নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।
এই দেশের বড় বড় সেলিব্রেটিরা ভাগ্য গননার জন্য কথিত "বাবা"দের কাছে সকাল বিকাল ধরনা দেয়, সেগুলো আবার ঘরে ঘরে ডিস চ্যানেলের মাধ্যমে জনগনের নিকট বিজ্ঞাপন আকারে পৌছে যায়। স্বপ্নে পাওয়া তাবিজ, পাহাড়ি গাছ গাছড়ার তৈরি ঔষধ, ২৪ ঘন্টায় মুসকিল আসান, অমুক পাথরের আংটি, তমুক পাথরের লকেট, সকল প্রকার জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা, ব্যর্থ প্রেমিদের মনের আশা পুরন, বেকারত্ব অবসান, মোটা স্বাস্থ্য-চিকন স্বাস্থ্য সমস্যা, লম্বা-বেটে সমস্যা, বউ-শাশুরির যুদ্ধ থামানো, দাম্পত্য জিবনে কলহ, হর্স পাওয়ার বৃদ্ধি, পরকিয়াসহ এমন হাজারটা সমস্যা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার মত "মহামানবরা" এখন দেশের আনাচে কানাচে ভর্তি হয়ে আছে। তাদের অনেকে আবার "বিফলে মুল্য ফেরত" তত্ত্ব ফেরি করে বেড়ায়।
মজার ব্যাপার হল, এরা কিন্তুু তাদের এই অফারগুলো গোপনে প্রচার করে না। সবার সামনে লিফলেট বিতরন, দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং ডিস চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিটা ঘরে ঘরে প্রচার করে যাচ্ছে তাদের এইসব "অলৌকিক ক্ষমতার" আজগুবি ফমুর্লা। আর আমরা ডিজিটাল দেশ গঠনে তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছি !! সরকার A+ মার্কা শিক্ষার উপর খুবই জোর দিচ্ছে। অথচ এইসব গরু ছাগলগুলোরে মানুষ করার জন্য কোন পদক্ষেপই নাই। এরা শুধু নিজেরা বিভ্রান্ত হয়ে থাকলে কোন কথা ছিল না, সাথে সাথে বিভ্রান্ত করছে দেশের লক্ষ কোটি সাধারন জনগনকে, সেটাও হচ্ছে সরকার ও প্রসাশনের সামনেই। অথচ আজব নিরবতা সরকার ও প্রসাশনের সবখানে, যেন কখনো কিছুই ঘটেনি। নিরবতার দুইটা কারন হতে পারে, হয়তো সরকার নিজেই "মহামানব" দের ভন্ডামি বুঝতে পারছে না অথবা বুঝেও রহস্যজনক ভাবে নিরবতা পালন করছে। প্রকাশ্যে মাকের্টিং করা এই সব আজগুবি ট্রিটমেন্ট সরাসরি বিজ্ঞান ও ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। অনেক সময় তাদের এই অদ্ভুদ কাজকর্ম শির্কের মত পাপের দিকেও নিয়ে যায়।
আমাদের একটা বিষয় ক্লিয়ার হওয়া উচিত, ডিজিটাল জাতি গঠন মানে সবার কাছে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ডিস কানেকশন, ইন্টারনেট থাকা নয়। ডিজিটাল জাতি গড়তে হলে সবাইকে প্রথমে অন্ধবিশ্বাস, অন্ধ অনুকরন হতে মুক্ত হতে হবে। তারপর নিজ্বস্ব চিন্তা, বিবেক দিয়ে কিভাবে কোন বিষয়কে বুঝতে হবে সেটা নির্ধারন করা শিখতে হবে। অন্যের মতামতের ফটোকপি হওয়ার জন্য অাল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেননি। আপনারা একদিকে চাচ্ছেন যেন জনগন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক অন্যদিকে তাদের ঘরে কুসংস্কারের গভির অন্ধকার প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছেন অবিরতভাবে।
কোন জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করার আগে তাদেরকে ভুল পথ থেকে ফেরানো জরুরি। নয়তো তারা কুসংস্কারের অন্ধকারে রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে কনফিউজড হতে থাকবে অনাদিকাল পর্যন্ত।
আর ভাবতে থাকবে, রাত পোহাতে কত দেরি পান্জ্ঞেরি ?
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
সোহানী বলেছেন: বিস্বাস করেন কানাডায় এসে আমি তাজ্জব বনে গেলাম কারন এ ধরনের এড এদের জাতীয় দৈনিকে অহড়হ.... এমন কি এক বিজ্ঞাপন দেখলাম তিনি ইমাম মেহেদি আগমনে দিন তারিখ বলে দেন। আমার স্বামী তাদের অফিসে ঢুকে শুধু জানতে চাইলো ভাই ইমাম মেহেদির ফোন নাম্বারটা দেনতো আমি ডাইরেক্ট কথা বলতে চাই... হাহাহাহা......... সব জায়গায় ধান্দাবাজ আছে শুধু দেশে না।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
নতুন বলেছেন: আহাম্মক দুনিয়াতে প্রতি জামানায় কিছু থাকবেই... আর এদের মাথায় কাঠাল খেতে সব বাটপারই চাইবে।
কিন্তু সচেতনদের উচিত এদের ভন্ডামী বন্ধে কাজ করা। আর সরকারেরও উচিত মিডিয়াতে এই সব কিছু প্রচার বন্ধ করা।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সরকার, বিরোধী দলের হেভিওয়েট এম্পি, মন্ত্রীরা তাদের প্রধান কাস্টমার, সাধারন মানুষ ত' রামছাগল'
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
ডি মুন বলেছেন: " ডিজিটাল জাতি গঠন মানে সবার কাছে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ডিস কানেকশন, ইন্টারনেট থাকা নয়। ডিজিটাল জাতি গড়তে হলে সবাইকে প্রথমে অন্ধবিশ্বাস, অন্ধ অনুকরন হতে মুক্ত হতে হবে। তারপর নিজ্বস্ব চিন্তা, বিবেক দিয়ে কিভাবে কোন বিষয়কে বুঝতে হবে সেটা নির্ধারন করা শিখতে হবে। "
--- একদম ঠিক কথা বলেছেন।
তবে এইসব গাজাখুরি প্রচারণা বন্ধে প্রশাসন এক্ষেত্রে নিরব দর্শকের ভূমিকায় কেন - প্রশ্নটা সেখানেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৬
এই আমি রবীন বলেছেন: আপনার সাথে পূর্ণ সহমত ও এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ কামনা করছি।
আমাদের দেশে কিছু কনসেপ্টচুয়াল প্রবলেম আছে।
বাবা, হেফাজত, জামাতের নামে বল্লে এদেশে বাই ডিফল্ট ২০-৩০ % লোক ধরে নিবে, এটা ইসলামের (বিরুদ্ধে) নামে বলছে। তাই কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে।