নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শৈশবের বির্বতন..........!! ( ১৬ - মাইনাস )

০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

খুব ছোট বেলায় যখন আমরা মাঠে বিকেল বেলায় গোল্লাছুট, বউছি, দারিয়াবান্ধা খেলতাম তখন ঐ বৃত্তটাকেই ভাবতাম এটাই হল জিবনের পরিধি। সকালে মক্তবে যাওয়া, হুজুরের হাতের বেতের আঘাত, হাফ প্যান্ট পড়ে স্কুলে যাওয়া, পুকুরে দল বেধে সাতার কাটা এসব ছিল অক্সীজেন গ্রহনের মতই নিয়মিত ব্যাপার।;)

এলাকার ছেলেদের নিয়ে পাশের বাড়ির আম, পেয়ারা চুরি করা ছিল তখন এলাকায় নিজের বীরত্ব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। এই বীরত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে মাঝে মাঝে পরাজয় ঘটলেও, নেপোলিয়নের সূত্রানুসারে একাধিকবারের চেস্টায় সফল হয়েছি। যেই সফলতার জন্য কোন রাজ্য বা রাজকন্যা কোনটায় পুরস্কার পাইনি। শুধু খিচ্ছা দৌড়ানোর সামর্থ্য লাভ করাটাই শান্তনা পুরস্কার হিসেবে থেকে গেল। :D

নিজের ভাইদের সাথে লড়াইয়ে নিজের শারিরিক সামর্থ্য পরিক্ষা করতাম, টিভিতে শক্তিমান দেখে লুকায়ে লুকায়ে হাত উচু করে কত ঘুরতাম, আর মনে মনে ভাবতাম যদি কোনভাবে উড়ে যাই আমাকে আর কে পায়, (যদিও সেই আশা আমার আজও অপূর্ন থেকে গেল)।B-)

পাশের বাড়ির “সখিনাদের” দেখতাম পুতুল খেলা, কুত কুত খেলায় ব্যস্ত তখন শারিরিক বিষয়াদি বোঝার ক্ষমতা না থাকলেও তাদের পাশে বসে থাকে তাদের শরিরের নড়াচড়া উপলদ্ধি করার নেশা ছাড়তে পারতাম না। ;)

বিকেলে খেলতে যাওয়া আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে হাত মুখ ধোয়া, ১/২ ঘন্টা পড়ে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়া ছিল ( বাই ডিফল্ট) রুটিন। যদিও এইসব অভ্যাস এখন উল্টা ধারায় প্রবাহিত হইতেছে। /:)

কোন মেহমান বাড়িতে আসলে যতটা না খুশি লাগত তার থেকে বেশি খুশি লাগত যাওয়ার সময়..!! কারন তখন ১০/২০ টাকা বখশিস পাওয়ার জন্য আমার মনের আগ্রহ দেখে প্রভু যে উপরে বসে বসে হাসত তা আমি বুঝতে পারতাম। ঐ টাকা কিভাবে কোন খাতে খরচ করা যায় তার জন্য যে খসড়া বাজেট তৈরি করতাম তা বোধহয় কোন সরকারের কোন মন্ত্রী কল্পনা করতে ও সাহস করতো না। :)

বছর শেষে পরিক্ষার পরে নানার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার যে আগ্রহ মনের ভিতরে সৃষ্টি হত তার শতকরা ২৫% ও যদি পড়ালেখায় সময় হত, তাইলে তো আমি আজকে বি, সি, এস করে চাদের দেশে (কাস্টমস্) এ অফিস করতাম । পেয়ারা, আম চুড়ির অভিজ্ঞতাকে এয়ারপোটে কত এ্যাংগেলে সদব্যবহার (!!) করা যায় তার ব্যকরন বই লেখা আমার থেকে ভাল কেউ পারত বলে মনে হয় না। কিন্তু নানা বাড়িটাই যে জিবনের এত বড় ক্ষতির কারন হবে তা বুঝার মত ক্ষমতা আমার তখন কেন যে হল না এটা আজও বুঝতে পারি নি। /:)


কবিগুরু নাকি কইছিল, ছোটগল্প শেষ করতে নাই………তাই আমি ও আর বেশি কইলাম না।। B-)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

অবনি মণি বলেছেন: কোন মেহমান বাড়িতে আসলে যতটা না খুশি লাগত তার থেকে বেশি খুশি লাগত যাওয়ার সময়..!! কারন তখন ১০/২০ টাকা বখশিস পাওয়ার জন্য আমার মনের আগ্রহ দেখে প্রভু যে উপরে বসে বসে হাসত তা আমি বুঝতে পারতাম। ঐ টাকা কিভাবে কোন খাতে খরচ করা যায় তার জন্য যে খসড়া বাজেট তৈরি করতাম তা বোধহয় কোন সরকারের কোন মন্ত্রী কল্পনা করতে ও সাহস করতো না ।

হা হা হা ! আমারও মতো !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.