নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিবন মানেই বাজি ধরা, হোক সজ্ঞানে অথবা অজ্ঞানে !

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

গল্পটা কোথায় যেন পড়েছিলাম । একজন লোক ছিলেন যিনি বাজি ধরে জীবন চালাতেন । মানে বিভিন্ন লোকের সাথে বাজি ধরতেন , সেই বাজিতে জিতে সেটা দিয়ে সংসার চালাতেন । এভাবেই চলছিলো । লোকজন কেউ তেমন বাজি ধরেনা । একদিন শহরের সবচেয়ে নামকরা ব্যাবসায়ীর কাছে গিয়ে বললেন আমি বাজি ধরতে চাই । ব্যবসায়ী জিজ্ঞেস করলেন কি বাজি ? লোকটা বললো আপনার মাথায় যে চুল আছে এটা অরিজিনাল চুল না , পরচুলা । ব্যবসায়ী বললেন দেখুন এটা আমার অরিজিনাল চুল , সো শুধু শুধু আপনি বাজি ধইরেন না , নিশ্চিত হেরে যাবেন । লোকটা তবু বাজি ধরলো । বললো কাল সবার সামনে এটার ফয়সালা হবে যদি হারি তবে আমি ৫ হাজার ডলার দিবো জিতলে আপনি দিবেন ।
যথারিতি পরদিন সবাই হাজির । লোকটা বললেন আমি মনে হয় বাজিতে হেরেই যাচ্ছি । তবু একটূ নিজে দেখতে চাই । ব্যবসায়ী রাজি হলেন । লোকটা ব্যাবসায়ীর চুল ভালভাবে টেনে দেখলেন । একদম উস্কোখুস্কো করে দিয়ে এরপর বললেন আমি হেরে গেছি । এটা বলে ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার ডলার দিয়ে দিলেন ।
ব্যবসায়ী খুশি মনে বের হতে নিয়ে দেখেন দরজার পাশে শহরের সবচেয়ে নামকরা উকিল বসে কান্না করছে । ব্যবসায়ী জিজ্ঞেস করলো কান্নার কি কারন । জবাবে উকিল বললো বাজিকর লোকটা উকিলের সাথে ২০ হাজার ডলার বাজি ধরেছিলো, সে শহরের সবচেয়ে বড় ব্যাবসায়ীকে সবার সামনে মাথার চুল টেনে এলোমেলো করে দিবে ।

আমি মাঝে মাঝে মাঝে বলি কথার পরেও কথা থাকে কথার পুর্বেও কথা থাকে তেমনি কথার ভিতরেও কথা লুকানো থাকে । উপরের গল্পটি তার একটা উদাহরন । অন্তত আমাকে নিয়ে যারা অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা করেন , আমি গোল্লায় যাচ্ছি বলে নিজেদের মুল্যবান সময় নষ্ট করেন আমাকে ফেরাতে তাদের জন্য ।
আরেকটা ঘটনা বলতে চাই । কোন এক ইদের পর গ্রাম থেকে এসে আন্টির বাসায় উঠলাম । ওইখানে এক চাচি ছিলেন উনি সাথে সাথে মিষ্টি দই এসব বের করে দিয়ে আমাকে বললেন অনেক দূর থেকে আসছো খিদায় চেহারা ছোট হয়ে গেছে ,আগে এসব খেয়ে নাও । হঠাত আমার আন্টি এসে সেগুলো সরিয়ে রান্না ঘরে রেখে দিলেন । বললেন রেস্ট নাও ,এসব পরে খাবা । যদিও আমার খিদা ছিল,তবুও পরে খাইতে হইলো ।
উপরের ঘটনায় আপনি কি বলবেন ? আমার আন্টি বেশি আপন নাকি ঐ চাচি ? আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আন্টি একটু নিষ্ঠুর আর চাচি খুব ভাল । বাট আসলে তা নয় । ফ্রিজ থেকে বের করা দই আর মিষ্টি এত ঠান্ডা ছিল যে খাইলে আমার ঠান্ডা লেগে যেত , যেহেতু ক্ষতিকর তাই ঠান্ডা কাটার জন্য সরায়ে রেখেছিল ।
সত্যি বলতে লাইফ ইজ এ গেম । আমি একজনকে ভালবাসি । আমার খুব কাছের কিছু বন্ধু (!) সেটা পছন্দ করেনা । এই বালিকার থেকে দূরে রাখার জন্য কতইনা প্রচেষ্টা ।
বালিকা আমাকে বলছে আগে প্রতিষ্ঠিত হউ,এরপর আমার সামনে এসে ভালবাসার কথা বলো । আমার বন্ধুরা বললো দেখেছিস কত বড় স্বার্থপর । তোকে ভাল না বেসে তোর ইস্টাবলিশড হওয়াকে ভালবাসতেছে । এই মেয়ে তোরে কখনই ভাল বাসবে না। সে শুধু টাকাই চিনবে ।
আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টা এমন মনে হতে পারে । কিন্তু একটু গভীর ভাবে খেয়াল করুন, মেয়েটা যদি আমাকে তার ফ্যামিলির সামনে নিয়ে দাড় করায় আর তার বাবা যদি জিজ্ঞেস করে কি করি ? উত্তর কি দিবো ? বেকার ? নিশ্চয় বেকার ছেলের হাতে কোন বাবা তার আদরের কন্যাকে তুলে দিবেনা । আর যদি বলেন প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবো , তাহলে বলি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গ্যারান্টি কি ? এখানে আমি যেমন ছোট হইতাম বালিকাও ছোট হইতো । সে আমাকে সত্যিকারের ভালবাসে বলেই সে এমন শর্ত দিয়েছে । রিমেম্বার ভালবাসাটা দুইদিনের খেলা না ।
লেখাটা বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে । আর এলোমেলো । তবে সব গুলো ঘটনার মুলকথা একই ।
সত্যি বলতে লাইফ ইজ এ গেম । গেম এ জেতাটাই বড় কথা ,কিভাবে জিতলেন সেটা নয় । একটা ছোট্ট কথা বলি । লম্বা রেস এর সময় একজন প্রথম থেকেই দ্রুত দৌড়ে সামনে চলে যায় আর একজন রিলাক্সে পিছে পিছে দৌড়ায় । শেষ মুহুর্তে দেখা যায় ,যে আগে থেকেই দ্রুত দৌড়েছিলো সে হাপাতে হাপাতে সবার পিছে , আর যে শুরু থেকেই রিলাক্সে ছিলো, সে সবার সামনে বেশ রিলাক্স মুডেই ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

শেয়াল বলেছেন: ভালো পোস্ট ।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০২

নাগরিক কবি বলেছেন: ৫হাজার ডলার!!!!! বাজিমাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.