নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে একা রাখতেই বেশি পছন্দ করি, তারপরও মাঝে মাঝে এক অদৃশ্য অস্তিতকে উপলদ্ধি করি।

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, হারিয়েছি আবেগ।

বিবর্ন সভ্যতা

বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ, আমরা প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছি এক বিবর্ন সভ্যতায় ।

বিবর্ন সভ্যতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

“বিদ্রোহী নাকি জঙ্গি” নজরুলের সম্মান নাকি অসম্মান?

২৫ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

যদিও এটা নিয়ে লেখার ইচ্চে ছিল না, কিন্তু এই বঙ্গদেশে থেকে চোখ বন্ধ করেও থাকা যায় না। গতকাল জাতিয় কবি কাজী নজরুলের জন্মবার্ষিকী ছিল। অনেকেই অনেক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। অনেকেই আবার তার কবরে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। টিভি টক শোতে তাহার গুনগান করতে করতে সুশীলিয় সম্প্রদায় অস্থির হয়ে পরেছেন। নিজের পক্ষে এতসব চামচামি দেখে আমার মনে হয় নজরুল জিবিত থাকলে আবারও সুইসাইড খাইয়া মইরা যাইতো।

আমরা বিশেষ কোন ব্যক্তিত্বের জ্ন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকী আসলেই তাকে নিয়ে মিডিয়া, পেপার, ফেইসবুক, বল্গে গুনগান করতে করতে একবারে উল্টাইয়া ফালাই যেন সে অন্য কোন গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসেছিল আর একটুর জন্যই তার সাক্ষাত মিস্ করলাম। দিন দিন পুরাই আবাল একটা জাতিতে পরিনত হচ্ছে এই পা চাটার গোষ্ঠি। অত দরদ যদি থাকে তাইলে বছরের অন্য কোনদিন কেন তোদের মনেও থাকে না যে নজরুল নামে কেউ একজন এই পৃথিবীতে ছিল।

একজন মানুষকে ভালবাসতে হয় তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হয় তার আদর্শের বাস্তবয়ন ঘটানোর মাধ্যমে। সারা বছরে একবার তার কবরে ফুলের তোড়া দিলেই সব ল্যাঠা চুকে গেল তাই না? কবরে ফুল দিলে কি হয়? সে কি এর ঘ্রান শুনতে পারে নাকি সে এগুলো বেচে দিয়ে কবরে বসে বসে পিজ্জা পার্টি দিবে?

কবি নজরুল ছিলেন ব্রিট্রিশ বিরুধী, তাদের জন্য তিনি যুদ্ধেও নাম লিখিয়েছেন। অপরদিকে তিনি চাইতেন যেন এই দেশে কোন গরিব ধনীর ভেদাভেদ না থাকে। তিনি চাইতেন আদর্শের ভিত্তিতে যেন একটা সাম্যবাদি সমাজ গড়ে উঠে। লুটেরার দল যেন ক্ষমতায় বসতে না পারে সে জন্য তিনি বিদ্রোহ ঘোষনা করছেন তার কবিতায় তার সাহিত্যের মাধ্যমে। তার কবিতায় ইসলামের সুমহান বানীগুলো প্রচার পেত। আমি নিশ্চিত যারা আজকে তার গুনগানে মসশুল হয়ে টিভি, মিডিয়া, মঞ্চ কাপাছেন নজরুল জিবিত থেকে আজকের দিনে তার

”মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই যেন
গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই”


অথবা

কোথা চেঙ্গিস্, গজনী মামুদ, কোথায় কালাপাহাড় ?
ভেঙ্গে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া দ্বার !
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা,
সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা !


রচনা করতেন ঐসব সুশিলেরাই তাকে ”জঙ্গি” ট্যাগ দিতে এক মিনিটও দেরি করতো না। র‌্যাবের ক্রশফায়ারের হিট লিস্টে নজরুলের নাম জ্বলজ্বল করে শোভা বৃদ্ধি করতো।
আপনি কারো প্রতি যদি সম্মান দিতে চান তাহলে তার রেখে যাওয়া আদর্শের বাস্তবায়ন করেন। তার পরিবারের অসময়ে তাদের পাশে দাড়ান। তা না করে ঐ ব্যক্তির কবরে বছরে একবার গিয়ে ফুল দিয়ে ভাবলেন যে, বাহ্ বড্ড কাজের মত কাজ করছি তাইলে মুনাফিকদের সঙ্গাটা আপনার জন্যই প্রযোজ্য ধরে নিবেন। এই সমাজে আজকে মানুষের বড়ই অভাব এটা নজরুল সেই অর্ধ শতাব্ধি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, আর তাই তাদের উদ্দেশ্য রচনা করে যান-

বিশ্ব যখন এগিয়ে চলছে মোরা আছি বসে
বিবি তালাকের ফাতওয়া খুজছি কোরান হাদিস চষে,
বাহীরের দিকে যত মরিয়াছি ভীতরের দিকে তত
গুনতিতে মোরা বাড়িয়া চলছি গরু গাগলের মত ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.