নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধিনতার চেতনা বনাম বাস্তবতা।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

গত কয়দিন তো এক একজনের শরির দিয়ে স্বাধিনতার চেতনা চুইয়া চুইয়া পরছে।

তো এখন থেকে চলুন আবার শুরু করি, সরকারি অফিসে ঘুষের বানিজ্য, ক্যাম্পাসের হলগুলোতে দখলদ্বারিত্ব, নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের পিছনে ঘুরঘুর করা। দেশপ্রেম নিয়া বসে থাকলে কি পেটে ভাত জোগার হবে? চলুন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ফিল্ডে নামি চাদাবাজি, হফতা আদায় করতে হবে যে !!

সারাবছর বিভিন্ন দিবসে রাজনৈতিকরা যত লক্ষ পোষ্টার বাংলার অলি, গলিতে লাগায় তার সমপরিমান টাকা যদি দেশের গরিব অসহায়দের মাঝে বিতরন করত তবে এইদেশে দ্রারিদ্রতার হার শূন্য নেমে আসতো সেই কবেই। বাংলার মাটিতে বর্তমানে যত হাট বাজার, রাস্তা ঘাট, স্কুল কলেজ, শহর গ্রাম, জল স্থল, আকাশে এমনকি মাঝে মাঝে বাতাসেও এই সব ডাইনোসর থেকে পরমানু সাইজের নেতাদের খোমাযুক্ত পোষ্টার দেখতে পাবেন । এত পোষ্টারের কি কারন, কি উপলক্ষ, কি উদ্দেশ্য সেটা তারা নিজেরাও জানে না। কিন্তুু নিজের নামে পোষ্টার না ছাপালে তাদের গ্যাষ্ট্রিক সমস্যা প্রবল হয়ে দেখা দেয়। সারাদিন রাস্তায় অলিগলিতে বাইকে উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়ানো, নেতাদের পিছনে ছাগলের পালের মত লেগে থাকা। পুরাই একটা মানসিক বিকলাঙ্গ জাতিতে পরিনত হয়ে যাচ্ছি।

আমি যদি কোন কলেজ/ভার্সিটির ছাত্র হই তবে, পড়ালেখাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। পড়ালেখার পাশাপাশি সহকার্যক্রম হিসেবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ড থাকতেই পারে। তাই বলে কোথায় টেন্ডার হবে, কোন নেতা এয়ারপোর্টে আসবে তাকে রিসিপ্ট করার জন্য হাস মুরগির পালের মত সব রাস্তায় গিয়ে বসে থাকতে হবে, হলের রুম থেকে জোর করে অন্যদের মিছিলে নিতে হবে, নিজের রুপবান মার্কা চেহারাটা অলিগলিতে, রাস্তার মোড়ে, বাথরুমে পোষ্টারিং করতে হবে কেন আমার বুঝে আসে না। এতটাকা একজন ছাত্র কিভাবে পায়, কে দেয়, কেনই বা দেয় এইসব প্রশ্ন করা এইদেশে ঝুকিপূর্ন।

একটা বিশেষ দিনে বিভিন্ন মিনারে গিয়ে ফুলের তোরা দিলেই সকল দ্বায়বদ্ধতা শেষ হয়ে যায় না। যেই দেশের মানুষ এখনো চাদাবাজ থেকে পুলিশকেই বেশি ভয় পায়, যেই দেশের রাজনৈতিকরা সামান্য সর্দি কাশিতে দেশের ডাক্তারদের উপর ভরসা রাখতে না পেরে সিঙ্গাপুরে পারি জমায়, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বিক্রি হয় প্রতিটি দল পরিবর্তনে, সেইদেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মানবোধ জাগানোর আগে নিজেদেরকে অন্যের অন্ধ অনুকরন থেকে মুক্ত করা জরুরি। নয়তো, ফুলের তোরার এইসব অানুষ্ঠানিকতা দিয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান থেকে উপহাসই বেশি করা হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

কলাবাগান১ বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশ নাহলে আপনাকে এত কস্ট নিয়ে ফুলের 'তোরা' দিয়ে সন্মান দেখতে হত না...পাকিস্হান এর বুট এর নীচ ই ভাল ছিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.