![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে সময়ে ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হলদখল, ভর্তি বাণিজ্য আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংগঠিত সহিংসতায় নীরিহ মেধাবী ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অপরাপর ছাত্র সংগঠনগুলো সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বই, খাতা আর কলমের পরিবর্তে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র শোভা পাচ্ছে। যখন জাতির ভবিষ্যত কর্ণধর ছাত্র সমাজ চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, খুন, ধর্ষণ, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত, ঠিক সে সময়ে গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বস্ততার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে বাংলাদেশের একমাত্র সন্ত্রাস ও ক্যাডারমুক্ত বৃহত্তর আদর্শিক ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন’। ১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট, শুক্রবার চরমোনাই মরহুম পীর সাহেব মাওলানা ফজলুল করীম (রহঃ) ‘ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান চরমোনাই পীর সাহেবের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (তৎকালীন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন) এর অঙ্গসংগঠন হিসাবে তৎপরতা চালাচ্ছে সংগঠনটি। ইসলামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে এই সংগঠনটি বুদ্ধিজীবি মহলের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ, সু-শৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরণ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সংগঠনটি ২৫ বছর বয়সে পদার্পন করেছে। ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ আগস্ট, শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলণী সমাবেশ করতে যাচ্ছে ছাত্র আন্দোলন। ২৫ বছরের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যারা ছাত্র আন্দোলনের সদস্য হয়েছে, সে সকল সাবেক-বর্তমান দায়ীত্বশীলদের নিয়ে এ পুনর্মিলণী অনুষ্ঠিত হবে। জনশক্তির হিসাব নিকাশ ও তথ্য সংগ্রহের লক্ষে দেশব্যাপী সকল সাবেক-বর্তমান দায়ীত্বশীল, সদস্যদের রেজিস্ট্রেশন চলছে। ইতিমধ্যে রঙিন পোষ্টারে ছেয়ে গেছে সারা দেশ। দেশের বিভিন্ন স্পটে দেয়াল লেখনী করা হয়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ব্যাপকহারে পোষ্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। কয়েক লক্ষ্য লোক সমাগমের লক্ষ্যে সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। দফায় দফায় চলছে মতবিনিময় ও প্রস্তুতি সভা। পুনর্মিলণী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছাত্র সমাবেশ হিসাবে রেকর্ড গড়বে এই পুনমির্লণী। ইসলামী বিপ্লবের পথকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে ছাত্রদের এই পুনর্জাগরণকে মাইলফলক হিসাবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৩
মুহাম্মাদ রাসলে উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
সাহসী সত্য বালক বলেছেন: সুন্দর