নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়েরি

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

আত্মকেন্দ্রিক, একা থাকতে খুব ভালো লাগে এবং একাকীত্ব আমি দারুণ ভালবাসি এবং উপভোগ করি ।

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

আমাদের দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়েই চলছে। প্রতিদিন আমরা টিভি খুললে বা পেপারের পাতা উল্টালে অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনার খবর দেখি বা পড়ি। দুর্ঘটনা বন্ধ করার জন্য আমাদের সরকার যদি কিছু সাধারণ উদ্যোগ নেয় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে লোপ পাবে,এবং রক্ষা পাবে অনেক তাজা এবং মেধাবী জীবন।



আমি যেহেতু ঢাকা শহরে থাকি তাই ঢাকা শহরের কিছুটা উদাহরণ তুলে দিচ্ছি । আমার উদাহরণগুলি অনেক সাধারণ কিন্তু আমরা যদি তা মেনে চলি তাহলে দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও লোপ পাবে।



ঢাকা শহরে অধিকাংশ মানুষের যাতায়তের মাধ্যম হল বাস,টেম্পু,সিনজি আর ইদানীং ব্যাঙের ছাতার মতো রাস্তায় চলছে অসংখ্য নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেল। আর যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের আছে ব্যাক্তিগত গাড়ি।



প্রতিদিনকার সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যেমন চালক দায়ী তার সাথে অনেকাংশে আমাদের সাধারণ জনগণের ও কিছুটা দোষ আছে বৈকি।



ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাস,সিনজি বা মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বা যানবহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। বি,আর,টি,সির কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তারা জাল লাইসেন্স বা ফিটনেস সার্টিফিকেট বের করে তারা রাস্তাতে গাড়ি চালিয়ে থাকে। এছাড়া পুরোনো ক্রুটিপূর্ণ বা মেয়াদহীন গাড়িতে ঢাকা শহর ভর্তি।



অধিকাংশ গাড়ির চালক ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে কিছু জানে না এক কথায় অজ্ঞ, নিয়ম না মেনে গাড়ি পারকিং কে কার আগে যাবে তার প্রতিযোগিতা,লেন না মানা,ট্র্যাফিক সিগন্যাল অমান্য করা,অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, সাধারণ মানুষের হাঁটার রাস্তাতে মোটরসাইকেল চালানো,গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা আরো কতো কি।



আর সাধারণ মানুষের দোষ আমরা ফুটওভার ব্রীজ থাকতেও আমরা তার যথাযত ব্যাবহার না করে তাড়াতাড়ি রাস্তা পাড় হওয়ার জন্য ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পাড় হওয়ার চেষ্টা করি ফলাফল যা হওয়ার তা হয়। অনেক সময় রাস্তা পাড় হওয়ার সময় আমরা মোবাইল ফোনে কথা বলি আরো অনেক কিছুতো আছেই।



আমাদের সরকারের উচিৎ ঢাকা থেকে মেয়াদউত্তীর্ণ পাবলিক বাস বা গাড়ি বা যে কোন যানবহন উঠিয়ে দেওয়া,এবং সরকারীভাবে বেশী বেশী করে ভালো নতুন মডেলের বাস আমদানি করা।



আর যাদের ব্যাক্তিগত বাস বা যাত্রী পরিবহনকারী যানবহন আছে তাদের জন্য সরকারী ভাবে লোনের ব্যাবস্থা করে দেওয়া। যেন তারাও নতুন করে উদ্যমী হয়ে ভালো মানের যাত্রী পরিবহনকারী যানবহন রাস্তাতে নামায়।



তাহলে প্রতি বৎসর আমাদের কারো বাবা কারো মা কারো ভাই বা কারো বোন বা কারো ছেলে বা কারো মেয়ে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে । সাথে সাথে আমাদের নিজ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

নীল জোসনা বলেছেন: সহমত ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: নীল জোসনা @ ধন্যবাদ সাথে সাথে আমাদের সচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে কিচ্ছু হবেনা।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

সোহানী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টি নেয়ে লিখার জন্য। আপনার সাথে সহমত তারপরও যোগ করতে চাই, সরকারের সদিচ্ছা। সরকার যদি এ বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক হয় তাহলেই একমাত্র সম্ভব এর সঠিক নিয়ন্ত্রন। শুধু গরু ছাগল চিনলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দিলেতো এরকমই হবে.. !!!!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: সোহানী আপু @ দেখেন সাধারণ মৃত্যুর উপর কারো হাত নেই, কিন্তু এসব অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সহ্য করা অনেক কঠিন।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমরা নিজেরা সচেতন হওয়াটা বেশি জরুরী

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব @ সহমত ভাই। নিজেরা সচেতন না হলে সমাজ পরিবর্তনও অসম্ভব। একই চক্রে যদি বার বার ঘুরতে থাকি। তাহলে কোন কিছুর পরিবর্তন সম্ভব না।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

ফিলিংস বলেছেন: ১। ড্রাইভেরদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করা এবং এ পেশার মান বাড়িয়ে শিক্ষিত দের আকৃষ্ট করতে পাড়লে হয়ত সড়ক দুর্ঘটনার হার কমানো সম্ভব।

২। সবগুলা টিভি চ্যানেলের কাছ থেকে সচেতনতা মুলক এ্যাড এর জন্য ৩০ মিনিট সময় বরাদ্ধ নেয়া। দিন রাত মিলিয়ে।

৩। সবগুলা ফোন অপারেটরের কাছ থেকে সচেতনতা মুলক এ্যাড এর জন্য ১০টি-৩০টি এস এম এস বরাদ্ধ নেয়া। তবে অবশ্যই বাংলা হরফে।

৪। ছাত্রদের কে বাইসাকেল ব্যাহারে উৎসাহীৎ করা। ছাত্রীদেরটা আলোচনা সাপেক্ষে ব্যাবস্থা।

৫।পাবলিক গাড়ীর গায়ে বানিজ্যিক এ্যাড তুলে অথবা কোন এ্যাড না থাকলেও বাধ্যতামুলক সচেতনতা প্রচার চালেনো।

আরও অনেক কিছু করার চেষ্টা করা ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ফিলিংস @ ৫টি পয়েন্ট এ আপনার সাথে ১০০% এগ্রি।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: যেদেশে মন্ত্রীরা বলে যে গরু ছাগল চিনতে পারলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া উচিত, আর সরকার কয়েক লাখ দিয়েছেও সেদেশে মানুষ তো ১০০% চালকের দোষে গাড়ী দুর্ঘটনায় মরবেই, কি করতে পারবেন? আবার ড্রাইভার মানুষকে খুন করলেও কুনু শাস্তি নেই তো সে তো আরো খুন করবে, জানে তাকে বাঁচাবার জন্য কয়েকশ এমপি মন্ত্রী হাজির! আবার দেশে ১০০% পুলিশ নেতা আমলা ট্রাফিক আইন জানেনা সেদেশে মানুষ খুন তো ডাল ভাত!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: হাঁ হাঁ হাঁ হাঁ ঢাকাবাসী ভাই। তবে ড্রাইভার সম্পর্কিত আইন পরিবর্তন দরকার। এটা না হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বরঞ্চ বাড়বে কমবেনা।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

ফিলিংস বলেছেন: ঢাকাবাসী --আপনার অবস্থাও ত দেখি আমাদেের দেশের এমপি মন্ত্রীদের মত। কাজের কোন কথানাই আজাইরা প্যাচাল।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৪

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ভাই আজকেও এয়ারপোর্ট রোডে ৪ জন মারা গেছেন।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: সহমত, জনসচেতনার ব্যাপারটা খুব জরুরী ।



'উদাহরণ' বানানটা ঠিক করে দিয়েন ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ঠিক করে দিচ্ছি ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনা খুব কম। বিশ্বের অন্যান্ন সিটির তুলনায়।
দুর্ঘটনা হবে কখন? সবইতো জানজটে স্লো .....

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: হাসান ভাই আজকেও এয়ারপোর্ট রোডে বাস এক্সিডেন্ট এ ৪ জন মারা গিয়েছে। প্রতিদিন ঢাকায় এভাবে ৩ কি ৪ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে। কেউ রাস্তা পারাপারের সময় কেউবা হোন্ডা এক্সিডেন্ট এ। আরো বিবিধ কারন থাকে।

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২২

ফিলিংস বলেছেন: প্রভাবশালী কারও যদি বাস সার্ভিস থাকে তবে সেই প্রভাবে বাসের ড্রাইভারও রাস্তাই প্রভাব দেখাই। উল্টা পাল্টা টানে, জানে পুলিশ ধরবে না বা ধরলেও মালিক আছে..।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ফিলিংস ভাই @ পরিবহন মালিক বা পরিবহন নেতা উভয় খুব শক্তিশালী। আমরা মাজেমধ্যে জেলা শহরগুলোর খবরে কি দেখি উমুক শ্রমিকের গায়ে হাত তোলায় ঐ জেলার বাস রুট বন্ধ। ফলাফল ঐ জেলার সাথে অন্য সব জেলা সহ রাজধানীর যোগাযোগ বন্ধ। সমস্যাতে পরে সাধারণ আমাদের মতো জনগণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.