নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়েরি

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

আত্মকেন্দ্রিক, একা থাকতে খুব ভালো লাগে এবং একাকীত্ব আমি দারুণ ভালবাসি এবং উপভোগ করি ।

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বাবা কে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১১

আমার বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। বাংলাদেশের এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে সরকারী একটি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন। যতদিন সরকারি চাকরী করেছেন সুনামের সহিত তার নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন।



জীবনের শেষ কয়েকটি দিন ঢাকার একটি নামকরা কলেজে ছিলেন। কি করলেন সে তার সরকারী চাকরী জীবনে না বাড়ি না গাড়ি। এতদিন আমরা ঢাকাতে থাকি আমাদের ঢাকা কেন সারা বাংলাদেশও এক ফোটাও সম্পত্তি নেই। গ্রামে পৈতৃক সুত্রে পাওয়া অল্প কিছু আছে যা আমরা নেয়নি।



২০০৫ এ দেখলাম আমার বাবা মুখে কালো করে একটা ক্রেস্ট সহ বাসায় ঢুকলো। ঐদিন বাবার এলপিআর ছিল। ২০০৬ এ পেনশনে যাবার আগে বাবা মৃত্যু বরন করলেন। জায়গা হল আজিমপুর কবরস্থানে।



বাবার পেনশন নিয়ে বিস্তর দৌড়াদৌড়ি করা লাগলো। শিক্ষক বাদেও বাবার একটি আলাদা পরিচয় ছিল ( কোন রাজনৈতিক দলের নেতা না , পরিচয় বলাও যাবেনা) ।



মৃত্যুর পর কত আত্মীয়স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী দাড়িয়ে গেলো। আরে রথি বাবা মারা গেছে তা কি হয়েছে আমরা আছিনা। কোন চিন্তা করবে না। অথচ এই লোকগুলো এখন কোথায়। বাবা বেচে থাকতে বাবার সামনে এসে স্যার স্যার করে জিব্বা দিয়ে ফেনা তুলে ফেলতো। আর তারা এখন মরীচিকা।



ঠিকমতো পড়াশুনা করতাম না, বাবা বলতো এখন তো বুঝবানা যখন মারা যাবো তখন বুঝবা। বাবা সত্যি তুমি কি ছিলে এখন বুঝি? তুমি আমাদের মাথার উপর বিশাল এক ছাতার মতো ছিলে তাও বুঝি। কোনোদিন তোমার দুঃখ কষ্ট চাওয়া পাওয়া বুজতে চাইনি বা বুঝার চেষ্টা করিনি। শুধু নিজের আবদার করে গেছি। কিন্তু তুমি কত কষ্ট করে আমাদের এই আবদার পূরণ করেছো বা পূরণ করার চেষ্টা করেছো কি করে করেছো তা কোনদিন জানতেও চাইনি।



মনে করতাম, আরে বাবা ধুর বাবা মানেই ডিস্ট্রাব। বাবা মানে সব কিছুতে না করা বাবা মানে কাজে বাঁধা দেওয়া। এখন বুঝি বাবা তোমার কথা না শুনে কি ভুলে করেছি।



আমি এখনো ভুলতে পারিনা যখন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সিটিউট এর আইসিইউ তে তোমাকে রাখা হয়েছে একটার পর একটা ঔষধ দিয়ে যাচ্ছে ডাক্তার তোমাকে বাচানোর জন্য। তুমি আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে সেই দৃষ্টি সহ্য করার ক্ষমতা আমার ছিলোনা। বাবা তুমি কি ঐ মুহূর্তে আমাকে কিছু বলতে চেয়েছিলে। আমি বের হয়ে গেছি তোমার ঐ দৃষ্টি দেখে আমি সহ্য করতে পারছিলামনা। তারপর শুনলাম তুমি নেই। পুরো পৃথিবী আমার মাথার উপর ভেঙে পড়লো।



যাহা আমি জীবনে কল্পনা করতে পারিনি যে আমার বাবা এই পৃথিবীতে থাকবেনা। মনে আছে তোমাকে কত বার বলতাম আরে ধুর তোমার যা ফিগার তুমি আরো ৮০ বছর বাচবে।



যখন হৃদরোগ ইন্সিটিউট থেকে তোমার লাশ বের করছে তুমি স্ট্রেচারে নিথর শুয়ে আছো তোমার মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছে আমি ভয়ে তোমার কাছে যেতে পারছিলামনা। যখন তোমাকে গোসল করানোর সময় আমাকে ডাক দেওয়া হল তোমাকে দেখে মনে হল আরে আমার বাবাতো এখনো বেচে আছে। এতো লম্বা তাগরা ফিগার এই লোক কিভাবে মারা যায়। মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে আছে।



যখন তোমার জানাজা হল তখনও আমি ঘোরের মধ্যে। সন্ধ্যার সময় তোমার লাশবাহিত কফিন নিয়ে আজিমপুরে ঢুকছি। তখনও আমার মন বলছে আমার বাবা বলবে এই তোরা আমাকে নামা আমি তো মারা যাইনি।

তোমাকে যখন কবরে শোয়ালাম আমার আর একবার ইচ্ছে করছিলো তোমার মুখখানা একবার দেখি। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি।



কবর দেওয়া শেষে রাত্রে যখন বাসায় আসলাম তখনও আমার আশা আমার বাবা আবার ফিরে আসবে। কিন্তু না আর কোনদিন আসেনি। আর আসবেনা।



বাবা তোমাকে শেষ একটিবারের মতো দেখতে চাই তোমার পা ধরে মাফ চাইতে চাই। বাবা তুমি ফিরে আসো।



তোমরা কি কেউ আছো ভাই আমার বাবাকে ফেরত দিতে পারবে?

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৩

নিমচাঁদ বলেছেন: ফেসবুকে সারাদিন চিল্লাই ।
এই দুনিয়ায় বাবা মায়ের চাইতা কোন বড় বন্ধু নাই।
বাবারে আর পাইবেন না , তবে নিজে তাকে অনুসরণ করেন মনে মনে । তার জন্য দোয়া করেন ।

এই দুনিয়ায় আইজ থাইকা ৫০০ বছর পরে কেউ টিক্কা থাকবো না , তবে দুনিয়ায় করনীয় কাম গুলা কইরা যাইতে হয় , যতটুকু পসিবল ।

আপনার বাবার জন্য দোয়া কামনা করলাম

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৬

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: নিমচাঁদ ভাই আমি ২০০১ থেকে ইন্টারনেট ব্যাবহার করি। ফেসবুক ব্যাবহার করি ২০০৭ কি ২০০৮ হবে আমি আজ পর্যন্ত কোনদিন বাবা কিংবা মা নিয়ে কোন পোস্ট দেয়নি। এমনি কি বিশ্ব বাবা দিবস বলেন বা মা দিবস বলেন আমার কোন পোস্ট নেই। আজকে বাবাকে মনে পরলো কি কারনে পোস্ট দিলাম আমি নিজেও জানিনা।

আর তাকে অনুসরন করা আমার পক্ষে সম্ভব নহে। তার জন্য দোয়া ভালোবাসা আছে এবং সবসময় থাকবে। শুধু একটাই দুঃখ আর জীবনেও কোনদিন দেখা হবেনা।

ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩৪

মাহাদি হাসান বলেছেন: কাঁদালেন ভাই। সততা, ন্যায়পরায়নতা যারা আমাদের শেখান তাদের প্রতি আমাদের কালেক্টিভ অন্যায় আচরনের দৃষ্টান্ত আপনার ব্যক্তি জীবনের এই ঘটনা। এ ধরনের আরো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। একটা অসুস্থ সমাজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৫০

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: মাহাদি হাসান ভাই সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে। সমাজ এখন ক্যানসার নামক এক রুগী। এর বাঁচার আশা শেষ।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৪০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: কষ্ট পেলাম ভাই।লেখায় দেখলাম আপনার পিতা অনেক কিছুই করেছেন আপনার জন্যে এবং বোঝায় যাচ্ছে নি:সন্দেহে তিনি সততা ও ন্যায়পরায়ণতার দিক থেকে একজন মহান মানুষ ছিলেন।সামনাসামনি তো আর আপনার সাথে মিট করতে পারবোনা তবে আরেকজন ভাই হিসেবে আপনাকে সমবেদনা জানিয়ে গেলাম।আমি নিজেও পিতামাতার সুসন্তান হতে চাই এবং ব্যক্তিজীবনে একজন ভালো পিতা হতে চাই যেন সমাজকে কিছু সুসন্তান উপহার দিতে পারি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৪৯

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: জেনারেশন সুপারস্টার ভাই@ আমিতো কোনদিন আর আবার বাবার সাথে দেখা করতে পারবোনা, আমিও একজন ভালো পিতা হতে চাই।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:১৮

মৃত মানব বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল ভাই। আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসিব করুক। আর বাড়ি গাড়ি নিয়ে আফসোস করবেন না। বরং গর্ব করে বলতে পারবেন যে আপনি একজন সত্‍ ব্যক্তির ছেলে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৫২

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: মৃত মানব ভাই এটা আসলে সত্যি আমার গর্ব করার একটাই জিনিষ আমার বাবা সৎ ছিলেন। বাড়ি গাড়ি নিয়ে আফসোস করিনা। যা কপালে ছিলোনা তা হবে কিভাবে।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আল্লাহ আপনার বাবাকে বেহেশত নসীব করুন। আমিন।

আল্লাহর মেহেরবানিতে আমার বাবা-মা দু'জনই আমাদের মাঝে আছেন এখনো। তবে তারা অসুস্থ, বিশেষ করে মা খুব ভাল নেই। আমি যখনই মায়ের কস্টের কথা শুনি সেদিন আমার বড় কস্টের দিন। সারাক্ষণ মনে মনে বলতে থাকি, " হে দয়ার আল্লাহ! আমার মা-কে, আমার বাবা-কে সুস্থ সহি সালামতে ও ঈমান-আমলের সাথে বাঁচিয়ে রাখো। ার যেডিন নিয়ে যাবে ঈমান সহকারে নিয়ে যেও"।

এই দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী। সবাইকে চলে যেতে হবে। আপনি/আপনারা তার জন্য দোয়া করুন। এতেই তার মঙ্গল হবে।

আল্লাহ আপনাকে শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দিন। আমিন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ইছামতির তী্রে ভাই @ আপনার মা বাবা উভয় সবসময় সুস্থ থাকুক এই কামনা করি। আমার বাবা ২০০৬ এ মারা গিয়েছেন। বাবা থাকতে তার মর্যাদা বুঝতে পারেনি। কাঁধে অনেক দায়িত্ব, ছোট ছিলাম অনেক ভালো ছিলাম। বড় হওয়ার অনেক দায় আর দায়িত্ববোধ মাজে মধ্যে দিশেহারা করে ফেলে।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: খুব স্বাভাবিক। যখন কস্ট হবে কাঁদবেন। কান্না মাঝে মাঝে দুঃখ কস্টগুলোকে মুছে দেয়। সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করবেন। নিশ্চয়ই তিনি আপনাকে সাহায্য করবেন।

আল্লাহ আপনার সকল কাজ সহজ করে দিন-এই দোয়া করি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ইছামতির তী্রে ধন্যবাদ ভাই।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার বাবার জন্য দোয়া এবং বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: মামুন ভাই ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

রন৬৬৬ বলেছেন: @Dewan Kamrul Hassan: My father worked with Janata Bank (before U.B.L. in Pakistan period) from 1960 to 1985. He retired (1985) and had gone back to his ancestral village Comilla and died in1997 over there. He was a Deputy General Manager of Janata Bank. His P.A.(power of attorney) number was 100! He could have at least three houses at Dhaka and minimum deposit of Tk.100 cores cash at Bank. Unfortunately, we don't have house and land in Dhaka. But fortunately, my aunty from USA purchased a flat at New Eskaton Road back in 2002. We two brothers are living at her flat since then.

Bottom line is: "Sinners shall suffer in the long run."









০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: রন৬৬@ ভাই টাকা পয়সার আক্ষেপ আমার বেশী নাই। যদি আমি আমার বাবাকে আবার ফিরে পেতাম। এই সমাজে অনেক দায়বদ্ধতা, এনিয়ে বেঁচে থাকা খুব কষ্টকর।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

হামিদ আহসান বলেছেন: বাবা যে কী আমরা অনেক সময় বুঝি না। কিন্তু বাবা যখন চলে যায় তখন বুঝলেও আর লাভ নেই। আর ফিরে আসবে না।

রথি ভাই আপনার লেখা মনটা ছুঁয়ে গেল । ধন্যবাদ

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: হামিদ ভাই বাবা থাকতেও জীবনে তার মর্যাদা বুঝিনি। আজ এতোগুলো বছর হয়ে গেলো এখন বুঝি বাবা যে আসলে কি। বাবা যে সংসারের মহিরুহু।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

মন খারাপ হয়ে গেল।
:( :(

যে চলে যায় সেকি আর পৃথিবীতে ফিরে আসে? সে উত্তর সৃষ্টিকর্তা জানেন।

আপনার বাবার কোন স্বপ্ন থাকলে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করুণ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: স্নিগ্ধ শোভন ভাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: পিতা হলেন সন্তানে মাথার উপর বটকৃক্ষ সমতুল্য। যাদের পিতা ইহলোক ত্যাগ করিয়াছে তাহারই শুধু অপলব্ধি করতে পারে। কথায় আছে না দাত থাকতে দাঁতের মর্জাদা নেই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: অনন্য দায়িত্বশীল আমি @ আপনার সাথে একমত । এবং আমিও মর্যাদা করিনাই। এখন বুজি বাবা আসলে কি ছিলেন।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

রন৬৬৬ বলেছেন: @Dewan Kamrul Hassan: Do one thing. Try to remain single (unmarried) for the rest of your life. Everything will be solved by the passage of time. Me and my younger brother still remained unmarried at the age of 45 and 46 respectively!!! We don't have any social bindings.

At the end of the day, there will be no worries, no stress and no tension at all. Follow me.......

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: রন ভাই আমারও একি চিন্তা। আমি ৩৫ ।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২১

দি সুফি বলেছেন: নিয়মিত নামায পড়ে তার জন্য দোয়া করুন। এর চেয়ে মূল্যবান আর কিছু এই মুহুর্তে তার জন্য নেই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: সুফি ভাই অনেক দিন থেকে কিছু কারনে আমি বাঁধা। একদিন দেখা হোক সব বলবো। আসেন না আমরা গরম উপলক্ষে একটা পিকনিকের আয়োজন করি।

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার বাবাকে আল্লাহ্‌ বেহেস্ত নসীব করুন। বেশ আবেগি লেখা। বাবা যে প্রতিটা সন্তানের জন্য কত বড় অবলম্বন, যাদের নাই, তারাই কেবল এর মর্ম অনুধাবন করতে পারে। আমি বাবাকে বাবা ডাকতে পারি নাই। তাঁর আগেই শহীদ হয়েছেন। ভালো থাকুন রথি। বাবার আদর্শ অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করুন কেবল।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:২০

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালী ভাই@আমি আপনার জন্য খুব কষ্ট অনুভব করছি কারন আমরা তো বাবাকে পেয়েছি আর আপনি বাবা ডাকতে পারেননি। বাবা হল ভাই মাথার উপর ছাতার মতন যখন এই ছাতা মাথার উপর থেকে সরে যায় তখন আমরা এর উপলব্ধি করতে পারি। আল্লাহ আপনার বাবাকেও বেহেস্তে নসীব করুন।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দি সুফি বলেছেন: নিয়মিত নামায পড়ে তার জন্য দোয়া করুন। এর চেয়ে মূল্যবান আর কিছু এই মুহুর্তে তার জন্য নেই।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই@বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১১

দি সুফি বলেছেন: ভালো বলেছেন রথি ভাই "গরম উপলক্ষে পিকনিক" :)
ভাই নতুন ব্যবসা শুরু করেছি। সেই সকাল ৮টা থেকে রাত ৮-৯টা পর্যন্ত অফিসে থাকি। অন্য কোনদিকে এই মূহুর্তে মনও দিতে পারছি না :(

তবে পিকনিক ইনশাআল্লাহ্‌, কোন এক দিন হবে :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২২

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: সুফি ভাই শীতকালের চেয়ে আমি গরমকালের পিকনিক পছন্দ করি কারন এইসময় লোকজনের ভিড় থাকে কম। আপনি ব্যাবসা রান করান। আশা রাখি আপনার ব্যাবসা ভালো চলুক। ফ্রী হন তারপর দেখি একটা উদ্যোগ নিতে পারি কিনা।

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেরীতেই এই লেখাটা আমার নজরে এলো। পড়লাম চোরের মত। অনুতপ্ত হলাম। আজ বুঝছি একজন বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য কতটুকু। সেদিন বুঝি নি কারন মানুষরুপে একটা জানোয়ার ছিলাম বলে। মনে পরে আব্বার একটা কথা, দাত থাকতে কেউ দাতের মর্যাদা বুঝে না।।
একটি পিতৃহারা সন্তানের আহাজারি মন ছুয়ে গেলো।। অ-নে-ক ধন্যবাদ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৫

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: বাবার সাথে জীবনে অনেক বেয়াদবি করেছি। বাবা কতো কথা বলতো এক কান দিয়ে শুনতাম আর এক কান দিয়ে বের করে দিতাম। এখন বুঝি বাবা কি ছিল। বাবা ছিল মাথার উপর বটগাছের মতন সবসময় ছায়া দিয়ে যেতেন। আর আমরা সেই ছায়াতলে বসে তার কথা অমান্য করতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.