকারত্ব বৃদ্ধির গতির তুলনায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি কম হচ্ছে। কাজের বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বত্র কর্মমুখী, শিল্পমুখী, কারিগরি কিংবা তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু হচ্ছে না। এটিই বেকারত্ব সৃষ্টির বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার বাড়ার অন্যতম কারণ।
অবশ্য তিনি দাবি করেন, সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্মসংস্থানমুখী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে এর ফলাফল পেতে আরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। তখন দেশে আর কোনো শিক্ষিত লোক বেকার থাকবে না।
সম্প্র্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ১৪টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য আবেদন পড়ে ৩ হাজার ৬০টি। সেখানে প্রতি পদের জন্য লড়াই করেছে ২১৯ জন। অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার চাকরি-সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সেবা দিচ্ছে দেশের বৃৃৃহৎ অনলাইন ‘বিডি জবস ডটকম’। প্রতিষ্ঠানটির দেয়া হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার চাকরিপ্রত্যাশী তাদের সাইট ভিজিট করেন। প্রতি মাসে এ সাইটে ঢুকে চাকরি খোঁজেন অসংখ্য শিক্ষিত বেকার। ওয়েব সাইটটিতে ২ লাখেরও বেশি বায়োডাটা জমা রয়েছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন যে, তিনি বেকার ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করতে পারবেন; উনি হয়তো তাবিজ তুমার জানেন; দেখেন নেয়া যায় কিনা।

২| ০২ রা জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৫৯

রাসেল রুশো বলেছেন: আশায় লাভ হবেকীনা জানিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.