নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে আটাশ বসন্ত পেরিয়ে সে পেয়েছে বোশেখের দেখা
রোদের উৎসবে রোদফুল, আগুণ-রঙে-টানা শিল্পময় বিপর্যয়, বিকেলের করোটিতে সন্ধ্যারাগ,
অথবা ওয়েদার কক ঘুরে ঘুরে ডাকে ঈশাণ কোণের বায়ু
শীতের পর বৃক্ষহীন দেশে তবু সে খোঁজে সবুজ প্রিজম।
এরপর শুষ্ক তৃণ তারে ডেকে নেয় তস্কররূপী রাতে,
সে দেখে ঘোলা চশমার ফ্রেমে মোড়ানো বায়োস্কোপ: প্রেমসভা।
এরপর-
কেবল দেখাদেখি চলে
মেয়েটি দেখে ভ্রমে পড়া অনভিজ্ঞ আলাভোলা তরুণ,
ছেলেটি ভাবে এ কোন মন্দিরের প্রার্থনারত কুমারী,
দুইজনে তখন যায় রুহের জগতে
নেমে আসে জীবনানন্দ-কিটস-শেলি-ডান
সঙ্গে আনে রবীন্দ্রনাথের পাখি
গন্ধম খেয়ে তারা যায় চন্ডীদাস-রজকিনী বনে
সেখানে আছে কালিদাসের মেঘ
কত চিঠি চালাচালি।
এরপর-
ট্রিপে নামে পাতায়া-প্যারিস
পরনে ম্যাচ করা শাড়ি-ব্লাউজ, শার্ট-প্যান্ট
সঙ্গে লেখা জরুরি মেসেজ- তোমায় ভালোবাসি।
উথাল-পাতাল প্রেম, চেনা-অচেনা গলি
কী সুন্দর সুখ তোমার চাহনি,
হাজার গল্পের পর আফসোস নামে নিষ্পলক চোখে
কেন আগে দেখা হলো না,
কে কাকে বলে সে জানে না।
এরপর-
এরপর নামে হিংসার দূত
কুত্তা-বিলাই, সাপ-কচ্ছপ ধরে আলাপ নেমে আসে আরো নিচে
ধরা দেয় আরেক মহাবিশ্ব: উপেক্ষা।
চুপিসারে ফোটে রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপা কিংবা শিশিরজমা জ্যোৎস্নার ঢেউ
কিছু ঘুম জড়ো করে এনে দেখে
কোথাও নেই সেই ঊর্ধ্বমুখী বিস্ময়, সেই বিখ্যাত পিণ্ডীক,
ভ্রমণাকাঙ্ক্ষা নিয়ে যারা নেমেছিল পথে হয় কিংকর্তব্যবিমূঢ়,
আবার দেখে সে বালিশে, বিছানায়
কোথাও নেই কোনো রমণীয় চিহ্ন
বায়োস্কোপের এমনই খেলা,
কথার পর কথা হয়, মীমাংসা হয় না।
©somewhere in net ltd.