নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখনই কোন নেতা নেত্রী দেশের বাইরে যাবেন অথবা দেশের বাইরে থেকে আসবেন উনাদের হাস-মুরুগী গুলো বিমানবন্দরে জড়ো হবে

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

ছোটবেলায় সামাজিক বিজ্ঞান বইতে ”হযরত মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি” নাম পড়ে ভাবছিলাম তখনকার মত এটাই আমার দেখা কোন মানুষের সবচেয়ে বড় নাম । সৌভাগ্যক্রমে উনার নামের মত উনার ব্যক্তিত্বও ছিল বিশাল মাপের। আরেকটি ব্যাপার হল উনার নামের সাথে তখনকার কোন নেতার দেয়া টাইটেল যুক্ত ছিল না সবটাই উনার পারিবারিক ও ধমির্য় উপাধি।

এবার একটু অন্যদিকে নজর দেই-
আমাদের দেশের নেতা-নেত্রিদের মাশাল্লাহ উপাধির কোন অভাব নেই। অনেকের সবটা উপাধি বলতে গেলে আসল নামটাই যে কি ছিল তা ভূলে যাওয়া লাগে। চামচামি করার ও একটা লিমিট থাকে লাগে। এই দেশের নেতা , পাতি নেতারা রাস্তা ঘাটে উপাধি বিক্রি করে ফেরে । নেতা- নেত্রিরাও সেইসব উপাধি নিয়ে আত্মসুখে “ মুই কি হনু রে” ভাব নিয়া দিবা নিদ্রায় আছন্ন থাকে। মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আত্মসম্মান বলতে যে কিছু একটা আছে তা এখন শুধু ডিকশনারিতেই বিদ্যমান। মনে করেন আপনার একটা র্ফামেসির দোকান আছে, অথবা আপনি একজন ঠীকাদার এখন রাস্তায় কেউ যদি আপনাকে ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার বলে সম্মোধন করে তবে আপনার বিব্রতবোধ করা উচিত। আপনি যেটা নন সেটা আপনাকে বলা হলে বুঝতে হবে হয়ত তারা আপনাকে নিয়ে মজা করছে নয়তো আপনার থেকে অবৈধ কোন সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। এই নরমাল হিসেবটা না বুঝলে অথবা বুঝেও আত্মসুখে ভুগলে বুঝতে হবে আপনার মানসিক ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হওয়া উচিত। B:-/

আজকে অফিসে আসার পথে বিমানবন্দর রোডে দেখলাম সব বিলবোর্ড ক্ষমতাসীনেরা দখল নিয়ে তাদের নেত্রিকে সব আজগুবি উপাধিদে ভুষিত করা হয়েছে। বিগত কিছুদিন আগে সমুদ্রকন্যা নামের উপাধি দেখে আমি চিন্তা করছিলাম নেত্রির কি জলপরির মত লেজ গজালো কিনা । আজকের অফিসে আসার পথে দেখলাম ধরিত্রীকন্যা নামের উপাধি দেয়া এক বিশাল বিলবোর্ড । চিন্তা করতেছি ধরিত্রীকন্যা এটা আবার কেমন উপাধি, উনি কি মাটি খুড়ে ধরিত্রী থেকে বের হয়েছেন নাকি। দেশনেত্রী, জননেত্রী, দেশরত্ন, সমুদ্রকন্যা, ধরিত্রীকন্যা, (সব বলতে গেলে আসল লেখাই হবে না) নতুন করে যোগ হল চ্যাম্পিয়ন। B-)

আর সেটা নিয়ে এয়ারপোট থেকে গনভবন পর্যন্ত তারা নাকি বিশাল সংবর্ধনা দিবে, আমি বুঝিনা তাদের কি কোন কাজ কাম নাই, এত সময় কই পায়। পৃথিবীর অন্য কোথাও এত আজাইরা লোক আছে বলে আমার জানা নাই। যখনই কোন নেতা নেত্রী দেশের বাইরে যাবেন অথবা দেশের বাইরে থেকে আসবেন তাদের হাস-মুরুগী গুলো বিমানবন্দরে জড়ো হবে। কেন রে ভাই উনি কি মঙ্গল থেকে এলিয়েন হয়ে আসছেন যে পাবলিক রাস্তা বন্ধ করে তোদের এইসব ফ্যাশন শো দেখাতে হবে। আজব ব্যাপার হল নেত্রীরাও এইসব ফাইজলামি এনজয় করে । !:#P

যে-পুরষ্কার নিয়ে বাঙালি হঠাৎ লাফিয়ে উঠেছে ফেনার মতো, সে-পুরষ্কার পরিবেশ বিজ্ঞানী আতিক রহমান পেয়েছিলেন ২০০৮ সালে। অথচ কেউ জানেই না আতিক রহমান কে? অথচ আজকে নেত্রীকে নিয়ে হলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা পারি ও…… । ২০১৫ সালে এ-মহাপুরষ্কার পাঁচ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। তালিকার এক নম্বরে আছেন ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী পল পোলম্যান, দুই নাম্বারে শেখ হাসিনা। কোনো পুরষ্কার নিয়ে যে এরকম তুঘলকি কাণ্ড বাঁধতে পারে, সারা ঢাকা অচল ক'রে দেয়া যেতে পারে, তা শেখ হাসিনা পুরষ্কার না পেলে আমরা জানতেই পারি না।

যেই ঢাকার বুড়িগঙ্গার পানি গায়ে লাগলে ফুসকুড়ি পরে যায়, যেই ঢাকার বাতাসে বিসাক্ত সীসায় পূর্ন, যেই ঢাকার রাস্তায় গাড়ির ধোয়ায় রঙ্গিন শহরও সাদা-কালো হয়ে যায়, সুন্দরবন উজার হওয়া সব কার্যকলাপ যেখানে নিত্যদিনের ব্যাপার সেখানে নাকি উনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
সময়, ব্যক্তিত্ব, মানবিকতা, সহনশীলতা অপরদিকে চামচামি, তেলবাজি, আত্মঅহংকারের পার্থক্য আমরা যতদিন না বুঝব, ততদিন হাস-মুরগী ও আমাদের মধ্যে শারিরিক বৈশিষ্ট্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হবে না। । :(

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কবে যে হাঁস মুরগী গুলো নিজের প্রকৃত রূপ বুঝতে পারবে......

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: নিজের রুপে ফিরতে গেলে তাদের বুঝতে হবে যে, তারাও একদা মানুষ ছিল। নেত্রীরা তো তাদের সেইটা বুঝতে দিচ্ছে না পাছে না আবার নিজের অস্তিত হারাতে হয়।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

আবুল হাসান নূরী বলেছেন:
নেত্রী কী অবদানের জন্য ধরিত্রীকন্যা নির্বাচিত হলেন তা জানার অপেক্ষায় আছি। আর উনি যেহেতু পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয়ে পুরষ্কার পেয়েছেন, তাই রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে না ফেলে সবাইকে নিয়ে অন্ততঃ ১টি করে গাছ লাগানোর মতো কর্মসূচী গ্রহণ করলেই বরং আরো প্রশংসিত হতেন।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে-পুরষ্কার নিয়ে বাঙালি হঠাৎ লাফিয়ে উঠেছে ফেনার মতো, সে-পুরষ্কার পরিবেশ বিজ্ঞানী আতিক রহমান পেয়েছিলেন ২০০৮ সালে। অথচ কেউ জানেই না আতিক রহমান কে? অথচ আজকে নেত্রীকে নিয়ে হলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা পারি ও…… । ২০১৫ সালে এ-মহাপুরষ্কার পাঁচ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। তালিকার এক নম্বরে আছেন ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী পল পোলম্যান, দুই নাম্বারে শেখ হাসিনা। কোনো পুরষ্কার নিয়ে যে এরকম তুঘলকি কাণ্ড বাঁধতে পারে, সারা ঢাকা অচল ক'রে দেয়া যেতে পারে, তা শেখ হাসিনা পুরষ্কার না পেলে আমরা জানতেই পারি না।

যেই ঢাকার বুড়িগঙ্গার পানি গায়ে লাগলে ফুসকুড়ি পরে যায়, যেই ঢাকার বাতাসে বিসাক্ত সীসায় পূর্ন, যেই ঢাকার রাস্তায় গাড়ির ধোয়ায় রঙ্গিন শহরও সাদা-কালো হয়ে যায়, সুন্দরবন উজার হওয়া সব কার্যকলাপ যেখানে নিত্যদিনের ব্যাপার সেখানে নাকি উনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

নির্লজ্জ্বতারও একটা সীমা থাকে! তারা সব পেরিয়ে গেছে! বোধহীন, দলান্ধতা, অন্ধত্ব, কূপমন্ডুকতা একই ট্র্যাকে বাজতে থাকা কলের গান যেন! এর বাইরে কেউ নেই কিছূ নেই!
খুবই দু:খজনক! জাতীয় অগ্রগতির এর এর বাইরে আমাদের বের হতেই হবে।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

এস বাসার বলেছেন: যেই ঢাকার বুড়িগঙ্গার পানি গায়ে লাগলে ফুসকুড়ি পরে যায়, যেই ঢাকার বাতাসে বিসাক্ত সীসায় পূর্ন, যেই ঢাকার রাস্তায় গাড়ির ধোয়ায় রঙ্গিন শহরও সাদা-কালো হয়ে যায়, সুন্দরবন উজার হওয়া সব কার্যকলাপ যেখানে নিত্যদিনের ব্যাপার সেখানে নাকি উনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

চোখে টিনের চশমা লাগিয়ে রাখলে কেউ কি আর সত্যিটা দেখতে পায়?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: ভাই, একসাথে এত বিশাল একটা জনগোষ্ঠী টিনের চশমা লাগিয়ে ঘুরতেছে...
এই দেশে তো দেখি সবাই প্রতিভার অধিকারি। টিনের চশমা প্রতিক নিয়া ভাবতেছি সামনে নির্বাচন করুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.