নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়েরি

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

আত্মকেন্দ্রিক, একা থাকতে খুব ভালো লাগে এবং একাকীত্ব আমি দারুণ ভালবাসি এবং উপভোগ করি ।

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আই.ই.এল.টি.এস পরীক্ষা দিতে গিয়ে চিটাগাং এ বিড়ম্বনা ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০১

আমি যখন প্রথমবার আই.ই.এল.টি.এস পরীক্ষা দেই পরীক্ষা দেওয়ার আগে প্লান ছিলো চিটাগাং ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে পরীক্ষা দেওয়ার । পরীক্ষা দেওয়া হবে চিটাগাং ঘুরে আসা হবে অনেকটা রথ দেখা আবার কলা বেচার মতন , কিন্তু টাকা যে শ্রাদ্ধ যাবে এটা আর মাথাতে ছিলোনা কারন টাকাতো বাপে দিবে । বাবা জিজ্ঞাসা করলো ঢাকা থাকতে তুমি কেন চিটাগাং যাবে পরীক্ষা দিতে । আমি বাবাকে আগডুম বাগডুম বুঝাই দিলাম আর সাথে এও বললাম অনেকদিন ঢাকার বাহিরে যাওয়া হয়না এই সুযোগটা নিয়ে নেই বেশী খরচ হবেনা কারন একদিনেই আমার পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে ,আর পরীক্ষা শেষ করে ঢাকায় চলে আসবো সব কিছু প্লান করা ।



যাহোক একদিন থাকার কথা তারপরও দুইদিন থাকার পরিমান টাকা নিলাম কারন যদি কোন কারনে বেশী টাকা লাগে এছাড়া যাত্রাপথে একটু হলেও বেশী নিয়ে নামতে হয় । এছাড়া আমরা দক্ষিণাঞ্চলের লোক চিটাগাং এ আমাদের আত্মীয় স্বজন বলতে কেউ নেই তাই কপালে হোটেল ছাড়া অন্য কোন গতি দেখছিলাম না ।



যাইহোক আই.ই.এল.টি.এস এর সব পেপারস রেডি করে ফেললাম এখন শুধু পরিক্ষার জন্য চিটাগাং যাওয়া নিয়ে কথা । বাসা থেকে বাবা সাথে করে একজনকে নিয়ে যেতে বলছিলো আমি না বলে দিলাম , কারন জার্নি পথে আমি একাকীত্ব খুব উপভোগ করি । প্লান ছিলো প্রথমে বাসে যাওয়ার পরে চিন্তা করলাম না ট্রেনে এ যাই অনেকদিন ট্রেনে উঠাও হয়না । অন্তত ট্রেনে একটু হলেও বাসের চেয়েও রিলাক্স এ যাওয়া যাবে ।



যাত্রার দিন ঠিক সময়ের অনেক আগে আমি সুবোধ বালক সেজে কমলাপুর রেল স্টেশন এ হাজির হলাম , ট্রেন রাত ১১ টাতে ছাড়বে । ওই দিকে বেশীরভাগ কাউন্টার খুব সুন্দর করে বন্ধ যেটা খোলা আছে টিকিট বিক্রেতার উত্তর ভাই টিকিট শেষ । আমি ভরসা হারাইলাম না কারন আমি যখন স্টেশন এ প্রবেশ করি বেশ কিছু ব্ল্যাকার ভাই আঁকার ইঙ্গিতে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করেছিলো আমাকে কিন্তু আমি তাদের দিকে না তাকিয়ে বীরদর্পে বুকখানা ফুলিয়ে কাউন্টারম্যান এর কাছ গেলাম কিন্তু তার থেকে থেকে আশাহত হৃদয়ে ফিরিয়া আসলাম । দেখি ব্ল্যাকার ভাইজান্ মিটিমিটি করে হাসছে আমার পানে চেয়ে আমিতো লজ্জায় মাথা নত করে চিন্তা করছি চলে যাবো নাকি গেলেতো এক্সাম এর অনেক টাকা ধরা , কি করি ? কি করি ?



আমার চিন্তা দূর করে এক ব্ল্যাকার ভাই পান চিবাইতে চিবাইতে আসলো , জিগাইলো ভাইজান টিকিট লাগবো নাকি আমি ভদ্র ছেলের মতো মাথাখানা নারা দিলাম । সোজাসুজি ১০০ টাকা বেশী চাইলো আর বললো হুদা কামে হেগো কাছে গেছেন ক্যান থাকলেও পাইবেন না , আমি কইলাম ভাই জানিনা কি করুম । আর কথা না বাড়িয়ে টিকিট খানা আমার হাতে ধড়াই দিলো আর কইলো টেকা লন আমি আর না করিলাম না কারন আমারতো যাওয়া লাগবেই যেভাবে হোক , আগুপিছু চিন্তা না করিয়া কিনে ফেললাম আমার টিকিট খানা।



যাহোক ১১ টার সময় আমার আই.ই.এল.টি.এস স্পেস ট্রেন চিটাগাং গ্রহে এর উদ্দেশ্য যাত্রা করিলো । কপালখানা ভালো বলতে হবে সময়টা ছিলো গরম ঠিক জানালার পাশে আমার চেয়ার খানার নাম্বার দেখিয়া মনটা আরো আনন্দে ভরিয়া উঠিলো কারন আমি আবার অসম্ভব রকমের সবুজ প্রেমিক । আস্তে আস্তে ট্রেন চলতে চলতে ঢাকার বাহিরে এসে পড়লো মনে করেছিলাম ইস আজকে যদি চাঁদনি রাত থাকতো অন্তত ট্রেনে বসে বাহিরের কিছু হলেও দৃশ্য দেখতে পাড়তাম কিন্তু বাহিরের যে অবস্থা এমন কালো অন্ধকার দেখিয়া জানালাখানি বন্ধ করিয়া দিলাম ।



বিরাস বদনে পাশের যাত্রীর দিকে প্রথম তাকাইলাম দেখি উনি চক্ষুখানা মুদিয়া কি যেন চিন্তা করছে কারন ঘুমন্ত লোকের মুখের ম্যাপ দেখিলে বোজা যায় । আর আমার ট্রেন নেইবার ভাইজান যে ঘুমাননি কিছু চিন্তা করছেন তাহা তার কপালের কুঁচকানো ভাব দেখে বোজা যাচ্ছে । কি আর করা আমিও চিন্তা করলাম কিছু করা দরকার কারন আমি মানুষটা বরাবর অস্থির ,ভাবলাম একটু ঘোরাঘুরি করি ট্রেনের মধ্যে । ঘুরতে ঘুরতে মনে হল রাত অনেক হয়েছে খেয়ে আসি তার চেয়ে ।



যাহোক খাওয়ার জন্য অন্য কম্পার্টমেন্ট এ গেলাম খাবারের মান দেখিয়া মনে হইলো পৃথিবীর সৃষ্টির সময়কার খাবার অতি যত্নে মমি করে রাখা হইয়াছে , রুচি উঠিয়া গেলো আমার খাবারের প্রতি ।



নিজ কম্পার্টমেন্ট এ আসিয়া আমার সাথে আনা ব্যাগ খানা খুলিলাম , একখানা আই.ই.এল.টি.এস এর বই বাহির করিয়া রিডিং পরিতে লাগিলাম ভাবখানা সবাই দেখ আমি ইংলিশ বই পরতেছি । নিজের কাছে নিজের মনে হইলো পুরা কম্পার্টমেন্ট এ একমাত্র লর্ড ক্লাইভ এর নাতি আমি । বই পরিতে পরিতে না দেখিতে দেখিতে ঘুমিয়ে পড়লাম । আমাকেও কেউ দেখিলোনা কারন ওই সময় অন্য সবাই ও ঘুমে ।



সকাল বেলা ঘুম ভাংলো চারিদিকের অপুরুপ দৃশ্য দেখিয়া , অপুরুপ দৃশ্য দেখিয়া আমার মনখানা ভালো হইয়া গেলো ।



কয়টার সময় আমার ট্রেন চিটাগাং পৌছালো সময়টা আমার সঠিক মনে নেই । যাহোক একটা রিক্সাতে উঠিলাম অনেক ঘুরিয়া ফিরিয়া একখানা ভালো হোটেলে থাকার জন্য উঠিলাম । ভাড়া অনেক চিন্তা কি কালকে এক্সাম শেষ তারপর ঢাকায় পৌঁছানোর পর ও কিছু টাকা থাকবে হাতে । দুপুরে ভালো ভাবে মধ্যাহ্নভোজ সারিলাম তারপর একখানা ঘুম দিলাম ,ঘুম থেকে উঠে বিকাল বেলা ফয়েজ লেক এ গেলাম ঘুরতে , রাত্রেও সেরকম নৈশভোজ সারলাম । দুহাত ভরে খরছ করলাম পরে হিসাব করে দেখলাম ট্রেনের টিকিট বাদে কিছু টাকা হাতে থেকে যাবে । যাহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হোটেল বিল দিয়ে সরাসরি পরীক্ষা দিতে গেলাম । এক্সাম আশানারুপ হইলো , কিন্তু স্পিকিং দিতে গিয়ে দেখি আমার হাতে হ্যারিকেন আমার পরিক্ষার সময় পরেরদিন দেওয়া হইয়াছে , আমার মনের আকাশ সাথে সাথে কালো হইয়া গেলো । ভীষণ চিন্তায় পরে গেলাম আমি । আমার অতিরিক্ত খরচের ফলে আমার পকেট তখন ঘড়ের মাঠ ।



বাহিরে এসে তাড়াতাড়ি পকেট হাতরে যা টাকা পেলাম তা নিয়ে সাথে সাথে স্টেশন এ গিয়ে আগামী কাল রাত্রি ১১টার অ্যাডভান্স টিকিট খানা খরিদ করিলাম , হিসাব করে দেখলাম আমার পকেট এ আছে সর্বমোট ১২৫ টাকা । কি আর করা অনেক খুঁজে ফিরে স্টেশন এর পাশে একটি অতি সস্তা নিম্ন মানের হোটেল এ উঠিলাম , মনে পড়লো সেই বইখানার কথা " দি প্রিন্স এন্ড দি পপার " কি আর করা ১০০ টাকা ভাড়া আমি অ্যাডভান্স দিয়ে দিলাম ।



রইলো মাত্র পকেটে ২৫ টাকা কালকে বিকালে পরীক্ষা আর রাত্র ১১ টাতে ট্রেন , মাথায় একটা চিন্তা আসিলো যে আজ আর ঘুম থেকে উঠবো না , ঘুমের যুদ্ধে রিপ ভ্যান উইঙ্কেল কে আমার পরাজিত করতে হবে কিন্তু সম্ভব হইলোনা । রাত্রে চরম খিধা লাগলো মনে হল পেটের মধ্যে নাড়ি ভুঁড়ি পাক খাচ্ছে সহ্য হলনা , একটা নিম্ন মানের হোটেল এ গিয়ে ১৫ খানা টাকা খরচ করিয়া ফেললাম আর আগের দিনের কথা মনে করিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেললাম , কি কপাল ? আগেরদিন আমি ১০ টাকা এক হোটেল বয়কে বখশিস দিয়েছি আর আজকে আমি ১৫ টাকার খাবার কিনে খাচ্ছি । কি আর করা হারাধনের ১২৫ টাকা থেকে এখন আছে আমার কাছে সম্বল বলতে আছে মাত্র ১০ টাকা ।



পরেরদিন ১১ টায় ঘুম থেকে উঠলাম তারপর গোসল করে রেডি হলাম , হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় হাতে একটা ছোট ব্যাগ ছিলো ওইটা কাউন্টারে রেখে বের হয়ে পড়লাম । উদ্দেশ্য ব্রিটিশ কাউন্সিল , আগে যাওয়ার কারন সময় কাটানো । আমার স্পিকিং দুপুরের পর , কিন্তু আমার চাদকপাল আর কাকে বলে ওইদিনটি আমার জন্য ভালো ছিলো । কিছু ছেলে দেরিতে আসার কারনে আমার স্পিকিং এক্সাম আগে শেষ হয়ে গেলো তখন বাজে দুপুর ১টা আমি বিরাসবদনে পকেট এ ১০ টাকা নিয়ে হেটে হেটে আসছি দুপুরের গরমের মধ্যে । মাথায় চিন্তা এক্সাম তো শেষ এতো সময় আমি কিভাবে পার করবো , হাটতে হাটতে কখন যে ট্রেন স্টেশন এ আসলাম খেয়াল নেই , আমার হোটেল এ যাওয়ার জন্য ট্রেন স্টেশন এর ভিতর দিয়ে শর্ট কার্ট মেরে তাড়াতাড়ি হোটেল এ যেতে চাইলাম কারন ব্যাগখানা নিতে হবে আমার । হঠাৎ কি যেন মনে হল , কাউন্টার ম্যান কে জিজ্ঞাসা করলাম ঢাকার ট্রেন কি ঠিক রাত ১১ টা তে ছাড়বেতো ভাই , কাউন্টার থেকে জবাব আসার আগে আমার পাশে একটা ছেলে বললো ভাই আজকে ঢাকার দুপুর ২ টার টিকিট আছে । কাউন্টার ওয়ালা মাথা নাড়ালো । আমি অবাক আমার ধারনা ছিলোনা দুপুরের ও ট্রেন আছে ঢাকাতে আসার । কারন আমি অনেকদিন পরে ট্রেনে উঠেছি । আমি সাথে সাথে কাউন্টার ওয়ালা কে বললাম ভাই আমার এই অবস্থা । আমার টিকিট খানা কি রাত্র থেকে দুপুরে করে দেওয়া যাবে কাউন্টার ওয়ালা রাজী হয়ে গেলো মনে হল আমার বুকের উপর থেকে ১০ টনি একটা পাথর নেমে গেলো । সময় আছে ১০ মিনিট আমি এক দৌড় দিলাম আমার হোটেলের দিকে আমার ব্যাগ আনার উদ্দেশে মনে হয় হিসেব করলে আমি ওইদিন ১০০ মিটার দৌড়ে উসাইন বোল্ট কে হারিয়ে দিতে পাড়তাম , ট্রেনে আমার পদধূলি পড়ার সাথে সাথে ট্রেন তার গন্তব্য স্থল ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে দিলো । আমিও বিশাল এক হাপ ছেড়ে বাচলাম ।



আহা কি শান্তি , যাহোক ট্রেন চলছে আর আমার পেটের খিদে ও দৌড়াচ্ছে ট্রেনের গতির সাথে সাথে । কারন সারাদিন একটি ফোটাও আহার জোটেনি কি আর করা আছে ১০ টাকা থেকে ৫ টাকার বাদাম কিনে দাঁতের ব্যায়াম করলাম । ঢাকাতে রাত্রে কখন ট্রেন পৌছালো আমার খেয়াল নেই । যখন ট্রেন তেজগাও স্টেশন এ আসলো ট্রেন কিছুটা আস্তে আস্তে চলতে লাগলো আমি চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে গেলাম নামার আগে ভুলে চেকার কে টিকিট খানা দিলাম ।



নামার কিছুদূর হাঁটার পর রেল পুলিশ ভাইজান আমাকে ধরলো টিকিট কই , ফাঁপর আর কাহাকে বলে , আমিও কিছু সুন্দর ভাবে কথা বললাম । আমার কথা শুনিয়া পুলিশ ভাইজান সসন্মানে হাসিমুখে আমাকে বিদায় করিয়া দিলো ।



তারপর হোম সুইট হোম । আর পকেটে সংরক্ষিত আছে চিটাগাং ফেরত ৫ খানা টাকা ।









মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৯

পথহারা নাবিক বলেছেন: পরে পরীক্ষার কি হইলো আর স্কোর কতো হইলো!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৬

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: পথহারা নাবিক @ খারাপ না ভাই যা চাইছি তাই পাইছি । B-)

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪০

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: চিটাগং এর স্টেশনে টিকিট বাবু আপনাকে টিকিট বদলায়ে দিয়েছে: ঢাকায় হলে দিতো না; এইটা মনে রাইখেন!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৮

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: পাঠক১৯৭১ @ ভাই কি কারনে যে বাবু সাহেবের আমার প্রতি দয়া হইলো ।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:০৫

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: B-)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:০৭

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: জেনারেশন সুপারস্টার :D

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০০

মশিকুর বলেছেন:
হায় হায় ব্যাপক বিড়াম্বনা দেখি। অবশেষে মাত্র ৫ টাকা নিয়ে ঢাকায়!! এধরনের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল তিনমাস আগে। আমরা পাঁচ বন্ধু কুয়াকাটা থেকে সায়দাবাদ এসে যখন নামলাম তখন কারও কাছে টাকা ছিল না। ১২ ঘণ্টার জার্নিতে ৭২ টাকা ছিল সম্বল। তবে ঢাকা এসে পরের সাত দিন ধুমচে খাইয়া সেই রাতের না খেয়ে থাকা উসুল করছি :)

শুভকামনা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৪

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: মশিকুর ভাই @ কম বয়সে এরকম অনেক অভিজ্ঞতা আছে । প্রথম প্রথম মনে হতো এই শেষ আর কোনোদিন এভাবে বের হবোনা , হলেও হিসাবে চলবো । কিন্তু যখন টুর সুরু হতো তখন ওই কথা কি আর মাথায় থাকতো ভাই । :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.