নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কেন ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ বলতে পারি না সেটা যেই পক্ষেরই হোক না কেন?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

জন্মগত ভাবেই হোক আর জাতিগত ভাবেই হোক আমাদের অধিকাংশের মধ্যে একটা বিষয় কমন, আর সেটা হল বিপক্ষদলের কোন প্রকার ভাল কাজকে সহজে হজম করতে পারি না। মন্দ হলে তো কোন কথাই নাই…!
কেন এমনটা হয়? আমরা কেন ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ বলতে পারি না সেটা যেই পক্ষেরই হোক না কেন? চলুন একটু ভিতরে যাই-
২০০৬ সালের একটা ঘটনা বলি, আমি তখন প্রথম ঢাকাতে একটা ইন্সটিটউট এ এ্যডমিশন নিলাম। ক্লাসের একটা ছাত্রকে আমার বিরক্তিকর মনে হত তার কিছু অশোভন কাজের জন্য (যদিও সে তা জানত না) । একদিন সে ক্যাম্পাসের গেটের সামনে বসে থাকা একটা ভিক্ষুককে পাশের দোকান থেকে রুটি ও চা কিনে দিল। আমি ব্যাপারটা দেখেও তার প্রতি নেগেটিভ ফিলিং নিয়েই ফিরে গেলাম। কিন্তু পরে ঘটনাটা আমার মনের ভিতরে রিভিউ হতে থাকল, বাসায় গিয়ে ভাবলাম অন্তত এইটাতে নেগেটিভ ভাবার কোন উপাদান নেই তার পরেও কেন মেনে নিতে পারছি না? নিজের করা প্রশ্নের কোন উত্তর খুজে পেলাম না। সিদ্ধান্ত নিলাম আর নিজের সাথে লুকোচুরি নয়, এবার সত্যকে সত্য হিসেবেই মেনে নিতে হবে। পরের দিন থেকে আস্তে আস্তে সে হয়ে উঠল আমার খুব কাছের বন্ধুদের একজন। তখন তার আগের অশোভন কাজগুলোকেও তেমন একটা খারাপ মনে হত না। এটা এক ধরনের হিউমেন সাইকোলজি।
হতে পারে আপনার কোন প্রতিবেশি, ক্লাশফ্রেন্ড, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, নিকট আত্মিয় অথবা অফিস কলিগ যাদের সাথে আপনার মনোমালিন্য চলতেছে। তারা যদি কোন ভাল কাজ করে সেটা আপনি কখনোই সহজে নিতে পারেন না, আপনি প্রথমেই ধরে নিবেন সে যেহেতু এটা (কোন ভাল কাজ) করেছে নিশ্চয় তার পিছনে কোন কুমতলব রয়েছে। এই ভাবনাটাই আপনার কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হবে, কারন আপনি আপনার মেমোরির লজিক সাকিটকে ঐভাবেই গঠন করে রেখেছেন। একটু অন্যভাবে চিন্তা করি, মনে করুন আপনি অথবা আপনার কোন কাছের মানুষ অনাকাঙ্খিত কোন পরিস্থিতিতে গুরুতর সমস্যায় পড়েছেন তখন আপনার শত্রুভাবাপন্ন ঐ লোক যদি কোন সাহায্য করতে চায় আপনি কি তা গ্রহন করবেন না? নাকি তখনও সন্দেহ বাতিকগ্রস্থ হয়ে থাকবেন? যদি তার সাহায্য গ্রহন করেন তাহলে আপনার পূর্ব বিরোধীতার কোন যুক্তি নাই। আর যদি জিবন বিপন্ন হওয়া সত্ত্বেও সাহায্য নিতে না চান শুধু বিরোধীতার কারনে, তাহলে যদি বেচেও ফিরেন তবে মানসিক ডাক্তারদের শরনাপন্ন হওয়া আপনার জন্য অপরিহার্য ।
বর্তমান পৃথিবীতে কোন মানুষই সম্পূর্ন নয়, এমনি কি আপনি আমি কেউই নই। অন্যর ভাল দেখলে আমাদের অনেকেরই হিংসা লাগে। এটা বাই ডিফল্ট আমাদের সংস্কিৃতি থেকে আমরা পেয়ে থাকি। এর জন্যই আমরা দেখি, কোন রাজনৈতিক দল তার বিপক্ষদলের কোন কাজকে ভাল হওয়া সত্ত্বেও মানতে নারাজ। মনে করুন, আওয়ামিলিগ কোন একটা ভাল কাজের উদ্দ্যেগ গ্রহন করল অন্য দলের লোকজন সেটাতে (ডাইরেক্ট বা ইনডাইরেক্ট) ভেটো দিবে এটা নিশ্চিত ধরে নেয়া যেতেই পারে। অন্যভাবে বললে, শিবিরের ছেলেরা কোন টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, গ্রুপিং করে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে না জেনেও অন্তত এই বিষয়গুলোকে আমরা ভাল বলতে পারি না। জিয়া যতই ফিল্ডে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করুক না কেন আওয়ামিলিগ তাকে রাজাকার বানাবে এটাই নিয়তি। এভাবেই আমরা ছোট থেকে আমাদের সমাজটাকে দেখে আসতেছি।
আমাদের মনে সবসময় একটা ব্যাপার কাজ করে সেটা হল, বিপক্ষদলের কোন ভাল কাজকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা আসলেই আমরা ভাবতে থাকি এই বুঝি তার কাছে হেরে গেলাম। এখনই তার কাছে আমার মাথা কাটা গেল। কেন ভাই এমনটা কেন ভাবেন আপনি? কারো ভাল কাজকে স্বীকৃতি দেয়া মানে যদি তার কাছে হেরে যাওয়া হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি আপনার নিজের কাছেই হেরে গেছেন। ভালকে ভাল এবং খারাপকে খারাপ বলে মানতে না পারলে বুঝতে হবে আপনার মনের সংকির্নতা আপনাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। তাদের খারাপগুলোকে অব্যশই খারাপ হিসেবেই দেখুন কিন্তু তাই বলে ভাল কাজকে তো অস্বিকার করতে পারেন না। এমনকি আপনার পরিবারের সদস্যদের কথাই ভাবুন তারাও কিন্তু শতভাগ আপনার মনের মত হতে পারে নি। তাই বলে তাদেরকে আপনি ছেড়ে থাকেন না নিশ্চয়।
পরিশেষে বলতে চাই, আপনার যদি ইচ্ছা হয় আপনি অন্যকে হিংসা করতেই পারেন। তবে সেই জন্য ইসলাম আপনাকে দুইটা শ্রেনী নির্ধারন করে অনুমতি দিয়েছে-
১. যাদের অনেক টাকা রয়েছে এবং তারা তা হতে অকাতরে আল্লাহর রাস্তায় বিতরন করে।
২. যাদের ইসলামি জ্ঞান রয়েছে এবং তারা তা দ্বারা মানুষকে আল্লাহর রাস্তায় আহব্বান করে।
এবার আপনার ইচ্ছা আপনি আপনার মানসিকতা কিভাবে গড়ে তুলবেন? আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্যের পথে পরিচালিত করুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: তবে সেই জন্য ইসলাম আপনাকে দুইটা শ্রেনী নির্ধারন করে অনুমতি দিয়েছে-
১. যাদের অনেক টাকা রয়েছে এবং তারা তা হতে অকাতরে আল্লাহর রাস্তায় বিতরন করে।
২. যাদের ইসলামি জ্ঞান রয়েছে এবং তারা তা দ্বারা মানুষকে আল্লাহর রাস্তায় আহব্বান করে।

- কই পাইসেন দুইটা শ্রেনীর কথা। রেফারেন্স দেন।
আপনার যদি ইচ্ছা হয় আপনি অন্যকে হিংসা করতেই পারেন। - হিংসা রিপুটা একজনের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর কতটুকু নির্ভর করে?
যাদের সাথে আমার মনোমালিন্য চলতেছে তাদের যে কোন ভাল কাজকে তো আমি সবসময় সহজ এবং স্বাভাবিক ভাবে নেই। তো!
আওয়ামিলিগ কোন একটা ভাল কাজের উদ্দ্যেগ গ্রহন করল অন্য দলের লোকজন সেটাতে (ডাইরেক্ট বা ইনডাইরেক্ট) ভেটো দিবে- ভেটো কেমনে, কই দেয়?
শিবিরের ছেলেরা কোন টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, গ্রুপিং করে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে না জেনেও অন্তত এই বিষয়গুলোকে আমরা ভাল বলতে পারি না।- না করলে, আমি তো বলি।
আপনার ২০০৬ সালের ঘটনা পুরো মানবজাতির উপর চাপায়া দিলেন।

বাল্পুস্ট।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: রেফারেন্স হিসেবে বুখারী শরীফ এর ৫৭ নং হাদিসটি দেখুন।
ইচ্ছা কোন রিপু নয়, কারন একজন মানুষের ভাল ইচ্ছা আবার খারাপ ইচ্ছাও থাকতে পারে। আর ভাল ইচ্ছাকে রিপু বলাটা কতটা ন্যায়সঙ্গত তার ভার আপনার উপরই থাকল।
আমরা অন্যর ভাল কাজকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারি না বলেই এই পোষ্ট করা হয়েছে, আগে ভাল করে পরার চেষ্টা করুন পরে কমেন্ট করবেন।
ভেটো প্রধানত জাতিসংঘে দেয়া হয়। এর আভিধানিক অর্থ আমি মানি না। প্রচলিতভাবে এটা কারো বিরুধিতা করার সময় বলা হয়ে থাকে। এইসব সিলি বিষয়গুলো যদি আপনাকে হাতে ধরে ধরে বুঝাতে হয় তাহলে তো মুশকিল।
শিবিরের ভাল কাজকে আপনি ভাল বললে তো ভালই ।
২০০৬ সালে আপনার সাথে কি ঘটেছিল, বা আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন আপনি ভাল জানেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.