নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধিনতা যখন পরাধিনতার ফ্লেভারে আটকে থাকে..

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ৯:০০

সত্যিই, আজ কেন জানি মনে হচ্ছে আমি এই দেশের নাগরিক নই। এখনো আমরা সবাই পরাধিন। মুখে মুখে যতই স্বাধিনতার বন্দনায় মিনারে মিনারে ফুল দিয়ে বেড়ায় না কেন, নিজের অজান্তেই ভিতরে ভিতরে কোথায় যেন একটা বন্দিত্ব, একটা সীমাবদ্ধতা কাজ করছে। মূল ঘটনায় আসি...

সারাদিন অফিস শেষে বাসায় ফিরে সিড়িতে যেই উঠতে যাব, অমনি পিছন থেকে দাড়োয়ান ডাক দিয়ে বলল, “ মামা আপনার দুইটা কাগজ আছে ফিলাপ করে জমা দিয়ে যাবেন”। কাগজ নিয়ে বাসায় এসে দেখি এটা বাংলাদেশ পুলিশ হেডিং দেয়া একটা ফর্ম যাতে দেয়া অনেকগুলো শুন্যস্থান পুরন করা লাগবে। এর মধ্যে অনেক তথ্য যেমন, আমার বাপ দাদার নাম ঠিকানা, আগে কোথায় ছিলাম, কেন ছিলাম, এখন এখানে কেন এসেছি, আগের বাসার মালিকের নাম ঠিকানা, আমার ছবি, আই ডি, পরিচিত জনের নাম ঠিকানাসহ আরো নানান কিছু দিতে হবে। কেন দিতে হবে প্রশ্নের জবাবে বাড়ির মালিক বলল এটা নাকি থানা থেকে পাঠানো হয়েছে পুরো এলাকায় সব বাড়িতে, সব ফ্লাটে সবার জন্যই এটা লাগবে !!

সব কিছু শুনে কয়েক মিনিটের জন্য মনে হল যেন আমি কোন এলিয়েন অন্য কোন গ্রহ থেকে এই বাংলাদেশে এসেছি, পৃথিবীতে এত দেশ থাকতে কেন এই দেশেই এলাম তার জন্য এত কৈফিয়ত ?
আপনারা জঙ্গি নিধন করবেন ভাল কথা কিন্তু এসব ছাগলামি কেন? আপনাদের কি জানা নেই কারা দেশে সন্ত্রাস করছে? স্বাধিনতার পর থেকে দেশে জঙ্গিরা কতজন মানুষ মেরেছে, আর দেশের সরকারি ও বিরোধিদলের লোকজন মিলে কতজন মানুষকে হত্যা করেছে, পুরিয়ে মেরেছে, গুম করেছে হিসেব মিলিয়ে দেখুন। আপনাদের তুলনায় সেটা নিত্যন্ত্যই অনু পরিমানও হবে না। তাই বলে জঙ্গিদের নিধন করতে হবে না, এমনটা ভাবা আরো ছাগলামি চিন্তা। কিন্তু প্রতি এলাকাতে বাসায় বাসায় রেট করে তাদের ধরবেন এমন প্রাগৌতিহাসিক চিন্তা চেতনা নিয়ে কেমনে দেশকে নিরাপদ করবেন? তাদের চেইন ফলো করেন, কোথায় কেমন করে তারা টাকা পাচ্ছে, কারা তাদের শেল্টার দিচ্ছে এসব নিয়ে আরো টেকনিক্যালি কাজ করতে হবে। তাই বলে বাসায় বাসায় গিয়ে সাধারন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য, তাদের সব ডকুমেন্ট আপনারা নিয়ে নিবেন পরবর্তে এর যে অপব্যবহার হবে না সেটা কি করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এটা এমন দেশ যেখানে সাধারন মানুষ চোর ছিনতাইকারি থেকে পুলিশকে বেশি ভয় পায়। এই চিন্তা চেতনা জনগনের মধ্যে একদিনে গড়ে ওঠেনি, আপনাদের শাসকগুষ্ঠি ও প্রসাশনিক চরিত্রের ক্রমবিবর্তনের ফসল এটা।

আমরা সবাই চাই দেশটা ভাল থাকুক, আমরা সবাই ভাল থাকি। কিন্তু দেশের যেকোন সমস্যার পিছনে কেন জানি কিছু লোক ফায়দা নিতে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। আমরা যতই মুখে মুখে দেশকে ভালবাসার কথা বলি আসলে অধিকাংশই শুধু লোক দেখানোর জন্যই করি নয়তো দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে, সামান্য বডি চেকআপ করানোর জন্য সিঙ্গাপুর মালোশিয়া দৌড়াতাম না। প্রাইমারি স্কুল বা কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে বড় বড় লেকচার দিয়ে ঘরে ফিরে নিজের ছেলেমেয়েকে দেশের বাইরে পড়তে পাঠাতাম না। এগুলো নতুন করে বলার কিছু নাই আমরা সবাই এসব জানি শুধুই এই সমাজটাকে সংশোধন করতে চাই না, চাই এই সমাজ এই দেশ থেকে বিদেশে পালিয়ে কোন রকম পরিত্রান পেতে।
বাংলাছবি দেখা বাদ দিয়ে দিয়েছি সেই কবে থেকে, কারন বড় হওয়ার পর থেকে বুঝতে শিখেছি এই দেশটাই একটা বিশাল নাট্যমঞ্চ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: বাংলাছবি দেখা বাদ দিয়ে দিয়েছি সেই কবে থেকে, কারন বড় হওয়ার পর থেকে বুঝতে শিখেছি এই দেশটাই একটা বিশাল নাট্যমঞ্চ।

:D :D :D :D

ভালো লেগেছে।

০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: আপনি যাই বলুন, আমি কিন্তু ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারটাতে একমত। আপনি পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে দেখুন সরকারের কাছে সেদেশে বসবাসরত সকল দেশী বিদেশী নাগরিকের তথ্য স্টোর করা থাকে, যেসব তথ্য সারাক্ষন বিশ্লেষন করে তারা অপরাধ নির্নয় করতে পারে অঘটন ঘটার আগেই।

০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০২

বিবর্ন সভ্যতা বলেছেন: অন্যান্য দেশের নাগরিকরা তাদের পুলিশকে নিজে থেকেই তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য। কারন তারা ভাল করেই জানে এতে তাদের তথ্যের কোন মিসইউজ হবে না।
আমাদের দেশের পুলিশের উপর কি জনগনের সেই ভরসা আছে? এদেশের পাবলিক এখন চোর ডাকাত থেকে পুলিশকেই বেশি ভয় পায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.