নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন কারণে অকারণে ‘বিদআত’এর সংজ্ঞা নিয়ে আশেপাশের মানুষগুলোকে গোলকধাঁধায় পড়ে থাকতে দেখি তখন খুব কষ্ট হয়!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

আজকে যারা এই নোটটা পড়ছেন, তাদের বলছি, আমার দেশের কোটি কোটি তরুণ ছেলে মেয়ের যারা ইসলাম যে জেনে বুঝে পালন করার বিষয় –এই কনসেপ্ট টার সাথেই আদৌ পরিচিত নয়, কিন্তু ‘বিদআত’- এই টার্মটা বহুবার শুনেছে এবং নিশ্চিতভাবেই এর মানে জানে না!
তাই যখন কারণে অকারণে মানুষকে ‘বিদআত’ শব্দটা ব্যবহার করতে দেখি, আর আশেপাশের মানুষগুলোকে এর সংজ্ঞা নিয়ে গোলকধাঁধায় পড়ে থাকতে দেখি তখন খুব কষ্ট হয়! ইসলামের মৌলিক কোন বিষয়গুলোই আসলে রকেট সাইন্স নয়। আসুন ব্যাপারটা একটু বোঝার চেষ্টা করি, আর আমাদের চারপাশে খুব প্রচলিত কিছু ‘বিদআত’ চেনার চেষ্টা করি।
ইসলাম মানুষের জীবনের কাজগুলোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করেছেঃ

ইবাদাত (যা কেউ মুসলিম হওয়ার কারণে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করে - নামায, রোযা, কুরআন পাঠ ইত্যাদি )
মু’মালাত (যা কেউ মানুষ হওয়ার কারণে জৈবিক প্রয়োজনে করে- খাওয়া, ঘুম, চাকরি ইত্যাদি)

ইসলামে সকল ইবাদাতের একমাত্র উৎস হল ওহী।তাই এক্ষেত্রে starting assumption হচ্ছে সবকিছু হারাম যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল শিখিয়ে গেছেন, তা ব্যতীত। কেউ যদি আপনাকে বিশেষ কোন নামায শেখায় (যেমনটি আমার আরবী টিচার আমাকে শিখিয়ে ছিলেন)তবে মূল নিয়ম হচ্ছে তা নিষেধ, যতক্ষণ না আপনি প্রমাণ পাচ্ছেন যে এটা সহীহ সুন্নাহ তে আছে, সাহাবীরা করেছেন!
অন্যদিকে মু’মালাতের ব্যাপারে starting assumption হচ্ছে সবকিছু হালাল যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নিষেধ করে গেছেন, তা ব্যতীত। কেউ যদি আপনার সামনে কোন খাবার নিয়ে আসে, তবে মূল নিয়ম হচ্ছে তা জায়েজ, যতক্ষণ না আপনি প্রমাণ পাচ্ছেন যে এটা সহীহ সুন্নাহ বা কুরআনে নিষেধ করা হয়েছে।

তাহলে ‘বিদআত’ কি? ‘বিদআত’ হচ্ছে ইবাদাতের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন। অর্থাৎ ইবাদাতের ক্ষেত্রে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার সাহাবীদের ‘ইচ্ছাকৃত বর্জন’। এই বিশেষণটা যেন আমরা জীবনেও না ভুলি- ইবাদাতের ক্ষেত্রে ‘ইচ্ছাকৃত বর্জন’। এটা মনে রাখলে ‘বিদআত’ চেনা খুব সহজ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ! আসুন নিচের স্টেপ গুলো follow করার চেষ্টা করি-
* কাজটা কি আপনি ইবাদাত মনে করে করছেন?
* যদি করে থাকেন তবে এটা কি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার সাহাবীদের জানা ছিল?
* যদি জানা না থাকে, তবে এটা ‘বিদআত’, কারণ ওহীর ব্যাপারে আপনি উনাদের চেয়ে বেশি জানেন না কোনভাবেই এবং এটা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় কোন জ্ঞান নয়।
* যদি জানা থাকে, তবে ঊনারা কি এটার উপর আমল করেছিলেন?
* যদি করে থাকেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌, আমরাও করতে পারি।
* যদি জেনে থাকেন,কিন্তু তারপরও না করে থাকেন তার মানে এটা ‘বিদআত’, কারণ ‘ইচ্ছাকৃত বর্জন’ ছিল।

যখন ইবাদাত এবং মু’মালাতের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেনীবিভাগের বিষয়টি পরিষ্কার না করেই আমরা কাউকে বলে দেই যে আল্লাহর রাসূল ও তার সাহাবীরা যা করেন নি তা করাই হচ্ছে ‘বিদআত’,তখন নিশ্চিতভাবে প্রশ্ন ওঠে যে তাহলে কি প্লেনে চড়া ‘বিদআত’? কম্পিউটার ব্যবহার করা? Common sense দিয়েই আমরা বুঝি যে তা নয়। এভাবে পরোক্ষভাবে কিন্তু আমরা ভয়ংকর একটা পাপ কে হাস্যস্পদ করে তুলি মানুষের কাছে! এখন নিশ্চয়ই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে, কারণ প্লেনে সাধারণত কেউ ইবাদাত মনে করে চড়ে না, আর আল্লাহর রাসূল ও তার সাহাবীরা প্লেনে চড়া ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্জন করেন নি!!!
বিদাআতের ব্যাপারে একটা খুব common কথা হচ্ছে যে এগুলোতো ভাল কাজ, তাহলে করতে কি অসুবিধা। বিদআত যেহেতু ইবাদাতের সাথে সংশ্লিষ্ট, তাই তা ভাল কাজ হতে বাধ্য। কিন্তু আল্লাহ বলেছেনঃ

“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।” (৫:৩)
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)নিজেও বলে গেছেন - “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী, হাদীস নং ১৫৬০]
“যা কিছু কাউকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে অথবা আগুন থেকে দূরবর্তী করে তার এমন কিছুই নেই যা কিনা তোমাদের জন্য স্পষ্ট করে বর্ণনা করা হয়নি” [তাবারানীর আল মুজাম আল কাবির, আলবানীর মতে সহিহ]

উপরের reference গুলো থেকে এই বিষয়টি crystal clear যে বিদআত উদযাপনের অর্থ হল আপনার বুদ্ধি দিয়ে আপনি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার একটি উপায় আবিষ্কার করেছেন, যা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার সাহাবীদের জানা ছিল না। আর না হয়, এমন কোন উপায় আগে থেকেই ছিল কিন্তু রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দ্বীন প্রচারের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন নি!!!!!!! আমরা কি বুঝতে পারছি, যে এই দুটোর যে কোন একটি সম্ভাবনা আমাদের ইসলামের বাইরে নিয়ে যায়?
শুনলাম এবার পালিত হবে ঈদ এ মিলাদুন্নাবী- জশনে জুলুছ! পেপারে দেখলাম কোন মাইছভান্ডারী নাকি এবার ২৫ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটাবে---------সকল ঈদের বড় ঈদ বলে তারা এই যে এটা পালন করছে, এত খানাপিনা, আয়োজন------তাদের গিয়ে যদি বলেন যে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে তার জন্মদিন পালন করেছেন, সোমবার, কিন্তু রোযা রাখার মাধ্যমে তবে তারা আপনাকে মারতে আসবে নিশ্চিত থাকতে পারেন!(সেইরকম খাওয়া দাওয়াই যদি না হইল তাইলে আর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ভালবাসা কিসের????)

ইসলাম টলটলে পরিষ্কার, বিশুদ্ধ পানি দিয়ে কানায় কানায় ভর্তি একটি গ্লাসের মত। আপনি যদি এতে নতুন কিছু যোগ করতে চান, তবে কিছু পরিষ্কার পানি ফেলে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। বিদআতের ব্যাপারটাও ঠিক সেরকমই! সমাজে বিদআতের প্রচলনের অর্থ সুন্নাত উঠে যাওয়া!
আর সবাইকে এটা নিয়ে মাতামাতি করতে দেখে( বামপন্থীরাও শুনলাম মহাসমারোহে পালন করছে) দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না প্লিজ......কারণ তারা চায় সমাজে এইগুলার প্রচলন বাড়তে থাকুক। শয়তানের সবচেয়ে প্রিয় কাজ হল আপনাকে বিদআতে লিপ্ত রাখা, কারণ আপনি এটা ইবাদাত মনে করে করছেন, আর এজন্য কখনও অনুতপ্ত হবেন না! এরা চায় আমরা অশিক্ষিতের মত এই দূষিত ইসলাম নিয়েই মেতে থাকি!

আল্লাহ আমাদের বিশুদ্ধ ইসলাম পালন করার তোফিক দিন, আমীন!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

হারুনুর রশিদ২৪৬৮ বলেছেন: অনেক সুন্দর,পড়ে তৃপ্ত হলাম।ধন্যবাদ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

ধৈঞ্চা বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনি একদম বেসিক নিয়ে কথা বলেছেন। এই সূক্ষ (মৌলিক) পার্থক্যটুকু অনেকে বুঝতে পারে না বা বুঝতে চায় না। আমি সম্প্রতি অনেক তথাকথিত প্রগতিশীল ইসলামী স্কলারদের বলতে শুনেছি তারা ইসলামকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করে ফলশ্রুতিতে ১৪০০ বছরের পূরাতণ ইসলামকে কিছুটা মডিফাই করে যুগোপযোগী করতে চায়। ইজমা এবং কিয়াসে নাকি এ ব্যাপারে অনেক স্বাধীনতা রয়েছে।
যাইহোক, আপনি স্পষ্ট কিছু হাদিস দিয়ে ‘বিদআত’, ও তার প্রেক্ষাপট আলোচনা করেছেন। আশাকরি প্রগতিশীল ইসলামী স্কলাররা কিছুটা হলেও সচেতন হবে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: ভাই আমাদের সমস্যাটা আমরাই তৈরি করেছি। ইসলামকে একটু বেশিই মডিফাই করতে গিয়ে তাল রাখতে পারি না । এখানে একটা ব্যাপার বুঝতে হবে যে, আমদের সাথে ইসলামকে মডিফাই করলে চলবে না, ইসলামের সাথে আমাদের মডিফাই করতে হবে।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "ইসলামে সকল ইবাদাতের একমাত্র উৎস হল ওহী"। তাহলে কোরআন ছাড়া আর কোন ওহী কি আছে?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: ভাই "ইসলামে সকল ইবাদাতের একমাত্র উৎস হল ওহী" । তবে এই সকল ওহীকে আপনি বাস্তবে কিভাবে ব্যখ্যা করবেন অথবা বাস্তবজিবনে প্রয়োগ করবেন তার জন্য কিছু রেফারেন্স (নবিজীর সহীহ্ ও যুক্তিসঙ্গত হাদিস) মাঝে মাঝে প্রযোজন হয়ে পরে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

সবুজ সাথী বলেছেন: সুন্দর, এক্কেবারে কিলিয়ার। :)

যাযাকাল্লাহ।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

সবুজ সাথী বলেছেন: @হানিফঢাকা, তুমারে কাদিয়ানি মনে হয়। দূরে থাকো।
রাসুল সাঃ এর কাছে কুরআন ছাড়াও ওয়াহী নাজিল হতো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: ভাই কাকে কি মনে হয় সেটা এখানে না বলাটায় ভাল। কোরআন ছাড়া কোন ওহী নাজিল হত বলে আমি কখনো শুনি নাই। আল্লাহর পক্ষ হতে যা নাজিল হত তার সমস্ত মিলেই কোরআন সংকলিত হয়েছে। তবে নবিজীর (সাঃ) এর ইন্তেকালের অনেক বছর পর হাদিস সংগ্রহ করা হয়েছিল বিধায় অনেকেই এতে কিছু জাল হাদিস ঢুকিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করতেছে। আমাদের উচিত নিজস্ব বিবেক দ্বারা ঐসব হাদিসের গ্রহনযোগ্যতা নির্নয় করা। আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

হানিফঢাকা বলেছেন: @ লেখকঃ ধন্যবাদ আপনার বক্তব্য পরিষ্কার করার জন্য। আমি এইটা জিজ্ঞেস করেছিলাম কারন এই ব্লগেই একজন কে পেয়েছিলাম যে সে বিশ্বাস করে সব হাদিস ওহী। তাকে যখন হাদিস নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম তখন কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই।
যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

@সবুজ সাথীঃ আমাকে আপনার কাদিয়ানী কেন মনে হয়? আপনার মতের সাথে মিলে না বলে। এই পর্যন্ত আমাকে কাদিয়ানি, শিয়া, অনলি কোরআন, নাস্তিক এই সব উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। কিছু বলতে চাইলে নতুন কিছু বলুন।

আপনি বলেছেন "রাসুল সাঃ এর কাছে কুরআন ছাড়াও ওয়াহী নাজিল হতো। "- সেই দুই একটা ওহী যদি বলতেন তবে একটু জানতে পারতাম কি কোরআন ছাড়া কি ওহী নাযিল হয়েছিল?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১২

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: হানিফ ভাই, ইসলাম আমাদেরকে বুঝতে হবে নিজস্ব যুক্তি দ্বারা কোন কোন ভাল নির্ভরযোগ্য আলেমের কাছে। হাদিস নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারনেই আজকের পৃথিবীতে মুসলিমদের মধ্যে এত বিভাজন তৈরি হয়েছে। বিগত ১৫০০ বছরে শত শত হাদিসের বিকৃতি হয়েছে আর এইসব হাদিসগুলোকে সাধারন মুসলমানরা বাদ দিতে নারাজ এখানেই সব গন্ডগোল বাধে। আমি হাদিসের প্রয়োজনীয়তা অস্বিকার করার দুঃসাহস করি না তবে অযৌক্তিক হাদিসকে আমাদের অব্যশই পরিহার করা উচিত। আপনাকে ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.