নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়েরি

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

আত্মকেন্দ্রিক, একা থাকতে খুব ভালো লাগে এবং একাকীত্ব আমি দারুণ ভালবাসি এবং উপভোগ করি ।

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী দয়া করে আপনি কি এদিকে একটু নজর দিবেন।

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩০

ব্যাঙের ছাতার মতো অনুমোদনহিন হাঁসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখন পুরো বাংলাদেশ কিম্বা ঢাকার শহরের অলি গলিতে পান সিগারেটের দোকানের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যাতে ডাক্তার নামধারী সব কম্পাউন্ডাররা বসে থাকে যাদের চিকিৎসার সনদ নেই এবং ঠিকমতো ঔষধ দেওয়ার যোগ্যতা নেই।



একজন রোগী যখন গ্রাম থেকে ভালো চিকিৎসার আশায় ঢাকায় সরকারী হাসপাতাল গুলোতে আসে অথবা জেলা শহরগুলোর সরকারী হাসপাতালে যায় ভালো চিকিৎসার আশায়। তখন দালালদের দৌরাত্তে তারা নানারকম ব্যাঙের ছাতার মতো নামধারী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই সব দালালদের সাথে কিছু চিকিৎসক দেরও যোগাযোগ আছে। চিকিৎসার বদলে হয় অচিকিৎসা। এবং খতিগ্রস্ত হন সাধারণ জনগণ। আর তাদের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর হাড়তো অহরহ।



বাংলাদেশে মাজে মধ্যে র‍্যাব অথবা স্বাস্থ্য অধিধপ্তর এর কর্মকর্তারা নানারকম হাঁসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক বা কোন ডাক্তারের চেম্বার এ অভিযান চালায়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হ্য় ডাক্তার ভুয়া নয়তো তার সাইনবোর্ড এ যে টাইটেল তিনি দিয়েছেন সেই কোর্স আজ পর্যন্ত শেষ করতে পারেননি এমনও ডাক্তার আছেন যারা ১ সপ্তাহের কোন কোর্স তার সাইনবোর্ড এর সাথে ঝুলিয়ে দেন। এমন ও দেখা গিয়েছে দাতের ডাক্তারের সাথে কাজ করা কম্পাউন্ডার নিজে আলাদা ভাবে দাতের ডাক্তার সেজে চেম্বার দিয়ে বসে আছেন। এরকম ডাক্তার রা মূলত জেলা শহরগুলোতে বেশী থাকে। অথবা ঢাকার নিম্নাঞ্চলে যেখানে সল্প আয়ের মানুষের উপস্থিতি বেশী তাদের ওইখানে এইসব ডাক্তারদের উপস্থিতি অনেক।



আপনাদের হয়তো মনে আছে বেশ কিছু বছর আগের ঘটনা ,ঢাকার প্রাইভেট মেডিকেলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মেডিকেল কলেজ থেকে এক সহযোগী অধ্যাপক কে গ্রেপ্তার করা হয় যিনি কিনা স্কুল পর্যন্ত পরেছেন। এমন নামধারী ডাক্তার আমাদের দেশের ওলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যাদের ভুল চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ আর বদনাম হচ্ছে মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা ছেলে মেয়েগুলোর।



শুধু তাতেই সীমাবদ্ধ নয় ব্লাড ব্যাঙ্কের নামে যা হচ্ছে তা এক ভয়াবহ ঘটনা যাদের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হচ্ছে কোন প্রকার টেস্ট ছাড়া। একজন রক্ত গ্রহিতা কিন্ত জানতেও পারছে না যে তার রক্তদাতা একজন ড্রাগ এডিক্ট বা তার কি কোন রোগ আছে। ঢাকাতে অধিকাংশ রক্ত দেওয়া লোক মূলত নেশাখোর যারা অনেক নেশায় টাকার জন্য রক্ত দিয়ে থাকে । ফলাফল এইসব রক্ত গ্রহনের ফলে ভালো সুস্থ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানারকম অসুখে।



মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী দয়া করে আপনি কি এদিকে একটু নজর দিবেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৮

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আমাদের এলাকার সেলিম ডেন্টাল ক্লীনিকর সেলিম ডাক্তার। যিনি আগে এক ডাক্তারের এসিস্টেন্ট ছিলেন। তিনি নিজের করা ক্লীনিকের বড় ডাক্তার। এসিস্টেন্ট থেকে ক্লীনিকের মালিক, আবার নিজেও এর ডাক্তার

১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: বুঝেন ভাই অবস্থা, এরকম হাজারো ডাক্তার আমাদের আসে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: ড্রাইভারের সাথে থেকে থেকে ড্রাইভার হইতে পারলে ডাক্তারের সাথে থেকে ডাক্তারও হওয়া যাবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীরে যে বিচার দিলেন উনি আইসা যদি এই আইন পাস করে তাইলে কি করবেন। এরচে নিজেরা যাইয়া মাইরা ভচকায়া আসলে ভালো না??

১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: আইন পাস করলে তো ভালো হতো। কিন্তু কে ডাক্তার আর কে ডাক্তার না এটা আমরা বুজবো কিভাবে, আমাদের যদি কাউকে সন্দেহ হয় তাহলে তো হবে না। আমরা তো আর তার সার্টিফিকেট চাইলেও সে আমাদের দেখতে দিবেনা। এক মাত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দ্বারা সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.