নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখানে আরবি কেন ব্যবহার করলেন?

০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

"১০০ গজ সামনে পাবলিক টয়লেট" বুঝলাম, কিন্তু "২০০ গজ সামনে মসজিদ" এটা লেখার কারণ কি? কি ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছেন আমাদের খোলাসা করবেন কি???মসজিদ কি টয়লেট করার জায়গা?মসজিদে বাথরুম করার কারণ বুঝেন??? রাস্তা-ঘাটে তো শুধু ছেলেরা চলাফেরা করেনা,মেয়েরাও তো করে।তাহলে তাদের জন্য কি করবেন?উল্টা-পাল্টা চিন্তা বাদ দিয়া বেশি বেশি পাবলিক টয়লেট বানান।আর না করতে পারলে যেগুলো আছে সেগুলো অন্তত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।সাধারণ মানুষদের জ্ঞান দিতে না এসে নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করুন।আচ্ছা হিন্দু,খ্রিস্টান,বৌদ্ধ এরাও কি টয়লেট করতে মসজিদে যাবে?মসজিদ এখানে কেন আসবে???"২০০ গজ সামনে মসজিদ" সাথে এটাও লিখে দিতেন এত গজ দূরে মন্দির, এত গজ দূরে গির্জা,এত গজ দূরে প্যাগোডা অথবা এত গজ দূরে তেলের পাম্প!!!আরেকটা কথা,এখানে আরবি কেন ব্যবহার করলেন?কোরআনের ভাষা আরবি তাই মুসলমানদের কাছে অনেক পবিত্র এই কারণে তারা আরবি দেখলে সেখানে প্রস্রাব করবেনা এবং নিচের বাংলা লেখাটা পড়ে দেখবে এই কারণে???যত্রতত্র পেশাব করা ঠেকানোর জন্য আরবি ভাসাকেই বেছে নিলেন আপনারা???আপনারা না অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী,তাহলে সেখানে হিব্রু সংস্কৃত ভাষাও ব্যবহার করতেন।সেটা করবেন না।কেন করবেন না সেটাও বুঝতে পারি।একেবারে গো-মূর্খ মনে কইরেন না যে যা আইডিয়া নিয়ে আসবেন তাই নিয়া ফাল দিব আমরা।
কি আইডিয়া দিয়েছেন একবার ভেবে দেখবেন (আইডিয়া টা যার তার উদ্দেশ্যে)..!! X(

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

খাটাস বলেছেন: আরবি লিখে দেয়ালে প্রসাব করা থেকে বিরত রাখা ধর্মীয় ভাবে যৌক্তিক কিনা আমি জানি না। বড় বড় আলেম ওলামারা ভাল বলতে পারবেন। কিন্তু আপনার বিশ্লেষণ যে স্রেফ সাধারণ উগ্র অযৌক্তিক, অস্বচ্ছ ধারণা ও অবুঝ আবেগ থেকে। তা আপনার লেখা পড়লেই বোঝা যায়।
বিষয় টা পছন্দ নাও হতে পারে, কিন্তু কেন পছন্দ নয়- আপনার ব্যক্ষা সন্তোষজনক নয়।


১) মসজিদ কি টয়লেট করার জায়গা?

এটাতে সহমত । মসজিদ শুধু শরীরের বর্জ্য শোধনের জায়গা নয়। এটা সবার আগে মনের সংশোধনের জায়গা। আপনার তা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না ভাই। মুসলমানের ব্যবহার হবে অমায়িক, যাতে শত্রু ও মুগ্ধ হয়ে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহি হয়। কিন্তু আপনার প্রতিবাদের ভাষা দেখে কোন নাস্তিক মুসলমান কে ধর্মান্ধ উগ্র বললেও, অভিজুক্ত হয়ে সকল মুসলাম। আশা রাখি, সব প্রকৃত ইসলাম মেনে চলা মানুষ আপনার মত না।

রাস্তা-ঘাটে তো শুধু ছেলেরা চলাফেরা করেনা,মেয়েরাও তো করে।তাহলে তাদের জন্য কি করবেন?
আইডিয়া টা সম্ভবত রাস্তার পাশে পুরুষদের প্রসাব ঠেকাতে। আপনার এলাকায় কি মেয়ারাও রাস্তার পাশে.।.।.।


২) হিন্দু,খ্রিস্টান,বৌদ্ধ এরাও কি টয়লেট করতে মসজিদে যাবে?
আপনি কি নিশ্চিত যারা মসজিদে কখনও টয়লেট করতে গেছেন, তারা সবাই মুসলিম???

৩)২০০ গজ সামনে মসজিদ" সাথে এটাও লিখে দিতেন এত গজ দূরে মন্দির, এত গজ দূরে গির্জা,এত গজ দূরে প্যাগোডা অথবা এত গজ দূরে তেলের পাম্প!!!

আরবি লিখে মসজিদে প্রসাব করতে যাওয়ার আহ্বান ভুল হতে পারে ধর্মীয় ভাবে। কিন্তু আপনার এই কথা গুলো অযৌক্তিক। দেশে মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা, তেলের পাম্প যেখানেই যাবেন, সেখানেই পাবেন এমন কোন কথা নেই। এটাতে নিজ ধর্মের প্রতি ভালবাসা, আর পর ধর্মের প্রতি ব্যাপক ঘৃণা প্রকাশিত হইল।

৪) কোরআনের ভাষা আরবি তাই মুসলমানদের কাছে অনেক পবিত্র এই কারণে তারা আরবি দেখলে সেখানে প্রস্রাব করবেনা এবং নিচের বাংলা লেখাটা পড়ে দেখবে এই কারণে???

বাংলাদেশের মানুষ অধিকাংশ মানুষ যে মুসলিম, তারা যে ধর্মকে ভালবাসে- এটুকু কি বোঝা খুব কঠিন।

৫) আপনারা না অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী,তাহলে সেখানে হিব্রু সংস্কৃত ভাষাও ব্যবহার করতেন।

হিব্রু বা সংস্কৃত ভাষা দেখলে আপনি ঐ জায়গা থেকে সম্ভবত প্রসাব করা থেকে বিরত থাকতেন না।


যদি এভাবে প্রচার হয়, যে প্রসাব করার জন্য মসজিদে যান। তবে তা ধর্মকে ছোট করা হয়। তবে রাস্তায় প্রসাব করাটাও ভাল কিছু না। সচেতনতা চালাতে এই আইডিয়া যদি ইসলামী মতে যৌক্তিক হয়। তবে হয়ত আরও অন্যভাবে উপ্সথাপন করা যেতে পারে।

হ্যাঁ দেশে পাবলিক টয়লেট বাড়ান উচিত। যে দেশে মুখের খাবার সর্বজনীন না, সে দেশে টয়লেট নিয়ে আন্দোলন- হাস্যকর হউয়ার কথা।

পড়ুন, জানুন, বুঝুন, আত্তস্ত করুন। সমালোচনা হোক, আরও যৌক্তিক ও স্বচ্ছ, নিছক আবেগ থেকে নয়। নাহলে সামনে না যেয়ে পেছনেই যেতে হবে।
ভাল থাকুন।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

মোস্তাক_আহম্মদ বলেছেন: ০ গজ দূরে _নভবন, ৩০০ গজ দূরে _ংগভবন, ৪০০ দূরে সচিবালয়, তার স্টেডিয়াম দিলে ত ভাল হয়। নয় কি।

দারুন আইডিয়া।


তার চেয়ে ভাল আইডিয়া হল লাঠি নিয়া মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাড় করিয়ে দেওয়া

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কারন হচ্ছে, কিছু পাবলিক আছে যারা বাংলা ভাষার মর্ম বুঝে না, আরবি ভাষারও অর্থ বুঝে না। আরবিতে কি লেখা আছে সেটা বুঝার দরকার নাই। আরবিতে গালি দিলেও সেটা পুত ও পবিত্র।

তাই বাংলাতে লিখার পরও যখন কেউ রাস্তা ঘাটে প্রস্রাব বন্ধ করে না, তখন তাদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা। এটার নেতিবাচক দিক খুজতে যাওয়াটা নিখাদ মূর্খামি।

ঢাকা শহর মসজিদের শহর। প্রতিটা মসজিদেই স্যানিটেশনের সুবিধা আছে। রাস্তায় তো নারীরা প্রস্রাব করে না, করলে পুরুষরাই করে। আর ৯০% মুসলিমদের দেশে এই সংখ্যাতেও মুসলিমরা এগিয়ে আছে। সুতরাং মসজিদে নামাজ পড়তে না যাক, মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়েও কেউ হয়ত আত্মপীড়নের শিকার হতে পারে এই ভেবে যে- হায়! আমি নামাজের জন্য মসজিদে আসি না, কিন্তু বাথরুমের জন্য মসজিদে আসলাম।

কিছু জিনিসকে রাজনৈতিক চেতনা দিয়া পর্যবেক্ষনের চেষ্টাটা হাস্যকর। সুস্থ স্বাভাবিক চিন্তা সময়ের দাবি।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অন্য এমন একটা পোস্টে করা মন্তব্য কপি পেস্ট করে দেই।

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:

আমার মতে তো ব্যাপারটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে অনেককিছু দেখাইয়া দেয়ার মতই। ভালই লাগছে ব্যাপারটা।

কিছু প্রশ্ন করি,

১। যেখানে আরবী লেখা হইছে সেখানের লেখাগুলো মুছে দিলে কি ওইখানে মুত্র ত্যাগ কমে যাবে না বেড়ে যাবে? যদি কমে যাবার কথা তো না, বাড়তেই পারে। অল্প কিছু লেখা দিয়ে যদি অল্প কিছু জায়গায়ও একটু ভালো অবস্থায় রাখা যায় তাতে ক্ষতি কি?

২। ধর্ম মন্ত্রনালয়ের ধর্মীয় কুসংস্কার নিয়েও কাজ করা উচিত। এইক্ষেত্রে এই লেখাগুলো দিয়ে মুত্রত্যাগ কমুক না কমুক, ধরেন ১০-২০ জন লোক যদি ব্যাপারটা কারো সাথে আলোচনা করে বুউঝতে পারে, তাতেই বা ক্ষতি কি? মুত্রত্যাগ যত্রতত্র করা নিয়ন্ত্রন নাহয় নাই হইলো।

৩। আরেকটা ব্যাপার হয়তো খেয়াল করেননাই, ওইখানে দেখানো হইছে দেশের এই ঢাকাতেই ১০০০০ এর মতো মসজিদই আছে যেখানে, মুত্র ক্যানো, মল ত্যাগের সুব্যবস্থা আছে। হয়তো ৫০-১০০ গজ হাটিলেই সেখানে পৌছাতে পারে। তাই পাবলিকের জন্য ব্যবস্থা নাই এই ঢাকায় সেইটা ঠিক না। মসজিদে মুত্রত্যাগ করতে গেলে কাউরে টাকা নিতে শুনছেন? আর নামাজের সময় ছাড়া মসজিদের টয়লেট বন্ধ থাকে এটা হয়তো ১০ ভাগ মসজিদের বেলায় খাটে। বাকীগুলার বেলায় না।

৪। মহিলাদের এই এডের ব্যাপারে টানা ঠিক হবেনা। আপনি জীবএও দেখছেন ঢাকার ফুতপাতের ধারে কোন নারীকে মুত্রত্যাগ করতে? নারীরা এই ব্ব্যাপারে অনেক শালীন এবং সামাজিক পরিস্থিতির ব্যাপারে সচেতন।

৫। আর প্রতারনা কেন হবে? ভালো উদ্দেশ্যে কোন কাজ করা হলে সেটা প্রতারনা হয়না বলেই আমার মনে হয়। ধরেন, ৭১ এর যুদ্ধে পাকিস্তানীরা অতর্কীত আক্রমন করে পিলখানা, রাজারবাগ অথবা অন্য অনেক জায়গায় অনেক লোক মারলো, সেটা অপরাধ হইতে পারে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা যখন এমবুশ করে পাকিস্তানীদের মারলো সেইটা অপরাধ না। সেইটার পেছনে যৌক্তিক কারন ছিলো।

ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

অপ্রকাশিত পথিক বলেছেন: মাথা মোটাদের কাজ এর চেয়ে ভালো হবে কি করে ?!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.