![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা তো ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছি.. কে কিভাবে কুরবানী করবো তার পুর্ন নকশা আকছি কিন্তু আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের আমাদের স্বজাতী প্রায় ৩০ কোটি মুসলমানদের অবস্থান কি একটু ভেবে দেখেছি..!!
.
ইন্ডিয়ার তেলেঙ্গানা রাজ্যসহ বেশ কয়েকটা রাজ্য এবং পুরো ইন্ডিয়াতেই এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে কুরবানী নিষিদ্ধ করার পায়তারা করছে গো-মুত্র খাওয়া ইন্ডিয়ান সরকার।
.
কুরবানি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার মাধ্যমে কমবেশি প্রায় ৩০ কোটি মানুষের অধিকার হরণ করে একটা হঠকারী অবস্থান নেয়ার পরও গো-মূত্র খাওয়া ভারতীয়দের নিয়ে কারো কোন টু শব্দটি নেই! অথচ কোথাকার কোন মসজিদের দুই ইমাম বলেছে,
কুরবানী ঈদের পশুর জবেহ করার ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার না করার জন্য.. ব্যাস! এটা নিয়ে বিবিসি সহ বেশ কয়েকটা আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম বেশ সরব।
.
ব্যাক্তিগত ভাবে কুরবানীর পশু জবেহের ছবি তোলা, সেগুলো সামাজিক গনমাধ্যমে শেয়ার করার বিপক্ষে থাকলেও এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,
'
'নিরব প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কুরবানী গরুর ছবি তার জবেহ করার ছবিসহ সকল ছবি ফেসবুকে শেয়ার করবো'
'
কুরবানিও হবে সাথে এই ইবাদাত নিয়ে যাদের চুলকানী রয়েছে তাদের ছোটখাটো কিছু উপশমও হবে.. এটা সবাই-ই মানতে পারেন।
অনেকটাই নিরব প্রতিবাদ হবে এতে।
'
এটা করার কারন কেবলমাত্র কুরবানী নিয়ে অতিরিক্ত এই বাড়াবাড়ি.. আগে ব্যাপারটা কেবল গরু পর্যন্ত সিমাবদ্ধ থাকলেও এবার ভারতে যে কোন পশু কুরবানিই নিষিদ্ধ করেছে কথীত সেক্যুলাঙ্গার ভারত সরকার।
'
দেখুন সংবাদের লিংক:
goo.gl/hbYJK1
পশু হত্যার খোড়া যুক্তি দেখিয়ে কুরবানী বন্ধের পায়তারা করার সংবাদ লিংক।
goo.gl/jJMqgG
গত বছর গরুর গোস্ত খাওয়ার কারনে বৃদ্ধ হত্যার সেই সংবাদ লিংক।
goo.gl/OQvJZJ
.
এই গরু খাওয়া নিয়ে ভারতে কি না হলো!
গরুর গোস্ত খাওয়ার কারনে হত্যা করা হলো.. দুই নারীকে ধর্ষণ করা হলো..! গরুর গোস্ত খেয়েছে তাই দুই নারীকে হিন্দু ধার্মিকরা উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেছে! কত্ত সুন্দর ধর্ম ব্যাবস্থা তাদের...!
.
গুজরাট দাঙ্গার কালো সিল মাখা সেই চু*র ভাই... স্যরি! মোদি ভাই যে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে পশু সংরক্ষণ আইনের হাস্যকর মারপ্যাচে এই অশুভ কর্ম সম্পাদন করছে সেটা দুধের বাচ্চাও বুঝতে পারে..!
.
.
.
তাই মোদি সরকার কর্তৃক ভারতের এই ৩০ কোটি মুসলমানদের কুরবানী করার পবিত্র অধিকার হরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি
.
.
আর একদল বেজম্মা জারজরা আছে না..! উগ্র নাস্তিক তথা ইসলাম বিদ্ধেষি যাদের নাম!
কুরবানি এলেই যাদের শরীরে চুলকানী বহুগুনে বেড়ে যায়..! সকালে অমলেট.. দুপুরে চিকেন.. রাতে মাটন.. এসব খেয়ে খেয়ে পশুপ্রেম মারাইতে আসে!
.
এই হারামীগুলান যদি জীবপ্রেমই দেখায় তাহলে মাছ, গোস্ত, শাক, সবজি সব কিছুরই তো জীবন আছে..! অথচ এসবের মধ্যেই তো কিছু না কিছু খেয়ে বেচে থাকে তারা..! ভেজিটেরিয়ান হলেও তো শাক সবজি খেতে হবে.. তো সেখানে কি তরু লতার জীবন ধ্বংশ করে তারা খাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছে না..??
.
.
.
বিশ্বের পরিচিত সকল ফাষ্টফুড গুলোই যেমন #McDonald's #Subway #KFC #Starbucks #Burger_King #Pizza_Hut #Domaino's_Pizza সহ সকল ফাষ্টফুড আইটেম যেগুলা খেয়ে নাস্তিক হারামীরা দিন শুরু করে এবং শেষ করে সবার খাদ্য আইটেমই চিকেন, বিফ, মাটন, অমলেট দ্বারা তৈরি.. ভেজিটেরিয়ান হয়ে ভেজিটেবল রোল খেলেও সেখানে গোস্তের মিশ্রণ আছে বেশিরভাগেরই!
.
.
.
তো জীবপ্রেম দেখানোর ছলে যেই চুলকানী প্রকাশ করছো তোমরা সেটা মুলত অনেকটাই অটিস্টিকীয় কাজ কারবার মনে হচ্ছে! কারন এমনটা ভাবতে গেলে জীবন ধারার রুলসই ঠিক থাকবে না.. খাবেটা কি? সব কিছুরই তো জীবন আছে. জীবন ধ্বংশ করে কিছু খাওয়াটা তো অমানবিক.. তাই এসব ভাওতাবাজী বাদ দিয়ে আসল কথাটা বললেই তো হয় যে,
আমাদের চুলকানী ইসলাম নিয়ে.. ইসলামের রীতি-নীতি নিয়ে! তাহলেই তো তোমাদের চিনতে সুবিধে হয়.. নয়ত হিন্দুরা যে চরম অমানবিকভাবে পাঠা বলি দেয় তাদের ধর্মের অনুশাসন অংশ হিসেবে।
সারা বিশ্বে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কোটি কোটি চিকেন হত্যা হয়, গরু জবেহ হয়!
ছাগল, উট, দুম্বা, শুকর এসব হত্যা করে/জবেহ করে খাদ্য তৈরি করা হয় সেসব নিয়ে তো কোন কথা বের হয় না এই কথীত নাস্তিকদের মুখ থেকে!
.
কেবল কুরবানীর ঈদ এলেই এদের পশুপ্রেম পেছনের ছিদ্রতে নাড়াচাড়া দেয়.. আর এরা শীতকার করে।
যত্তসব মাথামোটা আহাম্মক সম্প্রদায়..
.
.
তরতাজা কত সুন্দর ইলিশ মাছটার জীবন নষ্ট করে বাংলাদেশ থেকে জার্মানে ইমপোর্ট করে ফেসবুকে আপলোড দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করার মাসখানেক না যেতেই কুরবানি ঈদ দেখে প্রাণি প্রেমের যেই চুলকানীর পোষ্ট তুমি ফেসবুকে দিচ্ছো সেটা দেখে তোমাকে কেবল ননস্টপ থাপ্রাইতে এবং পাছা বরাবর লাইত্থাইতে ইচ্ছা করে!
.
.
এখানে তোমাদের 'ধর্ম যার যার উত্সব সবার' মহাবানী কোন ছিদ্রতে লুকায় একটু বলোতো মহাঘ্যাঁণী
ধর্ম পালনের স্বাধীনতা হরণের অধিকার কোত্থেকে আমদানি হয় তোমাদের..! যেখানে তোমরাই ছাইপাস জাতীয় মত প্রকাশের স্বাধীনতা না পেলে গেলো রে গেলো রে বলে ম্যাত্কার করে গলা ফাঁটাও!
.
.
স্পষ্টভাবেই বলছি,
.
উগ্রতা বলেন আর অস্থিতিশীলতা বলেন অথবা সাম্প্রদায়িকতা বলেন এসবের জন্য একমাত্র দায়ি এই বিশ্ব মিডিয়া আর নাস্তিকতার আদলে সকাল সন্ধ্যা ইসলামকে কটুক্তি করা এবং ইসলামের অনুশাসনকে খোঁচানো এই সব কথীত নাস্তিক হারামিরা আর তাদের সাথে আছে ভারতের কিছু উগ্র হিন্দু সংগঠন এবং বাংলাদেশের কিছু জঙ্গী হিন্দু সম্প্রদায়..
অবশ্য শান্তিপ্রিয় হিন্দুদের ব্যাপারে এই লেখা নয়..
.
বরং উগ্র এদের লাগাম টেনে ধরলেই দেখবেন সমাজ সংসার দেশ ধর্ম সবকিছু কত সুন্দর এবং শান্তি
Hasib R Rahman
©somewhere in net ltd.